গরীব মা ছেলের সংসার - অধ্যায় ৮
সেলসম্যান বলল ব্রা এবং প্যান্টি লাগবেনা আপনার।
আমি হ্যা দিন লাগবেনা মা এগুলো ছাড়া কি পড়বে নাকি দিন ভালো দেখে দিন।
মা একটু মুস্কি হেঁসে নেবো তাহলে। দেখাও দেখি।
ছেলেটা বের করে দেখালো এই নিন দেখুন খুব ভালো ব্র্যান্ড নাম করা এগুলো ফিট হয় ভালো।
মা হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখে বলল এইদুটো নেই হুক ইলাস্টিক খুব ভালো মনে হয়।
সেলসম্যান হ্যা হ্যা বললাম না খুব ভালো আর পড়লে আপনাকে মানাবে ভালো ফিগার ভালো তো।
আমি নিয়ে নাও ছেলেটা সাথে সাথে প্যাক করে দিতে আমি টাকা দিয়ে বললাম চলো এবার বাড়ি যাই।
মা সব হাতে নিয়ে এসে আমার পেছনে বসে পড়ল। মামা বাড়ি থেকে আসার সময় কাঁধে হাত দিয়েছিল কিন্তু এখন বাঃ হাতে ব্যাগ ঝুলিয়ে আমার পেটে হাত দিয়ে জরিয়ে ধরল। ৭ বছর পড়ে মায়ের দেহ আমার দেহের সাথে লাগল এই প্রথম তার আগের কথা মনে নেই আমার। মা বলল কত টাকা তোর খরচা করে ফেললাম আমি।
আমি কি হয়েছে তাতে মাকে তো কিনে দিয়েছ অন্য কেউ তো না তবু মা এই প্রথম আমার কাছে থেকে কিছু নিল বলে আঃস্তে আস্তে করে বাইক চালাচ্ছি রাস্তা ভালোনা বার বার গর্ত পড়ছে আর ঝাকুনি হচ্ছে, ফলে মায়ের স্তন একটা আমার পিঠে বার বার লেগে যাচ্ছে। ভেতরে যে ব্রা নেই সেটা আমি বুঝতে পারছি।
মা আরেকটু চেপে ধরে কিরে মায়ের সাথে কথা বল্বিনা একদম চুপ হয়ে বাইক চালাচ্ছিস।
আমি কি বলব, আমি তো কারো সাথে কথা বলিনা বেচাকিনা ছাড়া।
মা তুই একটা বড় মোবাইল কেন আর আমাকে এই ছোট টা দিস। ভাইকে বড় দিয়েছিস আর নিজে ছোট রেখেছিস, তবে তোর সাথে কথা বলতে পারবো কিছু লাগলে কি করে বলব। ভাইকে তো আগেই কিনে দিয়েছিস কত কিছু না দিলি ওকে আর ও সব নষ্ট করে দিল।একটাও আমার দুঃখ ছেলেটা একদম বকে গেল আমি ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি ও এই সব খেলে। জুয়া যে কি খারাপ জিনিস এখন বুঝতে পারছে।
আমি বললাম আমি বড় ভাই আমার কাজ আমি করেছি, তুমি মা সব সময় ওর কাছে ছিলে তুমি কেন খেয়াল রাখনি কি করছে না করছে এটা তোমার দেখার কথা ছিল আমাকে কি শাসন করতে দিয়েছ তুমি। এতদিনে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছ কিন্তু এখন আর কিছু করার নেই। মামা কত বলতো কিন্তু তুমি আমাকে অপমান করতে পারলেই সুখী হতে তাইনা। আসলে মা ভগবান আছেন বলেই আজকে আমাদের এই পরিস্থি হয়েছে না হলে যেমন ছিল তেমন চলত তাইনা।
