নিষিদ্ধ বচন bipulroy82 - অধ্যায় ১৭৯

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-2640-post-96730.html#pid96730

🕰️ Posted on January 16, 2019 by ✍️ pcirma (Profile)

🏷️ Tags:
📖 2016 words / 9 min read

Parent
নিষিদ্ধ বচন ১০৯ (১)(শেষ পর্ব) অবশেষে সবাইকে প্রায় একশো ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন টেনশনে রেখে রাতুল বাস্তবে ফিরে এলো। ওর মাথায় চুল নেই। সারা মাথাতে ব্যান্ডেজ মুড়ে অদ্ভুত করে রাখা হয়েছে৷ গেলো একশো ঘন্টায় পৃথিবীতে কি হয়েছে রাতুল জানেনা। জ্ঞান ফিরতে একটু অদ্ভুত পরিবেশে নিজেকে আবিস্কার করে বুঝলো সে হাসপাতালে। চারদিকে কোন পরিচিত মুখ নেই। একটা এপ্রোন পরা মেয়ে তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে জানতে চাইছে -আপনার নাম কি? রাতুলের মুখ শুকনো। হাত নাড়াতে গিয়ে বুঝলো নানা যন্ত্রপাতিতে তার হাত ঠাসা আছে। মেয়েটার দিকে তাকিয়ে সে বলল-রাতুল। মুখের মাস্কটাতে কথক বেঁধে ফিরে এলো। তবু মেয়েটা বুঝল। মেয়েটা আবার প্রশ্ন করল। পিতার নাম মাতার নাম বাসার ঠিকানা কি করে সব জানতে চাইছে সে। রাতুল বুঝতে পারছে মহিলা তার স্মৃতি পরীক্ষা করছে। কিছু প্রশ্নের জবাব দিয়ে সে পাল্টা প্রশ্ন শুরু করল। এটা কোন হসপিটাল মেম? মেয়েটা একটা ভেটকি দিয়ে বলল-স্কয়ার হসপিটাল। আমার এপ্রোনের কাপড়ে মনোগ্রাম দেখে আপনার বোঝা উচিৎ ছিলো। রাতুল খুব ক্লান্ত বোধ করল। বলল-এখানে আমার আপন কেউ নেই কাছাকাছি? মেয়েটা বলল সবাই আছে, আপনি কাকে চাইছেন। রাতুল বলল-মাকে। আমার মা কি আছেন এখানে? মিষ্টি হেসে বলল-হুমম আছেন। এটা আইসিইউ। এখানে তাদের প্রবেশ করার সুযোগ নেই। রাতুল নিজেকে বিছনা থেকে উঠাতে চেষ্টা করল। তার মুখের মাস্কটা বাধা দিলো। সেটার সাথে লাগানো পাইপটা ছুটে গেলো। মেয়েটা -করেন কি করেন কি বলে রাতুলের বুকে হাত ঠেসে তাকে শুইয়ে দিয়ে বলল-আপনার মাথাতে অনেকগুলো আঘাত আছে। আপনি বড় ধরনের ইনজুরিতে আছেন নড়বেন না। রাতুলের মাস্কের পাইপ লাগাতে লাগাতে মহিলা শুনলো রাতুল বলছে-আমার অনেক কাজ আছে, আপনি মাকে ডেকে দিন। মেয়েটা মুখে আঙ্গুল দিয়ে তাকে চুপ করতে নির্দেশ দিয়ে বলল-আপাতত আপনার রেষ্ট নেয়া ছাড়া কোন কাজ নেই। আপনি মরতে মরতে বেঁচে গেছেন। আমি ডক্টরকে ডেকে দিচ্ছি। আপনি নড়বেন না। মেয়েটার উপর ভীষন বিরক্ত হল রাতুল। সে চেচাতে চাইলো। কিন্তু সত্যি সে ক্লান্ত। মেয়েটা রুম থেকে চলে গেলো। যখন ফিরলো তখন তার সাথে একজন বয়স্ক পুরুষও আছেন। ভদ্রলোক ভ্রু কুচকে থাকেন সব সময়। এসেই বললেন-মিঃ রাতুল অনেক ভুগিয়েছেন আমাদের। চুপচাপ শুয়ে থাকুন। যা বলব করতে থাকুন। লোকটা তাকে হাত পা আঙ্গুল নাড়াতে বলল। রাতুল বিরক্ত হয়ে বলল-ডক্টর আমার সব ঠিক আছে, আপনি আম্মুকে ডেকে দিন। আমি আম্মুর সাথে কথা বলব। ডক্টর রেগে গেলেন। চেচিয়ে বললেন-আপনার বাবার মত আচরন করবেন না, যা বলছি তাই করুন। রাতুলকে ডক্টরের নির্দেশ হাত পা নেড়ে দেখাতে হল। তিনি রাতুলের মাথার পিছনের দিকে মনিটরে তাকিয়ে বেশ কিছু রিডিং দেখতে দেখতে বললেন-ইন্টারেস্টিং। এতো দ্রুত রিকোভারি কখনো দেখিনি। এনিওয়ে আমরা আবার আপনার একটা সিটিস্ক্যান করব। তারপর আরো দুদিন আইসিইউতে রাখবো আপনাকে। এর মধ্যে দুএকজন স্বজনকে দেখতে পাবেন আপনি। ভদ্রলোক সাথের মেয়েটাকে নানা নির্দেশনা দিতে দিতে রুম ত্যাগ করলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই নাজমা ঢুকলেন রুমটাতে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে মা নিস্তেজ হয়ে আছেন। তিনি রাতুলের খুব কাছে এসে তার দিকে তাকিয়ে নিরবে চোখের জল ফেলতে ফেলতে শুধু বললেন-বাবু আমাকে চিরতরে ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলি? আমার কথা কিছু ভাবিসনি তুই? রাতুল মুচকি হেসে বলল-মা আমার কিছু হয়নি। তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেনো। নাজমা হাউমাউ করে কান্না শুরু করতে মেয়েটা এসে তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে গেলো। মেয়েটা ফিরে এসে রাতুলের স্যালাইনের থলেটাতে ইনজেকশান দিয়ে কিছু পুশ করল। ঘুমিয়ে পরল রাতুল। নাজমা সন্তানের কাছে থেকে ফিরতেই রুপা শিরিন তাকে জড়িয়ে ধরল। নাজমা কাঁদতে কাঁদতে শুধু বলতে পারলেন-আমার বাবু আমার সাথে কথা বলেছে। তোমরা ওর জন্য দোয়া করো। কি বলেছে প্রশ্নের উত্তর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানলেন ওরা। রুপা শিরিন ছুটে বাইরে চলে গেলো খবরটা সবাইকে দিতে। নার্স মেয়েটা নাজমাকে ধরে ধরে নিয়ে এলেন সবার কাছে। নানাকে হেদায়েত জড়িয়ে ধরে আবার হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করলেন। বললেন-বাবা আমি জানতাম আমার আব্বা আমারে ছেড়ে যাবেনা। নানা হেদায়েতের পিঠ চাপড়ে বললেন-অনেক জ্বালয়েছো এই চারদিন। এবার বাসায় যাও। রেষ্ট নাও। কর্মস্থলের খবর নাও। উত্তরা থানার চার্জ নাও তাড়াতাড়ি। পুলিশের কাজ মানুষের সেবা করা, নিজের আবেগে কান্না করা পুলিশের মানায় না। যাও হেদায়েত। জ্বি স্যার, মানে জ্বি আব্বা আমি এখুনি যাচ্ছি। নানা চোখে জল নিয়েও হেদায়েতের কান্ডে হেসে দিলেন। তিনি জামালকে নিয়ে একটু দুরে যেতেই টিটু দুজনের মাঝে এসে হাজির হল। নানা তার দিকে প্রশ্নবোধক ভঙ্গিতে তাকাতেই সে বলল-জ্বি আমি একটু জামাল ভাই এর সাথে কথা বলতে চাই। কে তুমি -জামাল প্রশ্ন করতেই সে বলল অলক মামার ভাইগ্না আমি। আমার নাম টিটু। জামাল মুখচোখ শক্ত করে বলল-তোমার মামা কামডা ভালা করেনাই টিটু।