গরীব মা ছেলের সংসার - অধ্যায় ২৮
আমি দেখ একটা কথা বলি তুমি আমার ভাইকে ভুলে গিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে কর ভালো হবে। আর যতদিন না হয় আমি তো আছি ভেবনা।
রিমা আপনার কথার জবাব আমার কাছে নেই দাদা ঐযে মা আর আপনার মা আসছে আমাদের এবার ভেতরে যেতে হবে সময় নেই।
আমি উঠে হ্যা চলো বলে দাড়াতে মা এল আর বলল যা গিয়ে ভাইয়ের সাথে দেখা করে আয় খুব কান্না করছে এখন।
মাসীমা বলল এই যা দাদার সাথে পাশাপাশি আছে দুজনে দেখা করে আয়।
আমি তবে চলো রিমা বলে দুজনে ভেতরে যেতে লাগলাম। ভেতরে ঢুকতে দেখি দুজনেই পাশাপাশি জানলায় দাড়িয়ে। আমি ভাইয়ের আম্নে গেলাম রিমা ওর বাবার জানলায় গেল।
ভাই হাত জোর করে আমার কাছে ক্ষমা চাইল দাদা আমাকে মাপ করে দে। বড় জালে জরিয়ে গেছি দাদা তুই মাকে দেখিস। আইপিএলের বোর্ড বসিয়েছিলাম দুজনে সব সহ ধরা খেয়ে গেছি সাথে আবার নেশার কেস দিয়েছে বের হতে পারবো কিনা জানিনা।
আমি জামাই শ্বশুর মিলে। এই কাজ করলি। দেখেছিস তো অকারনে কাউকে আঘাত দিলে কি হয়। কেন এত টাকার দরকার ছিল ভালভাবে পড়াশুনা করলে একটা চাকরি পেয়ে রিমাকে বিয়ে করতে পারতি। কত ভালো মেয়ে কথা বলে দেখলাম তো। ওর বাবার খারাপ ও নিজেই বলেছে।
ভাই দাদা বলে লাভ নেই যা হবার হয়ে গেছে সে আর হবেনা, এ জীবন শেষ দাদা তুই মা আর রিমাকে দেখিস। অনেক তো করেছিস এই টুকু করিস দাদা। যদি বের হয়ে ঘতে ফিরতে পারি তো তোর অবাধ্য হবনা দাদা। মাকে যেভাবে এখন দেখছিস রিমাকেও দেখিস। ছোট ভাইয়ের সব আবদার রেখেছিস এইটা রাখিস দাদা। এরমধ্যে রিমা এল আর বলল খুব ভালো কাজ করেছে তোমরা তো জেলে খাবার পাবে আমাদের কি হবে, আমরা মা মেয়ে তো এখন না খেয়ে মরব।
রিমা দাদা চলেন আমাদের বের হতে বলছে। এরা দুজনে খারাপ লোক কথা বলে লাভ নেই, যেমন আমার বাবা তেমন আপনার ভাই।
আমি আসি ভাই দেখি আবার কবে আসতে পারি।
ভাই আমার হাত ধরে দাদা পাড়লে মাপ করে দিস।
রিমা একটা কথা বলল সময় থাকে দাদাকে চিনতে পারোনি আর এখন মাপ চাইছ, তোমাদের মুখ দেখতে আমার ইচ্ছে করে না তুমি না আমার বাবা, থাকো তোমরা সুখে থাকো। চলেন দাদা ওদের ঘরে ওরা আছে আমাদের তো বাড়ি ফিরে যেতে হবে। বাপের বাড়ি বন্ধক দিয়ে টাকা নিয়ে জুয়া তাই না ।
এরমধ্যে পুলিশ এসে আমাদের বের হতে বলল বাধ্য হয়ে আমরা চলে এলাম।
আমি রিমাকে বললাম অত কড়া কথা ভাইকে না বললে পারতে অদের এখন কত কষ্ট তারপর আবার আমরা কষ্ট দেবো সে ঠিক না।
