নতুন জীবন - অধ্যায় ৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-40501-post-3648448.html#pid3648448

🕰️ Posted on August 30, 2021 by ✍️ ambrox33 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 407 words / 2 min read

Parent
কয়েক  দিন ধরে লক্ষ করছি আম্মু অনেকটা নিরব  থাকে  এই ভেবে কি থেকে কি হয়ে গেলো।  এত সুন্দর  গুছানো  পরিবারটা চার পাশ কালো  আধার নেমে আসবে কারো ভাবনায় ছিলো  না।   আম্মু নিজের কথা ভেবে যতটা না কষ্ট পাচ্ছিল তার চেয়ে বেশি  কষ্ট পাচ্ছে আমার কথা চিন্তা করে। সবে তো আমার জীবন শুরু  এসময়ে বাবাকে হারানো আর ফুফু জেঠাদের বেইমানি  আমার মন ভেংগে  যায়।  সত্যি ভাবতে অবাক লাগে।  কি করে সবাই পাল্টে গেলো।  বাবা যখন বিদেশ থেকে আসত  আম্মু নিজের জন্য কিছু না বলে  এই জেঠা, ফুফু, ফুফা ফুফাতো  ভাইদের প্রত্যেকের কার কি আনা লাগব সব গুলো  লিষ্ট করে দিতো।  আর আম্মুর লিষ্ট  করা মানুষ  গুলোর শপিং  করতে বাবার কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়ে যেত . বাবা সবাইকে  দিতে কিছুটা গড়িমসি  করলেও আম্মুর জন্য দিতে বাধ্য হতো।  আম্মু সব সময় বাবাকে বুঝাতো  তুমি এত টাকার পয়সা মালিক হয়েছে  বলেই তো এদেরকে দিবে,  আর আপনজনদের  জন্য খরচ করা  পূন্যের  কাজ। এবার আসার আগে ও নাকি প্রায় দুই লাখ টাকার মত কেনাকাটা  করে দিয়েছে তাদের। আমার জন্য কিছু আনতে হবে সেটা ও আম্মু এত জোড় দিয়ে বলত না যতটা বলত তাদের  গুলোর জন্য। অথচ আজ এরাই এই ভালো  মানুষটার  ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লাগছে।   ভাগ্যিস  আম্মুর চলাফেরা ছিলো  মার্জিত       বাড়ি থেকে বিনা প্রয়োজনে  বের হতো না । যদিও বের হতে  তখন নিজেকে ডেকে হিজাব  করে বের হতো সেটাও অল্প সময়ের জন্য।  যদি বাজারে  যাওয়ার প্রয়োজন হতো কালো  বোরকা হিজাব  করে  তারপর  বের হতো । কেউ দেখলে ক্ষুনাক্ষরে টের পেতো না ।এই কালো  বোরকার ভিতরে  কি জিনিস লুকিয়ে আছে।  আম্মু পর্দার  ব্যাপারে  খুব সিরিয়াস  ছিলো,   আসলে আম্মু মাদ্রাসায় পড়াশোনা  করেছে বলে নয়।   আমার নানা বাড়িই ছিলো  রক্ষণশীল । তাই  ছোট বেলা থেকেই তাদের নিজের রুপ যৌবন ডেকে রাখার জন্য শিক্ষা দেওয়া হতো।  এই রুপ যৌবনের    সোধা একমাত্র  অবলোকন  করার অধিকার স্বামীর ।  অন্য পুরুষের জন্য  যা নাকি হারাম। ছোট বেলায় পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা আম্মু অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আসছে সারাটা  জীবন। এমন নিষ্পাপ  আম্মুর নামে  খারাপ কথা রটাতে দেখে ভিতরে  ভিতরে ক্ষোভে আমি জ্বলছিলাম  ইচ্ছে করছিল সব গুলো  শয়তানের  মাথাটা মটকিয়ে দেই। বয়সে ছোট  আর বেইমান  গুলোর  ক্ষমতার কাছে   আমি কিছুই নয় বলে নিরবে চোখের পানি ফেলা  ছাড়া কিছু করার ছিলো  না। এই ভেবে নিজেকে খানিক  শান্তনা  দিচ্ছিলাম । মানুষের  সময় সব সময় এক যায় না হয়তো একদিন এর  বদলা নেওয়ার  সুযোগ  আমাদের ও আসবে।  সেই অপেক্ষার প্রহর  গুনছিলাম।    তত দিন  আম্মুর সুখের  জন্য  নিজের সব সুখ দরকার হলে কোরবান  করব।   আম্মু যেভাবে  বলে ঠিক সেভাবে  চলব তার কথার অবাধ্য  কখনো  হবো না  মনে মনে এই সংকল্প করলাম।
Parent