নৌকায় ঝরের রাতে মায়ের সাথে। - অধ্যায় ৩৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-63547-post-5671334.html#pid5671334

🕰️ Posted on July 20, 2024 by ✍️ momloverson (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1019 words / 5 min read

Parent
 আমরা বাড়ির ভেতর যেতে দেখি জামাইবাবু বাইরে বসা দিদি ভেতরে গেছে কাপড় পালটাতে। মা- শাপলা রাখতে রাখতে বলল বেশ বড় আর সবুজ শাপলা এনেছিস কালকে চিংড়ি মাছ আনবি কেমন। যা আগে ভেজা লুঙ্গি আর গেঞ্জি পালটে আয়। আমি- আচ্ছা বলে ঘরে গেলাম দেখি দিদি কাপড় পালটাচ্ছে, গিয়ে জরিয়ে ধরলাম উম আমার সোনা দিদি কি সুখ দিলি আমাকে। দিদি- এই ছাড় আমার স্বামী এসেছে পাগল যা হবার হয়ে গেছে এখন যেন কিছু না বোঝে। আমি- আচ্চাহ বলে লুঙ্গি পাল্টে নিলাম আর গেঞ্জি ছেড়ে জামা পড়ে নিলাম এবং হাতে ওই দুটো নিয়ে বাইরে এলাম। অবশ্য দিদি আগেই চলে এসেছে হাতে শাড়ী নিয়ে। দিদি- মাকে বলল কি বৃষ্টি নেমেছিল কোনমতে ভেজা আটকায়নি সব ধুতে হবে, দে ভাই দে আমি ঘাট থেকে ধুয়ে আনি। এই তুমি বস আমি এগুলো ধুয়ে আনি। জামাইবাবু- একা যাবে চল আমি যাই তোমার সাথে বলে ওরা চলে গেল ঘাটের দিকে। আমি- বেঞ্চে বসে পড়লাম মায়ের সামনে। মা- কিরে কষ্ট হয়েছে তাই না। আমি- হুম দুবার বলে কথা কষ্ট হবেনা। মা তবে যা গিয়ে একটু মাংস নিয়ে আয় আমি মসলা করি কেমন। আমি আচ্ছা বলে ঘরে গিয়ে টাকা আনলাম এরমধ্যে দিদি জামাইবাবু এল। আমি বললাম দাদা যাবেন নাকি বাজারে তো চলেন যাই। মা- বলল যাও বাবা ওর সাথে যাও আমি রান্না করি ওর বাবাও তাড়াতাড়ি চলে আসবে। জামাইবাবু- চল তবে বলে আমরা দুজনে বেড়িয়ে গেলাম মা আর দিদি বাড়ি থাকল। বাড়ি থেকে বের হতে আমাকে জিজ্ঞেস করল ভাই রিপোর্ট পেয়েছ কি। আমি- হ্যা পেয়েছি আরে মশাই আপনি কি খাওয়া দাওয়া করেন না নাকি আপনার তো পুস্টির অভাব আর কোন সমস্যা নেই, বাড়ি যাবেন নিয়মিত মাছ আর মাংস ফল খাবেন খালি খালি আমরা সবাই টেনশনে ছিলাম। দিদি একা সব খায় নাকি আপনাকে দেয় না আমি দিদিকে বকেছি কিন্তু মায়ের সামনে। দাক্তার তো দেখে ছুরে ফেলে দিয়েছে আর বলেছে কোন সমস্যা নেই। আর মা মনে হয় কোন কবিরাজের কাছে গিয়েছিল কি এনেছে আপনাদের দেবে মনে হয় ওই খাবেন সব ঠিক হয়ে যাবে। জামাইবাবু- ভাই আমাকে বাঁচালে কি তেনশনে ছিলাম, মায়ের যা কথা বাত্রা মানা যায়না বুঝলে। তবে ডাক্তার অভয় দিচ্ছে তো। আমি- আরে হ্যা আমাকে বকেছে ডাক্তার, আর বলেছে পুস্টিকর খাবার খেতে হবে এইনিয়ে কোন চিন্তা করতে হবেনা। ডাক্তার বলেছে মনের মধ্যে অনেক ভয় আর কিছু না বুঝিয়ে বলবেন তাহলেই হবে। এই বলতে বলতে বাজারে গেলাম আর মাংস নিলাম সাথে কিছু ফল কিনলাম গ্রাম ভালো ফল পাওয়া যায়না তবুও যা পেলাম নিলাম। আর একটা কথা দাদা। জামাইবাবু- বল ভাই। আমি- আপনি বিড়ি বাঃ সিগারেট খান কি। জামাইবাবু- না মানে ওই মাঝে মাঝে। আমি- হ্যা ডাক্তার বলেছে ওটা আমার দিদির জন্য আপনাকে ছারতে হবে তবেই আমার ভাগ্নে বাঃ ভাগ্নী হবে। আমি এখন আপনাকে একটা খাওয়াবো পড়ে কিন্তু আর না মনে থাকবে। ছোট শালা হয়েও জ্ঞান দিচ্ছি কিন্তু। জামাইবাবু- আরে না আমাদের ভালোর জন্যই তো তবে আর খাবো না বন্ধ। তুমি খাও কি। আমি- না আমার ওসব কোন নেশা নেই, ভালো কিছু হলে আছি ওইসবে নেই সেইজন্য আমার বন্ধুও কম। এবার চলেন বাড়ি যাই। দিদিকে আপনি বুঝিয়ে বলবেন ওর মন মরা হয়ে আছে আমি তো বড় দিদি সব