মিলন - অধ্যায় ৮

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-29239-post-3191385.html#pid3191385

🕰️ Posted on April 18, 2021 by ✍️ Sonabondhu69 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1309 words / 6 min read

Parent
দেবরাজের বাড়ি থেকে বেরোবার সময় দেবরাজ বলেছিলো বাড়ি ফিরে সব ব্যাপারটা জানাবার কথা তাকে ফোন করে। দরকার পড়লে তাকে ডাকতে। আর এদিকে আমি ফালতু প্যাচাল করে যাচ্ছি। যাই হোক আমার জীবনের শুরু থেকেই বলি রাস্তায় যেতে যেতে। তখন আমার কতই বা বয়স হবে... তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র হবো হয়তো। আর দিদি ছিলো আমার থেকে পাঁচ বছরের বড়। আসলে আমার বাবা ছিল তার বাবার একমাত্র। বাবার দূরসম্পর্কের পিসি থাকলেও আমাদের সাথে তেমন যোগাযোগ ছিল না। আর আমার বাবার আমি আর আমার দিদি। জমিদারি চলে গেলেও আচার ব্যবহারে জমিদারি ভাবটা রয়ে গেছিলো বাবার মধ্যে। তাই বাড়ির থেকে বেশি বাইরের লোকদের নিয়ে মেতে থাকতো। বাড়ির লোকদের সময় দেওয়াটা যেনো অহেতুক একটা ব্যাপার ছিল বাবার কাছে। তাই আমার তৃতীয় শ্রেণীতেই একজন মাস্টার রাখা হয়েছিল।আর মাস্টার ছিলো মায়ের এক নিজের মাসতুতো দাদা। দিদির যাতে ভালো পড়াশোনা হয় তাই তাকে হোস্টেলে রাখা হয়েছিল অল্প বয়সেই। আমি পড়ে গেলাম বাড়িতে একা। আসলে ব্যাপারটা ছিল আমার মা আর আমার বাবা ছিল পাশাপাশি গ্রামের। মা ছিল সুন্দরী তাই বাবা সহজেই নিজের জমিদার বংশের ফায়দা উঠিয়ে মাকে বিয়ে করে ফেললেন। সবই ঠিক ছিল কিন্তু কোথাও যে একটা কিছু গন্ডগোল হচ্ছে মনে হলেও বুঝতে পারতাম না। মায়ের মাসতুতো দাদা সম্পর্কে আমার মামা। তার বাড়িটা ছিল একটু তফাতে অর্থাৎ তিন চারটে গ্রাম পরে। দিদির সাথে আমার খুব ভাব ছিল। কিন্তু কিছু করার ছিলনা। দিদি এক জায়গায় আর আমি এক জায়গায়। আমার মাষ্টারমশাই এর নাম ছিল বিনু, ভালো নাম বিনয় পদবী আজ আর মনে পড়ে না। তিনি আমাকে পড়াতে বসে প্রচুর মারতেন। তখন তো আর এখনের মতো নিষেধ ব্যাপারটা ছিলো না। আর মাও বলতো মাস্টার যেনো আমাকে কড়া হাতে স্বাসন করেন। তিনি মাঝে মাঝেই আমাকে খাতায় কিছু কাজ করতে দিয়ে উঠে চলে যেতেন। এরকমই একদিন আমাকে গুন ভাগ দিয়ে উঠে গেছে বিনয় বাবু, আমিও নিজের মতো কাজ শেষ করে বসে আছি। অনেক সময় কেটে গেছে। আর একা একা বসে থাকতে ভালো লাগছিলো না। গোধূলির আলো যেতে বসেছে। বাবাও বাড়িতে নেই। আর বাড়ির যে একজন কাজের লোক আর একজন মালি দুজন কাজের লোকের মধ্যে কাউকেই দেখছি না। এমনকি মাকেও দেখছি না। গেলো কোথায় সব! আমার খেলা ধুলা করার সময়ে পড়তে বসিয়ে দিয়েছে। খেলার সাথী আমার দিদিও হোস্টেলে। এমন সময় আমার পড়ার ঘরের বাইরে কিছু পাখিদের উড়ে যেতে দেখি জানালা দিয়ে। বড়ো জমিদারবাড়িটায় নিজেকে একলা লাগতে থাকে। আমি টুক করে বাইরে বেরিয়ে আসি। মাষ্টারমশাইকে প্রচুর ভয় পাই তবুও ছোটো মন গোধূলির পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হই। বাইরের দৃশ্য গ্রামের পরিবেশে দেখার মতো হয় গোধূলির আলোয়। আকাশ যেনো কেউ সিঁদুরে রাঙিয়ে দিয়েছে। রোদের তেজ নেই। মাঠ থেকে কিছু লোক ধানের বোঝা মাথায় নিয়ে ঘরে ফিরছে। এক বুড়ি ঠাকুমা তার হাঁসদের ডাকছে চই চই করে। কিছু গরু ছাগল দৌড়াদৌড়ি