করুনাময়ী মা। - অধ্যায় ১১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-55709-post-5271796.html#pid5271796

🕰️ Posted on June 17, 2023 by ✍️ mabonerswami312 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 859 words / 4 min read

Parent
এমন সময় তারক বাজার নিয়ে হাজির ঘরে ঢুকে বলল দেখ মাছ পাইনি তাই মাংস নিয়ে এলাম। এই নাও ঠান্ডা দাও ওদের মানে আমাদের সবাইকে বলে একটা কোক দিল। পায়েল- গ্লাস নিয়ে এসে সবাইকে কোক দিল। সীমা- এখন আর ভাগ্নিকে একটা ফোন করনা, আমি না করলে। তারক- কি করব বল অফিস বাড়ি সময় কই। সীমা- বিয়ের আগে তো দিনে তিন চারবার ফোন করতে পায়েলের খোঁজ নিতে এখন আর সময় পাওনা তাই না। তারক- এক কাজ কর দাদার নম্বর নিয়ে নে দুজনেই চাকরির জন্য ভাগছিস কাজে আসবে আর দাদা আপনিও ওর নাম্বার নিয়ে নিন।   আচ্ছা- বল সীমা তোমার নাম্বার বল। সীমা- আপনারটা বলেন আমি মিস কোল দিচ্ছি। আমি- বলতে সীমা আমাকে মিস কল দিল আমি সেভ করে নিলাম। পায়েল- এই চল আমার সাথে মাংস রান্না করতে সময় লাগবে তুমি একটু হেল্প করে দাও। সীমা- এই আমি যাচ্ছি। তারক- না দরকার নেই আমি যাচ্ছি তুই বস দাদার সাথে গল্প কর। চল বাবা তোর মায়ের কাজ করে দেই। আমি- দেখলে তোমার মামা কেমন বউয়ের গোলাম না করতে পারল না, তবে এটা ঠিক সবাইকে মিলেমিশে কাজ করা উচিৎ, এরকম একটু সাহায্য করলে বউ কত খুশী হয় আর করাও উচিৎ, আমি মাকে তো সব করে দেই, বউ আসলে পারবো কিনা জানিনা। সীমা- যারা করার তাঁরা সব সময়ই করে আর যারা ফাঁকি দেওয়ার তাঁরা সব সময় ফাঁকি দেয় মামা। আমি- মামা ডাকটা কেমন যেন লাগল, কি ব্যপার বলত। সীমা- কেন এই একটু বেঁধে গেছিল আর কিছু না। আমার জন্য পাত্র দেখতে বলছে তো আপনি পাত্রী খুজবেন না। আমি- বেকার কে কে মেয়ে দেবে বল, তুমি কি কোন বেকারকে বিয়ে করবে, একটা ছেলে কিন্তু একটা বেকার মেয়েকে বিয়ে করবে সমাজ কেমন অসম চিন্তা ভাবনায় চলে, আর এই জন্য বিয়ে নিয়ে ভাবিনা লাগবেনা আমার বিয়ে। সীমা- আপনি রেগে গেলেন, তবে আপনি রাগলে বেশ লাগে আপনাকে দেখতে, নাকের মাথায় ঘাম চলে এসেছে, শুনেছি যাদের নাক ঘামে তাদের নাকি বউ ভাগ্য ভালো হয়, তারমানে আপনার বউ ভাগ্য ভালো হবে। আমি- আর বউ সে কোথায় আছে কে জানে তুমি জানো নাকি তিনি কোথায় আছে, ঠিকানা দেবে আমাকে। সীমা- খুজতে হবে এমনি কি ধরা দেয় সে কি সস্তা নাকি, না কাদলে মাও দুধ দেয়না। আমি- আমি কাদলে কি তুমি দুধ দেবে। সীমা- আপনি না খুব অসভ্য। আমি- এইত রেগে গেলে কেন তুমি আমাকে এক গ্লাস দুধ খাওয়াতে পারবেনা, এত কিপটে তুমি। সীমা- আপনি না এত হেয়ালী করতে পারেন, আমি ভাবি নাই। আর দুষ্টও বটে যতই কথা ঘোরান না কেন। আমি- আরে না না তোমাকে আমি বিব্রত করতে চাইনি, কথার কথা বলে ফেলেছি কিছু মনে করনা। সীমা- ঠিক আছে আর বলতে হবেনা, আমি দেখতে