বলতে পারিনা, মন খারাপ তাই সাথে নিয়ে গেছিলাম। জামাইবাবু- ভালো করেছ ভাই আমার বুক্টা হাল্কা হল এখন, মাকে মানে শাশুরিমাকে জিজ্ঞেস করতে পারছিলাম না। তোমার দিদিকে নিয়ে যাবো নাকি কয়েক দিনের জন্য রেখে যাবো। আমি- ওসব বাবা মা বলবে তবে যদি রেখে জান তবে আপনিও ওই কবিরাজের কথা মতন করে যাবেন মা বলবে হয়ত। আমাকেও তো বলে না মেয়েলি ব্যাপার। জামাইবাবু- সে ঠিক ভাই চল বাড়ি যাই আমি- আচ্ছা চলেন বলে বাড়ি চলে এলাম। মাকে মাংস দিলাম। মা- বলল তোরা বস আমি মাংস ধুয়ে আনি মসলা হয়ে গেছে চল বাবা ধুয়ে আনি। আমি- চল বলে দুজনে ঘাটে গেলাম যেতে যেতে জামাইবাবুকে যা যা বলেছি সব মাকে বললাম। মা- বলল খুব ভালো বলেছিস বুধিমানের কাজ করেছিস। চল বলে দুজনে আবার ফিরে এলাম। সবাই বসে আছি মা রান্না করছে, আমি বললাম মা আমার যেন জোরা ভাগ্নে হয় এই প্রার্থনা করি। মা- বলল তোর মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। সেই খবর যেন খুব তাড়াতাড়ি পাই। কতদিন হয়ে গেল নাতি নাতনির মুখ দেখবো বলে অপেক্ষা করছি। এই বলে মা দিদিকে বলতে লাগল তুই গিয়ে জামাইয়ের খেয়াল রাখবি সময় মতন খেতে দিবি ফল কিনবি দুজনে গিয়ে, ডাক্তার বলেছে পুস্টির অভাব আর কিছু না মনে থাকবে তো। দিদি- হ্যা ভাই এসে বলেছে আমাকে তুমি চিন্তা করনা আমি ওর আগের থেকে অনেক খেয়াল রাখবো। মা- বলল তোর বাবা আসুক দেখি টাকা পয়সা তোদের দিতে বলব বেয়ানের কাছে চাইতে হবেনা কেমন। বেয়াই নেই সে তোদের সামলে রেখেছে সব কি বোঝে ওনাকে বলতে হবেনা। এইসব কথা বলছি আমরা এর মধ্যে বাবা এসে হাজির, জামাইকে দেখে খুব খুশী, বাবা ঘরে যেতে মা পেছন পেছন গেল আর আমার কথা বাবাকে সব বলবে বলেই। কিছু সময় পড়ে মা আর বাবা এলেন এবং বাবা ওই কথা বলতে লাগলেন। মা- আরে তুমি যাও হাত মুখ ধুয়ে এস জামাই কতখন এসেছে অরা ভাইবোনে শাপলা আনতে গেছিল, খেতে দেই সবাইকে। বাবা- হাত মুখ ধুয়ে এল আর বলল দাও সবাইকে দাও মা তুইও বস। এই বলতে আমি দাদা বাবা আর জামাইবাবু খেতে বসলাম। খাওয়া শেষ হতে মা বলল যা মা জামাইকে নিয়ে ঘরে যা আমি আর তোর ভাই সব গুছিয়ে আসছি। অরা মানে বাবা দিদি আর জামাইবাবু ঘরে চলে গেল। মা খেতে বসল। মা- বলল তোর মাথা তো খুলে গেছে কি সুন্দর বলেছিস, সবাই খুশী জামাই কত খুশী এত বুদ্ধি তোর মাথায় এল কি করে। না তুই বড় হয়েগেছিস সব সামলাতে পারবি এখন। আমি- মা সব তোমার জন্য, মাল খালাস হলেই মাথায় বুদ্ধি খোলে বুঝলে। তবে সকালে কিন্তু আমার চাই। মা- কেন দিদিকে আর লাগবে না। আমি- না যা দিয়েছি হবেই গ্যারান্টি মা তুমি এই নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারো। মা- না রিস্ক নিয়ে লাভ নেই আর দুদিন রাখি আরো কয়েকবার দে ভালো হবে। জামাই ওর সাথে পারে নাকি কি বলেছে তোর দিদি। আমি- আমার মতন না অনেক ছোট ৬ ইঞ্চি আমার তো সারে সারে সাত তাইনা। মা- হুম বাবাকে ফেল করে দিয়েছ তুমি, আমার কষ্ট হয়ে যায়, ওর কষ্ট হয়নি। আমি- আবার কয় প্রথমবার জ্বালায় মরে যাচ্ছিল তবে দ্বিতীয়বার কোন সমস্যা হয়নি বুঝলে। দিয়ে অনেখন ঢুকিয়ে রেখেছিলাম ওকে উঠতে দেইনি ঐভাবে রেখে দিয়েছি। মা- উঃ খুব ভালো কাজ করেছিস ওইরকম দরকার। আমি- হ্যা সিহি করতে বারন করেছি এক ঘন্টা পড়ে বাড়ি এসে মনে হয় করেছে নাকি। মা- তা হলে হবে আর চিন্তা নেই আমার খাওয়া হয়ে গেছে চল এবার ওইঘরে যাই। এই বলে সব এক জায়গায় রেখে ঘর তালাবন্ধ করে ওই ঘরে গেলাম।  
Parent