গরীব মা ছেলের সংসার - অধ্যায় ১০
আমি কিছু না বলে বললাম না একটু ঢেলান দিয়ে বসি বলে বালিশ তুলে যেই দেয়ালে ঠেকিয়ে বসতে গেলাম দেখি দুটো কন্ডম রাখা ছিল বালিশের নিচে হাত দিয়ে ধরে বললাম এগুলো এখানে কেন।
মায়ের মুখে কোন কথা নেই একদম লাল হয়ে গেল। সেদিন তো ভাই কন্ডম পরেনি তবে লাগে কিসে ভাবতে লাগলাম।
আমি কি হল মা এগুলো এখানে কেন কে এনেছে এখানে আর কিসের জন্য। আমি হাতে ধরে দেখে বললাম মে মাসের ম্যানুফ্যাকচারিং তারিখ মানে তো অল্প কয়দিন আগের কেনা। এখন জুন মাস চলছে। কি হল, বলো মা। কে আসে বাড়িতে।
মা তখনো চুপচাপ কিছুই বলছেনা।
আমি বললাম তুমি বলছিলে না আমি কি করে দেখলাম তোমার লাল ছায়া মনে হয় এরজন্য দেখেছিলাম।
মা আতকে উঠল আমার কথা শুনে। কিন্তু কোন উত্তর নেই।
আমি মা কবে কখন দেখলাম জানতে চাইবেনা মা। হ্যা ওইদিন যেদিন আমি বাড়ি আসি নাই। না বাড়ি এসেছিলাম কিন্তু ঘরে ঢুকিনাই, সোজা এসেছিলাম এই জানলায় প্রায় ৪০ মিনিট ছিলাম দারিয়ে, দেখেছিলাম আমার মা আমার ভাইকে কত ভালবাসে, যৌন চাহিদার জন্য সব মেনে নিয়েছিলে ছোট ছেলের আবদার। তবে ভয় নেই মা আমি কাউকে বলিনি, একথা কি কাউকে বলা যায়। আর কোনদিন কেউ জানবে না তোমাকে কথা দিলাম। লজ্জা করে লাভ নেই মা।
চলো তোমার ভাবতে হবেনা এবার খাবো ভাত দাও। ফেলে দেবো নাকি তোমার লাগবে পরে।
মা তবুও বসে আছে একটুও নরছেনা।
আমি এবার উঠে মায়ের হাত ধরে কি হলো চলো খেতে দেবেনা আমাকে, আবার একটা বড় অপরাঁধ করে ফেলেছি আমি অজান্তেই। ঠিক বাবার মৃত্যুর মতন।
মা এবার খুব কাঁদতে লাগল অজোরে চোখ দিয়ে জল পড়ছে। হিস্কি উঠে গেছে একদম।
আমি মায়ের আঁচল দিয়েই মায়ের চোখ মুছিয়ে দিয়ে বললাম দেখ আমি যদি খারাপ চোখে নিতাম তো তোমাকে মামা বাড়ি আনতে যেতাম না, তোমার কোন কিছুই আমি কারো কাছে প্রকাশ করিনি সেদিন দোকানে না গেলে কেউ জানতো না তোমার আমার খারাপ সম্পর্ক মানে তুমি আমাকে পছন্দ করনা। আমি কোনদিন কাউকে কিছু বলিনি আমার সংসারের ব্যাপারে, কারন এটা আমার সংসার ওঠ মা চলো খাবো এখন খিদে পেয়েছে। এসব মন থেকে ঝেরে ফেলেদাও কেউ কোনদিন জানতে পারেবান।
আমি দেখ মা আমি ভাইয়ের থেকেও দুই বছরের বড় তোমার থেকে কেউ বেশী জানবেনা, বাবা মারা গেছে ৭ বছর আর এটা হওয়া স্বাভাবিক, তবে সম্পর্কটা একটু বেমানান আর কিছুনা কারন সচারাচার এসব হয়না, কিন্তু বিধবারা অন্য পুরুষের সাথে প্রেম করতেই পারে। তবে পুরুষ জগত ভালনা, সবাই সুজোগের সৎ ব্যবহার করে তার থেকে ভালো হয়েছে। তবে জানলা বন্ধ করে করা উচিৎ ছিল। তোমার প্রতি আমার রাগ ক্ষোভ কিছুই নেই, সব চাইতে সত্যি কথা হল তুমি আমার মা। আমার দাঁরা মায়ের মান্সম্মান কোনদিন নষ্ট হবেনা। ওঠ মা আর কাঁদতে হবেনা, আমি রাগ করিনি তবে তোমাকে নিয়ে আসতাম এসব জানার বাঃ দেখার পড়ে।
মা হাউ হাউ করে আমাকে ধরে কাঁদতে শুরু করল, আমি খারাপ খুব খারাপ, আমি আমার এমন সোনার টুকরা ছেলেকে এত অবহেলা করেছি এই ভেবেই আমাকে মরে যেতে ইচ্ছে করছে। আমার কেন মৃত্যু হয়না কেন বেচে আছি আমি।