মা বুঝি তোর কষ্ট বাবা প্রথমে ও বলত তুমি অমন কর কেন দাদার সাথে, পরে নিজেই আমাকে উস্কে দিত, সব কপালের ফের বাবা। যেমন করম তেমন ফল, আমি হীরা ফেলে কাচ নিয়ে পরেছিলাম। এবার একটু জোরে চালা তোর ভাই বেশ জোরে চলাতো আমার খুব ভালো লাগত।
আমি মা আমি ভাইয়ের মতন হতে পারবোনা। ও যা যা পাড়ত আমি কোনদিন পারবোনা। পারতাম যদি তুমি আমাকে ছেলে হিসেবে মেনে নিতে নাওনিতো। গত দুই বছর একদিন দুইদিন না পাক্কা দুটো বছর আমার সাথে যা করেছ, তুমি আমার মা বলে, বাবাকে দেখতাম ঠাকুমাকে কত ভালোবাসতো, বাবার কথা ভেবে আজকে তোমাকে নিয়ে এলাম তুমি আমার মা তো গর্ভ ধারিণী মা তাই কিছু আর বলতে পারলাম না। তোমার ভালবাসা ১৬ বছর তো পেয়েছি পড়ে না হয় না পেয়েছি।
মা আমাকে জাপ্তে ধরে বলিস্না বাবা আমি এ ভুলের মাশুল দিয়ে পারবোনা। তোর বাবার ইন্সুরেন্সের সব টাকা শেষ করেছে, তোর মামা দিয়েছে সেও সব শেষ এবার শোধ করব কি করে। এক বছরের মধ্যে বাড়ি বেচে দিতে হবে কি করে কোথায় থাকবো আমরা।
আমি আমার বাড়ির প্রতি লোভ নেই। সই তো করে দিয়েছি। না এসে গেছি কেউ দেখলে কি বলবে আমি বাইক চালিয়ে এসেছি উত্তর দিয়ে পারবে তো। এই বলে বাড়ির সামনে দাড়াতে পাশের বাড়ির এক পিসি এসে বলল কিরে প্রতিমা কি ব্যাপার আজকে বড় ছেলের বাইকে ছোট কই কয়দিন দেখছিনা চাকরি পেয়েছে নাকি।
মা গেছে একটু এক জায়গা ফিরতে তিনমাস লাগবে। আয় বাবা ঘরে আয় আমি গেলাম। বলে মা সামনে গেল কিন্তু চাবি তো আমার কাছে। বেলা ৪ টা বেজে গেছে আমাকে দোকানে যেতে হবে। তাই বললাম এই তোমার চাবি নাও আমি দোকানে যাই বাইক কি এখানে রেখে যাবো দোকানে সাইকেল রয়েছে।
মা বলল এই চাবি নাও মানে মা ডাকতে পারিস না ঘরে আয় পড়ে যাবি জল খাবি তারপর যাবি।
আমি মায়ের কথা ফেলতে পারলাম না ঘরে গেলাম মায়ের সাথে। মা আমাকে ঠান্ডা জল দিল আর বলল একটু বসে ঠান্ডা হয়ে তারপর যাবি।
মা বলল অনেক করেছ মা ভাইয়ের জন্য বিনিময়ে কি পেয়েছ তুমি। তোমাকে আমরা কষ্ট ছাড়া কিছুই দেই নাই। তোমার যা যা ভুল করেছে এবার তার প্রতিদান পাবে তুমি। আমার যে এই দুই সন্তান ছাড়া কেউ নেই, একটাকে আঁকড়ে ধরে ছিলাম একটা ভুল বুঝে সে তো আমাকে বুঝল না, তুমি যখন মায়ের কষ্ট এতদিন বুঝেছে, এবার তোমার মাকে একটু ছেলের সেবা করার সুযোগ দাও। তোমার বাবার চলে যাওয়া যে আমার কাছে কত কষ্টকর সে তোমাকে বোঝাতে পারবনা। তোমার ভাইকে বোঝাতে চেয়েছিলাম কিন্তু সে আমার সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আমার সব টাকা পয়সা নষ্ট করেছে। তোমাকে কোনদিন কিছু বলিনি জানি তুমি ওর মতন না তবুও মায়ের সাথে থেকে দেখ এতদিন যেমন ছিলে তেমন আর থাকতে হবেনা।
