গরীব মা ছেলের সংসার - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-68717-post-5959690.html#pid5959690

🕰️ Posted on June 6, 2025 by ✍️ mabonerswami312 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 891 words / 4 min read

Parent
সবার জীবনে সুখ দুঃখ দুটোই থাকে। কিন্তু আমার জীবনে সুখ নেই আছে শুধু দুঃখ। সেই দুঃখের কথাই আপনাদের কাছে বলতে এসেছি। একটু আগে থেকে না বললে কেউ বুঝবে না। আমার বয়স তখন ১৬ সবে মাধ্যমিক দেবো। মায়ের আর বাবার চিন্তার আর শেষ নেই, কারন আমাকে পড়াত মিশন কলেজে। যদিও বাড়ি থেকে যেতাম কিন্তু কলেজ ছিল মিশন কলেজ। আমার সিট পড়ে বাড়ি থেকে অনেক দূরে। একে একে সব পরীক্ষা চলতে লাগল। যেদিন শেষ পরীক্ষা বাবা মায়ের কাছে আবদার করলাম আজকে পরীক্ষা শেষে বিরিয়ানী খাবো। মা না না করলেও বাবা রজি হল। আসলে বাবা যে কি জিনিস কেউ না বুঝলে আমি বুঝেছি আমার কোন আবদারে না করত না। বাবা জদিন ছিল আআম্র সুখের সীমা ছিলনা, আমার ছোট ভাই সেও পড়াশুনায় ভালো। যাক সেদিনে কথা কি বলব। পরীক্ষা দিয়ে বেড়িয়েছি আমি মা ভাই ছিলাম অটোতে আর বাবা নিয়ে গেছিলেন স্কুটি। আউটোটে ৫ জন ধরে সবাই আমাদের আমি মা ভাই। যাক পরীক্ষা ভালই হয়েছে বের হয়ে দেখি বাবা মা ভাই দাড়িয়ে আছে বাবা একটা কথাই বলল বাবা কেমন হয়েছে পরীক্ষা। আমি খুব ভালো বাবা। বাবা চল তাহলে বলে অটোকে বলল দোকানের সামনে দাড়াতে। বাবা আগে চলে গেল। আমরা পড়ে পৌছালাম। সবাই মিলে বিরিয়ানী খেলাম। তারপর বাবা বলল তোমরা আসো আমি যাই। ওই বাবা সাথে শেষ দেখা। বাবা বাড়ির কাছাকাছি এসে মেইন রাস্তা পার হতে গিয়ে সোজা ১৬ চাকার লড়িতে পিষ্ট হয়ে জায়গায় শেষ। আমার জীবনের দুখের দিন শুরু হল। ছোট ভাই ছোট তবে বেশী ছোট না। আমার থেকে দু বছরের ছোট মাত্র। আমি মাধ্যমিক দিয়েছি আর ভাই ক্লাস নাইনে উঠেছে মাত্র। বাবার সৎ কাজ হয়ে গেলেও মা আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে, কারন মায়ের একটাই অভিযোগ আমার জন্যই বাবাকে মরতে হয়েছে। মা আমাকে এরজন্য কোনদিন ক্ষমা করবেনা সোজা আমার মুখের উপর বলে দিয়েছে। আমাকে সোজা বলে দিয়েছে আমাকে আর কোনদিন তুই মা বলে ডাকবিনা।   মামা মামী আমার কাকা সবাই বোঝালেও মা কোনদিন আমার সাথে আর ভালো ব্যবহার করত না। এমনকি সব দৌড়াদৌড়ি করে বাবার যে কিছু টাকা পেয়েছিলাম তাও মা আমাকে দেখতে দেয়নি। বাধ্য হয়ে আমি একটা কাজের খোজ করতে করতে কিছু না পেয়ে আমাদের বাজারে বাবার এক বন্ধু ছিল তাকে বললাম সে জানে সব, ওনাকে বলতে উনি বুঝল আমাদের কথা তাই ওনার একটা দোকান ছিল আমাকে ভাড়া হিসেবে দিল। সেখানেই আমি ব্যবসা শুরু করলাম। দেখতে দেখতে তিনমাস পার হয়ে গেল আমি মাধ্যমিকে ৭৯ পারসেন্ট নম্বর পেয়ে পাশ করলাম। রেজাল্ট বাড়ি নিয়ে এলাম মাকে দিলাম। মা একবার চোখ বুলিয়ে দেখলোনা। আমি কোনদিন কাদিনি কারো সামনে চোখের জল ফেলিনি। কলেজে আর ভর্তি হলাম না কারন বাবার মৃত্যুর জন্য যে আমি দায়ী। তাই সব ভুলে গিয়ে ভাই এবং মাকে খাইয়ে বাচাতে হবে। জীবন যুদ্ধে নেমে পড়লাম। সকাল ৬ টায় বাড়ি থেকে বের হই ফিরি বেলা আড়াইটা বাঃ তিনটে আবার বেড়িয়ে যাই ৪ টায় ফিরি রাত সারে ১০শ টায়। কারন মা যে আমাকে দেখতে পারেনা। কি করব বাড়ি গিয়ে। এভাবে চলতে লাগল। পারার অনেক কাকারা বলেছিল তুই অনতত ভর্তি তো হয়ে রাখ আমরা বলে দেব পরীক্ষা দিতে পারবি। কিন্তু আমার মা একবারের জন্য বলেনি এই কথা তাই বাদ দিয়ে দিলাম। ভাইয়ের পড়াশুনায় যা লাগবে সব আমি দিতাম। তবে মা আমাকে দেখতে না পারলেও ভাইকে সব সময় নিয়ে থাকে ওর পরাশুনার জন্য সব করে। এটাই আমার স্বস্তি যাক ভাইকে তো দেখছে। এইভাবে দেখতে দেখতে দুই বছর পার হয়ে গেল। ভাইয়ের পরীক্ষা এসে গেল কারন আমরা এক কলেজে পরতাম। ভাই আমাকে বলল দাদা আমার পরীক্ষা শুরু হবে কালকে থেকে তুমি যাবেনা। মা সাথে সাথে বলল না ওর যেতে হবেনা। আমি নিয়ে যাবো তোকে আর কারো দরকার নেই। ভাই মা দাদা গেলে আমার একটু সাহস বেশী হত কেন যাবেনা দাদা সব সময় তুমি দাদাকে বকা দাও কেন, দাদা কত কিছু করে আমাদের জন্য। তুমি কোন সময় দাদার সাথে ভালো করে কথা বলনা কেন। আমার দাদা অনেক ভালো যা চাই তাই এনে দেয় আর তুমি শুধু দাদাভায়ের সাথে বাজে ব্যবহার কর।   আমি কোন উত্তর না দিয়ে চলে গেছি দোকানে, ভাই টাকা চাইতেই সব দিয়ে দিতাম। হল পরীক্ষা হল ভালো রেজাল্ট হলো। ৭৬ পারসেন্ট পেল, মা কি খুশী বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন হল, টাকা আমার কিন্তু আমার যে বাড়িতে যাওয়া মানা। ভাই এসে বাজার করে নিয়ে গেল, একবারের জন্য মা বাঃ ভাই বল্লনা তুমি বাড়ি চলো। আমি বাড়ি ফিরলাম সেই রাত ১১ টায়। গিয়ে পেলাম সামান্য কিছু খাবার। তবে মা যে কটা খাবার বেরে দেয় এটাই আমার অনেক পাওয়ানা। তবে মা আর যা করুক না কেন বাড়ি গেলে আমাকে খেতে দেয় আর কি, আর লাগবে আর দেবো এরবেশী কোন কথা হয়না। দেখতে দেখতে ভাই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে গেল। এই চার বছরে আমার শরীর খারাপ হলেও দোকান বন্ধ করিনি, আস্তে আস্তে কিছু পুজিও করেছি, কারন আমি জানি আমার শরীর খারাপ হলেও মা জিজ্ঞেস করেনা। এক বন্ধুর কথায় জার কাছে আমার দুঃখের কথা শেয়ার করতাম সে বলেছিল ভাই নিজেরটা আগে দেখবি তোর মতন অভাগা আর কেউ নেই। আগে হাত খুলে ভাই মায়ের জন্য খরচা করলেও এখন একটু চেপে করি আর কি। নিজে বেশ ভালো ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স করেছি।   ভাই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর বলল দাদা এবার কি নিয়ে পড়ব। মা ওকে জিজ্ঞেস করে কি হবে ও কি বোঝে দোকানদার মানুষ। আমি দেখছি। দীর্ঘ এত বছর মায়ের মুখ থেকে একটা কথা ভালো শুনতে পাইনাই। যা হোক তারপরও ভাইকে টাকা দিলাম ভর্তি হল। কলেজে যেতে লাগল। দেখতে দেখতে অনার্স পাশ করেও গেল। ৫ টা বছর এভাবেই চলে গেল। আর কাউকে কিছু না জানালেও বড় মামাএক সব বলি কারন বড় মামা আমার হয়ে যা কথা বলে আর ছোট মামা তো আসেইনা। ফাকে আমার বন্ধুর কথায় দুকাঠা জমি নিলাম শুধু মামাকে বললাম আর কেউ জানেনা। জমি রেজিস্ট্রি করেও নিলাম। তারপর দেখতে দেখতে আরো দুই বছর গেল।  
Parent