মায়ের ফিরে আসা - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-70419-post-6036589.html#pid6036589

🕰️ Posted on September 16, 2025 by ✍️ familymember321 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 954 words / 4 min read

Parent
আমার বাবা হঠাত মারা যায় তখন আমার বয়স মাত্র ১৫ বছর। আমার বোন ওর বয়স ১০ বছর। দাদু নেই শুধু মাত্র ঠাকুমা ছিল। আমার মা তার কথা আর কি বলব বাবা মারা যাওয়ার দুই মাসের মধ্যে আমাদের ছেরে আমার পাশেই ভাড়া থাকত একজন তার সাথে পালিয়ে গেছে। বাবার একটা ঘুমটি দোকান ছিল সেটাই আমি চালাতে লাগলাম। আমার আর পড়াশুনা হল না। কোনমতে যা পারি তাই দিয়ে বোন আর ঠাকুমাকে নিয়ে আমার পথা চলা শুরু। মা যে চলে গেছে আর ফিরে আসেনি আমাদের কাছে। দেখতে দেখতে ৮ বছর পার হয়ে গেছে। আমি নিজে পড়াশুনা না করতে পারলেও বোনেক লেখা পরা করিয়ে এই বছর বোনের বিয়ে ঠিক করলাম। আমার বর্তমান বয়স ২৩ বছর। বোনের বিয়ের জন্য আমার বাবার সেই ঘুমটী টা বিক্রি করে দিলাম। কারন বিয়ে দিতে টাকা তো লাগবে। ঠাকুমা বারন করেছিল কিন্তু আমার যে উপায় ছিল না। একজনের সাথে কথা বললাম সে বলল আমি তোকে কাজ দেবো বাঁচতে পারবি। সেই ভেবেই বোনের জন্য ওইটা বিক্রি করে বোনের বিয়ে ধুমধাম করে দিলাম।  এখন আমি আর ঠাকুমা বাড়িতে। এরপর আমি কাজের খোঁজে গেলাম। এবং কাজ করতে লাগলাম। ঠাকুমা বাড়িতে একা বোনের বিয়ে হয়েছে বেসী দূরে না বোন এসে ঠাকুমাকে দেখে আমি তো কাজের জায়গায়। এর কিছুদিন পরে বোনের ফোন পেয়ে বাড়ি আসলাম ঠাকুমা অসুস্থ হয়ে পড়ল। এবং কয়েকদিনের মধ্যে ঠাকুমা আমাদের ছেরে পরপারে চলে গেলেন। আমি সম্পূর্ণ একা হয়ে গেলাম। এরপর যে কাজে গেলাম আর দুই বছরে বাড়ি ফিরিনি। কারন বাড়ি থেকে যেতে অনেক সময় লাগে তাই ওখানে একটা ঘর ভাড়া নিয়ে থেকে কাজ করতে লাগলাম। এখন বেশ ভালোই কামাই করি। শুধু কথা হয় বোন আর ভগ্নীপতির সাথে। একবার এসে ওদের বাড়িতে দুইদিন ছিলাম। আমার ভগ্নীপতি অনেক ভালো মনের মানুষ যদি বয়স একটু বেশী তবুও বোনকে সুখে রেখেছে। আবার কাজে লেগে পড়লাম বোন এবং ওর বর আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল কিন্তু আমার আর সে ইচ্ছে নেই। কারন আমার মায়ের যা চরিত্র তার পর আর মহিলা আমার বিশ্বাস হয়না তাই কাজে মনোযোগ দিলাম ঘর বন্ধ। ঘর তো না যেন টিনের চালা দেওয়াল দেওয়া মাত্র। একদিন কাজ সেরে এসে বিছান্য শুয়ে মোবাইল দেখছিলাম হঠাত একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসলো ধরলাম। টের পেলাম ওদিকে এক মহিলার গলা। আমি হ্যালো বলতে ওদিক থেকে বলল আমি তোর মা বলছি। এই শুনেই আমি ফোন কেটে দিলাম। আবার ফোন বেজে উঠল রেগে গিয়ে ধরলাম। আবার এই আমি তো মা বলছি। আমি বললাম আমার কোন মা নেই আমার মা ১০ বছর আগে মারা গেছে আপনি আমার মা হবেন কেন ভুল নাম্বারে যোগাযোগ করেছেন আপনি। নাম্বার মিলিয়ে নিন আমাকে আর ফোন করবেন না বলে আবার কেটে দিলাম এবং মোবাইল বন্ধ করে দিলাম।  