তারে আমি নিষেধ করছিলাম আমার ভাইগ্নার বিরুদ্ধে না খেলতে। হে আনিসের লোকজনরে হেল্প করছে। খুব খারাপ কাম করছে। ট্যাকার এতো অভাব তার! টিটু বলল-জ্বি আমি জানি। তিনি চরিত্র ধরে রাখতে পারছেন না। রাতুল বসরে আমি ধানমন্ডিতে কাভার দিসি। আনিস সাহেবের হোটেল থিকা বস একজন মহিলারে বাঁচাইতে বলছিলো আমারে। আমি গেছিলাম। কিন্তু পারিনাই। রাতুল ভাই আমারে দায়িত্ব দিসিলো তার যেনো কিছু না হয়। আমি তার সন্ধান পাইসি। তিনি গাজিপুরে। একটা রিজোর্টে বন্দি আছে আনিস সাহেবের কাছে। আপনি যদি পারমিশন দেন তো আমি তারে সেখান থিকা বের করে আনতে পারি। পাটোয়ারি সাহেব বুঝলেন এসব কথাতে তার থাকা সাজে না। তিনি নিজেকে দুরে সরিয়ে নিয়ে গেলেন। জামাল বললেন-কে মহিলা? রাতুলের সাথে তার কি সম্পর্ক? টিটু বলল-জানিনা আমি জামাল ভাই। বস দায়িত্ব দিসে আমি পালন করতেসি। বসরে আমার খুব ভালো লাগে। তিনি খুব ডেয়ারিং মানুষ। সৎ মানুষ। তাই আমি আপনার পারমিশান চাচ্ছি গাজিপুরে অপারেশন চালাতে। জামাল বললেন-হোই মিয়া তুমি তো রাতুলের বড় হইবা, অরে বস বস করো ক্যা? টিটু লজ্জার হাসি দিয়ে বলল-তিনি শিক্ষিত মানুষ। তারে আমি শ্রদ্ধা করি। অন্য কিছু না। তারে মনে ধরছে দেইখাই মামার বিরুদ্ধে গিয়া আমি তারে হেল্প করছি।তানিয়া মেডামরে কাভারে রাখসি। জামাল বললেন-গাজিপুরে সে কার কাষ্টডিতে আছে? টিটু উত্তর করল-আনিস সাহেবের। ঠিকআছে, তোমার সেখানে অপারেশন চালাতে হবে না। তুমি যাও নিয়া আসো তারে সেখান থেকে। আমি আনিসরে বলে দিচ্ছি। বলেই জামাল আনিস সাহেবকে ফোন দিলেন। শোনেন অনেক কিছু হইসে। যেমনে বলি তেমনে কাজ করবেন। গাজিপুরে কোন মেয়েমানুষ আটকা আছে। আমি লোক পাঠাচ্ছি। তার কাছে দিয়ে দিবেন। বলে জামাল ফোন কেটে দিলেন। টিটু- থ্যাঙ্কু, আমি এখন যাই-বলতে জামাল তাকে সম্মতি দিলো যেতে। রাতুলের ভক্ত ছেলেটা। একটা ঘটনায় এতো মেয়েমানুষ জড়াইলো কেন বুঝতে পারছেন না জামাল। তিনি বাবার কাছে গেলেন। বাবা তাকে যা বলল তার সারসংক্ষেপ প্রায় তিনচার লক্ষ টাকা খরচা হয়েছে আরো হবে। এযাবৎ আজগর কাউকে কোন খরচা করতে দেননি। ছেলের বৌ এর বড় ভাই এর কাছ থেকে এতো টাকা নেয়া ঠিক হচ্ছে না। সেগুলো ফেরৎ দেয়া দরকার। জামাল বলল-আব্বা আপনি এসব নিয়ে ভাইবেন