আমি না দেরী হয়ে যাচ্ছে ভাই এতগুলো টাকা নষ্ট করল মামাকে শোধ দিতে হবে তো। না হলে বাবার বাড়ি থাকবেনা মা।
মা আচ্ছা ঠিক আছে যাও তবে বাবা মা একা বাড়িতে একটু তাড়াতাড়ি ফিরে এস। গত ৭ বছরের কথা আজকে আমি আমার ছেলের সাথে বলব।
আমি আসি মা তবে বাইক নিয়ে যাবো বলছ।
মা হ্যা যাও আর মাকে আর ভুল বুঝবেনা তোমার মা তোমার জন্য আজকে থেকে অনেক অপেক্ষা করে থাকবে।
আমি বেড়িয়ে পড়লাম মা এসে দরজায় দাঁড়ালো আমি পেছন ফিরে তাকাতে দেখি মা তাকিয়ে আছে।
আমি যেতে যেতে ভাবলাম তবে কি মা আমাকে মাপ করে দিয়েছে নাকি এখন বিপদে পরে আমার প্রতি সদয় হয়েছে। আমার মায়ের যে কি রুপ আমি জানি হয়ত এখন থাকার জায়গা নেই তাই বড় ছেলের প্রতি সদয় হয়েছে, যাক তবুও এখন তো আর ঘৃণা করবেনা। এটাই আমার কাছে অনেক পাওয়া কারন আমি যে ডুকরে ডুকরে মরতে যাচ্ছিলাম সবার ঘৃণা সহ্য করা গেলেও মায়ের ঘৃণা সহ্য করা যায়না। যাহোক দোকানে গেলাম মনের আনন্দে দোকানদারি করলাম। খুব বাড়ি যেতে ইচ্ছে করছে তাই ৯ টা বাজতেই বন্ধ করে দিলাম।
পাশের দোকানদার বলল কিরে ভাই এত তাড়াতাড়ি কি হলো কোথাও যাবি নাকি নেমন্তন্ন আছে নাকি।
আমি নারে ভাই বাড়িতে মা একা আছেন। পরে তোকে সব বলল এখন যাই, ভাইকে নিয়ে একটু সমস্যায় আছি।
সে বললেন কয়দিন আগে যে ঝগড়া করে গেল টাকার জন্য সেইমা। বলে একটু হাসল। তুই কি করে পারিস যে মা এমন করে বলে গেল আবার তুই সেই মায়ের জন্য তোর মতন ভালো হতে পারবোনা আমরা।
আমি হ্যা বলে বাইকে উঠে পড়লাম। ভাবলাম মায়ের জন্য কিছু নিয়ে যাই তাই বের হয়ে মায়ের জন্য একটা মোগলাই নিয়ে গেলাম ৯ টা ২০ মধ্যে বাড়ির সামনে গিয়ে দাড়াতেই মা দৌড়ে এল এসে দরজা খুলে এসেগেছিস বাবা আয় নে বাইক তুলে দে বলে দরজা ফাঁকা করে কি হান্ডেলে কি।
আমি একটা মোগ্লাই এনেছি তোমার জন্য।
মা বলেকি আমার সোনা বাবা মোগলাই এনেছে কি দরকার ছিল রান্না করেছি না। আয় দে আমার কাছে। বলে হাত বাড়িয়ে নিল আর বলল আমার সোনা বাবা। নাও তুলে আসো ভেতরে আমাদের ঘরে আসো।
আমি আচ্ছা বলে বাইক রেখে আমার কাধের ব্যাগ রাখতে রাখতে ভাবলাম আজকে ক্যাসো গুছাই নাই থাক পরে গুছিয়ে নেবো বলে আমার ঘরে রেখে হাতপা ধুয়ে মায়ের ঘরে গেলাম, মনে নেই কবে গেছিলাম এই ঘরে। বাবার কাজের সময় একবার গেছিলাম আর যাওয়া হয় নাই। গিয়ে দেখি মা নেই ডাক দিলাম ওমা কই তুমি।
