নিষিদ্ধ বচন bipulroy82 - অধ্যায় ১৭২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-2640-post-96713.html#pid96713

🕰️ Posted on January 16, 2019 by ✍️ pcirma (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1769 words / 8 min read

Parent
নিষিদ্ধ বচন ১০৭(২) রাতুলকে কেউ ডেকে দেয় নি। ঠিক দুটোয় রাতুল নিজেই ঘুম থেকে উঠে গেল। বেশ ফ্রেশ লাগছে তার নিজেকে। বাথরুমে গিয়ে মুতু করে বাথটাব দেখে একটা শাওয়ারও দিতে ইচ্ছে হল রাতুলের। যেই ভাবনা সেই কাজ। শাওয়ার শেষে ফিরে দেখলো আজগর সাহেব অন্তত দুবার তাকে কল দিয়েছেন। চামেলি বেগমও একবার কল দিয়েছেন। চামেলি বেগম কেন কল দেবেন সেটা রাতুল বুঝতে পারছেনা। হয়তো তার কাছে কোন খবর আছে। সে চামেলি বেগমকে কল দেয়ার আগে আজগর সাহেবকে কল দিলো। তিনি টুকটাক খোঁজ খবর নিলেন। কোন বিশেষ তথ্য দেন নি। চামেলি বেগমকে ফোন দিতে গিয়ে রাতুল দ্বিধায় পরল। সাথেই মুরাদ ঘুমানোর কথা। তাকে ফোন দিলে মুরাদ টের পেয়ে যেতে পারে ভেবে সে চামেলি বেগমকে ফোন দিলো না। ফোন দিলো টিটুকে। টিটু হন্তদন্ত হয়ে বলছে-কিছু একটা ঘটছে হোটেলে যেটা স্বাভাবিক নয়। মুরাদ যে রুমটাতে থাকত সে রুমের বাইরে থেকে তালা লাগানো হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে সে খুবই চিন্তিত। রাতুল সমীরনকে ফোন দিলো৷ হোটেলের ভিতরেই সমীরন একটা রুমে অবস্থান করছে। সে অবশ্য জানেনা যে মুরাদের রুমে বাইরে থেকে তালা দেয়া হয়েছে। টিটু কি করে জানলো সেটা টিটুকে জিজ্ঞেস করে নিতে হবে। তবে সমীরন এখুনি গিয়ে দেখে বিষয়টা নিশ্চিত করতে চাইছে। রাতুল না করে দিয়েছে। বরং বলছে তুমি রুমেই থাকো। রুমের বাইরে গিয়ে কিছু করার চেষ্টা করবা না। তোমার রুমের কোন জানালা নেই? সমীর হ্যাঁ বলতে রাতুল বলেছে-সেই জানালা খুলে তুমি কি দেখতে পাও? সমীর বলছে সম্ভবত মুরাদ যে রুমে থাকে সে রুমের বাথরুমের জানালা চোখে পরে জানালা খুললে যদি বায়ে তাকাই৷ একটু কষ্ট করলে বাথরুমের একহষ্ট ফ্যানটা দেখা যায়। আর সামনে হোটেলের গ্রাউন্ড লন দেখি নিচে, সোজাসুজি সামনে দেখি নায়িকা অর্পার রুম। অর্পা তিনদিন ধরে আছে সেখানে। রাতুল ধমকে উঠলো। হোই মিয়া অর্পার খবর নিতে তোমারে কে বলেছে-বলতে সমীর লজ্জা পেয়ে বলল-ভাইয়া আমি কি মুরাদের বাথরুমের দিকে নজর রাখবো? রাতুল হ্যা উত্তর দিয়ে ফোন কেটে দিয়েছে। টিটুকে আবার ফোন দিতেই সে বলেছে বস আমার ধারনা মুরাদ হোটেল ত্যাগ করেছে। রাতুলের বুক ধরাস করে উঠল। কেন, এমন ধারনা করছেন কেন-প্রশ্ন করতেই সে বলল-বস রিদোয়ান তার দুইটা পালা কুত্তা মুরাদের