মায়ের প্রেম - অধ্যায় ৪৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-30140-post-2887096.html#pid2887096

🕰️ Posted on January 30, 2021 by ✍️ soirini (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 1261 words / 6 min read

Parent
সাতচল্লিশ মা বলে-টুবলু, আমার বাচ্চা হলে তুই আমায় একটু সাপোর্ট দিবি তো ? আমি বলি -তুমি কি সাপোর্ট চাও বল ? মা বলে -কি আবার? বাচ্চা সামলানো । আমি বলি -বাবা, ওটা তো খুব মুশকিলের কাজ , আমার তো খুব পুঁচকি বাচ্চা  কোলে নিতেই ভয় করে । মা অবাক হয়ে বলে-পুঁচকি বাচ্চা? তারপর আমার কানে কানে বলে -দূর বোকা, কি বলছি  আমি আগে শোন , তুই শুধু তোর বাপিরটা  সামলাবি | পিকুর আর আমার পুঁচকি হলে তাকে সামলানোর অনেক লোক ও বাড়িতে আছে  । আমি হাঁসতে হাঁসতে বলি -বাপিরটা  মানে তুমি কি বোনের কথা বলছো ? মা বলে -তা নাতো কার কথা বলবো , তোর বাবা, এক তো আমাকে একা  ফেলে  রেখে ওপরে  চলে গেল  তার ওপর যাবার আগে আমার পেট লাগিয়ে দিয়ে  গেল । এখন তোর বোনটাকে আমি না পারছি গিলতে না পারছি উগড়োতে । ভেবেছিলাম বিয়ে যদি করি তাহলে দুস্টুটাকে একটু বড় করে তবেই করবো । কিন্তু ওপোরওলা সেটাও শুনলোনা , পিকু তোকে পড়াতে এসে আমার সাথে লাইন মারতে শুরু করলো ।  কি ঝামেলা বলতো ? মায়ের মুখে 'লাইন মারা" শব্দটা খট করে আমার কানে লাগে । লাইনমারা শব্দটা তো আমার কলেজের  বন্ধুরাও ব্যাবহার করে । মা তো আজকে উঠতে  বসতে ছক্কা হাঁকাচ্ছে দেখছি । আমি বলি -দেখি আমি চেষ্টা করবো , কিন্তু তুমি ওকে দেখতে পারবেনা কেন? মা বলে -আরে  আমার তো বিয়ে হয়ে যাচ্ছে , না হলে  কি তোকে কোনদিন সামলাতে বলেছি তোর বোনকে?  বিয়ের পর ওবাড়িতে গেলে আমি খুব ব্যাস্ত হয়ে যাব , তখন তোকে মাঝে মাঝে একটু হেল্প করতে হবে আমাকে  | আমি হাঁসতে হাঁসতে বলি -বাহ , বাবা চাষ করে গেল,  ফসল ফলিয়ে গেল , আর ফসল সামলানোর দায়িত্ত্ব আমার ওপর পড়লো । মা তো আমার কথা শুনে নিজের  মনেই বেশ খানিকক্ষণ  খিক খিক করে খুব হাঁসে , তারপর বলে -তোর বাবার সম্পত্তির  দায়িত্ব তো তোকে আর আমাকেই ভাগ করে নিতে হবে রে। তোর বাবার সতীন থোড়ি নেবে , সে তো তোর বাবার জমি চাষ করে আবার ফসল ফলানোর জন্য পাগল । এবার আমার  খিক খিক করে হাঁসার পালা । মা বলে -আমি জানি তুই পারবি , তুই খুব সংসারী ছেলে , তুই ঠিক তোর বাবার মতো । হাঁসি থামলে আমি বলি -এটা কিন্তু ঠিক নয় মা , বাবা আর আমি কি এক ? মা বলে -তুই আয়নায় নিজেকে দেখেছিস ঠিক করে , তুই এখন একবারে তোর বাবার মতো দেখতে হয়েছিস । ঠিক তোর  বাবার মতো লম্বা চওড়া আর আর তোর কথা বলার ধরণটাও ঠিক তোর বাবার মতন । তারপর মা আমাকে জড়িয়ে ধরে  আমার ঘাড়ে  মুখ গুঁজে একটা জোরে স্বাস নিয়ে বলে -আজকাল তোর গায়ের গন্ধটাও ঠিক তোর বাবার  মতো মতো লাগে আমার ।  