রিমা একটু রেগে গিয়ে আপনি এত ভালো কেন, নিজের জীবনের সাত বছর আপনার ভাই নষ্ট করেছে তারপর এত মায়া ভাইয়ের উপরে। নিজেরটা গুছান দাদা বলে দিলাম।
আমরা বেড়িয়ে এসে দেখি মা আর রিমার মা কথা বলছে।
রিমা বলল দাদা দুজনার মধ্যে মনে হয় ভাব হয়েছে দেখেন কেমন গল্প করছে আর হাসাহাসি করছে।
আমি যাক তা হলে ভালই হয় যা হবার হয়ে গেছে তাইনা। ঝামেলা করে লাভ কি।
মা দেখেই বলল ও তোরা এর মধ্যে বেড়িয়ে এলি যে।
আমি কি করব বের ক্রএ দিল তোমরা তো অনেক সময় ছিলে এক ঘন্টা টাইম না।
মাসীমা- হ্যা বাবা কতদিন পরে কথা বললাম বোঝ তো এবার বাড়ির দিকে যাই কি দিদি।
মা হ্যা চলো এক সাথেই যাই ট্রেনে যাবো তো। একটা টোটো ঠিক বাবা স্টেশন পর্যন্ত যাই আমাদের রিটার্ন কাঁটা তোমাদের মা রিমা।
রিমা হায় আমরাও একবারে কেটে এসেছি কিন্তু এখন কিন্তু খুব ভির হবে ট্রেনে।
মা বলল চলো আমার ছেলে আছে তো কোন চিন্তা করতে হবেনা এই রিমাকে তুই আগলে রাখিস কেমন ট্রেনের লোক তো ভালনা।
আমি হ্যা কিছু খাবে এখন।
মা না আগে ষ্টেশনে চল তারপর কখন ট্রেন দেখে খাওয়া যাবে কি বলেন দিদি।
মাসীমা হ্যা তাই চলেন বলে টোটো ডাকতে সবাই উঠে পড়লাম। মা আর মাসীমা একদিকে আমি আর রিমা এক দিকে। গায়ে গায়ে বসেছি উঃ কি নরম রিমার শরীর।
মা বলল সপ্তাহে একদিন আসা যাবে আর সামনের সপ্তাহে তাইনা।
মাসীমা হ্যা তাই বলল কেসের তারিক দুইমাস পরে।
রিমা ভালো হয়ে পচে মরুক জেলে আমার আর আসতে ইচ্ছে করেনা এদের কাছে।
মা বলল ও কথা বলেনা মা আমরা ছাড়া ওদের আপন আর কে ভুল করেছে একটা সুযোগ তো দিতে হবে, তোমার বাবা আমার ছেলে।
মাসীমা সত্যি দিদি কি বলব আমাকে এমন বিপদে ফেলল বাচা দুস্কর আমাদের মামলা চালাবো কি করে।
মা ওনার হাত ধরে আরে ভাবতে হবেনা আমরা আছি তো, রিমা মায়ের প্রতি আমাদের একটা কর্তব্য আছে তো। কি বলিস বাবা। আমার বড় ছেলে অনেক ভালো বুঝলেন দিদি ও থাকতে আমার চিন্তা নেই সব সামলে নেবে।
রিমা আমার হাত ধরে সত্যি মা দাদার মতন লোক হয়না। না লোক কেন হবে ছেলে হয়না।
সবাই হেঁসে দিয়ে আমরা টোটো থেকে নেমে সোজা স্টেশনে গেলাম। ট্রেন দেরী আছে তাই মাকে বললাম চলো কিছু খেয়ে নেই চা বা অন্য কিছু। বলে একটা দোকানে গেলাম গিয়ে গরম গরম চপ খেলাম।
রিমা খুব ভালো চপ একদম খাস্তা তাইনা দাদা। আগে খেয়েছেন কোনদিন।
আমি না এলাম এই প্রথম তো আগে খাবো কি করে। এরমধ্যে ট্রেনের খবর হল।
মা বলল রিমা মা তুমি দাদার সাথে উঠবে এই আমরা দুজনে আগে উঠে পরব বুঝলি তুই রিমা মাকে নিয়ে উঠবি ওর খেয়াল রাখিস তুই।