নিষিদ্ধ বচন bipulroy82 - অধ্যায় ১৪৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-2640-post-96665.html#pid96665

🕰️ Posted on January 16, 2019 by ✍️ pcirma (Profile)

🏷️ Tags:
📖 820 words / 4 min read

Parent
নিষিদ্ধ বচন ১০০(৩) সমীরন একটা ভিডিও পাঠিয়েছে রাতুলকে। নানা বাসায় খেতে যাওয়ার সময় সেটা পেয়েছে। তানিয়া একটা আটাশ থেকে বত্রিশ বয়েসের লোকের সাথে কথা বলছে। আরো একটা ভিডিওতে লোকটা অন্য একটা মেয়ের সাথে কথা বলছে। দিনরাত তানিয়াকে কলেজে ব্যাকআপ দিতে সমীর তটস্থ ছিলো কটা দিন। এর মধ্যে এই লোকটাকেই নাকি তার সন্দেহের তালিকায় আনতে পেরেছে। লোকটার চেহারার কয়েকটা স্থির ছবি নিলো রাতুল। নানু বাড়িতে কামাল মামার রুমটাতে দরজা বন্ধ করে বসে মননোযোগ দিয়ে ভিডিওটা কয়েকবার দেখেছে। লোকটাকে দেখলে মনে হবে মধ্যবিত্ত কোন পিতা তার কন্যার জন্য কলেজগেটে অপেক্ষা করছে।কিন্তু লোকটার বয়স তেমন বেশী নয়। ভাল করে লক্ষ্য করলেই সেটা ধরা পরবে। সমীরন তাকে সন্দেহ করেছে কারণ লোকটা কলেজের ভিতরে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিলো।কিন্তু রাতুল লোকটাকে সন্দেহ করছে সম্পুর্ণ ভিন্ন কারণে। লোকটার হাঁটার স্টাইলে কিছু গোপন করার ভঙ্গি দেখতে পাচ্ছে সে। মামার টেবিলে একটা স্ট্যাম্প প্যাড পেলো। সেটা নিজের প্যান্টের ভিতর ঢুকিয়ে রুমের এদিক ওদিক হাঁটলো। নাহ্ এটা তার হাঁটাতে কোন পরিবর্তন আনছেনা। এবারে প্যান্ট খুলে সেটাকে দুই রানের চিপায় রেখে একটা মিষ্টির প্যাকেট বাধার সুতলি দিয়ে সেটা রানের সাথে বেঁধে নিলো। আবারো হাঁটার রিহার্সেল দিতে গিয়ে টের পেলো দুই রানে চিপায় কিছু রেখে হাঁটাই সম্ভব নয়। জিনিসটাকে হাঁটুর নিচে কাফ মাসেলের কিনার ঘেঁষে বাঁধলো পরেরবার। এবারে হাঁটার রিহার্সেল দিতে রাতুল বুঝে গেলো কাহিনী । লোকটার হাঁটুর পিছনে বা নিচে ভিতরের দিকে কিছু বাঁধা আছে। সেকারণে হাঁটার সময় স্বাভাবিক ফলথ্রু বজায় রেখে পা পিছনে বাঁকানো যায় না। লোকটার হাতের ব্যাগগুলো বিশেষ ভারী নয়। তাই সেখানে কোন অস্ত্র থাকার সম্ভবাবনা নেই। সেকারণে স্পষ্ট যে লোকটা তার হাঁটুর আশেপাশে কিছু বেঁধে রেখেছে। সমীরন লোকটাকে হারিয়ে ফেলেছে তানিয়ার সাথে কথা বলতে গিয়ে। রাতুলের একটু রাগ হয়েছে সেজন্যে। তাকে নির্দেশ দেয়া ছিলো সে কোনমতেই সেখানে তানিয়ার সাথে কোন কথা বলবেনা বা তানিয়াকে জানাবেনা সেখান তার উপস্থিতি। সমীরন সেটা মান্য করেনি। ছেলেটা তানিয়ার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। তাই তাকে দোষ দেয়া ঠিক হবে না।বাইরে থেকে আম্মু ডাকছেন রাতুলকে। রাতুল স্ট্যাম্প প্যাড খুলে প্যান্ট পরে নিলো।আম্মুকে দরজা খুলে দিতে দিতে ফোন পেলো সে আজগর সাহেবের। তিনি এক নিঃশ্বাসে বললেন তানিয়ার সাথে কথা বলা লোকটার কথা। তার লোক সদরঘাট পর্যন্ত পিছু নিয়েছিলো লোকটার। লোকটা সম্ভবত বরিশাল চলে গেছে ।কিন্তু তার অন্য একজন চর জানাচ্ছেন লঞ্চে সেই লোকটার সীট ফাঁকা ছিলো। লোকটা লঞ্চে ছিলো না ।