আজকাল তো  মাঝে মাঝে সকালে  ঘুম ভাঙার পর তোকে আমার পাশে  শুয়ে থাকতে দেখে বুকটা ধক  করে ওঠে, মনে হয় যেন ঠিক তোর বাবা শুয়ে আছে । আমি বলি -তুমি যাই বল, একটা কথা আমি কিছুতেই  বুঝতে পারছিনা, সেটা হল দুটো ছোট বাচ্চা তো অনেকেরই থাকে। দুটো বাচ্চা সামলানো  কি এমন আর শক্ত কাজ ?  যমজ বাচ্চা কি লোকেদের থাকেনা ?  অনেকেই তো দুটো বাচ্চা নিয়েই  আবার বিয়ে করে । মা বলে -না রে বাবা, অনেক ব্যাপার আছে । মাসিমা মানে পিকুর মা রিঙ্কিকে খুব একটা পছন্দ করেন বলে মনে হয় না । যদিও সবার সামনে  ওকে কোলে নিয়ে খুব আল্হাদিপনা করেন , কিন্তু আমি জানি উনি রিঙ্কিকে ভেতর থেকে ঠিক মেনে নিতে পারেননা । পিকু কিন্তু তোর বোনকে খুব ভালবাসে | আর ওর মা শুধু নয়  ওর দাদা বৌদিরাও  মনে হয় রিঙ্কিকে খুব একটা পছন্দ করেননা । আমি বলি -কি করে বুঝলে তুমি? আমার তো মাসিমাকে দেখলে ওরকম মনে হয়না । মা বলে -ওসব মেয়েলি ব্যাপার তুই বুঝবিনা । জানিস যেদিন পিকুর মা আমার সাথে প্রথম বিয়ে নিয়ে কথা বললো, সেদিন কি বলে? বলে তোমার বড় ছেলে তো প্রায়  মানুষ হয়েই গেছে, ওকে নিয়ে তো  তোমার আর  চিন্তা নেই |  তোমার যত  চিন্তা তো এখন শুধু তোমার ওই ছোট মেয়েটাকে নিয়ে । তুমি চিন্তা কোরনা রত্না মা, আমরা তো আছি, ওর সব দায়িত্ত্ব আমাদের । তোমার  ছোট মেয়েটা একটু বড় হলেই  ওকে আমরা দার্জিলিং এর একটা ভাল মিশনারি কলেজে  ভর্তি করে দেব । ওখানে পড়াশুনো করলে ওর ভবিষ্যতটা খুব ভাল হবে । ওকে মানুষ করার সব ভার আমাদের । ভাব কি রকম চিন্তা ভাবনা ? মানে রিঙ্কি একটু বড় হলেই ওকে সরিয়ে দেবে যাতে ওনার নাতি নাতনি হলে তাদের  ভালবাসাটা  ভাগ না হয় । আমি পিকু কে এসব বলিনি , এসব বললে ওর আর মাসিমার মধ্যে ঝামেলা লেগে যাবে । কে চায় বিয়ে করে নতুন বাড়িতে যেতে না যেতেই মা ছেলের মধ্যে ঝামেলা লাগিয়ে দিতে । আমি বলি -এসব তো আমি বুঝতে পারিনি আগে । তা তুমি যখন আগে থেকেই এসব জানতে তখন বিয়েতে রাজি হলে কেন ? মা বলে -কারণ দরকারটা আমার , আমি বিধবা, দু বাচ্চার মা ,তুই বল  পিকুর বয়সী কোন ভাল বড় লোকের ছেলে কি আমি পাব কোথাও? আমি এই বয়সেও এতো কম বয়সী জোয়ান স্বামী পাচ্ছি বলে কতজনের রাগ আমার ওপর জানিস ? তোর মামীরা, এমনকি তোর মাসিও আমাকে মনে মনে হিংসে করতে শুরু করেছে । তাছাড়া পিকুরা কত বড়লোক বল ? সম্পত্তির অধিগধি নেই ওদের । একবার বিয়েটা হয়ে গেলে ওদের সব কিছুর মালকিন তো আমিই  হয়ে যাব । আমি হতবম্ব হয়ে যাই  মার কথা শুনে । বলি -তুমি কি  তাহলে পিকুদাদের  সম্পত্তি হাতিয়ে নেবার জন্য পিকুদাকে বিয়ে করছো ? মা হাঁসতে হাঁসতে বলে - না,না, বললামনা  তোকে? আমার পিকুর মতো ভাল ছেলেও  চাই আবার পিকুদের সব সম্পত্তিও  চাই ।   