রুমের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। একটা ইলেক্ট্রিশিয়ান মুরাদের বাথরুমের একহষ্ট ফ্যান লাগানোর জন্য বাইরে অপেক্ষা করছে। বাইরে মানে লবিতে। রাতুল বলল-আচ্ছা টিটুভাই আপনার এসব জানার সোর্স কি বলা যাবে? টিটু বলল-বস আমি নায়িকা অর্পারে রাতের জন্য কন্ট্রাক্ট করছি। তার বডিগার্ডরে টাকা দিছি কিছু। সে-ই আমাকে সব খবর এনে দিচ্ছে। বাই দ্যা ওয়ে অলক মামারে এসব বলার দরকার নেই। রাতুল হেসে দিল। বলল-অনেক খর্চা হচ্ছে না আপনার? টিটু বলল-সে হচ্ছে কিছুটা। সে নিয়ে আপনি ভাববেন না। কাজ শেষে বিল করে দিবো। রাতুল গম্ভীর হয়ে বলল-মুরাদ যদি সত্যি রুমে না থাকে তবে আমার ধারনা চামেলি বেগম বিপদে আছেন। ওরা চামেলি বেগমকে মেরে ফেলতে পারে। আর আমি সেটা চাই না। তাকে বাঁচানো সম্ভব টিটু ভাই? টিটু বলল-নিশ্চই। তবে এখুনি তাকে বাঁচাতে নেমে পরা ঠিক হবে না। রাতুল বলল-কিন্তু যদি এরই মধ্যে তাকে মেরে ফেলা হয়? টিটু চিন্তিত হল। বলল-বস বুদ্ধি দেন। হোটেলে রিদোয়ানের কম করে হলেও বিশটা কুত্তা আছে। ওদের কাছ থেকে এখুনি কিছু ছিনিয়ে নেয়া যাবে না। দুজনই তখন আজান শুনতে পেলো ভোরের। সমীরন একটানা রাতুলকে ফোন দিয়ে যাচ্ছে। টিটুর ফোন কেটে দিয়ে সমীরনের ফোন ধরতে সমীরন বলল-ভাইয়া এক্সহষ্ট ফ্যানটা নেই। সেখানটা ফাঁকা। রাতুল বলল-রুম থেকে ভুলেও বের হবে না আমি না বলা পর্যন্ত। ফোন কেটে দিয়ে রাতুল আজগর সাহেবকে ফোন দিলো। বলল-আঙ্কেল মুরাদের ফোন লোকেশন বলুন প্লিজ। সাথে সাথেই সে আবারো বলল-চামেলি বেগমের ফোন লোকেশনও দিন। আজগর- পেয়ে যাবে- বলে ফোন রেখে দিলেন। রাতুলের মনে হল রুপা মামির গলা শুনেছে সে ফোনের ওপারে। তিনি বলছেন-এই ভাইয়া কার ফোন পেয়ে বার বার উঠে চলে যাচ্ছো। এতো রাতে রুপা মামি ভাই এর বাসাতে গেলেন নাকি। তাকে সন্ধায় দেখা গেছিলো এক যুবকের সাথে রাজাবাজারের ভিতরে। রাতুলের সেসব নিয়ে ভাবনার সময নেই। তার সিক্সথ সেন্স বলছে চামেলি বেগম আর তানিয়া দুজনেই ভিষণ বিপদে আছে এখন। সে অপেক্ষা করল আজগর সাহেবের ফোন পেতে। বেমশ কিছু সময় পর আজগর তাকে ফোন দিলেন। তিনি জানালেন মুরাদের ফোন লোকেশন হোটেলের ভিতর। চামেলি বেগমের ফোন বন্ধ। শেষ সেটাকে দেখা গেছিলো মগবাজার চৌরাস্তার কাছাকাছি কোন টাওয়ারের অধীনে। রাতুল ফোন কেটে দিলো। শুয়োরের বাচ্চাটা বের হয়ে পরেছে। তার কাছে চামেলি বেগমের ফোন। সে রুম থেকে বের হয়ে কমপক্ষে দুজনকে সজাগ পেলো। এজনকে বলল আমার একটা ড্রাইভার সহ গাড়ি দরকার। আর একটা পিস্তলও দরকার। ছেলেটা তার দিকে চেয়ে বলল-আপনার নামেতো কোন পিস্তল লাইসেন্স করা নেই স্যার। রাতুল বলল-লাইসেন্স লাগবেনা। ছেলেটা কারো