ভালনা বলেই সবাই আমার সাথে এমন ঠাট্টা করে। আমি- কে বলল তুমি দেখতে খারাপ, নিজেকে কি আয়নায় দেখনা, তোমার মতন সুন্দরী মেয়ে কয়টা দেখা যায়, তুমি যথেষ্ট সুন্দরী তোমার রুপের তুলনা হয় না, তুমি সত্যি অপরুপা সুন্দরী, তোমার তুলনা একমাত্র তুমি। সীমা- যা কি সব বলে আপনি বাড়িয়ে বলছেন, যতসব বাজে কথা, অন্য কিছু বলেন। কোথায় পায়েল আর কোথায় আমি। আমি- পায়েল আমার বোন বলে বলছিনা, ও সত্যি সুন্দরী তবে ফর্সা বলে কিন্তু তুমি আমার মায়ের মতন, শারীরিক গঠন তোমার পায়েলের থেকে অনেক ভালো, মুখশ্রী কি শুধু ধব ধবে ফর্সা হলে হয়, কিছু মুখ বিধাতা নিজের হাতে তৈরি করে যেটা তুমি, আমি বললাম বলে বলছিনা একবার নিজেকে ভালো করে আয়নায় দেখ তারপর তোমার আমার কথা মনে পরবে। আমি ঠিক বলেছি না ভুল, যদি ঠিক মনে হয় আমাকে ফোন করবে তো। সীমা- জানিনা আপনি কথা বলতে পারেন। এত কথা কোথায় শিখলেন। আমি- আমার মা, মা আমাকে শিখায় বুঝলে, মা আমার সব চাইতে বড় বান্ধবী। সীমা- মাতৃ ভক্ত ছেলে আপনি, অবশ্য আমিও মায়ের একমাত্র বন্ধু, থুরি বান্ধবী আমিও মায়ের সাথে সব শেয়ার করি। আমি- তা তোমার ছেলে বন্ধু আছে নাকি, দেখতে কেমন কি করে সে। সীমা- মামা কি যে বলেন এখনো তেমন কেউ আসে নাই, তবে আমার টিউশন টিচার কেমন যেন করত কিন্তু বলতে সাহস পায় নাই, মানে আমি পাত্তা দেই নাই। আর কলেজের কথা বাদ দিন ক্লাস মেটের সাথে কেউ প্রেম করে, পায়েলের কপাল ভালো, ওরা দুজনে ভালো তাই হয়ে গেছে, আমার মামা তো কম হান্ডসাম না আর জব করে। আমার মামী পায়েল ও ভালো দুজনের মনের মিল আছে তাই ওদের সমস্যা নেই। আমি- হুম আমি সাথ দিয়েছিলাম বলে হয়েছে বাবা মা একদম রাজি ছিল না। সীমা- আমি জানি কোন দাদা এসবে সাথ দেয় না কিন্তু আপনি অন্যরকম বলেই ওদের জীবন সার্থক। সে দিক থেকে আপনার প্রতি আমার একটা ভালো ধরনা আছে। আমি- সেটাই রেখ, আমি কিন্তু খারাপ না কোন ক্লেম নেই বুঝলে। পায়েল ফিরে এল কিরে কি গল্প হচ্ছে আমার দাদার সাথে, আর দাদা তুই ওর সাথে এতখন গল্প করলি ভাবতেই পারি নাই। সীমা- কেন কি হয়েছে আমি কি খারাপ মেয়ে নাকি তুই এমন করে বললি। পায়েল- আরে না দাদা মেয়েদের সাথে কথাই বলে না, আগে তো তোর সাথেও দেখা হয়েছে কথা বলেছে তাই বললাম। ওর গল্প মা কাকিমাদের সাথে, মাঝে মাঝে, মা কাকিমাদের সাথে গল্প করে আর দু একটা পানও খায়। সীমা- তুই বাজে বলিস তোর দাদা আসলেই ভালো তাইনা মাআআআমা। আমি- দেখলি তোর ভাগ্নী কাম বান্ধবী আমাকে কেমন মামা ডাকে খুব বদ বুঝলি। বাদ দে ভালো মেয়ে তোদের রান্না কতদূর হল আমাকে যেতে হবেনা মা একা একা বসে আছে। পায়েল- বুঝলি সীমা মায়ের বাধ্য ছেলে মায়ের কষ্ট একদম সহ্য করতে পারেনা, বাবা ওকে যা বলে কিছুই বলেনা কিন্তু মাকে কিছু বললে বাবার রেহাই নেই, আমার যে বৌদি হবে মাকে একটু তোয়াজ করে চললে সে রানী হয়ে থাকবে।
Parent