কাকলির শয়তানের পুজো - অধ্যায় ৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-49749-post-4964930.html#pid4964930

🕰️ Posted on September 25, 2022 by ✍️ Momscuck (Profile)

🏷️ Tags:
📖 758 words / 3 min read

Parent
সাগর সঙ্গে সঙ্গেই কিছু করে নি। কিছুটা সময় নিয়েছিল। এই সময়ে খোঁজ নিতে শুরু করেছিল ধনঞ্জয়, কাকলি, ওদের ছেলে ওদের পরিবার সম্পর্কে। এক একটা খোঁজ খুলে দিয়েছে এক একটা রাস্তা। আবার সাবধান করেছে কোনো কোনো খোঁজ। এই দুর্ণামের পর সাগরের স্টুডেন্ট হটাৎ কমে যায়। কিন্তু সাগর অন্য কিছু ভেবে নিয়েছিল। সাগর একদিন সেলিম চাচাকে তার দোকান সাগরকে বিক্রি করে দিতে বলে। সেলিম চাচা বিক্রি করে নি। কিন্তু সাগরকে দান করে দেয় দোকান। সাগরের কাছে যে টাকা ছিল সেটা দিয়ে ঝাঁ চকচকে একটা হোটেল বানালো সাগর। বেশি বড় নয়। কিন্তু দেখতে খাস। নাম দিলো কল্পতরু রেস্টুরেন্ট এন্ড বার।  ভাগ্যের জোরে শুরুর থেকেই ভালোই চলতে থাকলো ব্যবসা।  এদিকে কাকলি এখন একাই থাকে, মাঝে মাঝে রাস্তায় এসে দাঁড়ায় ছেলের সাথে দেখা করবে বলে কিন্তু ধনঞ্জয় ছেলের সাথে দেখা করতে দেয় না। প্রতিবার অপমান করে। মাত্র হাজার তিনেক টাকা দিয়ে কাকলিকে নিজের রাস্তা দেখে নিতে বলেছে। যদিও ডিভোর্স দেয় নি। কাকলি একবার ভেবেছিল হয়তো ধনঞ্জয় তাকে ভালোবাসে। কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছিল ভালোবাসা নয়। টাকার ভাগ দিতে হবে। ধনঞ্জয়  সেটা দিতে চাই না।ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেয়।  কাকলি একটা রান্নার কাজ পাই। বুড়ো বুড়ির বাড়িতে।  তাতেই ওর হয়ে যায়। রান্নার হাত তার অপূর্ব। বুড়ো বুড়িকে দেখে ওর কষ্ট হয়। এত বয়সেও এত প্রেম। বুড়ো বুড়ির মেয়ে বিদেশে থাকে। এভাবেই চলছিল। সাগর এত কিছু করার পরও বারবার ওর মনে কোথাও যেন একটা খটকা লাগছিলো। অর্জুনের যেমন যুদ্ধের আগে অন্তর্দ্বন্দ হয়েছিল। সাগরও সেটাই উপলব্ধি করছিল। কিন্তু এরপর ঘটলো আরো একটা ছোট ঘটনা। কাকলির ছেলে রোহান ভালো ছেলে নয়। কূট বুদ্ধিতে ভরা। তারউপর সাগর খোঁজ পেলো রোহান নাকি গাঁজা মদ এসব আজকাল খাচ্ছে। একদিন সাগর দেখতে পাই তারই হোটেলে বন্ধুদের সাথে মদ খাচ্ছে রোহান। ক্লাস এইটে পরে ও। সাগরের কোনো রাগ ছিলোনা রোহানের উপর সাগর ওদের বারণ করতে যায়। কিন্তু রোহানের সাগরকে ওর 'মায়ের ভাতার' বলে। টাকা দিচ্ছে খাচ্ছে বলে কিছু টাকা ছুড়ে দেয় সাগরের দিকে। সাগরের আর সময় লাগে না।  