সাথে ফোন করে কিছু কথা বলল। তারপর বলল-স্যার কি এখুনি বেরুবেন? রাতুল হ্যা বলতেই সে বলল-স্যার কখনো পিস্তল চালিয়েছেন। না -বলতেই ছেলেটা বলল কোন সমস্যা নেই। সে ভিতরে চলে গেল আর ফিরে এলো সামান্য সময়ের ব্যাবধানে। রাতুলের হাতে পিস্তলটা ধরিয়ে দেখিয়ে দিলো কি করে সেটা চালাতে হয়। হাতের ছাপ মুছে ফেলতে কি করতে হবে ছেলেটা সেটাও বলে দিলো। যতটা সহজ মনে করেছিলো পিস্তল চালানো ততটা সহজ নয়। চারটা বেসিক নিয়ম মেনে চলতে হবে সেটা চালাতে। পিস্তলে বিচি থাকুক না থাকুক তাকে লোডেড মনে করে ধরতে হবে। কখনো সেটাকে কারো দিকে তাক করে রাখা যাবে না। ট্রিগারে হাতনরাখতে হবে কেবল গুলি করার প্রয়োজন হলে। টার্গেট এর পিছনে বিপদজনক কিছু নেই নিশ্চিত হয়ে গুলি করতে হবে।নিয়মগুলো জপতে জপতে রাতুল বেড়িয়ে পরল সেখান থেকে। রাতুলের অনুমান ভুল না হলে মুরাদ এখন হাতিরঝিলে একটা চাদর গায়ে জড়িয়ে মর্নিং ওয়াক সেরে নিচ্ছে। সে যদ্দুর অনুমান করতে পারছে সে অনুযায়ি লোকটা তানিয়াকে এ্যাটাক করবে কলেজ থেকে একটু দুরে। তবে হাতিরঝিলে লোকটাকে না পেলে রাতুলের জন্য মুশকিল হয়ে যাবে তানিয়াকে বাঁচানো। যে ড্রাইভার ছেলেটা গাড়ি চালাতে রাতুলের সাথে বের হল তার সাথে রাতুলের আগে কখনো দেখা হয়েছে বলে রাতুল মনে করতে পারলো না। গাড়ি স্টার্ট নিতেই রাতুলকে সে জিজ্ঞেস করল স্যার কোথায় যাবো।হাতিরঝিল বলতে এক ঝটকায় গাড়িটা বের হয়ে গেলো রাস্তায়। তার মনটা বড্ড পুড়ছে চামেলি বেগমের জন্য। চামেলি বেগম তার কথামতই চলেছে। তাকে বিপদে ফেলে নিজের মধ্যে অপরাধবোধ হচ্ছে রাতুলের। মহিলার এভাবে উটকো ঝামেলায় জড়িয়ে যাওয়ার জন্য রাতুলই দায়ি। সে আবার ফোন দিয়ে টিটুকে কিছু নির্দেশনা দিলো। হোটেলের ভিতরে একটা কেওয়াস পাকিয়ে দিলে রাতুলের ধারনা রিদোয়ান সে নিয়ে ব্যাস্ত থাকবে। চামেলি বেগমকে ততক্ষণ হয়তো বাঁচিয়ে রাখা যাবে। টিটু দ্বিমত করল না। কিন্তু সে বলল-বস এতো সকালে কেওয়াস করার মত সাতআটজন কোথায় পাবো। রাতুল বলল-আপনার সিটিকলেজ গ্রুপকে বলেন না। টিটু বলল-সাধে কি আর আপনারে বস বলি। হয়ে যাবে বস। কলেজের একটা গ্রুপ হোটেলে মাগনা থাকবে একরাত৷ এটা তাদের রাইটস এর মধ্যে পরে। কেওয়াস করার জন্য এরচে ভালো বাহানা আর হতে পারে না। রাতুল ফোন কেটে দিলো। পুরো হাতিরঝিল চষে খুঁজে পাওয়া গেল না মুরাদকে। এবারে তানিয়ার কলেজ থেকে বাড্ডা যাওয়ার রোড ধরে লক্ষ্য করতে হবে। এছাড়া রাতুলের মাথায় অন্য কিছু আসছে না। তখুনি আজগর ফোন দিলেন রাতুলকে। রাতুল চামেলি বেগম এখনো মগবাজার মোড়ে আছে। তার ফোন ওপেন হয়েছে। রাতুল ড্রাইভারকে বলল মগবাজার