মায়ের প্রেম - অধ্যায় ২৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-30140-post-2444920.html#pid2444920

🕰️ Posted on September 23, 2020 by ✍️ soirini (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 1445 words / 7 min read

Parent
তেইশ এরপর রুটিন মাফিক দিন কেটে যেতে থাকে । পিকুদা আর মা প্রায় রোজই  আমি কলেজ চলে গেলে এদিক ওদিক বেরোয় আবার আমি কলেজ থেকে ফিরে আসার আগেই  চলে আসে । রিঙ্কি  দুপুরটা নমিতাদির কাছেই থাকে, ওর আর নমিতাদির মধ্যে এখন বেশ একটা  ভাল  বন্ড তৈরী হয়ে গেছে। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে আর রাতে ঘুমোনোর  সময় মাকে  রিঙ্কির চাইই চাই । এদিকে আমার ক্লাস এইটের  ফাইনাল পরীক্ষার ডেটও  তাড়াতড়ি এগিয়ে আসতে থাকে । পিকুদাকে এখন পড়াতে আসতে  বারণ করেছি আমি , কারণ আমার ফিজিক্সটা  দারুন তৈরী হয়ে গেছে এবার একটু অন্য সাবজেক্ট গুলোকে কে ভালভাবে প্রিপেয়ার করতে হবে । পিকুদার আর মার অবশ্য কোন অসুবিধে হচ্ছেনা এতে কারণ  ওরা  তো বাইরে প্রায়  রোজই  দেখা করে । কিন্তু একটা মজার ব্যাপার  খেয়াল করি, মা কিন্তু  পিকুদার সাথে সম্পর্কের কথাটা আমার কাছে বেমালুম   চেপে যাচ্ছে  । একদিন মায়ের একটু ব্যাংকে যাবার দরকার ছিল আর মা কিছুতেই ব্যাংকের পাস বুকটা খুঁজে পাচ্ছিলো না । আলমারিতে অনেক খুঁজেও ওটা  না পেয়ে মা ক্লান্ত হয়ে  রান্নাঘরে চলে গেল আর আমাকে বলে গেল ওটা খুঁজতে । আমি তো আলমাড়িটা আতি পাতি করে খুঁজতে লাগলাম আর পেয়েও গেলাম পাসবুকটা । ওটা একটা ফাইলের ভেতর ঢুকে গেছিলো । যাইহোক আলমাড়িটা ঘাঁটতে ঘাঁটতে হটাৎ দুটো ছোট ছোট  লাল রংএর বাক্স পেলাম । দেখে মনে হল গয়নার বাক্স ।  প্রথমটা খুলে  দেখি একটি হীরের  নাক চাবি । বুঝি পিকুদা এটাই  মাকে  জন্মদিনে গিফট করেছে । দারুন দেখতে নাক চাবিটা , হীরেটা একবারে ঝকঝক করছে । বিলটাও ওই গয়নার বাক্সে রাখা ছিল । দাম দেখলাম  নব্বই  হাজার মতো । মনে মনে ভাবলাম  মার বেশ বড়লোকের ঘরে বিয়ে হচ্ছে , খুব সুখেই থাকবে মা । গাড়ি বাড়ি আর অগাধ সম্পত্তির মালকিন হবে । তবে দ্বিতীয় বাক্সটা খুলে মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল । দ্বিতীয় বাক্সে একটা বেশ ভারী সোনার আংটি রাখা ছিল । ওটারও বিল বাক্সের মধ্যে  ছিল । পড়ে বুঝলাম আংটি টা পালিশ করা হয়েছে আর সাইজটা একটু  বড় করা হয়েছে । আংটিটা আমি চিনি ওটা আমার বাবার আংটি,  বিয়ের সময়কার । বাবা মারা যাবার পর যখন ডেড বডিটা সাজিয়ে গুছিয়ে বাইরে বার করা হচ্ছিলো  তখন কে যেন একটা বলে ছিল "এই ছেলে, তোমার বাবার হাতের সোনার আংটিটা খুলে নাও" । আমিই তখন ওটা খুলে পকেটে রেখে দিয়েছিলাম । তারপর ওটা কিছুদিন  আমার কাছেই  ছিল ,বাবার  শ্রাদ্ধ শান্তি মিটে  যাবার পর ওটা আবার মাকে  ফেরত দিয়ে দিয়ে ছিলাম । আংটিটা আবার পালিশ করার আর সাইজটা একটু বড় করার একটাই কারণ থাকতে পারে । সেটা হল আশীর্বাদের সময় বা পরে  আংটি বদলের সময় মা ওটাই পিকুদার হাতে পরাবে । মৃত স্বামীর বিয়ের আংটি দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের আশীর্বাদ করা ব্যাপারটা মোটেই ভাল নয় । কিন্তু মাই বা কি করবে ? বাবা মারা যাবার পর মা বিধবা পেনসেন পেতে শুরু করলেও সেটা আসলে বাবার পেনসেনের প্রায় অর্ধেক ।  