না। হেদায়েতের ইনকামতো জানি আমি৷খরচার ট্যাকা আমি সব আনিসের কাছ থিকা নিবো। পাটোয়ারি বললেন-বাদ দাও জামাল। আনিসের সাথে অনেক হিসাব কিতাব হয়ে যাচ্ছে। রাতুল আনিসের মেয়ের সাথে প্রেম করে। ভবিষ্যৎ কুটুমদের সাথে ঝামেলা রাখা ভাল হবে না। জামাল বললেন-বাবা ওই বিয়ে হবে না। আনিসের মেয়ে আনিসের চাইতে ভালো হবে না। ছোটভাই এর নাম শুনছেন না? আর্মস ডিলার। আসামের উলফাদের সাথে দরহরম মহরম তার। আমার কাছে খবর আছে ছোটভাই আনিসের মেয়েরে বিয়া করতে চাচ্ছে। মেয়েটা নিমরাজি করছে এখন। কিন্তু ছোটভাই এর সম্পদের কাছে ওরা বাপ মেয়ে বেচা যেতে সময় লাগবে না। নানা মুখ কালো করে ফেললেন। বললেন-যা-ই হোক আমাদের ওসব জানার দরকার নেই৷ আমাদের রাতুলের ট্রিটমেন্ট আমরা করব। আজগর সাহেব কোত্থেকে উদয় হলেন। বললেন তালোই মশাই কি বলছেন আপনারা এসব! সবকিছুর জন্য আমার খুব গিল্টি ফিলিং হচ্ছে। আমি তো বলেছি রাতুলের ট্রিটমেন্টের খরচা যা হবে আমি দেবো। তিনজনকে অবাক করে দিয়ে কামাল উদয় হলেন হাতে একটা পোটলা নিয়ে। বেচারা কয়টা রাত ঘুমায় নি। প্রিন্সের মত দেখতে ছেলেটা উদ্ভ্রান্তের মত রাত দিন হাসপাতালের আশেপাশে কাটিয়েছে। নাজমাকে দেখলেই ফুপিয়ে কেঁদেছে। যারে দেখেছে তারেই বলেছে-ভাই আমার ভাইগ্নাটার জন্য একটু দোয়া কইরেন। খুব বড় মনের মানুষ পোলাডা। হে ছাড়া আমাগো জীবন অচল হয়ে যাবে। তিনজনের মাঝে উদয় হয়ে কামাল পোটলা থেকে পাঁচটা একহাজার টাকার নোটের বান্ডিল বের করে দিলেন। পাটোয়ারি সাহেব চোখ বড় বড় করে বললেন-তুই টেকা পাইলি কৈ কামাল? কামাল বললেন-আব্বা আমার সঞ্চয়পত্র বেইচা আনছি। দরকার লাগলে আরো আনুম। এগুলা নিয়া কি কবরে যামু আমি? আজগর ছোঁ মেরে তার হাত থেকে টাকাগুলো নিয়ে নিলেন। বললেন-কামাল যে কি সব করো না আমার বোনরে না খাওয়ায়া রাখবা নিকি।সঞ্চয়পত্র বেঁচতে গেলা কেন? জামাল কামলকে জড়িয়ে ধরলেন। ও ভাই, তোর ইনকাম কত আমি জানি। তুই জমাইলি কবে এই টেকা। আর ভাঙ্গতাসোস কেন এখন? আমার কিছু হইলে তোরে কে দেখবে? তোর বুকটা এতো বড়, ভাই? আমি জানতাম না আব্বা আপনে জানতেন? পাটোয়ারি সত্যি কেঁদে দিয়েছেন। তিনিও কামালের একটা হাত ধরে বললেন-তোরে সবাই ছোট মনে করে। তুই সবার বড়। তোর মনটা অনেক বড়। তুই টাকাগুলা খরচ করিস না। রাতুলের জন্য আমরা সবাই মিলে ব্যবস্থা করে ফেলবো। তুই ভাবিস না। আজগর বাবা আর দুই সন্তানের মধ্যকার আবেগঘন পরিবেশ দেখে বললেন-রাতুলকে আমরা সবাই পছন্দ করি। আমি ভাবতাম আমি সবচে বেশী পছন্দ করি। কিন্তু দেখছি রাতুলের জন্য আমরা যারা চিন্তা করছিলাম তাদের মধ্যে কামাল সবার থেকে এগিয়ে। তার চিন্তায় কোন দেনা পাওনা নাই। আমার চিন্তায় দেনা পাওনা আছে। জামাল চোখ বড় বড় করে বললেন-তোমার দেনা পাওনাটা কি আজগর? আজগর উত্তর দেয়ার সুযোগ পেলেন না।