মোড়ে চলে যেতে। দুতিন মিনিট সময় লাগলো। ঢাকা শহর জেগে উঠতে শুরু করেছে। মানুষজন বেড়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাটে। রাতুল মোড়ে এসে গাড়ি থেকে নেমে গেলো। ড্রাইভারকে বলল ফ্লাই ওভারের নিচে কোথাও গাড়ি রাখতে। রাতুলকে অবাক করে দিয়ে মুরাদ তার সামনে এসে যেনো হাজির হল। পাজামা পাঞ্জাবী পরা লোকটার হাতে পেপার মোড়ানো একটা। অন্য হাতে ম্যাগাজিন স্টলে দাঁড়িয়ে বিঁড়ি ফুঁকছে সে। সিগারেটের দোকান থেকে সেও সিগারেট নিলো একটা। মুরাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরানোর উছিলায় পেপার মোড়ানো হাতটাতে ইচ্ছে করেই নিজের শরীর ঘেঁষে দিলো রাতুল। ছ্যানছ্যান করে উঠলো মুরাদ। এ ভাই গায়ে পরে মানুষের গায়ে ধাক্কা দিচ্ছেন কিসের জন্যি হ্যা-উত্তরে রাতুল মুচকি হেসে বলল-সরি আঙ্কেল। সারারাত ঘুম হয়নি। রিয়েলি সরি। রাতুলের অনুমান ঠিক। লোকটা পেপারের ভিতর কোন অস্ত্র রেখেছে। তাকে পাশ কাটিয়ে রাস্তার অপজিটে যেতে ফুটপাথ থেকে নেমে গেল রাতুল। রাস্তার অপজিটে যেতেই ফোন পেলো আজগর সাহেবের। তানিয়া ঘর থেকে বেড়িয়েছে জানালেন তিনি। টিটুকে ফোন দিতে সে জানালো বস মহাকান্ড হচ্ছে হোটেলে। সিটি কলেজের পোলাপান বাইরে হৈ চৈ শুরু করে দিয়েছে। রিদোয়ান তাদের সাথে কথা বলছে। সে বলছে হোটেলে ভিআইপি গেষ্ট আছে কোন সিন ক্রিয়েট করা চলবেনা। সে চারটা রুম দিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু পোলাপান দশটা রুম চাচ্ছে। রিদোয়ান পুলিশের ভয় দেখিয়েছে। রাতুল বলল খুব তাড়াতাড়ি মিটমাটের দরকার নেই। কিন্তু আজকে তানিয়াকে কারা এসকর্ট করবে আমি তাদের ফোন নম্বর আর নাম জানতে চাইছি। ম্যাসেজ দিচ্ছি বস বলে টিটু ফোন কেটে দিলো।রাতুল আবার ফোন করল টিটুকে। বলল-মুরাদের রুমের সামনে কোন প্রহরা আছে এখনো? টিটু বলল তালা ঝোলানো আর প্রহরাও আছে রাতুল নিশ্চিত হল অন্তত তখন পর্যন্ত চামেলি বেগম মরে যায় নি। এরই মধ্যে সে টিটুর কাছ থেকে তানিয়ার এসকর্ট টিমের নাম ফোন নম্বর পেলো। রাতুল তাদের সাথে যোগাযোগ করে বলল-আজ তাকে সিএনজিতে চড়তে দেয়া যাবে না। সে বাসে করে যাবে কলেজে। ছেলেগুলো রাজি হয়ে গেল। রাতুল দেখলো মুরাদ হাঁটা শুরু করে দিয়েছে। সে হাতির ঝিলের দিকে হাঁটছে। রাস্তা ক্রস করে রাতুল মুরাদের পিছু নিলো। লোকটা তার চেহারা নিশ্চই মনে রেখেছে। কোমরের পিস্তলটা রাতুলকে বেশ ডিষ্টার্ব করছে। এটাকে কোমরে নিতে এতো কষ্ট জানলে রাতুল একটা ব্যাগে সেটা বহন করত। একটা মোটর সাইকেল গারাজের সামনে দাঁড়িয়ে পরেছে মুরাদ। রেললাইনের ঠিক পাড়ে গারাজটা। রাতুল বুঝতে পারছেনা সে কি করবে। এক