আজগর সাহেবের ধারনা দু একদিনের মধ্যে তানিয়ার উপর এটাক হবে। রাতুল কিছু বলল না। সে লোকটার একটা স্টিল ছবি ক্যাপচার করে নিয়ে সেটা আজগর সাহেবকে সেন্ড করে দিলো। বার্তায় লিখলো-যদি এ লোকটাই আপনার লোকের হারিয়ে ফেলা মানুষ হয় তবে আমি নিশ্চিত ওর সাথে আমাদের মুখোমুখি হতে বেশী দেরী নেই। আজগর সাহেবের ফোন আবার রিসিভ করতে হল রাতুলকে। আম্মু তাকে বলছেন একবার শিরিনকে এখানে আনার জন্য ট্রাই করতে। রাতুল মায়ের কথার জবাব না দিয়েই নানু বাড়ি থেকে নেমে পিছনের জায়গাটায় চলে গেল আজগর সাহেবের সাথে কথা বলতে। আজগর সাহেব বিস্মিত রাতুলের পারফর্মেন্স দেখে ছবি পেয়ে যাওয়া কোন ছোট বিষয় নয়। এই লোকটাকেই তার লোক সদরঘাট পর্যন্ত তাড়া করেছে আজগর সাহেবের নির্দেশে। তিনি বারবার বলছেন-রাতুল আমাদের হাতে সময় বেশী নেই। আমার খুব কান্না পাচ্ছে। তানিয়া লোকটার সাথে হেসে কথা বলেছে এটা শুনতেই তার নাকি মনে হয়েছে লোকটা বড় মাপের পেশাদার খুনি।রাতুল বলল-আঙ্কেল প্লিজ ওয়েট ।আমি কাজ শুরু করছি এখুনি। রাতে আপনাকে ফিডব্যাক দেবো যদি সম্ভব হয়। নইলে ডেফিনিটলি কাল সকাল দশটার মধ্যে। আজগর সাহেবের সাথে ফোন কেটে দিয়ে সে ফোন দিলো বাবার বন্ধু জমশেদ আঙ্কেলকে।একটা ছবি দেখালে তার পরিচয় বলতে পারবেন আঙ্কেল যদি সে খুনের আসামী হয়-বলল রাতুল। আঙ্কেল জবাব দিলেন-চেষ্টা করে দেখতে পারি। রাতুল একটু সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলল-আঙ্কেল আজ রাতের মধ্যেই দিলে অনেক উপকার হবে। অনেক মুশকিলের কাজ আঙ্কেল, তবু চেষ্টা করে দেখি তুমি ছবিটা পাঠাও আমার কাছে-জমশেদ আঙ্কেল বললেন। লোকটার সাথে একবার ভুলবোঝাবুঝি হলেও তিনি জানেন না রাতুলই সেই ছেলে যার সাথে আজগর আঙ্কেলের বাসায় একটা বালকের গাড়ি এক্সিডেন্টে মরে যাওয় নিয়ে বিতন্ডা হয়েছিলো। আঙ্কেলকে ধন্যবাদ দিয়ে রাতুল মুরাদের ছবিটা সেন্ড করে দিলো তাকে। একটা সিগারেট ধরালো রাতুল। তার খুব টেনশান হচ্ছে। সিগারেটের অধ্ধেক শেষ হয় নি সে জমশেদ আঙ্কেলের ফোন পেলো। আঙ্কেল ওর নাম মুরাদ৷এর বাইরেও ওর অন্তত দশটা নাম আছে সতেরটা মার্ডার কেসের আসামী সে। তোমার সাথে কেনো পরিচয়? ওর সাথে লাগতে যেয়ো না। হজম করে ফেলবে। ওর সবচে বড় দুর্নাম হল ও যেসব খুন করে সেসব খুনে যে কেস হয় তাতে তার নাম থাকে না। যেসব কেসে থাকে না সেসব কেসে ওর নাম থাকে। খুব ভয়ঙ্কর কিলার সে। ভাড়ায় মানুষ মারে সবচে হাইরেটেড। নিশানা কখনো মিস হয় না । আঙ্কেলের কথা শুনতে শুনতে রাতুল বলল-আঙ্কেল লোকটার বর্তমান লোকেশন বলা যাবে। জামশেদ আঙ্কেল বল্লেন-ওকে র*্যাব খুঁজছে ক্রস ফায়ারে দিতে।রাতুল বলল-আঙ্কেল অনেক ধন্যবাদ। পরে কথা হবে। সে ফোন কেটে দিলো। আজগর আঙ্কেলের সাথে ইনফরমেশনগুলো শেয়ার করা ঠিক হবে বলে তার মনে হল না। সে বার্তায় আজগর আঙ্কেলকে জানালো-আঙ্কেল ডোন্ট গেট ওরিড৷ আ’ম বাহাইন্ড হিম, বাট আই উইল ক্যাচ হিম বিফোর হি ওপেন আ ফায়ার।রাতুল ঝটপট নানা বাড়িতে উঠে গেলো। মাকে মিথ্যে বলল-শিরিন মামি আসবেন না। তারপর সে বাবলির কাছে তার গাড়িটা ধার চাইলো দুই তিনদিনের জন্য। বাবলি কোন বাক্যব্যয় না করেই সম্মত হল গাড়ি দিতে। বাবলির গাড়ি নিয়ে রাতুল চলে গেল তানিয়ার বাসায়৷ তার কিছু খবর জানা খুবই জরুরী। আজগর সাহেব তাকে অনেক কিছু বলেন নি। তানিয়া সেগুলো তাকে জানালে সেটা তানিয়ার জন্যই ভালো হবে ।
Parent