কাকলির শয়তানের পুজো - অধ্যায় ৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-49749-post-4959866.html#pid4959866

🕰️ Posted on September 20, 2022 by ✍️ Momscuck (Profile)

🏷️ Tags:
📖 592 words / 3 min read

Parent
কিছুক্ষন পরে কাকলি: এটা কি করলে তুমি? আজ সব সীমা পাড় করে দিয়েছো। ছি তোমার সামনে বসে থাকতেও আমার ঘৃণা হচ্ছে। ততক্ষনে ধনঞ্জয় উঠে বসেছে সোফাতে। চুপ করেই ছিল। কাকলি বলে চললো, " আমার প্রতি তোমার কোনো ভালোবাসা, সম্মান বা গুরুত্ব নাই থাক নিজের ছেলেটার প্রতি তো একটু কর্তব্য থাকবে। বাবুর জন্য একটা স্যার কে জোগাড় করেছিলাম। এই স্যারকে পাওয়াই মুশকিল তুমি তাঁকে এভাবে অপমান করলে। ছি। " ধনঞ্জয় চুপ করে বসে ছিল। কাকলি তখন ও রাগে ফুঁসছে। এমন সময় কাকলির ছেলে রোহন এসে মাকে বললো " স্যার টাকে আমার পছন্দ নয়।এসেই কত প্রশ্ন করল। ভালোই করেছে বাবা। স্যার কে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে। " কাকলির রাগের আগুনে যেন ঘি পড়লো। দিগ্বিদিকজ্ঞানশুন্য হয়ে দিলো মার রোহানকে। চর, থাপ্পড়, কিল লাথি পড়লো অঝোরে রোহানের উপর। মার খেয়ে রোহান মাটিতে পড়ে কাঁদতে লাগলো। কাকলি নিজের শোবার ঘরে গিয়ে দরজায় ছিটকিনি তুলে দিল। দিন দুয়েক পরে সাগরের মোবাইলে কাকলির নম্বর থেকে শুধু একটা মেসেজ এলো দুঃখিত বলে। সেদিনের ঘটনার পর পেরিয়ে গেছে পাঁচটা মাস। সাগর আর কাকলি দুজনেই নিজের জীবনে একই ভাবে চলতে থেকেছে। ঈদের সময় এসেছে সাগর সেলিম চাচাকে জোর করে নিয়ে গেছে বড় একটা শপিং মলে। সেলিম চাচা কোনো দিন এমনি কোনো জায়গায় আসে নি। সেলিম চাচা ইতস্তত করছে কিন্তু সাগর তাকে সব বুঝিয়ে দিচ্ছে। কিছু কেনাকাটা করে সাগর সেলিম চাচাকে নিয়ে গেল খাওয়ার জায়গায়। খাবার অর্ডার করে বসে আছে ওরা ঠিক এমন সময় সাগরের নজর গেল সামনের একটা দোকানের দিকে। কাকলি। কাকলি ও তাকে দেখতে পেয়েছে। আর দেখতে পেয়েই তার দিকেই তাকিয়ে আছে। সাগর সেলিম চাচাকে বসতে বলে ধীরে ধীরে উঠে সেদিক গেল। কাকলি যেন বুঝতে পারলো ও নার্ভাস ফিল করছে। কাছে গিয়ে সাগর হালকা হাসলো। সাগর: ভালো আছেন? কাকলি কি বলবে না বুঝে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলো। সাগর আবার বললো, চিনতে পারছেন না? কাকলি: চিনতে পেরেছি, কিন্তু আসলে ইয়ে মানে... সাগর: ভালো আছেন তো? কাকলি: হ্যাঁ, আপনি? ইতিমধ্যে খাওয়ার দিয়ে যাওয়ায় সেলিম চাচা অপ্রস্তুত হয়ে যায়। উঠে চলে যায় সাগরের দিকে। সেলিম চাচাকে দেখে সাগর পরিচয় করিয়ে দেয় । চাচা ইনি হলেন আমার এক ছাত্রের মা। আর ম্যাডাম ইনি হলেন আমার সেলিম চাচা। উনার কাছেই আমি থাকি, উনি আমার অভিভাবক। ঠিক এই মুহূর্তে কাকলির অদ্ভুত একটা ভালো লাগলো। সেদিনের সেই ঘটনার পরও এত ভালোভাবে কেউ ব্যবহার করতে পারে? শুধু তাকেই নয়। সেলিম চাচাকেও কি সুন্দর ভাবে পরিচয় করিয়ে দিলো। কাকলি যেন ফিরে গেল তার কলেজের বয়সে। তখন যদি এই লোকটার মতো কেউ তার জীবনে আসতো। যদি এভাবে কেউ তাকে সম্মান করত। তার মনে পড়ে গেল সেই তাকে ধনঞ্জয়ের দেখতে আসার দিন। বিধবা মা তার বিয়ে দিয়ে দায় খালাস হতে চেয়েছিল। ধনঞ্জয়ের বাবা মা সেদিনেই পণের কথা বললো। ধনঞ্জয় তাকে দেখার বদলে পনের কথাতেই বেশি আগ্রহ মনে হলো। আরো কিছু ভাবতে যাচ্ছিল হুশ ফিরল সাগরের কথায়। সাগর: আসুন না আমাদের সাথে বসবেন। কাকলি: না মানে আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। সাগর আর সেলিম চাচা একে অপরের দিকে তাকালো। কাকলি বুঝলো এর মাঝে সে কিছু উল্টোপাল্টা বলে ফেলেছে। একবার সাগরের দিকে তাকিয়ে কাকলি চলে গেল, যেন পালিয়ে গেল। কাকলি মল থেকে বেরিয়ে ট্যাক্সি নিয়ে তাতে চেপে বসলো। তার অদ্ভুত ভাবে ভালো লেগেছে এই সাগর নামের মানুষটাকে। তার সাথে পরিচয় আর কয়েকটা মাত্র অতিসামন্য কথা। কিন্তু তাতেই কাকলি যেন অনেক সুখ পেয়েছে। কাকলি কি চাইছে সে জানে না। কিন্তু সে এই টুকু বুঝেছে সাগর নামের লোকটা তার জীবনের একটা অঙ্গ। সেদিন অনেক রাতে কাকলি আবার মেসেজ পাঠালো সাগরকে। কাকলি: একবার দেখা হতে পারে? আগামী কাল। সাগর এই মেসেজটা পেয়ে অবাক হলো। রিপ্লাই দিলো সাগর: হ্যাঁ নিশ্চই। তবে আপনার বাড়িতে নয়। কাকলি: বেশ, তবে কোথায় যাবো বলুন? সাগর: কোনো রেস্টুরেন্টে আসুন। কাকলি: বেশ তবে ওই শপিং মলের ওখানেই একটা রেস্টুরেন্ট আছে। বিনায়ক ইন। ওখানেই আসুন। সাগর: বিকালের 5 টা নাগাদ। কাকলি: না না। সকাল 10 টা 11টা।
Parent