করে ছুটে চলে গেল। একজন সাইকেলের বেল বাজিয়ে চলে গেল। বাইরে এখনও পর্যাপ্ত আলো থাকলেও ঘরের ভিতর অন্ধকারই বলা যায়। কেউ এখনো একটা হ্যারিকেন জ্বালিয়ে দিয়ে গেলো না। আসলে বিদ্যুৎ তখনও গ্রামে আসেনি। বাড়ির দুজন কাজের লোক তো কোন ছাড়, মা বা মাষ্টারমশাইকেও দেখছিনা। আমাদের দোতলার বারান্দায় দাড়িয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে ভাবতে থাকি কেউ তো নেই, আমি তাহলে একটু নিচে থেকে ঘুরে আসি, অবশ্য একটু গা ছমছম করছিল।  যেই ভাবা সেই কাজ। আমি এক দৌড়ে সিড়ির কাছে চলে যাই। কয়েকটা ধাপ সবে নেমেছি অমনি একটা মেয়েলি হাসির শব্দ শুনে থমকে যাই। একটু পর আবার হাসির শব্দ শুনতে পাই। বুঝতে পারি এর উৎস কোথায়... শব্দটা আসছে সিড়ি থেকে নেমে একতলায় সিড়ির পাশের ঘরটায়। যে ঘরটায় অতিথি কেউ এলে খুলে দেওয়া হতো। মাঝে মাঝে বিনয় মাস্টারও রাতে থেকে গেলে ওই ঘরেই থাকতো। হাসিটা মনে হয় মায়ের। আমি আরো নীচে নামতে লাগলাম, বুঝলাম এটা আমার মা হাসছিল। সিড়ির শেষ ধাপের কাছে এসে কিছু কথাও শোনা যাচ্ছিল। আসলে সন্ধ্যার সময় ফাঁকা বাড়ি তাই একটুতেই অনেক জোরে আওয়াজ বাইরে আসছিল। আমি সিড়ি শেষ করে চুপ করে দাঁড়িয়ে গেলাম, প্রথমে ডাকতেই যাচ্ছিলাম কিন্তু মাস্টারের কথা শুনে থমকে গেলাম। বিনয়:- ও কি আর জানে ওর মা আমার কোলে বসে আছে..? সেই কথা শুনে মায়ের সে কি হাসি। বুঝলাম বিনয় মাস্টারও সাথে আছে। ভিতরে যে কি ব্যাপার চলছে বুঝতে পারছি না। আবার মায়ের গলা শুনতে পেলাম। " উফফ,,,,,, সব সময় শয়তানি..... উফফ.. ওগুলো তোমার না টিপলে চলেনা তাইনা...?" বিনয়:- ওগুলো তো আমার আর আমার জিনিস আমি টিপবো তাতে কে কি বলবে..! মা:- হ্যাঁ হ্যাঁ সোনা তোমারই ওগুলো। বিনয়:- এই আর একবার.. মা:- না গো আর হবেনা। ছেলেটা উপরে একা আছে। বিনয়:- ও একা তো, তাহলে আর একটা নিয়ে এলেই হয়। এবারেরটা আমি তোমাকে দেবো। আর ছেলেটাও একা থাকবেনা। এমনই ওদের কথোপকথন শুনতে শুনতে মনে হলো ওরা বুঝি আমাকে নিয়ে কিছু বললো তাছাড়া আর তো কিছু বুঝতে পারলাম না। তাই মনে হলো ওদের কাছে যাই একবার। দরজার পর্দা সরিয়ে হাতের ঠেলাতেই দরজা শব্দ করে খুলে গেলো। দরজা খুলতেই অন্ধকার ঘরের ভিতরেও জানলা দিয়ে আসা আলোয় দুজন আবছা অবয়বকে ঝটপট করে সরে যেতে দেখলাম। কে কে করে মা চমকে উঠলো, আমি বললাম আমি মা। ঘরের ভিতর দুজন মানুষ বুঝতে পারছি কিন্তু মুখগুলো সঠিক বোঝা যাচ্ছে না। একটা কণ্ঠস্বর শুনে আমার ভয়ে হাড় হিম হয়ে যায় যায় অবস্থা। "তুই এখানে কেনো?" আমি তখন যে কি বলবো ভুলে গেছি। আমি কিছু বলতেই পারছি না। তখনই আরো একটা কণ্ঠস্বর কানে এলো যেটা মায়ের "উত্তর দিচ্ছিস না কেনো মাষ্টারমশাইএর...?" মায়ের ধমক শুনে আমি থতমত খেয়ে গেছি। আবছা অন্ধকারেও দেখলাম মা একটা সাদা মতন কিছু তুলে নিয়ে আস্তে করে বললো "পরে নাও"। দেখি মাষ্টারমশাই সেটা কোমরে জড়াচ্ছেন, বুঝলাম ধুতি ছিল ওটা মাষ্টারমশাইএর। মা আমার উত্তরের অপেক্ষা না করে বাইরে চলে গেল। আমি ঠায় দাঁড়িয়ে আছি। মা যখন ফিরে এলো তখন মায়ের হতে হ্যারিকেন, মাস্টারেরও ধুতি পরা শেষ। হ্যারিকেনের আলোয় দেখলাম ঘরের মেঝেয় একটা হাতলবিহীন গদিওয়ালা চেয়ার, আর তার পাশে মায়ের ব্লাউজ পড়ে। আমি আস্তে করে মুখ তুলে দেখি মা