মায়ের ছেলে, মায়ের জামাই - অধ্যায় ৪৪
এরমধ্যে মায়ের ফোন দেখে ধরলাম আর বললাম মা কি করছ তুমি।
কেয়া মা না আমি কেয়া কি করছ এখন। সব সময় শুধু মা মা বোনের সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করেনা বুঝি।
আমি রান্না করছি দুপুরে খেতে হবেনা।মায়ের ফোন দিয়ে ফোন করলে তো তাই ভাবলাম মা ফোন করেছে।
কেয়া ইস তুমি রান্না করছ শুনে আমার ভালো লাগছে না ওমা দাদা এখন রান্না করছে একা একা, তুমি আমি চল ওখানে যাই দাদা আমরা থাকতে এত কষ্ট করবে তাই হয়। না দাদা হয় তুমি এখানে আসবে না হলে আমরা ওখানে যাবো তোমাকে একা থাকতে দেব না আর। সারাদিন কাজ করবে আবার রান্না করবে সে হবেনা আমরা থাকতে। তোমাকে আমি আর কষ্ট করতে দেব না।
মা কই দে আমাকে দে বলে হাতে নিয়ে বল সোনা কি রান্না করছ এখন। শুনলে বোন কি বলল, দাদার কষ্ট ওর সহ্য হচ্ছেনা। কেয়া ফিরে আস্লেই আমরা এক সাথে থাকবো কেমন।
আমি আচ্ছা ঠিক আছে সে তো না হয় হবে, তবে কেয়ার পরাশুনার কি হবে। আবেগে ভাস্লে হবে মা, ওকে তো পড়াশুনা করাতে হবে নাকি। এখন তো এখানে ভর্তি করানো যাবেনা, ওখান থেকে মাধ্যমিক দিতে হবে। এই কয়দিন আমি না হয় বোনের জন্য পরিশ্রম করলাম।
মা বলল শুনেছিস দাদা কি বলছে, মন দিয়ে পড়াশুনা কর তারপর দাদা তোকে নেবে। পরীক্ষা শেষ হলে আমরা চলে যাবো ওখানে।
কেয়া মোবাইল নিয়ে না হবেনা তুমি একা আর কষ্ট করতে পারবে না। কামাই করবে আবার রান্না করে খাবে। আমি দরকার হলে এসে ক্লাস করব কিন্তু তুমি আর একা থাকতে পারবেনা বুঝলে।
আমি আচ্ছা আমার সোনা বোন তাই হবে তুমি আগে ঘুরে আসো তারপর দেখছি ব্যবস্থা তো একটা করতে হবে।
কেয়া সে হল আজকে আসবে কি সে তো বললে না। মা বলছিল তুমি আসবে।
আমি দেখি কি করা যায় কাজ তো রয়েছে।
কেয়া মা দেখলে দাদা আসবে না তুমি বলনা আসতে আমাদের এখানে। তুমি রাত ৮ টায় আস আবার ১০ শ টায় চলে যাবে কিন্তু আসনা আমার সোনা দাদাভাই।
আমি ওকে আসবো হল তো এবার বল পড়াশুনা হয়েছে তোমার।
কেয়া না এইত বিকেলের হোম ওয়ার্ক করতে বসবো মা ফোন করল বলে তোমার সাথে কথা বলছি।
আমি তবে যাও গিয়ে পড়তে বস মা ভালো সার্টিফিকেট দিলে তবে আমি আসবো।
কেয়া তবে আমি দেখি কি রান্না করছ ভিডিও কল দাও না আমি দিচ্ছি বলে আমাকে ক্যামেরার অন করার রিকোয়েস্ট পাঠালো।
আমি ক্যামেরা অন করতে কেয়াকে দেখতে পেলাম, উফ সেই নতুন গেঞ্জি আর শর্ট পরা।
কেয়া কই কি রান্না করছ দেখাও আমি পড়তে বসব।
আমি দেখালাম কড়াইতে মাছের ঝোল চাপিয়েছি অন্যদিকে ভাত হচ্ছে কি দেখলে দাদা কি রান্না করছে।
কেয়া হুম তোমার রান্না একদিন খাবো আমি, আজকে আমার জন্য মাছ নিয়ে আসবে কিন্তু রাতে খাবো। যদি মাছ আনো তো বলে নিজের দুধে চাপ দিয়ে বলল আমিও তোমাকে খাওয়াবো কিছু একটা।
মা পাশ থেকে বলল এই এবার যা পড়তে যা শুধু বক বক করা তাইনা ছেলেটা রান্না বাদ দিয়ে তোর সাথে কথা বলছে।
কেয়া দেখলে দাদা মা কেমন রাগ করে তোমার সাথে কথা বললে না আমি এবার যাই তোমরা মা ছেলে এবার কথা বল। না বাবা আমি আর তোমাদের মা ছেলের মাজখানে আসবো চললাম আমি এই নাও তোমার মায়ের সাথে কথা বল।
মা মোবাইল তা নিয়ে রান্না করছিল তাঁর সামনে রেখে কিরে কি হল কেয়া এত রেগে গেল কেন রে। দেখতে পাচ্ছ তুমি মোবাইল যেখানে রেখেছি।
আমি হুম দেখতে পাচ্ছি কেয়া চলে গেছে নাকি।
মা হুম রেগে চলে গেছে, ওকে আমরা সময় দিচ্ছিনা তাই, খুব হিংসে করে গো, মেয়েটা কি যে হবে কে জানে আমার ভয় করে, দাদা বলতে অজ্ঞান, কি যাদু করেছ তুমি।
আমি কি যে বল মা আমি কি তোমাকে কোন যাদু করেছি তুমি বল, আর তুমি কি আমাকে যাদু করেছ, আমরা সবাই ভালোবাসি বলেই এমন হচ্ছে মা তুমি চিন্তা করনা আমি ওকে সামলে নেব ভেবনা।
মা আজকে আসবে তুমি ওকে তো বললে এসে না হয় আজকে আরেকটু ঘুরিয়ে নিয়ে এস তবে ঠান্ডা হবে।
আমি ইস না আমি আমার মাকে নিয়ে ঘুরবো ভাবছি, তোমাকে গিয়ে একটু একা কাছেই পেলাম না খুব কষ্ট হয় জানোতো। ওমা সকালে স্নান করেছ নাকি মাথায় শ্যাম্পু দেবে বলেছিলে দিয়েছ।
মা চুল গুলো সামনে টেনে নিয়ে হ্যা দেখ সিল্কি লাগছে না, ফ্রেস হয়ে গেছি এখন ফুরফুরে লাগছে তাই না। তোমার নাইটি পরেছি কেমন লাগছে আমাকে।