করুনাময়ী মা। - অধ্যায় ২১

মা- আচ্ছা তুই ভালো মন্দ খাওয়াবি তবে আর কমবে না, তুই যেমন চাস তেমন হবে। আমি- মা রাগ করনিতো আমি বললাম বলে। মা- কেন সোনা তোর কথায় রাগ কেন করব, আপগল ছেলে একটা, আমি তো তোর মা। আমি- হুম আমার লক্ষ্মী মা সোনা মা। মা- এখন আনলে এক সাইজ বড় আনবি তবে সব সময় পড়তে পারব, তবে এত টাকা তুই কোথায় পাবি। আমি- মা টিউশনি করে ভালই জমিয়েছি তোমার চিন্তা করতে হবেনা। তুমি শুধু বল কি লাগবে। মা- তোর যা ভালো লাগে আনিস আমি পড়ব। আমি- মা আমার ইচ্ছে তুমি একটা লেজ্ঞিন্স আর কুর্তি পরবে পায়েলের মতন। আমার কল লেটার আসলে তুমি আমি কলকাতা যাবো সেদিন আমার সাথে পড়ে যাবে। মা- আমার সখ ছিল কিন্তু তোর বাবা কোনদিন দেয়নি আমাকে। আমি- আমি দেব মা তোমাকে আমি কিনে দেব। আমার মোবাইল আমার পকেটেই ছিল টুং টুং করে একটা মেসেজ ঢুকল। আমি হাতের কাজ শেষ করে মোবাইল বের করে দেখতে দেখি আমার ভাইভার রেজাল্ট, সাকসেস। মায়ের কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম মা সুখবর আছে। মা- কি রে। আমি- শেষ পরীক্ষায় পাশ করেছি। মা- দৌরে গিয়ে বাবাকে বলল শুনেছ তোমার ছেলে পাশ করেছে এবার ওর চাকরি হবে। বাবা- সত্যি ওহ কি আনন্দ। মামা মামী- খুব ভালো খবর দিলি বাবা কই দেখি মেসেজ বলে আমার হাত থেকে মোবাইল নিয়ে মামাকে দেখালাম। মামা খুব ভালো হয়েছে এবার তোকে চাকরি দিতে হবে। মামা বলল দেখলেন দাদা সকালেও অভিযোগ করেছেন এবার বলুন। বাবা- সব কপাল এর জন্য কত বাজে কথা বলেছি ছেলেটাকে, তবে ওর মায়ের একটা ভরসা ছিল ওর মায়ের জন্যই ছেলেটা কিছু করতে পারল। যাক বাবা আমার আর দুশ্চিন্তা নেই এবার মরেও শান্তি পাবো, কিছু না করতে পারলে মাকে খাওয়াবে কি। আমি তো থাকবো না। আমি- বাবা একদম বাজে কথা বলবে না তুমি তোমার কি হয়েছে সব ঠিক হয়ে যাবে। মা- হ্যা একটু হলেই ওরকম কথা বলবে, আমার শুনতে ভালো লাগে তোমরা বল। এই তোমরা বস আমি খেতে দিচ্ছি হয়ে গেছে রান্না। আয় বাবা আমার সাথে সব এনে দিবি ও ঘর থেকে। আমি- চল মা বলে আমি আর মা রান্না ঘরে গেলাম। গিয়ে বললাম মা বিকেলে কিন্তু লেজ্ঞিন্স কুর্তি আনবো কালকে তুমি আমার সাথে যাবে। মা- ও পড়লে কেমন লাগবে আমাকে কোনদিন পরি নাই। তোর বাবা কি বলবে। তুই যা ভালো বুঝিস করিস। আমি- তুমি টাইট ব্রা পরে তারপর পরবে ভালো লাগবে তোমাকে। মা- তবে একটা বড় বাটি ব্রা আনিস কেমন দাম বেশী হবে। আমি- সে নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবেনা বলেছিনা। আর যা লাগে আমি নিয়ে আসবো। কালকে দেখেছিলাম মা ভেবেছি বড় হয়ে যাবে তাই আনি নাই, ইস আনলেই ভালো হত, এগুলতে যেমন সাইড বেড়িয়ে থাকে ওতে ঢেকে থাকবে তাই না মা। মা- তুই কত ভাবিস আমার জন্য, এর এক বিন্দুও ভাবেনা তোর বাবা। আমি- মা আমি তোমাকে রানী করে রাখবো, সব সময় সেজেগুজে থাকবে তুমি। মা- সব মেয়েরাই সাজতে ভালোবাসে, না পেলে সাজে কি করে। সেজেগুজে থাকলে আমাকে এমন লাগত, আরো বেশী সুন্দর থাকতাম আমি। আমি- মা আমি তোমাকে পার্লারে নিয়ে গিয়ে নতুন মডেল করে আনবো। তুমি শুধু আমাকে মন খুলে বলবে আমার এটা চাই মা, আমি সব ব্যবস্থা করব মা। বাবার থেকে যা যা পাওনি সব আমি তোমাকে দেব মা। মা- আমিও চাই তাই তুই দে সোনা তুই না দিলে কে দেবে আমাকে আমি আর কার কাছে যাবো। আমি- মা তোমাকে কারো কাছে যেতে দেব না তুমি শুধু আমার। মা- আমিও চাই সোনা তোর হয়ে থাকতে চাই, বিয়ের পড়ে সে সুখ আমি কোনদিন পাইনি। আমি- মা আমি তোমার কোন দুঃখ রাখবো না মা, আমাকে মুখ ফুটে বলবে এইটা কর, আমি তো সব বুঝি না, দেখ না কালকে বোনের বাড়ি ওইসময় ফোন করেছি না বুঝে। ভুল করলে আমাকে বকবে কিন্তু চেপে থাকবেনা। মা- তাই কর বাবা, আমি চাই সেই সুখ তুমি আমাকে দাও। আমি- দেব মা কেন দেব না, আমি শুধু তোমার বলেছিনা, আমাকে তোমার মতন করে নেবে। মা- আচ্ছা সোনা তুমি কি খেয়ে আড়তে যাবে। আমি- হ্যা মা। মা- তাড়াতাড়ি এস আমরা এক সাথে পুকুরে আগের দিনের মতন স্নান করব। আমি- ওকে মা তুমি যা চাও তাই হবে। কিন্তু মা কেনাকাটা করে ফিরতে দেরী হলে কি করব। মা- না এখন কেনাকাটা করতে হবেনা বিকেলে যেও, আবার পড়ানো আছে তো আজ। আমি- হ্যা ৭ টায় পড়ানো ঠিক আছে তার আগে ফিরে আসবো। মা- হ্যা চল এবার সবাই মিলে খাবো। ওরা বসে আছে পড়ে কথা বলব আমরা, এখন থাক। আমি- চল বলে খাবার নিয়ে গেলাম। মা সবাইকে খেতে দিল। খাওয়া হতে আমি বললাম বাবা আমি তবে যাই আড়তে ওরা এসে গেছে এতক্ষণে। মামা- এই আমরা চলে যাবো, তুই মাকে নিয়ে যাস আমাদের বাড়ি। আমি- আচ্ছা মামা তোমরা যাও আমিও যাচ্ছি বলে বেড়িয়ে পড়লাম। বাজারে গিয়ে সবজি কেনাবেচা করে টাকা পয়সা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম দেড়টা নাগাদ। বাবার হাতে টাকা দিতে বাবা খুব খুশী হল। বাবা- কালকে কি তুমি কলকাতা যাবে চাকরির খবর নিতে।