আমি মা তোমাকে যে আমাদের দুই ভাইয়ের জন্য বাচতে হবে, ভাইকে আমি ছারিয়ে আনবো তোমার সুখের জন্য মা।
মা না আমি চাইনা আর ওকে আমি চাইনা, আমি আর ওর কাছে কোনদিন থাকবোনা, তুই কি দিয়ে তৈরি রে আমাকে একটু বলবি। এত ত্যাগ কেন করবি আমার জন্য, আমি তোকে অবহেলা ছাড়া এই ৭ বছরে কিছু দেই নাই ভালো চোখে দেখিনি কেন করবি, তুই কি মহাপুরুষ, কেন কেন বল আমাকে। বলে আমার দুই কাঁধে হাত দিয়ে ঝাকুনি দিতে লাগল।
আমি মা আমি এইটুকু চাই আমার মা যেন আমাকে আমার বাবার খুনী না ভাবে, সে যে কি কষ্ট মা, আমার প্রান প্রিয় বাবাকে আমি খুন করেছি এটা যে ভাবলেই মরে যেতে ইচ্ছে করে মা। তুমি শুধু আমাকে এই অপবাদ থেকে মুক্তি দিলেই আমার মুক্তি আর যে কিছু চাইনা আমি। বুকে বড় ব্যাথা আমার কবে নিজেকে মেরে ফেলতাম শুধু তোমার মনের ভুল ভাঙ্গানোর জন্য আমি সব সহ্য করেছি মা। তুমি শুধু একবার বলো আমি বাবার খুনি না।
মা আমার মাথা ধরে এত কি করে পারিস তুই বাবার মতন মহান হতে চাস তুই, না সে আমি তোকে হতে দেবনা, তোকে আমি কোনদিন ক্ষমা করবা না। তোর বাবা চলে যাওয়ার পর একদিনের জন্য ভেবেছিস মায়ের কি করে দিন চলে কি করে মা সময় কাটায়, তোর মা রাতের পর রাত কি করে ঘুমায়। না ভাবিস নি কোনদিন তো কি করে আমি তোকে ক্ষমা করব। কত পুরুষ লোলুপ দৃষ্টিতে তাকায় আমার দিকে কোন দিন কাউকে কাছে আসতে দেইনি তোদের মুখের দিকে তাকিয়ে দুটো ছেলের কি হবে আমি চলে গেলে আর এখন তুমি মহান হতে চাইছ। তোমার ভাই বুঝেছিল মায়ের কষ্ট তুমি তো বোঝনি। এখনও তুমি আবার মহান হতে চাইছ তাইনা। তবে আর এ জীবন রেখে লাভ কি যখন কিছু না বুঝলে। আজকেই আমি গলায় দড়ি দেবো আর থাকবো না এ পৃথিবীতে। কিসের জন্য থাকবো আমি। তুমি তো মায়ের কষ্ট বুঝবেনা আমার কি করার আছে।
আমিবললাম মা তুমি আমার মা তোমাকে কোনদিন ওই দৃষ্টিতে দেখিনি আমি আমার সে সাহস হয়নি মা সবার সব ক্ষমতা ঈশ্বর দেয়না, আমাকেও দেয়নি। তবে একটা কথা বলতে পারি।
মা কি কথা বলে ফেল কালকে তো আর মাকে পাবেনা আজকেই আমার শেষ দিন।
আমি মা তোমাদের দেখে আমার পড়ে গেছিল ওই বাইরেই। জীবনে এরকম উত্তেজনা আমি কোনদিন অনুভব করিনি। এই বিষয় নিয়ে আমার কোনদিন কৌতহল ছিলনা মানে আমার হয় নাই।খুব আরাম পেয়েছিলাম মা। তোমাকে আমি মরতে দেবনা মা এতদিন পড়ে মায়ের ভালবাসা পেয়েছি কি করে তুমি আমাকে ছেরে চলে যাবে মা বল। তুমি যদি চাও তো তোমার এই বড় ছেলেও তোমাকে সুখে রাখবে। আমার দিকে তাকাও মা পারবো আমি বলনা মা। যদি একটা সুযোগ আমাকে দাও দেখি আমি পারি কিনা এ বিষয়ে আমার কোন অভিজ্ঞতা নেই, সব তোমাকে শিখিয়ে নিতে হবে। ছোট ছেলেকে যখন দিয়েছে একবার বড় ছেলেকে দিয়ে দেখতে পারো, আমি কোনদিন ভাইএর মতন বেইমানি করব না, এতদিনে সেটা বুঝতে পেরেছ। যদিও আমি আমার ভাইয়ের কাছে কিছু না তবুও দেখেছি তো, ওই সুখ আমি তোমাকে দিতে পারবনা, তোমার সব কষ্ট ভাই সেদিন ভুলিয়ে দিয়েছিল।