মা রান্না ঘর থেকে বলল বয় বাবা আমি আসছি বালিশ সরিয়ে তুই বসো আমি শুয়ে পরেছিলাম তো। এই বলতে বলতে মা একটা প্লেটে মোগলাই নিয়ে চলে এল আর বলল তোর দেওয়া শাড়ি পড়েছি দেখ কেমন হয়েছে। রঙ্গটা খুব সুন্দর হয়েছে তাইনা। কিন্তু বাবা একটা ভুল হয়ে গেছে পালটানো যাবে আবেগে না লাল কিনে ফেলেছি, বিধবাদের কি লাল পড়তে আছে ফেরত দেওয়া যাবেনা।
আমি দরকার নেই বাড়িতে পড়বে কি আছে।
মা বলছিস পরব তাহলে লোকে কি বলবে।
আমি কেন কয়দিন আগেও দেখেছি তুমি পড়েছ। লাল ব্লাউজ লাল ছায়া তুমি পরেছিলে। ওই যেদিন মামা এসেছিল। টাকা নিয়ে অনেক কথা হল সেদিন।
মা ঠিক আছে বসো উঠে বসো তুমি। এই নাও আমি খাইয়ে দিচ্ছি হা করো।
আমি উঠে বসে মায়ের দিকে ঝুকে হা করতে মা আমার মুখে দিল। আমি বললাম তুমি নাও আমাকে দিলে হবে তোমার জন্য এনেছি।
মা আনলে যখন দুটো আনতে পারতে তবে আর ভাত খাওয়া লাগত না বসে গল্প করতে পারতাম।
আমি না রাতে কয়টা ভাত না খেলে ভালো লাগে নাকি। তুমি বাকিটা খাও আমাকে ভাত দিও। কতদিন পড়ে এলাম এই ঘরে।
মা আজকে থেকে তুমি এই ঘরে ঘুমাবে অনেক বড় খাট তোমাদের দুইভাইকে নিয়ে আমরা ঘুমাতাম তো কোন অসবিধা হত না।
আমি তখন তো একটা ঘর ছিল মাত্র পড়ে বাবা আমার পরীক্ষার বছর খানেক আগে দুটো ঘর করল তাইনা, তার আগে তো তোমাদের খুব অসবিধা হত। আমরা রাতে খুব ডিস্টার্ব করতাম কি।
মা না না তুমি তো ভালো ছেলে যত সমস্যা করত আমার ঐ পাজিটা। একদম ঠিক মতন ঘুমাতো না, তোমার বাবার পাশে আমাকে ঘুমাতেই দিত না। আলাদা করে দিত সব সময়। আর ছোট টা সব সময় পাজি হয়।
আমি জানিনা তবে সেই পাজিটা সব সময় মা বাবার ভালবাসা পেল আর আমি ত্যাজ্য হয়ে রইলাম। এক প্লেট বিরিয়ানী খেতে চেয়েছিলাম বলে কত কষ্ট আমাকে পেতে হলো। কত অপবাদ কত ঘৃণা। বাবার খুনী হয়ে গেলাম আমি, কিন্তু আমি কি করেছি মা একবার আমাকে বলবে কেন এত অপবাদ দিলে আমাকে।
মা শোন তোমার বাবা ওইদিন যেতে চাইছিল না কিন্তু তোমার জন্য গিয়েছিল আর না গেলে তাকে মরতে হত না। এই জিনিসটা আমি কখনো ভুলতে পারিনি। যদিও এখন বুঝেছি আমাদের সাথে না গিয়ে অফিস গেলেও এমন হতে পাড়ত ওর অইদিন ওই সময় লেখা ছিল এই কথাটা বুঝতে আমার এতদিন লেগে গেল, এর আরেক টা কারন আমার বাবা সেও বার বার বলেছে যেতে চায়নি কেন নিয়ে গেলি। সব তোর ছেলের জন্য ঐটাই অপয়া বুঝলি। এইভাবেই আমার মনে তোমার প্রতি একটা ঘৃণা জন্মেছিল। বাবা আমি অনেক বড় ভুল করেছি পারলে মাকে ক্ষমা করে দিও।