মায়ের সাথে মাছ ধরা - অধ্যায় ১২
আমি- হ্যা মা তুমি একদম ভাবেনা যা লাগবে আমাকে বলবে তোমাকে সব দেব। তোমার জন্য আমি সব করব কথা দিলাম। এবার চল আর বাবা তুমি খেয়ে নিও আমরা যাচ্ছি।
বাবা- আচ্ছা তাড়াতাড়ি এস এবার যাও মাকে কাছে কাছে রেখ, একসাথে খেয়ে নিও।
মা- হ্যা হ্যা ঠিক আছে আমি অর কাছেই থাকবো, কারো কাছে যাবনা হল এবার।
বাবা- হুম, বলে তালা দিয়ে মায়ের হাতে চাবি দিল এই নাও।
মা- চল বলে আমারা দুজনে বের হলাম।
রাস্তা দিয়ে হেটে পরে পুকুর পার দিয়ে হাটতে লাগলাম।
মা- তোর বাবা অনেক দেরী করে দিল।
আমি- সে করছে বেশী আগে গিয়ে কি করব চল আস্তে আস্তেই যাই, তবে বাবাকে তুমি যা শোনালে বাবার শিক্ষা হয়েছে আজকে।
মা- দরকার ছিল কেন অমন বাজে কথা বলবে। তুই ভালই জবাব দিয়েছিস। আস্তে চল পায়ের হিল চটি না পরে গেল পা মচকে যেতে পারে।
আমি- আমার হাত ধর বলতে মা আমার হাত ধরল। গায়ে গা লেগে যাচ্ছে ফলে মায়ের ডান দিকের দুধ বারবার আমার হাতে লাগছে।
মা- উঃ বলে একটা হোঁচট খেল। প্রায় পরে যাচ্ছিল।
আমি- অমনি মাকে ধরে ফেললাম। বা হাত দিয়ে মায়ের কোমর ধরে ফেললাম এবং আমার সাথে চেপে রাখলাম। তোমার হিল পরা অভ্যেস নেই তো। আস্তে আস্তে আমি তোমার কোমর ধরে হাটছি।
মা- হ্যা ভালো করে ধরিস আমাকে।
আমি- মায়ের কোমরে হাত দিয়ে হাটতে লাগলাম। এর মধ্যে সামনে আর লোক দেখলাম। ওদের পেছন পেছন যাচ্ছি আমারা। আবার রাস্তায় উঠতে আর সমস্যা হল না ওদের সাথে আমারা বিয়ে বাড়ি পৌঁছে গেলাম। গিয়ে উফার দিয়ে কফি খেলাম মা আর আমি দাঁড়ানো অনেকেই মাকে ঘুরে ঘুরে দেখছে। আমি মায়ের কানের কাছে মুখ নিয়ে বললাম দ্যাখ সবাই কেমন ঘুর ঘুর করে তোমাকে দেখছে।
মা- ওই জন্য তোকে বলেছিলাম আঁচল নামিয়ে দিতে দিলিনা।
আমি- মা এটাই আকর্ষণ বুঝলে। দেখে দেখুক না তুমি নরলাম থাকবে ইতস্থতা করবেনা বেশ সাব্লীল থাকবে।
মা- হু তুই একটা পাজি, মাকে এভাবে সাজিয়ে এনে মজা নিচ্ছ।
আমি- আরে মা কলকাতায় এগুলো কোন ব্যাপার না গ্রাম বলে এমন হচ্ছে।
এর মধ্যে আমার এক বন্ধু আরে বিজয় এসেছিস, কাকিমা নমস্কার কাকা আসেনি।
মা- না আমি আর বিজয় এসেছি, তোমার কে কে এসেছে।
সমীর- হ্যা মা বাবা এসেছে ওইত চলেন আলাপ করিয়ে দেই।
আমরা গেলাম ওদের সাথে কথা বলতে স্মিরের বাবা মা কাকু কাকিমাকে নমস্কার দিলাম। মায়ের সাথে পরিচয় হল। সমীরের মা আমার মায়ের থেকে কোন দিক দিয়ে কম না আর সেজেছে তেমন।
আমি- মা তবে তুমি আর কাকিমা কথা বল আমি আর সমীর ঘুরে আসছি।
মা- আচ্ছা।
আমি আর সমীর গেলাম সব ঘুরে দেখতে, সমীর বাইরে গিয়ে সিগারেট খেল আমাকে দিল কিন্তু আমি খাইনা বলতে বলল ভালো ছেলে ঠিক আছে। এর পর সমীরের সাথে অনেক গল্প করলাম। প্রায় এক ঘণ্টা ঘুরে আবার মায়ের কাছে এলাম। মা ও কাকিমা গল্প করছিল।
কাকিমা- এই বিজয় আমাদের বাড়ি এলেনা কেন আগে তো যেতে।
আমি- কাকিমা কি করব বাড়ি ফিরে মাকে একটু সময় দেই বাবা তো কিছুই করেনা আমাকে করতে হয়, যাবো একদিন।
কাকিমা- এস কিন্তু, এ পাড়ায় তুমি আর সমীর ছাড়া ভালো ছেলে কে আছে বল সব তো বকলমে। তোমারা দুই বন্ধু মিলে মিশে থাকবে।
আমি- আচ্ছা কাকিমা রাত অনেক হল খেতে বসবেন কি।
মা- মেয়ের পক্ষ এসেছে অনেক দুর থেকে ওদের হয়ে যাক তারপরে আমরা বসব।
আমি- তবে কি এখানে বসবে নাকি একটু ঘুরে আসবে।
মা- কোথায়
আমি- চল হাইরোডে যাই এদিকে তো আসনা তুমি।
মা- চলেন দিদি ঘুরে আসি।
কাকিমা- না এখন যাবনা। তোমার কাকু কোথায় গেল, এই সমীর দ্যাখ তো তোর বাবা কোথায় গেল।
আমি- চল মা একটু ঘুরে আসি।
মা- চল বলে দুজনে বের হলাম। মা আমাকে বসিয়ে রেখে কোথায় গেছিলি।
আমি- এইত পাশেই সমীরের সাথে ছিলাম।
মা- না বাইরে এসে ভালো লাগছে ভেতরে গুমোট গরম লাগছিল।
আমি- মায়ের হাত ধরে মা রাগ করনা বন্ধু ডাকল তাই না গিয়ে পাড়লাম না।
মা- আমার হাত ধরে ঠিক আছে সোনা। সমীরের মা অনেক ভাল ওরা তো অনেক বড় লোক তাই না।
আমি- হুম বল বসে ছিলে কেউ কিছু বলেছে।
মা- না তবে ছেলেগুলো আশ পাশ দিয়ে ঘুর ঘুর করছিলো।
আমি- করবেনা বলেছিলাম না সব তোমাকে দেখছিল।
মা- আমাকে দেখে কি করবে। আর কিই বা দেখবে।