করুনাময়ী মা। - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-55709-post-5265879.html#pid5265879

🕰️ Posted on June 11, 2023 by ✍️ mabonerswami312 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 902 words / 4 min read

Parent
আমরা গ্রামে থাকি, আমি শহরে গেলেও আমার মা কোনদিন শহরে যায় নাই, গ্রাম্য মহিলা। আর্থিক অবস্থা আমাদের তেমন ভালো নয়, তবে বাবার যা জমি আছে তাতে আমাদের চলতেও অসবিধা হয় না। আমার বয়স এই ২৮ বছর। অবিবাহিত পুরুষ। আমার নাম রমেন সেন। আমার বাবার নাম বিপিন সেন। বাবার বয়স এই ৫৫ বছর। মায়ের নাম আরতি সেন বয়স ৪৮ । একটা ছোট বোন ছোট বলা ভুল হবে এক মেয়ের মা বিবাহিত বয়স এই ২৬ বছর। প্রেম করে বিয়ে করেছে ওরা প্রায় সমবয়সী। বোনের বরের নাম তারক কর, বয়স ২৭ বছর। বোনের নাম পায়েল সেন।এ ছাড়া আছে এক পিসি ও এক কাকা সবাই বিবাহিত অন্য বাড়িতে থাকে। আমাদের আদি বাড়িতে থাকে কাকা, আমরা নতুন বাড়ি করে আছি একটু দুরেই কাকার বাড়ি থেকে ১০ মিনিটের পথ। পিসির বিয়ে হয়েছে আমাদের গ্রামেই তবে ২০ মিনিটের পথ। আর বোন সেও একই গ্রামে তবে মিনিট ৩০ লাগে যেতে ওর বাড়ি। বোনের বরেররা ৬ ভাইবোন।বোনের বরের সবার বড় দিদি তার বয়স ৪০ হবে। পাশের গ্রামে বিয়ে হয়েছে। ওনার দুই মেয়ে।  ওরা দুইভাই ৪ বোন। বড় ভাই মুম্বাই থাকে তারক বাড়ি থাকে বাকী বোনেদের অনেক দূরে বিয়ে হয়েছে।  বোনের বাড়ি যাওয়া হলেও ওর দিদির বাড়ি এখনো যাইনি। বাড়িতে কাজবাজ যাওয়ার সময় হয় না। একের পর এক  চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছি ভালো কোন খবর আসছে না। বয়স বেড়ে যাচ্ছে বাবা মা বিরক্ত কিছুই করতে পারছিনা। দুটো পরীক্ষা দিয়েছি কি হয় দেখার একটায় পাশ করেছি। ভাইভা ও দিয়েছি এখনো ফাইনাল রেজাল্ট বের হয়নি হয়ত বের হবে দু একদিনে যা আসা ভরসা ওইটা নিয়ে। জামাইষষ্ঠী আমার বোন ভগ্নীপতি আমাদের বাড়ি এল। তারক এল আমার কাছে দাদা চাকরির কি খবর। আমি- না ভাই এখন সুরাহা কিছুই হয়নি একটা ভাইভা দিয়েছি আজ কালের মধ্যে রেজাল্ট বের হবে। তারক- দাদা আমার ভাগ্নী সীমাও চাকরির পরীক্ষা দিয়েছে ওর ও ভাইভা হয়ে গেছে ওর রেজাল্ট বের হবে। বোন ভগ্নীপতি এসেছে বাজারও ভালো হয়েছে সবাই মিলে গল্প গুজব করে দিন পার করে দিলাম। আমার একটা ভাগ্নে এই বয়স ৩ বছর, ভালই কথা বলতে পারে। মা বাবা দাদু ভাই নিয়ে ব্যস্ত। সবাই মিলে খেতে বসলাম। তারক- মা এবার দাদার বিয়ে দিন আর কত কষ্ট করবেন আপনি আর বাবা আপনাকেও বলছি দাদার একটা বিয়েদিন। বাবা- কিছুই কামাই করে না কে দেবে ওকে মেয়ে আর এনে খাওয়াবে কি, আমার বয়স হয়েছে চাশবাস করে আর চলে, তবে এখন আমার আর ওর মায়ের সাথে কাজ করে বলে রক্ষা। দেখেছ তোমার শাশুড়ি কেমন কষ্ট হয়ে যায় তবুও এত ভারী শরীর নিয়ে সব করে, আমাকে ছেলেকে কিছু বললেই রেগে যায় কি করবে বল আমি আজ আছি কাল নেই বয়স তো কম হোল না ৬০ হতে চলছে আর আমি পারি, ওকে তো কিছু করতে হবে। মা- হবে হবে আমার ছেলেকে নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না চাকরি ঠিক পাবে তুমি অত ভেবনা। এবারেই পাবে আমার সে ভরসা আছে। সব সময় ছেলেটার পেছনে লেগে থাকে এতে ওর মন ভালো থাকে তোমরা বল। আমার ছেলের মতন সুপুরুষ কয়টা পাওয়া যায়, আমার সোনার টুকরা ছেলে মেয়ের অভাব হবে না। আর যদি তোমাদের জানা শোনা কেউ থাকে আমাকে বলবে বিয়ে তো দিতে হবে। জানাসোনা ভালো মেয়ে থাকলে অবশ্যই জানাবে খোঁজ নেবে। পায়েল- (আমার বোন) এই দাদা তোর কেউ আছে নাকি এখন বলতে পারিস। আমি- ধুর কে থাকবে কেউ নেই যত সব বাজে কথা। মা- ওর থাকলে আমি জানতাম নারে কেউ নেই, তুই আর তোর দাদা আকাশ পাতাল ফারাক বুঝলি। দেখিস না কোন মেয়ের সাথে কথা বলে না ওর তো ভালো সম্পর্ক কাকিমাদের সাথে, মাসী পিসির সাথে বসে অনেক গল্প করে কিন্তু কোন মেয়ের সাথে কথা বলে না। কেমন ছেলে আমার। বাবা- না তোরা দেখ ভালো মেয়ে পেলে বিয়ে দিয়ে দেব। বাবা বেঁচে থাকতে ছেলের বিয়ে দিতে হয়, তাই একটা বিয়ে তো দিয়ে যাই। আমি- বাবা চুপ করবে কি হবে তোমার আর ৩০ বছর তুমি বাঁচবে, নাতি পুতি মানুষ করতে হবেনা। পায়েল- বাবা দাদা কি বলল শুনেছ নাতি পুতি, বিয়ে করল না তো নাতি পুতি কোথা থেকে আসবে। আমি- কেন তোর ছেলে বাবার নাতি না, মেয়ে কি খেল খেয়াল নেই নাতির জন্য সব রেডি। পায়েল তা ঠিক বলেছিস দাদা বাবা এখন আমার আর খোঁজ নেয় না ফোন করেই দাদুভাই দাদুভাই করে। যাক নানান কথা বলে খাওয়া শেষ করে যে যার ঘরে ঘুমাতে গেলাম।ভাগ্নে বায়না ধরেছে দিদার কাছে ঘুমাবে তাই মা ভাগ্নেকে ওনাদের ঘরে ঘুমাতে নিয়ে গেল। আমি- বাবা গেল তোমার বউ নিয়ে গেল তোমার নাতি। বাবা- ভালই হয়েছে আমি না থাকলে তোর মাকে দেখার লোক তো আছে আর চিন্তা নেই। আমি- যাও আজ তোমাদের দুইজনের একবউ বলে ভাগ্নেকে কোল থেকে নামিয়ে দিলাম। পায়েল- মা দাদা দেখি আজ কথা বলল এমন কথা কোনদিন শুনিনি দাদার মুখ থেকে বলে খিল খিল করে হেঁসে দিল। মা- তোর দাদা এমনিতে কুচুটে আছে সে আমি জানি, তুই হয়ত জানিস না মাঝে মাঝে তোর কাকিমা বলে এমন এমন কথা বলে হাঁসতে হাঁসতে পেট ব্যাথা হয়ে যায়। চল এবার ঘুমাতে যাই অনেক ধকল গেছে আজ কম কাজ তুই এসে আমাকে একটুও সাহায্য করলি না। পায়েল- কেন তোমার ছেলে তো সব করে দিয়েছে আমি দেখেছি। বৌদি আসলে তার অনেক কষ্ট কম হবে দাদা তো সব পারে। মা- তা যা বলেছিস আমার বউমার কষ্ট হবেনা। নারে আর ভালো লাগছে না চল যাই বলে ভাগ্নেকে নিয়ে ঘরে ঢুকে গেল।  আমি আমার ঘরে এলাম আর তারক আর পায়েল পায়েলের ঘরে ঘুমাতে গেল।ঘুম আসছিল না। মোবাইল দেখছিলাম বসে বসে। কানে ব্লুটুথ লাগিয়ে। বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে গেছে মনে হয়। জল তেষ্টা পেয়েছে তাই বোতলে জল না থাকায় আমি আস্তে করে বের হলাম। গরমও পড়েছে তাই এত পিপাসা লেগেছে। বাইরের পোস্টের আলো ভালই আছে। জানালা সব খোলা কারন এখানে চোরের বালাই নেই। জগ থেকে জল নিয়ে খেলাম। হঠাত খেয়াল করলাম বোনের ঘর থেকে কেমন যেন একটা শব্দ আসছে, কান পেতে শুনলাম। তেমন বোঝা যাচ্ছেনা ওরা কি এখনো ঘুমায়নি।
Parent