আমি বলি -বাবা, আমি তো ভেবেছিলাম তোমার আর পিকুদার বিয়েটা মাখনে ছুড়ি চালানোর মতো মসৃন হবে , কিন্তু এই বিয়েতেও ভেতরে ভেতরে  এতো ঝামেলা তা তো জানতাম না । মা বলে -সুখ পেতে গেলে একটু ঝামেলা তো নিতেই হবে , সুখ কি আর সহজে ধরা দেয় রে  | পিকুর মায়ের ভাবখানা হলো এরকম:- "তোমার মতো বিধবা  মাগি আমার সোনার টুকরো ছেলেটাকে নিয়ে রোজ রাতে শোবে , ব্যানার্জি বাড়ির বড় বৌ হবে , আমাদের সব সম্পত্তির মালকিন হবে আর আমাকে দুটো নাতি নাতনি করে  দেবেনা বললে কি করে হবে ? এখন তুমি যদি বল যে এখুনি বাচ্চা হলে আমার ছোট মেয়ের অযত্ন হবে তাহলে  আমরা আর কি করতে পারি ? তোমার যদি এতোই ছেলে মেয়েদের জন্য চিন্তা তাহলে আবার বিয়ে করছো কেন?  নিজের ছেলে মেয়েদের নিয়েই সুখে থাক।" আমি বলি -ওবাবা মাসীমা এরকম তাতো জানতাম 'না । মা বলে -আরে তখনকার দিনের মা-মাসীমারা এরকমই হয় । ভেতরে ভেতরে খালি কূটকচালি । তবে ওনাকেও খুব একটা দোষ দেওয়া যায়না । ওঁর  মনের ভাবটা আমি বুঝি , সব মায়ের মতনই উনি মনে মনে স্বপ্ন দেখেছিলেন যে পছন্দ করে মেয়ে দেখে ছেলের বিয়ে দেবেন । আমার মতো বিধবা দুবাচ্চার মা যে কিনা ওঁর ছেলের চেয়ে বয়েসে অত বড়  তাকে মন থেকে মেনে নেওয়া ওঁর  পক্ষে সত্যি  কঠিন ।  এদিকে পিকু আমাকে বিয়ে করার জন্য একবারে পাগল, ও তো ওর মাকে  একরকম হুমকি দিয়েই দিয়েছিল যে  আমাকে না বিয়ে করতে দিলে ও গায়ে আগুন দিয়ে মরবে । এদিকে  আমারো  আর উপায় নেই, এতো ভাল ছেলে আর এতো ভাল ঘর যখন ভগবানের দয়ায় পেয়েছি তখন আমিও ওকে বিয়ে না করে ছাড়বো না , তার জন্য যা মুল্য আমাকে দিতে হয় দেব ।  না হলে পিকুর মতো বাচ্চা ছেলেকে বিয়ে করছি বলে আমাকে কি কম টিটকিরি শুনতে হচ্ছে নাকি ? তোর ছোট মামী তো  একদিন আমাকে ইয়ার্কির ছলে ডাইরেক্ট বলেই দিল যে তোমার বর  তো প্রায় তোমার ছেলের বয়সী । রাতে ঐটুকুবাচ্চা ছেলের ওপর চাপতে লজ্জা করবেনা  তোমার ?   আমি বলি -ওসব ফালতু কথায় পাত্তা দিওনা । অনেকে অনেক কথা বলে । কেউ কারুর ভাল দেখতে চায় না । মা বলে -সে আমি জানি । ওসব পাত্তা দিয়ে  কি হবে বল ? আর  আমি তো নিজে পিকুর কাছে জাইনি, ওই আমার পেছন পেছন এসেছে । এই জন্য তো আমি ওকে আগেই সাবধান করে দিয়েছিলাম যে আমাকে বিয়ে করলে তোমার বাড়িতে অশান্তি হবে । ও তো শুনলনা । তাহলে আমিই বা ছাড়বো কেন ওকে বল ? -আর তাছাড়া....... (চলবে )
Parent