মায়ের প্রেম - অধ্যায় ৩২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-30140-post-2509632.html#pid2509632

🕰️ Posted on October 13, 2020 by ✍️ soirini (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 816 words / 4 min read

Parent
বত্রিশ আমি বললাম -তা তোমাদের বিয়ের  ব্যাপারে কি কিছু দিন ঠিক হয়েছে ? মা বলে না এখনো ঠিক হয় নি । তবে তোর পরীক্ষা হয়ে গেলে এমাসের শেষের দিকে আমাদের আশীর্বাদটা  সেরে ফেলার ইচ্ছে আছে আমার । আমি বলি -মা  আশীর্বাদে কি হয় ? -ওই ছেলের বাড়ির লোকজন মানে  বাবা মা মেয়েকে আশীর্বাদ করে আবার  মেয়ের বাড়ির লোকজন  একই ভাবে  ছেলেকে আশীর্বাদ করে । ধান দুব্বো আর মিষ্টি দিয়ে আশীর্বাদ করতে হয় । তারপর অনেকে  আংটি বদল করে । ব্যাস.... তারপর একসঙ্গে আন্তীয় স্বজন বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে একটু  খাওয়া দাওয়া । এই আর কি ? আমি বলি -এখানে হবে তো ওই সব ? মা বলে -না না , এখানে ওসব হলে আমাদের বিল্ডিঙের সবাই হাসাহাসি করবে । এখানে সবাই আমাদের কে চেনে তো । তাই ওই ব্যাপারটা তোর মাসির বাড়ি থেকে করতে চাইছি । আমি বলি -বাহ্ পরীক্ষার পর তাহলে আমার আবার মাসির বাড়িও আর একবার ঘোরা  হয়ে যাবে । আমার কথা শুনে মায়ের মুখটা কেমন যেন একটু নিষ্প্রভ হয়ে যায় । মা বলে -তুই যদি রাগ না করিস তাহলে তোকে একটা কথা বলি আমি বলি -বল ? মা বলে -তুই আমার সঙ্গে গেলে তোর ঠাকুমা এখানে একা  কি করে থাকবে বল ? তুই তোর ঠাকুমার কাছে থাকলেই ভাল হয় । তোকে রান্না বান্নার ঝামেলা করতে হবেনা । পিকুদাদের রান্নার মাসিটা তোদের তিনবেলা খাবার করে দিয়ে যাবে । আমি চুপ করে যাই মায়ের কথা শুনে । মনটা খুব খারাপ হয়ে যায় মা বলে -আর সত্যি কথা বলতে কি আমি চাইনা তুই আমার আশীর্বাদ দেখিস । আমি তো চেয়েছিলাম ওসব না করে একবারে রেজিস্ট্রি করে নিতে  আর তারপর দুবাড়িতে মিলে  একসঙ্গে একটা রিসেপ্শান  দিয়ে দিতে । এই বয়েসে ওই সব আশীর্বাদ, বিয়ের সময়  গায়ে হলুদ, শুভ দৃষ্টি , এসবের কোন দরকার ছিলনা । ওসব যাদের প্রথম বিয়ে হচ্ছে তাদের জন্য  ঠিক আছে । আমি দু বাচ্চার মা আমার কি ওসব আর ভাল লাগে বল? কিন্তু পিকুর মার আবার সব নিয়ম কানুন পালনের ইচ্ছে । আসলে ওর একমাত্র ছেলের বিয়ে তো । জাস্ট রেজিস্ট্রি করে জয়েন্ট  রিসেপশান দিয়ে দিলে ওদের আন্তীয়স্বজনরা নানা কথা শোনাবে । আমি বলি -তোমাদের রেজিস্ট্রি কবে হবে তাহলে ? মা বলে -ওই আশীর্বাদের দিনই  সই সাবুদ সব হয়ে যাবে । আমি বলি -ঠিক আছে মা, আমি বাড়ি থাকবো আর ঠাকুমাকে দেখবো , তুমি কোন চিন্তা কোরনা । মা বলে -তুই রাগ করলিনা তো ? লক্ষী সোনা ছেলে আমার | একটু আমার