আঁচলটাকে ভালো করে দুকাঁধেই চাপা দিয়েছে। তবুও দেখা যাচ্ছে গলার কাছ থেকে যে গায়ে কোনো ব্লাউজ নেই। মাষ্টারমশাই ধুতি পরা শেষ হতেই আমার কানটা ধরে মুলে দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন "কি রে বললি না তো" আমার কান গুল গুল করছে তখন। মায়ের হাত থেকে হ্যারিকেন নিয়ে আরেক হাতে আমার কব্জি ধরে টানতে টানতে উপরে নিয়ে চললেন মাষ্টারমশাই। আমি তো ভয়ে শেষ। আবার বলছেন "আজ তোর হচ্ছে"। পিছন ঘুরে মাকে ডাকতে গিয়ে দেখি মাও পিছনে পিছনে আসছে। আমার কান্না পাচ্ছে।কিন্তু হিড়হিড় করে টানতে টানতে হুড়মুড় করে যেভাবে আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো আমি কান্নার অবকাশই পেলাম না। আমার পড়ার ঘরের টেবিলে হ্যারিকেনটা নামিয়ে ছড়িটা হাতে তুলে নাচাতে লাগলেন, আর বলতে লাগলেন "বল কেনো গিয়েছিলি নিচে?" আমি এবার কেঁদেই ফেললাম। দেখি মাও দাড়িয়ে আছে অথচ কিছু বলছেনা মাষ্টারমশাইকে। একটা বাচ্চা যে অন্ধকারে ভয় পেতে পারে সেটা যেনো জানেনা ওরা। "কান্না একদম চুপ" মাষ্টারমশাইএর রাগী কণ্ঠস্বর। আমি ধমকে ওঠা দেখে চুপ। পিছন থেকে মা আমায় টেনে নিয়ে চেয়ারে বসিয়ে দিলো, পাশের চেয়ার টেনে নিজে বসে আমায় জিজ্ঞেস করলো "বল বাবা কেনো নিচে গিয়েছিলি?" মিষ্টি কণ্ঠে মায়ের জিজ্ঞাসা শুনে আমি মাকে জড়িয়ে ধরে বললাম "এখানে অন্ধকার বলে ভয় লাগছিল তাই" আমার কথা শুনে মা "ওলে বাবা লে" বলে জড়িয়ে ধরলো। আমিও মাকে জড়িয়ে ধরে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাঁদতে লাগলাম। তারপর কি হলো জানিনা কিছুক্ষণ সবাই চুপচাপ। মা আমার পিঠে হাত বুলিয়ে বললো "চল বাবা সর আমি সন্ধ্যেটা দিয়ে আসি বাইরে অন্ধকার হয়ে গেছে।" দেখলাম বাইরে সত্যি অন্ধকার, গ্রামে তুলসিতলায় ধুপ দেওয়ার পর ঝাই, শঙ্খের, ঘণ্টার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। আমি মাকে তবুও ছাড়তে চাইছিলাম না। মা আমার চোখে ভয় দেখে বললো "মাষ্টারমশাই কিছু বলবেনা, তুই বোস, আমি যাবো আর আসবো" বলে মা উঠে গেলো। মা চলে গেলে মায়ের চেয়ারে মাষ্টারমশাই বসে জিজ্ঞেস করলো "কি রে ভয় করছে?" আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললাম। মাষ্টারমশাই হেসে নিলেন হো হো করে। তারপর বললেন "ধুর বোকা তোকে কি আমি মেরেছি যে তুই কাঁদছিস...?" আমি চুপ করে রইলাম। আবার জিজ্ঞেস করলেন "তুই কি কিছু দেখেছিস বা কিছু শুনেছিস?" আমি কিছু বলতে পারলাম না। ভয় করতে লাগলো যদি সত্যি কথা বলি আর মার খাই, এখন তো মাও নেই যে একটু আগের মতো আটকাবে.. আমি:- আমি কিছু দেখিনি মাষ্টারমশাই, আর কিছু শুনিনি। ঝটপট উত্তর শুনে আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালেন, ততক্ষনে মা এসে গেছে দরজার কাছে। দেখলাম মায়ের হাতে সন্ধ্যা প্রদীপ আর পরনে আটপৌরে করে পরা শাড়ি। বাইরে বাড়িতে আলো জ্বলে গেছে। মাষ্টারমশাই মায়ের দিকে তাকিয়ে চুপ করলেন। তারপর মা চলে যেতে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বেশ মজা করে বললেন "কি রে গল্প শুনবি?" আমি মাষ্টারমশাইকে দেখলাম মুখে হাসি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন উত্তরের অপেক্ষায়। মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানলাম।
Parent