গরীব মা ছেলের সংসার - অধ্যায় ৩০
আমি হ্যা সত্যি বলছি অল্প সময়ের মধ্যে চলে এলাম। এস বলে ওর হাত ধরে টেনে তুলে নিতে বলল দাড়াও না ফাঁকা হোক নামছি, মায়ের ছেলে মায়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে তাইনা। লোকাল তো দাঁড়াবে অনেকক্ষন।
আমি আবার পাশে বসে, মায়ের ছেলে হবেনা তো কার হবে।
রিমা একটু অন্যদিকে তাকিয়ে সাথে যে আরো কেউ আছে তাইনা।
আমি হাতটা মুঠো করে ধরে বললাম আছি তো ধরে ছেরে তো দেইনি। অল্প সময়ে আর কত দই পাতলেও জমতে সময় লাগে তাইনা।
রিমা এবার উঠে চলো ফাঁকা হয়েছে ভালই কথা জানো দেখেছি। দই দিয়ে সব কিছু হয়না। মন আর দই কি এক হল। ক্ষণিকেই অনেক কিছু ভেবে নেয়।
আমি ঠিক আছে বাড়ি পোউছে ফোন করবে কিন্তু।
রিমা আমি পারবোনা তুমি করবে, গিয়ে পড়তে বসব না।
আমি তাই আমি মেট্রিক পাশ আমাকে পরার কথা শুনাচ্ছ কি করব বল পড়তে পারলাম কই সুযোগ দিলনা আমার মা আর ভাই।
রিমা ভাইকে পড়িয়ে কি করেছ একটা অমানুষ হয়েছে তার থেকে না পড়াই ভালো। ভালো মানুষের সম্মান আলাদা শুধু লেখা পড়া করলেই হয়না মানুষ হতে আর না করেও অনেকে অনেক ভালো মানুষ হয় যেটা তুমি।
আমি আস্তে আস্তে বেড়িয়ে রিমার হাত ধরে এস এবার সবাই নেমে গেছে মা মাসিমাও নেমে গেছে এতখনে।
রিমা এবার হাত তা ছেরে দাও ওরা দেখবেনা বলে আমার হাত ছারিয়ে নিয়ে দুজনে আলাদা নেমে গেলাম। এদিক ওদিক তাকাতে দেখি মা হাত তুলেছে এইত এইদিকে আমরা। আমরা দুজনে ওদের কাছে গেলাম।
মাসীমা দিদি সন্ধ্যে হয়ে গেছে তবে আমরা যাই তুমি বাবা সময় পেলে একটু এস আমাদের বাড়ি।
মা বলল যাবে যাবে কেন যাবেনা সময় বের করে চলে যাবে, এই বাবা তুই দোকান খুলবি তো, তবে আমি হেটে চলে যাই আমাকে দিয়ে আস্তে হবেনা তুই গিয়ে দোকান খোল আমি একা চলে যাচ্ছি।
মাসীমা তাই কর বাবা দোকান গিয়ে খোলো আজকেও অনেক খরচা হয়ে গেল তোমার।
রিমা আসি দাদা আপনার দোকান কোন দিকে।
আমি এইত সামনে প্লাটফরম থেকে নেমে একটু আগে, মাতৃ ভান্ডার। তুমি পাড়লে এস একবার।
রিমা হ্যা এদিকে আসলে যাবো আপনার দোকানে। চলো মা বলে ওরা দুজনে হেটে চলে গেল।
মা আমি তবে যাই এখন আর দিয়ে আসতে হবেনা। তুই দোকান খোল যা তুই যা আমিও গেলাম। বলে হেটে চলে গেল।
আমি বাইক বের করে সোজা দোকানে চলে গেলাম। দোকান খুলতে একটা ভীর পরে গেল। ঘণ্টা খানেক বেচাকিনা করলাম। অনেকেই দেরীর কথা জিজ্ঞেস করল সবাইকে এক কথা বললাম ভাইয়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এখনও কাস্টমার আছে একে একে বেচাকেনা করছি। একটু ফাঁকা হতে মাকে ফোন করলাম। কি বাড়ি পৌঁছেছ।
মা সে তো অনেকক্ষণ রান্না করছি এখন। তোমার বেচাকিনা হচ্ছে বাবা।
আমি হ্যা খুলে খুব ভির ছিল মা এই একটু ফাঁকা হলাম তাই তোমাকে ফোন করলাম। কি রান্না করছ মা।
মা আমার সোনা বাবা ডিম ভালো খেত তাই ডিম রান্না করছি, কালকে মাংস এন রান্না করে দেবো। ডিমের কষা আর ডাল করছি বাবা। তাড়াতাড়ি বাড়ি আসবে তো তুমি।
আমি হুম আজকে কিন্তু ভালো করে দিতে হবে বলে দিলাম মা। কি দেবে তো।
মা সেইজন্য তো তাড়াতাড়ি আসতে বলছি, ভেবেছিলাম আসবে একবার দিয়ে যাবে আবার ভাবলাম ব্যাবসা করা লাগবে তাই ইচ্ছে করলেও না করলাম।