অসুবিধাটা বোঝ | তবে তুই চিন্তা করিস না । পিকুতো হানিমুনে আমাকে নিয়ে গোয়া যাবে বলেছিলো । আমি বারণ করেছি ওকে ,বলেছি তার চেয়ে বরং চল তুমি আমি তোমার মা রিঙ্কি টুবলু  সকলকে নিয়ে পুরি ঘুরে আসি । সকলে এক সঙ্গে জগন্নাথ  দেবের মন্দিরে পুজো দেব, সুমুদ্রে চান করবো, খুব  মজা হবে  । আমি বলি -তাহলে ঠাকুমা তখন কার কাছে থাকবে ? মা বলে -তোর দিদা আর তোর মাসিকে বলেছি কদিন আমাদের এখানে এসে থাকতে । তোর ঠাকুমার কোন অসুবিধে হবে না । আমি তো পিকুকে বলেছি নমিতাকেও নিয়ে চলো আমাদের সঙ্গে । আমাদের জন্য এতো করে মেয়েটা । ও গেলে তোর বোনকে ও সামলাতে পারবে । তবে ওর আবার ছেলে মেয়ে রেখে যাওয়া তো , জানিনা এক সপ্তাহের জন্য ছেলে মেয়ে ছেড়ে যেতে রাজি হবে কিনা ? আমি বলি -আচ্ছা ,তোমার আশীর্বাদের সময় কি তুমি ওকে ছুটি দিয়ে দেবে ? মা বলে -নারে, ওকে আমাদের সঙ্গে যেতে বলেছি তোর মাসির বাড়ি , চার দিনের তো ব্যাপার , ও রাজি হয়েছে , ওর শশুর শাশুড়ি ওর ছেলে মেয়েকে সামলে নেবে । ও না গেলে ওই হৈ হট্টগোলে রিঙ্কিকে সামলানো খুব মুশকিল হবে । আমি বলি -পিকুদাদের বাড়ি থেকে কে কে যাবে? মা বলে -পিকু, ওর মা, ওর  কাকা কাকিমা, আর ওদের ছোট মেয়ে তিন্নি । ওরা  গাড়িতে করে যাবে আর আশীর্বাদ হয়ে গেলে গাড়িতেই ফিরে  আসবে। গাড়িতে গেলে মনে  হয়না পিকুর মার কোন অসুবিধে হবে । এখন তো উনি মোটামুটি ভালোই আছেন  ।   আমি বলি -তুমি মাসির বাড়িতে কদিন থাকবে ? আমার প্রশ্ন  শুনে কেমন যেন মনে হল মা একটু অপ্রস্তুতে পরে গেল ,কিন্তু তড়িঘড়ি সামলে নিয়ে বলে -দেখি কদিন থাকা যায় । আমি বলি -তুমি যাবে কি ভাবে ? মা বলে -আমি আর নমিতা ট্রেন ধরে প্রথমে হাওড়া স্টেশন চলে যাব । ওখানে তোর মামা আর মামি ট্যাক্সি নিয়ে আসবে তারপর আমাদের তুলে নিয়ে তোর মাসির বাড়ি চলে যাবে । মা তো এখন ওখানেই আছে । আমি বলি -আর ফিরবে কি ভাবে ? মা বলে - আশীর্বাদের ঠিক পরের দিনই পিকুর কি যেন  যেন একটা ব্যাবসার  কাজ আছে কলকাতায়। ওর কাকা কাকিমা আর মা ওর কাকার গাড়িতেই  বাড়ি ফিরে  আসবে । কিন্তু পিকু ওর গাড়ি নিয়ে কলকাতায় ওর মামার বাড়ি চলে  যাবে । ওখানে সেই রাতটা  কাটিয়ে পরের দিন ওর কলকাতায় যে ব্যাবসার কাজটা  আছে সেটা মেটাবে । ও সেই সব কাজ মিটিয়ে পরের দিন বা তারপরের দিন আমাদের কে তোর মাসির বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ফিরে  আসবে । আমি বলি -ও আচ্ছা আচ্ছা । তা তুমি নমিতাদিকে বলেছো  ? তোর মা বলে -হ্যাঁ ওকে অনেক আগেই বলে রেখেছি । ও রাজি হয়েছে । সেদিন অনেক খোলাখুলি কথা হয় মা আর আমার মধ্যে তারপর আমরা একে  অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ি । (চলবে)
Parent