মহিলা বের হয়ে এসেছে। তার সাথেই মুরাদ কথা বলছে। একেবারে কাছ দিয়ে হাঁটার সময় রাতুল কথাগুলো খেয়াল করে বুঝলো মহিলার সাথে তার আগে কন্ট্রাক্ট আছে। সেটা হল কারো ঠিক করতে দিয়ে যাওয়া একটা মটরসাইকে মহিলা তাকে ভাড়া দেবে। কিন্তু বাইকটার কাজ একটু বাকি আছে। সেটা শেষ করতে মুরাদকে অপেক্ষা করতে হবে কিছু সময়। মহিলার সাথে ভিতরে গিয়ে বসে পরল মুরাদ। মহিলা কি গারাজের মালিক কিনা বুঝতে পারছেনা সে। দুটো ছেলে একটা এইটি সিসির হোন্ডা বাইক সারছে দোকানের বাইরে। সম্ভবত সেটাই মুরাদ ভাড়া নেবে। রাতুল রেললাইন ধরে হেঁটো রাস্তার ওপারে এসে ড্রাইভারকে ফোন দিলো। তার অবস্থান জানিয়ে দ্রুত চলে আসতে বলল সে তাকে। এ পাড়ে বড় কারের গারাজ আছে। গাড়ি চলে আসতেই রাতুল গারাজের একজনকে ধরে চুক্তি করে ফেললো সেখানে অপেক্ষা করার জন্য গাড়ি রাখতে। ড্রাইভারকে পাঠিয়ে দিলো বাইকের ওয়ার্ক শপটাতে। লোকটাকে চিনে নিতে বলল সেই সাথে মুরাদ যে বাইকটা নিচ্ছে সেটাও চিনে নিতে বলল। মুরাদ ধুরন্ধর পাবলিক। যে কোন মুহুর্তে সে হারিয়ে যেতে পারে। রাতুলের ব্যাকআপ প্ল্যান থাকা দরকার। বাইকের সাথে বাইক দরকার। একটা বাইক না হলে মুরাদ হারিয়ে যেতে পারে যে কোন সময়। রাতুল একটা বাইক কি করে পাবে ভাবতে ভাবতেই তানিয়া ফোন দিলো রাতুলকে। ভাইয়া একটা বাজে খবর আছে। আনিস সাহেবের সাথে আমার ভিডিওটা আমি আগে যে কলেজে পড়তাম সেখানে ছড়িয়ে পরেছে। আমাকে স্পষ্ট চেনা যাচ্ছে সেটাতে। কাজটা কে করল ভাইয়া? আব্বু বলেছেন তিনি করেন নি। আমাকে বিথী ফোন দিয়ে বলেছে। রাতুলের বুকটা কেঁপে উঠলো। কাকলি সেই কলেজেই পড়ে। টুম্পার কাজ এটা? রাতুল গম্ভির হয়ে বলল-তোমার এসব নিয়ে ভাবার দরকার নেই, তুমি কোথায় এখন? বাসে বলতেই রাতুল বলল-বুঝলামতো বাসে, বাসটা কোথায়? তানিয়া বলল-দাঁড়াও দেখে বলছি, ওমমম এটা রামপুরাতে। আজকে একটাও সিএনজিও পাইনি ভাইয়া। বাসের মধ্যে মানুষজন যা খুশী করছে। সাবধানে থেকো বলে রাতুল ফোন কেটে দিলো। টুম্পাকে একটা বার্তা পাঠানোর জন্য টাইপ করেও মুছে দিলো সেটা রাতুল। কারণ মুরাদ বাইকে উঠেছে আর বারবার কিক দিচ্ছে স্টার্ট নিতে। রাতুল পাঠাও কল করল একটা। এতো দ্রুত পেয়ে যাবে ভাবে নি সে। বাইক নিয়ে যে ছেলেটা এলো তার বয়স খুব বেশী নয়। আমি একজন মানুষকে অনুসরন করতে চাই বলল রাতুল। ছেলেটা বলল-ঘন্টায় চারশো টাকা দিতে হবে আর এই রাইডের টাকা আলাদা দিতে হবে। রাতুল রাজি হয়ে গেলো। কারণ মুরাদ বাইক স্টার্ট দিয়ে ফেলেছে। ড্রাইভার ছোকড়া দ্রুত এপারে আসতেই রাতুল বলল আপনি সেপারেট অনুসরন করেন আমাদের। ছেলেটা হেসে গাড়িতে চলে গেল।
Parent