আমি ইস মা তুমি না যে কি আমারো খুব ইচ্ছে করছিল জানো কিন্তু তুমি ওইভাবে আগেই বললে বলে আর কিছু বললাম না তাছাড়া ওরা ছিল তোমাকে দিতে গেলে আবার যদি তুমি বলো ওদের দিয়ে আসতে তাই আমি কিছু বলিনি।
মা হ্যা তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে চলে আসবে কেমন আমার রান্না আগেই হয়ে যাবে তুমি আসো সোনা।
আমি আচ্ছা মা খদ্দের আছে রাখলাম। কথা বলতে ইচ্ছে থাকলেও বলা যায়না।
মা আচ্ছা আমি ডিম ছারাচ্ছি তোমার জন্য ভালো করে কষা করছি বাড়ি এস সোনা দেরী করবেনা একদম, ১০ শ টার মধ্যে ঘরে ঢুকবে কেমন।
আমি মা ফাঁকা হয়েছে চলে গেছে কাস্টমার। তুমি রেডি হয়ে থাকবে এসেই আগে ঢোকাবো একবার করে তারপর খাবো। দুপুরে দিতে পারিনি কেমন লাগছে আমার বুঝলে। দাড়িয়ে আছে খাঁড়া হয়ে।
মা পাজি একটা লোক নেই তাইনা।
আমি হ্যা বিদায় করে দিয়েছি। একদম ফাঁকা।
মা ছোটটা কান্না করছিল জানো। আমাকে বার বার বলেছে দাদাকে তুমি বলে রাজি করিয়ে নাও মা। আমি কবে বের হতে পারবো জানিনা মা।
আমি ও ভাই এই কথা বলেছে সত্যি মা।
মা হ্যারে তোর ভাই একদম খারাপ না সঙ্গ দোষে খারাপ হয়ে গেছিল। ও নিজের জন্য না ভেবে আমার কথা ভাবছে শুধু।
আমি তুমি বলিনো আমার আর তোমার হচ্ছে।
মা না বলিনি শুনলে কষ্ট পেতে পারে তাই কিছুই বলিনি। ভাব্বে ও জেলে আছে আর মা দাদার সাথে সুখ করে যাচ্ছে। আমি বলেছি তোর দাদা তোর মতন না, আমাকে সে চোখে দেখেই না।
আমি পরে আর কিছু বলেছে এই ব্যাপারে।
মা হ্যা বলেছে তুমি চেষ্টা কর দেখবে দাদাও আসবে তোমার কাছে। তোমার ছেলে তো মা তুমি চাইলে দাদাও তোমাকে দেবে।
আমি ভালো করেছ বলতে হবেনা এখন সত্যি মা কষ্ট পাবে তাইনা। উঃ মা সত্যি এখুনি আমার আসতে ইচ্ছে করছে গো একদম গরম করে দিলে আমাকে। এসেই আগে কিন্তু দেবো মা।
মা হুম আসো দেবে কি করে না আসলে। আজ না হলেও কালকে আমার পিরিয়ড হয়ে যাবে চার দিন পারবেনা, এসেই দেবে আবার রাতে আরেকবার দেবে।
আমি ওমা আমি তবে চারদিন কি করে থাকবো।
মা ভাবতে হবেনা আমি বের করে দেবো, হাত দিয়ে মুখ দিয়ে আমার ছেলে কষ্ট পাবে তাই হয়। ৮ টা বাজে এখুনি বন্ধ করবে নাকি।
আমি না মা এত সকালে বন্ধ করলে হবেনা। কত খরচা বেরেছে একবার ভেবেছ।
মা হ্যা বাবা রাত তো আছে তুমি ব্যবসা করেই এস কেমন, আবার উকিল কে টাকা দিতে হবে তোমার মামা বলেছে থানায় কিছু দিতে হবে, তুমি ব্যবসা কর বাবা। আমি রান্না করে অপেক্ষা করব তোমার জন্য। কালকে একটু তোমার মামা বাড়ি যাবো দুপুরে আবার রাতে চলে আসবো। কালকে যেন পিরিয়ড না হয়। তবে যাওয়া আসায় কষ্ট হবে। আমার ভয় করে যেভাবে মাকে দাও তুমি না রাতেই হয়ে যায়, ওইভাবে দিলে হয়েও যেতে পারে আমার তাই ভাবছি।
আমি ওমা তোমার কষ্ট হয় আমি দিলে।
মা না সোনা সে কথা বলছি না এক নাগারে যেভাবে দিতে থাকো, সব নরে যায় আমার তাই বলছি। কি কাস্টমার নেই।
আমি এই যা তুমি বলতেই একজন আসছে হাতে ফর্দ নিয়ে বড় কাস্টমার মা এবার রাখতে হবে।
মা আচ্ছা সোনা তবে রাখো আমি রান্না শেষ করে নেই আসো বের হবার আগে ফোন করবে আমি দরজা খুলে রাখবো।
আমি দুটো দরজা খোলা রাখবে কেমন।
মা পাজি একটা ঠিক আছে খুলে আসবো দরজায় হবে তো।
আমি হুম হবে। সোজা রুমে গিয়ে আগে লাগিয়ে দিয়ে বাকি কথা।
মা রাখ কদ্দের এসেছে না তুমি যা বললে তাই হবে রাখলাম সোনা। বলে মা রেখে দিল।