চারজন পুরুষ দেখলেন-টুম্পা বিধ্বস্ত শরীর নিয়ে এগিয়ে আসছে তাদের দিকে। আজগরের কাছে এসেই সে তাকে জড়িয়ে ধরল। ফুপিয়ে কেঁদে উঠে বলল-আব্বু থ্যাঙ্কু সো মাচ। আমি বাসায় যাচ্ছি। তোমার গাড়িটা নেবো। আজগর টাকাগুলো কামালকে ফেরৎ দিলেন। রাখো কামাল। দরকার হলে চাইবো আমরা তোমার কাছে। আপাতত রাখো তোমার কাছে। তারপর আজগর সবার থেকে বিদায় নিয়ে টুম্পাকে নিয়ে বাসায় রওয়ানা হলেন। তারও শরীরটা আর টানছেনা। এতো টেনশান গেছে কদিন যে পায়ের গাঁটে পর্যন্ত ব্যাথা করছে। মেয়েটাও সত্যি দুদিন হাসপাতালেই ছিলো নাজমার সাথে লেগে লেগে। আনিস জামালের ফোনে এখন ভয় পান নি। অনেক দুঃসময়ের মধ্যে তিনি একটা অবাক করা সংবাদ পেয়েছেন। ছোটভাই, মানে এমপি সাহেবের ছোটভাই তার মেয়েরে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিসে। এমপি সাহেব নিজেই দিসেন। তিনি স্ত্রীকে ফোনে জানিয়েছেন। স্ত্রী যেনো তার সব অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছেন। যদিও কাকলির বিষয়টা জানতে পারেন নি তিনি। রাতুলের সাথে নাকি তার সম্পর্ক ছিলো। তার স্ত্রী জানেন বিষয়টা। বললেন-ধুর রাখেন আপনের রাতুল। এরে বেঁচলে সব মিলে দশটাকা পাবেন? ছোটভাই হাজার কোটি টাকার মালিক। কাকলি বুদ্ধিমতি মেয়ে। এসব রাতুল ফাতুলের কথা তার মনে থাকবে না ছোটভাই এর সাথে বিয়ে হলে। আপনি তো জানেন না কাইল দুইজনে গুলশানে একটা জাপানিজ হোটেলে ডিনার করছে একসাথে। স্ত্রীর সাথে ফোন শেষ করে তিনি সুমিরে ডেকেছেন। বুঝলা সুমি আমার দুই কন্যা, একটার বিবাহের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। অন্যটা হইলা তুমি। তোমারেও আব্বু বিবাহ দিবো। অনেক বড় ঘরে বিবাহ দিবো। তবে ছেলেরে একটু ধ্বজভঙ্গ হতে হবে। বরের কাজতো আব্বুই করে দিবো। তুমি সেইটা নিয়া ভাইবো না। আব্বু তোমার পেটে বাবুও দিবো। সুমি লজ্জায় লাল হয়েছে। আনিস অপেক্ষা করেছিলেন মেয়েটা তারে আব্বু বলে ডাক দিবে। মেয়েটা দেয়নি আব্বু ডাক। তবু মন খারাপ হয়ে নেই আনিসের। তিনি মন্ত্রীর সাথে ফোনে বিবাহের প্রস্তাবের কথা বলেছেন। মন্ত্রী বলেছেন-কও কি আনিস। শুভ কাজ তাড়াতাড়ি সারো। তুমি যেমনে উপরে উঠতাসো কয়দিন পরেতো মন্ত্রী হইয়া যাবা। আগামী ইলেকশানে খাড়াইবা নিকি আনিছ। এই একটা প্রস্তাব পেতে আনিস কতদিন অপেক্ষা করছেন। তবু তিনি ছিনালি করে বলেন-কি যে বলেন