এরপর খেতে আর ইচ্ছে করল না তাই শুয়ে পড়লাম বিছানায় কিন্তু ঘুম কি আর আসে। আমার মা ফোন করেছে আমার মা এতদিন পরে ছেলের কথা মনে পড়েছে ওনার। না কোন যোগাযোগ করব না ওনার সাথে। যে নিজের সুখের জন্য আমাকে বোনকে ফেলে চলে যেতে পারে সে কিসের মা। উনি আমার মা হতে পারেন না। সেই দিন গুলোর কথা ভাবতে লাগলাম বাবা যখন বেঁচে ছিল মা কত কিছু না করত আমাদের জন্য আর যেই বাবা মারা গেল অমনি সেই মা আমাদের ফেলে রেখে পর পুরুষের সাথে চলে গেল, একবার আমাদের কথা ভাব্ল না। কি করে আমরা বেঁচে থাকবো ওইটুকু বোন আর ঠাকুমাকে নিয়ে আমি সে একবারের জন্য ভাব্ল না চলে গেল আর ফিরে এসে একবার দেখেও গেল না। ঠাকুমা বলত যে ছেলের সাথে গেছে তার বাড়ি দুই ষ্টেশন পরে ওখানে মা আছে। কিন্তু আমি কোনদিন যাইনি বাঃ মাকে খুজিনি আসলে কি খাবো তাই জোগার করতেই দিন পার হয়ে যেত। তখন না বুঝলেও এখন বুঝি মা পালিয়েছে যৌবনের জ্বালায়। তখন মায়ের বয়স কত আর হবে। ৩২/৩৩ তার বেশী হবেনা। আজ থেকে পাক্কা ১০ বছর আগে মা চলে গেছিলো, আমার এখন ২৫ বছর আর মায়ের কত হবে এখন ৪৩/৪৪ বছর  এতদিন পরে হঠাত আমার কথা কেন মায়ের মনে পড়ল। না আর যোগাযোগ করা যাবেনা। এইসব ভেবে ভেবে শুয়ে পড়লাম। পরের দিন সকালে কাজে যাওয়ার আগে মোবাইল খুললাম এবং কাজে যেতে লাগলাম। রাস্তায় যেতে যেতে আমার ফোন আবার ওই নম্বর থেকে বেজে উঠল। রেগে গিয়ে ফোন ধরলাম আর বললাম আপনাকে বলেছি না আমাকে ফোন না করতে। মা-   শোন বাবা শোন আমার একবার কথা শোন। আমি- কি বলবেন বলেন তাড়াতাড়ি আমি কাজে যাচ্ছি। মা- আমি তোর মা কেন আপনি আপনি বলছিস। আমি- না আপনি আমার মা না এই অধিকার কোনদিন ফলাতে আসবেন না এমনি যদি কিছু বলার থাকে তো বলেন। মা- দেখ আমি তোর বন্ধুর কাছ থেকে তোর ঠিকানা নিয়ে তো ভাড়া বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছি কোথায় তুই। আমি- এখন আমি কাজে বেড়িয়ে পড়েছি ফিরতে রাত হবে এখন তো দেখা হবেনা। আর আপনি আমার বাড়ি খুঁজে পেলেন কি করে ফাঁকা জায়গায় মাঠের মধ্যে বাড়ি ওখানে গেছেন। মা- হ্যা আমি ওইখানেই আছি তোঁর বন্ধু আমাকে ঠিকানা দিয়েছে। এই বাড়ির মালিক তো বাংলাদশে থাকে তাইনা। আমি- ও সে খবর ও পেয়ে গেছেন আপনি আচ্ছা মহিলা তো আপনি। কিন্তু আজকে দেখা হবেনা আমার ফিরতে রাত হবে। সবে কাজে এসেছি এখন তো যাওয়া যাবেনা। মা- তবে আমি অপেক্ষা করছি এখানে তুই আসা পর্যন্ত। আমি- না দরকার নেই আপনি চলে যান থাকতে হবেনা। মা- আমার যে যাওয়ার জায়গা নেই কালকে এক বাড়িতে থেকেছিলাম আজকে যে যাওয়ার জায়গা নেই। আমি- সে আমি জানিনা আমি আসতে পারবোনা যা করার আপনি করেন ফোন রাখেন আপনি আমি কাজে লাগবো। বলে ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে কাজে লেগে পড়লাম আর সারাদিনে মোবাইল খুলিনি। মনে মনে ভেবেছি আমাকে ফোনে না পেয়ে ঠিক চলে যাবে। তাই কাজে মন বসছিল না তবুও কাজ করলাম এখন আমি মারবেল পাথরের কাজ করি। কাজ শেষে পেমেন্ট নিয়ে বাজার করে সোজা ঘরের দিকে গেলাম। ফাঁকা বাড়ি একাই থাকি কারন বাড়ির মালিক আমাকে চাবি দিয়ে চলে গেছে বাংলদেশ। ফাঁকা মাঠে জমি কিনে বাড়ি করেছে ওঁরা সবে দুই বছর পরে একবারে সব গুছিয়ে আমাকেদুই বছর এমনিতেই থাকতে দিয়েছে যাতে বাড়ি রক্ষা হয় তার জন্য। কিন্তু মনে মনে যে ভয় পেয়েছি ঠিক তাই ঘরের কাছে পৌছাতেই দেখি উনি বসে আছেন শত হলেও আমার মা তো দূর থেকেই চিন্তে পেরেছি। কছে যেতেই কাচুমাচু হয়ে আমার কাছে এল।
Parent