পিকুদা মাকে যেরকম দামী দামী গয়না গিফট করছে বা বিয়ের সময় করবে মাকেও তার সমান স্ট্যান্ডার্ড এর কিছু আশীর্বাদের সময় পিকুদাকে পড়াতে হবে । এখন যা সোনার দাম তাতে খুব ভাল একটা সোনার আংটি কেনা মায়ের পক্ষে অসম্ভব । মা তাই বাবার আংটিটাকেই  গয়নার দোকানে দিয়ে পালিশ টালিস করে নতুন বলে চালিয়ে দিচ্ছে । আমি দেখলাম দুটো বিল আলাদা আলাদা দোকানের মানে এই আংটির সাইজ বড় করা আর পালিশ করার ব্যাপারটা পিকুদা জানেনা । এর একমাস পরে একদিন হটাৎ পিকুদার ফোন। আমি তখন কলেজে টিফিন খাচ্ছি। আমাকে বলে -জানিস মাকে এখুনি নার্সিংহোমে  ভর্তি করলাম । আমি বলি -কেন কি হলো হটাৎ ? পিকুদা বলে -আরে সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ হটাৎ মার নাক দিয়ে অঝোরে রক্ত পরতে  শুরু করে দিল। আমি তো ঘাবড়ে গিয়ে তাড়াতাড়ি  নিখিল আর পার্থ কে ফোন করলাম । ওরা বললো ফেলে রাখিসনা, এখুনি একটা এম্বুলেন্স ডাক ,নার্সিংহোমে ভর্তি করতে হবে মাসিমাকে,  আমাদের মনে হচ্ছে তোর মার স্ট্রোক হয়েছে । এদিকে মা কিছুতেই অ্যাম্বুলেন্সএ উঠবেনা । বলে আগে রত্না কে ডাক, আমি ওর সাথে কথা না বলে যাবনা  । শেষে আমি তোর মাকে ফোন করলাম । তোর মা তো নাইটি পরেই দৌড়ে এল । মা তোর মার হাত হাতে নিয়ে বলে -রত্না মা আমি যদি নার্সিং হোম থেকে আর না ফিরি তাহলে আমার ছেলেটাকে একটু দেখ । ও তোমাকে খুবই ভালবাসে । তোমাকে ছাড়া ও থাকতে পারবেনা ।  তোর মা আমার মাকে  কথা দিলো যে সারা জীবন আমার পাশে  থাকবে,আমাকে দেখবে | তারপর মা এম্বুলেন্সে উঠলো ।   আমি বললাম -ডাক্তারে কি বললো ? পিকুদা বলে -এই মাত্র একজন ডাক্তার এসে দেখলো । বললো মনে তো হচ্ছে মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে । কপাল খুব ভাল আপনাদের যে  আপনার মার ব্লিডিংটা হয়ে গেছে । ব্লিডিং হওয়া মানে ক্ষতির আশঙ্কা কম । এখুনি আপনার মার মাথার একটা স্ক্যান করতে হবে । স্ক্যান রিপোর্টটা হাতে পেলে তারপর আমরা বলতে পারবো মাথার কোথাও ব্লাড ক্লটিং করে আছে কিনা । আমি জিজ্ঞেস করলাম -মাসিমার সেন্স টেন্স আছে তো ? পিকুদা বলে -হ্যাঁ সেন্স আছে, কিন্তু মা এখন কেমন জানি ঝিমিয়ে পরেছে । আমি বললাম -পিকুদা, বিকেলে ভিজিটিং আওয়ার্স কটা থেকে ? ভাবছি কলেজ থেকে একটু তাড়াতাড়ি বেরিয়ে একবার দেখতে মাসিমাকে  | পিকুদা বলে -শোন তোর এখন আসার দরকার নেই । কারণ বিকেলে তোর মা দেখতে আসবে । তুই পরে একদিন আসিস । মাকে  এখন অন্তত সাত আট দিন এখানে থাকতে হবে । মায়ের ব্যাপারে  আর কিছু জানতে পারলেই আমি তোকে ফোন করে দেব । আমি বলি -ঠিক আছে , তবে তুমি কিন্তু বেশি চিন্তা কোরনা, মন  শক্ত রাখ, সব ঠিক হয়ে যাবে । পরের দিন পিকুদা আবার টিফিনের সময় ফোন করে বলে ডাক্তার রিপোর্ট দেখে একটু আগেই জানালো মাথায় কোন ক্লটিং নেই , তবে মা দেখছি দেখি বাঁ হাতটা ভাল করে নাড়াতে পারছেনা । হয়তো পরে সেরে যাবে । আসলে ষ্টোক হলে অনেকেরই একটা অঙ্গ পরে যায় মানে একটা সাইড প্যারালাইসিস হয়ে যায় তো তাই একটু চিন্তায় আছি । আমি বলি -উপরওলাকে ডাক, মনে হয় সব ঠিক হয় যাবে । তারপরের দিন পিকুদা বিকেলে ফোন করে । আমি তখন  সবে মাত্র কলেজ থেকে ফিরেছি, বলে -তোর মা আজও দেখতে এসেছিলো , এইমাত্র বেরোল । জানিস মা আজকে তোর মাকে কি বলেছে ? আমি বলি -কি ? পিকুদা বলে -মা তোর মাকে বলেছে "রত্না মা, দেখছো তো আমার অবস্থা ? আমার মনে হচ্ছে আমি আর খুব বেশিদিন নেই । তোমার কাছে আমার একটা রিকোয়েস্ট আছে মা,  তুমি কি রাখতে পারবে "? তোর মা বলে "বলুন মা, আপনি কি চান" ? মা বলে "তুমি যে আমার ছেলেকে বলেছ যে তোমার বড় ছেলে অন্তত মাধ্যমিক মানে সেকেন্ডারী পরীক্ষা না দিলে তুমি বিয়ে করবেনা  , ওই ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখবে মা ? তুমি আমাকে কথা দিয়েছিলে আমাকে নাতি  নাতনির মুখ দেখাবে । তুমি দুবছর পর বিয়ে একরলে আমি কবে নাতি নাতনির মুখ দেখবো বল ? আমি জানি আমি আর খুব বেশি দিন বাঁচবোনা । এর মধ্যে আমার  কিছু হয়ে গেলে তোমাদের বিয়েও  তো আরো পিছিয়ে যাবে । এদিকে তোমার বয়সো তো বেড়ে যাচ্ছে মা । আমি চাই যত তাড়াতাড়ি পারি আমার এই  মা লক্ষিটাকে ঘরে তুলে আমার সংসারে সব ভার বুঝিয়ে দিতে । তোর মা বলে "ঠিক  আছে মা, আপনি আগে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরুন, আমি দেখছি বিয়েটা কত আগে এগোন যায় । আমি পিকুদাকে বলি -বাহ্ ভালো তো , কামনা করি মাসিমা সুস্থ হয়ে তাড়াতড়ি বাড়ি ফিরুন। পিকুদা বলে -হ্যাঁ ভগবানের কাছে সেই প্রার্থনাই  কর । এর কিছুদিন পরে আবার পিকুদার সাথে কথা হয় ফোনে । পিকুদা বলে -মাকে  কাল ছেড়ে দেবে । মা এখন আউট অফ ডেঞ্জার কিন্তু মার বাঁ হাতটা মনে হয় আর ঠিক হবে না । নাড়াতে পারছে কিন্তু মুভমেন্ট আর আগের মতো ফ্রি  নেই ।  দেখি একবার ফিজিওথেরাপি করে যদি কিছু উপকার হয়। যাই  হোক তোর মার সাথে কিন্তু আমার মার খুব ভাল  জমে গেছে । মা যবে থেকে  নার্সিংহোমে  ভর্তি আছে  তবে থেকেই তো  তোর মা রোজ বিকেলে দেখা করতে আসছে । বাবা শাশুড়ি বৌয়ে সে কি গল্প আর হাঁসাহাঁসি । জানিস তোর মা আর আমার মার মধ্যে কি লেভেলে  কথা হচ্ছে  এখন ? তুই শুনলে বিশ্বাস করতে পারবিনা । আমাকে কাকীমা গতকাল বললো ব্যাপারটা। কাকীমা নাকি গতকাল বিকেলে মাকে দেখতে এসে  মার কেবিনে ঢুকতে যাবে এমন  সময় শোনে তোর মা  আর আমার মার মধ্যে  খুব গল্প আর হাঁসাহাঁসি হচ্ছে । কাকীমা বাইরে দাঁড়িয়ে শুনেছে যে আমার মা তোর মাকে  বলছে "রত্না মা, তুমি যে আমাকে কথা দিয়েছো, যে তোমাদের বিয়ের তারিখটা এগিয়ে আনবে আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাকে নাতি নাতনির মুখ দেখাবে, এতেই আমার অর্ধেক শরীর খারাপ কমে গেছে"। তোর মা নাকি হেঁসে  বলেছে "ও নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবেনা মা, আপনার ছেলে আমাকে একা  পেলেই  যা দস্যিপনা করে, দেখুন বিয়ের আগেই না আমার পেটে  আপনার নাতি নাতনি এসে যায়" । মা নাকি এসব শুনে নাকি  তোর মার হাত জড়িয়ে ধরে খুব হেঁসেছে , তারপর তোর মাকে বলেছে "একবারে বাবার মতো হয়েছে ছেলেটা আমার, আমারো  তো বিয়ের আগেই পিকু পেটে এসে গিয়েছিল" ।   আমি বলি -বাহ্ মাসিমা আর মা তে খুব জমবে মনে হচ্ছে তোমাদের বিয়ের পরে । পিকুদা বলে -হ্যাঁ রে । আসলে ওদের বয়েসের ডিফারেন্সটা অনেক কম তো তাই ওরা শাশুড়ি বউ না  হয়ে দিদি বোনের মতো হয়ে যাবে । আমি বলি -কাল কখন মাসিমাকে বাড়ি আনবে ? পিকুদা বলে -রিলিস নিতে নিতে সকাল বারটা সাড়ে-বারটা হয়ে যাবে । (চলবে )
Parent