না স্যার। হোই মিয়া স্যার স্যার কইরো না আর। ছোটভাই এর কাছে মাইয়া বিয়া দিবা। হের টেকায় দল চলে, সরকার চলে, ক্ষমতা চলে। এহন আর স্যার কইয়া সরম দিয়ো না। ভাই কইবা। আর হোনো ইলেকশানে খারাইবা। আমি নেত্রির সাথে বইলা দিসি তুমি চাঁদপুর তিন আসনের একমাত্র যোগ্যপ্রার্থি। দেশের বাড়ির আসন না ওইটা তোমার? আনিস পুট্কি ফুলিয়ে বলল-হ্যা স্যার, মানে নেতাভাই আমার বাড়ি চাঁদপুর তিন আসনেই পরছে। হ হ জাইনাই কইসি। বাড়ি যাবা, ঘন ঘন বাড়ি যাবা। জনসংযোগ করবা। ট্যাকা খরচা করবা। বুঝলা আনিস ভাই আমি তোমারে গুরু ডাকবো। নাদিয়ার মত আর কোন পিস নাই আনিস ভাই তোমার কাছে-নেতামন্ত্রী রীতিমতো তোয়াজ করছেন আনিসকে। আনিস বিষয়টা সামলে বললেন-নেতাভাই আপনার জন্য পিস পয়দা করবে আনিস। এহন বলেন তো এক মহিলা আছে আমার কাষ্টডিতে তারে জামাল ছেড়ে দিতে বলছে। ছাড়বো না হজম করে দিবো? ধুর আনিসভাই। মহিলাদের হজম করতে নাই। ওদের ফুটার অনেক ব্যবহার আছে। ভাইলে ভাইলে ফুটা ব্যবহার করো। এহন আর খুনখারাবিতে যাওয়া ঠিক হবে না। ইলেকশানে জিততে হবেতো। বুঝলা আনিস ভাই, তুমি আমারে আইজ ওই আইন মন্ত্রীর কাছে যারে পাঠাইছিলা তার দাও। তোমার মেয়ের বিয়ের কাহিনী শুনে আমার বিবাহ করতে ইচ্ছা করতেছে আরেকটা। কন্যার বয়েসী কাউরে বিবাহ করতে পারলে মন্দ হত না, কি বলেন আনিস ভাই? হাহাহাহাহা। আনিসকে আপনি সম্বোধন করে নেতামন্ত্রী যেনো ধন্য হয়ে গেলেন। নাদিয়া কালই ফিরেছে। মেরি বিশ্বাসও হোষ্টেলে আছে। স্বপ্না তুলি নামের একটা কচি ছেমড়িরে লেসবিয়ান খেলসে মোহাম্মদপুর হোস্টেলে। তারে ইয়াবাও ধরাইসে। মেয়েটারে দেখসেন তিনি। খুব কচি। দুদুগুলা মাত্র গজাচ্ছে। খুব নাকি খেলোয়াড়। সপ্তাখানেকের মধ্যে তুলি রেডি হয়ে যাবে। তারে কারো কাছে পাঠানোর আগে তার ভোদার পানিতে সোনা গোসল করিয়ে নেবেন আনিস। রাজুরে দিয়ে ক্ষণে ক্ষনে হোগা মারাতে সেই মজা। তবে প্রথমসময়কার মত নিজ থেকে বীর্যপাত হচ্ছেনা আনিসের। সেটাই ভালো। আউট হয়ে গেলে মজা থাকে না। পোন্দের মধ্যে ছেলেটার বীর্য নিয়ে সুমিরে হাতাতে ভীষন পুলক লাগে তার। মুরাদ কাল ক্রসফায়ারে জান হারাইসে। নেতামন্ত্রীই ব্যবস্থা করছে এসবের। সেজন্যে অবশ্য বাহিনীকে বিশ লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে। মুরাদ কোঅপারেট করতে চায় নি। তাই উপায় ছিলো না এছাড়া। তার লাশটা অবশ্য নিজ খরচায় তার দেশের বাড়ি পাঠিয়েছেন আনিস। লাশের সাথে তার কোন শত্রুতা নেই। আল্লাহ্ নারাজ হবেন। জানাজার ইমামতি তিনিই করেছেন। মরা লাশটা দেখে গা ছম ছম করেছে আনিসের।
Parent