নতুন জীবন - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-40501-post-3643655.html#pid3643655

🕰️ Posted on August 28, 2021 by ✍️ ambrox33 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 629 words / 3 min read

Parent
আকাবাকা মেঠো পথের গোমতী নদীর ধারে ছোট্র একটা গ্রাম। অন্যান্য  গ্রামের তুলনায় লোক সংখ্যা অনেক কম হলে ও গ্রামের মানুষ গুলো অনেক ভালো। আশেপাশে গ্রামের মত এই গ্রামে কোন দলাদলি নেই, নেই কোন ঝগড়াফাসাদ মারামারি তাই আশপাশ গ্রামের মানুষ এই গ্রামকে আদর্শ গ্রাম নামে ডাকে। যদিও গ্রামের নাম মির্জাপুর। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ গরীব বলে বাজারে কাজ করে তাদের জীবিকানির্বাহ করে। সবাই যে গরীব তা কিন্তু নয়। কিছু কিছু লোক আছে যাদের আবার অঢেল ধন সম্পদ, এই সম্পদ কেউ নিজে কামাই করে সংগ্রহ করছে আবার কেউ বাপ দাদার আমল থেকে পেয়েছে। গ্রাম ছোট্র বলে পরিচিত হলেও গ্রামে কিন্তু অনেক বড় বড় বাড়ি আছে বড় বড় বলতে বংশ পরম্পরায় অনেক বড়। তেমন একটা বাড়ি হলো অদু মিয়ার অদু মিয়া আজ নেই কিন্তু তার নামেই বাড়ির পরিচিত পেয়েছে । সবার ডাকে অদ্দা গোষ্ঠী নামে , অদু মিয়ার পাচ ছেলে দুই মেয়ে তারা সবাই এখনো অনেক প্রতিষ্ঠিত। অদু মিয়ার সব সন্তানের মধ্যে সব চেয়ে ছোট ছেলে অনু মিয়াই বেশি টাকা পয়সার মালিক। অনু মিয়ার কিছুই ছিলো না একটা সময় বিদেশ গিয়ে অঢেল ধন সম্পদের মালিক হয়েছে । বাজারে দুই তিনটা ভিট ও কিনেছে কোটি টাকা দিয়ে গ্রামের অনেক জাগা জমি ও কিনেছে, আসলে অনুর ভাগ্য যে এত তাড়াতাড়ি বদলে যাবে ক্ষুনাক্ষরে কেউ ভাবেনি। এর সবকিছুর পেছনে অবশ্যই একজনের অবদান বেশি সেটা হলো অনুর বউ কোহিনুর বেগম। কোহিনুর বেগমকে বিয়ে করার পর থেকে সব কিছু অনুর অনুকূলে অটোমেটিক আসার শুরু করেছে। অনু মাটিতে হাত দিলে সেটা সোনা হয়ে যাচ্ছে এতটা দ্রুত সব কিছু বদলাতে শুরু করছে। ধন সম্পদ বাড়তে থাকলেও একটা জিনিস আবার অনুর কমে যাচ্ছিল যা কারো কল্পনায় ছিলো না সেটা হলো তার হায়াত। বিদেশে টাকার পেছনে ছোটাছুটি করতে করতে একদিন নিজেকে অনেক অসুস্থ বোধ করে।  কয়েকদিন সেখানে ডাক্তার দেখিয়ে কাজ হচ্ছে বলে ছুটি নিয়ে দেশে আসে অনু। অনু মিয়া দেশে আসছে শুনে সব চেয়ে বেশি খুশি হয় সুন্দরী কোহিনুর, তিন বছর আগে একবার এসে গেছে। এই তিনটা বছর স্বামী ছাড়া কিভাবে পার করছে সেটা এক মাত্র জানে কোহিনুরই ।কোহিনুর বেগম এর মত সুন্দরী মহিলারা স্বামী ছাড়া কতটা কষ্টে জীবন পার করে সেটা ভোক্তভোগী না হলে বুঝবে না। শুধু যে ধন সম্পদেই সুখ সেটা ভুল কিছু সুখ থাকে অন্যকিছুর মাঝে সেটা হারে হারে টের পায় কোহিনুর বেগম। তাইতো এত দিন পর সেই সুখের সাগরে সাতার কাটবে ভেবে কোহিনূর এতটা উত্তেজিত আনন্দিত. অনু মিয়া যে অসুস্থ হয় দেশে আসছে সেটা কাউকে জানায়নি নিজের বউ না সন্তান আরাফাতকে. আরাফাত হলো অনু আর কোহিনুর এর এক মাত্র সন্তান. এর মধ্যে অনু দেশে আসে। অনুর দেশের আসার পর কয়য়েক দিন কাউকে কিছু না বললেও একটা সময় সেটা নিজের বউয়ের কাছে বলতে বাধ্য হয় কারন দিন দিন তার শরীর খারাপের দিক যাচ্ছিল। স্বামীর অসুস্থতার কথা শুনা মাত্র যেন কোহিতুর বেগম এর মাথায় আকাশ ভেংগে পরে। কান্নাকাটি  শুরু করে বিমর্ষ কোহিনুর বেগমকে স্বামী শান্তনা দেয় সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে ভালো একজন ডাক্তার দেখালে। তারপর শুরু হয় ডাক্তারের কাছে আসা যাওয়া এভাবে কিছুদিন চলতে থাকে অনেক ডাক্তার দেখায়।  ডাক্তার দেখিয়ে কোন ফল পাচ্ছেনা বলে গ্রামের কিছু মানুষ এর কথায় কবিরাজ দেখানো শুরু করে কবিরাজ দেখিয়ে ব্যর্থ হয় অনু মিয়ার শরীর ধীরেধীরে খারাপ থেকে আর ও খারাপ  হতে থাকে। স্বামীর  এই অবস্থা  দেখে কোহিনুর  বেগম এর কান্নাকাটি  আর ও বেড়ে যায়। ছেলে আরাফাত কেমন ও জানি বিমর্ষ  হয়ে পড়ে বাবার অসুস্থতা দেখে। আশপাশ  মানুষ  অনু মিয়াকে দেখার জন্য ছুটে আসে।  আত্মীয় স্বজন দূর থেকে আসা শুরু করে, অনুর বোন সুকিয়া ভাইয়েরা  চিন্তায় মুষড়ে  পরে। কোহিনুর  বেগম এর বাপের বাড়ি থেকে লোক আসে আরাফাতের মামা মামীরা এসে কোহিনুর  বেগমকে  শান্তনা দেয়।  কোহিনুরের বয়স্ক মা আসতে পারে না বাধ্যকজনিত কারনে। আরাফাতের মামা মামীরদের দুঃশ্চিন্তা বাড়তে থাকে কোহিনুর  বেগম কে নিয়ে।  কারন কোহিনুর এর বয়স তো তেমন নয় এই বয়সে বিধবা হয়ে যাবে ভাবতেই যেন কেমন ভেংগে  পড়ে আরাফাতের  মামা মামী।  একটা সময় কোন লাভ হয়না সবাইকে ছেড়ে অনু মিয়া একদিন বিদায় নেয় ।অনু মিয়া মারা যাওয়ার পর থেকেএই অসহায় পরিবারের যা কিছু ঘটে সব বিস্তারিত বলবে মৃত অনু মিয়ার ছেলে আরাফাত...... চলবে........
Parent