কাকলির ছোট্ট এককামরার ঘরে ভাড়া থাকে। বাথরুম একটু সাইডে। সামনে সিমেন্ট দিয়ে বানানো একটা দেয়াল। একটু ফাঁকা মাটি আছে সামনে তাতে কটা গাঁদা গাছ ছিল। সেগুলো এখন শুকিয়ে গেছে। সময়টা মার্চ মাসের শুরুর দিকে। সেদিন সকাল থেকেই কাকলির বড্ড অস্থির লাগছে। আজ অনেক বেলা অবধি বিছানায় পরে ছিল ও। তারপর এক সময় উঠে একটু গরম চা খেয়ে রান্নার কাজে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে তালা দিচ্ছে ঘরে এমন সময় "ভিক্ষা দে মা" বলে এক সাধু বাবা ডাকলো। সাধুবাবার বয়স অনেক। দাঁড়ি আর চুল সাদা, গায়ে একটা লালচে আলখাল্লা। তার সাথে কয়েকটা মালা- রুদ্রাক্ষ আর কি সব দিয়ে বানানো। দেখেই ভয়ে ভক্তি আসে। কাকলি প্রণাম করে আবার ঘরে ঢুকে একথালা চাল আর কটা আলু এনে দেয় সাধুবাবার কাছে। ষোলআনা দিয়ে প্রণাম করে। সাধুবাবা এবার গম্ভীর গলায় জিজ্ঞাস করে: কিসের দুঃখ তোর? কেন মন এত অস্থির।  কাকলি দু এক কথায় উত্তর দেয় , নিজের অবস্থা সম্পর্কে বলে। সব মনোযোগ দিয়ে শুনে সাধুবাবা চোখ বন্ধ করে কি যেন মন্ত্র আউড়ায়। তারপর বলে সাধুবাবা: তোর জীবনে আরও বড় বিপদ আসছে মা। তবে তোর কোনো ক্ষতি হবে না। হবে তোর ভালোবাসার লোকদের।    মুহূর্তের মধ্যে কাকলির সামনে একবার ভেসে ওঠে সাগরের মুখটা। কাকলি যেন এমন টা হোক চাইছিল না। কেন সাগরকেই দেখলো সে।  কাকলি: না বাবাঃ। একি বলছেন আপনি। আমার জন্য তার কেন ক্ষতি হবে বাবা? আপনি কোন উপায় বলুন ঠাকুর। ওকে ভালোরাখুক ঠাকুর।  সাধুবাবা: যা হবার তা তো হবেই রে মা। তবে পারলে তাকে কাছ ছাড়া করিস না। ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখতে শুধু তুই পারিস।  কাকলি: সেতো আমার কেউ নয় বাবা...  কথাটা বলেই কাকলি চুপ করে যাই। সাধুবাবা হেসে বলে, "ও বুঝেছি সে তোর স্বামী নয়। যা হবার তাতো হবেই তবে একবার শেষ বারের মতো দেখা করে আই। যদি পারিস তার সোহাগের ভাগী হতে। " ঘন্টাতিনেক পর।  কাকলি ভাবতে থাকে কোথায় খুঁজবে সাগরকে। সেতো কিছুই জানে না লোকটার সম্পর্কে। নামটার পর কি পদবি সেটাও তো জানে না। হটাৎ তার মনে পড়ে যায় না সে জানে। আদালতে শুনেছিল। সাগর চ্যাটার্জী। আরো ভেবে মনে পড়ে পুলিশের কাছে পাওয়া যেতে পারে। থানায় ছোটে কাকলি। সেখান থেকে অনেক কাকুতি মিনতি করে শেষ অবধি একটা কাগজে জবানবন্দি দিয়ে সাগরের ঠিকানা খুঁজে বের করে। মুহূর্তের অপেক্ষা না করে একটা অটো ধরে ছুটে যাই সাগরের ঠিকানায়।  সাধুবাবার সাজ খুলতে খুলতে আনারুল এর পর কি করতে হবে সেই নিয়ে সাগরের কথা শুনতে থাকে। এর মধ্যে থানার থেকে কনস্টেবল রাজের ফোন পাই। আনারুলকে দ্রুত সরিয়ে দেয়। একটা বই নিয়ে দরজার দিকে পিঠ করে বসে সাগর। সাগরের দরজার পাশে অটো থামলো দেখে আনারুল মুচকি হাসে। তারপর হোটেলের কাজে চলে যায়।  মুহূর্ত খানেক দাঁড়িয়ে নেই কাকলি উস্কোখুস্ক চুল। পেটে ও কিছু পরে নি। যদিও সেদিকে খেয়াল নেই তাঁর।  বেলা তখন প্রায় দুটো। দূরে কোথাও একটা অলস মাইকে গজল বাজছে। বড্ড করুন সে সুর-- " দিল ইয়ে নাদান তুঝে হুয়া কিয়া হ্যা, তুঝে হুয়া কিয়া হ্যা,  আখির ইশ দরদ কি দাবয়া কিয়া হ্যা"
Parent