নতুন জীবন - অধ্যায় ৪

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-40501-post-3648520.html#pid3648520

🕰️ Posted on August 30, 2021 by ✍️ ambrox33 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 446 words / 2 min read

Parent
অনেকটা ঘাত প্রতিঘাতের মাঝে অসহায়  দুটো  মানুষের জীবন অতিবাহিত  হতে লাগল। জেঠা ফুফুরা অনেক ষড়যন্ত্র  করেছিল  আমাদের  বিরুদ্বে ।কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র  কোন কাজেই লাগছিল না উপরওয়ালার  দয়ায়।   শত্রুর সব ষড়যন্ত্র  বিফলে যাচ্ছিল । এর একটাই  কারন আম্মু প্রত্যেকবার  প্রার্থনা করার  সময় এর  থেকে মুক্তির জন্য কেঁদে  কেঁদে দুচোখ ভিজিয়ে  ফেলত ,আর আমার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করত। যেনো  আমার কোন ক্ষতি না হয়,  ফুফার গুন্ডা বাহিনী  যাতে  কোন ক্ষতি করতে না পারে।   আম্মুর দোয়ার   ফলে আমাদের এই বিপদ ধীরে  ধীর কেটে যাচ্ছিল । সবকিছু   আগের মত না হলে ও বিপদের প্রাথমিক  ধাক্কা কেটে গেলো  বুঝতে পারলাম।   এত কিছু ঘটানোর মূল উদ্দেশ্য  ছিলো  আমাদের কেনা সেই জমিটা  ফুফা দখল করার জন্য । কারন ফুফুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য  এক মাত্র রাস্তা ছিলো  এই জমিটা। সেটা হাসিল হতেই সবাই চুপসে  গেলো । যার যার মত চলাফেরা  করতে লাগলাম।  তবে  সম্পর্কের  যে ফাটল ধরে ছিলো  সেটা আর জোড়া লাগেনি। একে অপরের সাথে রাস্তা ঘাটে দেখা হলে  মাথা নিচু করে চলে আসতাম ।  মনে হতো আমার যেন দুই গ্রহের বাসিন্দা   কেউ কাউকে কোনদিন দেখেনি।  বাবা থাকাকালীন  বাড়ির  উত্তর পূর্ব   দিক  প্রায় দশ বার ফুট উঁচু  করে দেওয়াল  করে ছিলো।  কারন যাতে করে বাহির থেকে বাড়ির ভিতরে  কারো দৃষ্টি   না আসে।  আম্মুকে বিয়ে করে আনার পর থেকে বাবাও  মোটামুটি  রক্ষণশীল  হয়ে গিয়েছিল।  তাই নিজের ইচ্ছেতে অনেক টাকা ব্যয় করে বাড়ির   দুুই দিকে দেওয়াল  করে   যাতে করে বাহির  কোন বেগানা  পুরুষ  আম্মুর রুপ দেখতে না পায়।   আম্মু অনেক সুন্দরী  রুপবতী  ছিলো  সেই ছোট্র  সময় হতেই বিয়ে পর থেকে  যেন রুপের জৌলুস আর বাড়ছিল। পর্দাশীল নারীদের এই একটা ভালো  গুন থাকে  আমার মনে হয়। পর্দা করে চলাফেরা  করার কারনে তাদের রুপ আর ও  বৃদ্ধি   পায়। এই ধারনা জন্মে ছিল  আম্মুকে দেখে দেখে। আম্মুর সুন্দর  চেহারা  দেখলেও  এই দেখায় কোন পাপ ছিলো ।  ছিলো  মায়ের প্রতি ছেলের নিবিড়  ভালোবাসা।  পৃথিবীর  সবচেয়ে  পবিত্র  মধুর ভালোবাসা।    বছর খানেক কেটে যাওয়ার পর  স্বাভাবিক  অবস্থায় ফিরে আসছিল আমাদের জীবন।  অন্ধকারের  কালো মেঘে কেটে গিয়ে  সকালের সূর্যের দেখা পেয়েছিলাম।   স্কুলের গন্ডি পার  হয়ে আমি কলেজে ভর্তি হলাম। কলেজ খোলা থাকলে কলেজে যেতাম  বন্ধ থাকলে বাড়িতে  সময় অতিক্রম  করলতাম।  খুব কম থেকে বের হতাম।   বাড়ির বাহিরে থাকাটা আম্মু পছন্দ করতো  না। তাই বিনা প্রয়োজনে  তেমন বের হতাম না।  মাঝে মধ্যে  বিকেলে হাঁটতে  বের হতাম।  আমাদের বাড়ির আশে পাশে অনেক গুলো  বাড়ি আছে.    উত্তরের দিকে সাদির কাকা পূব দিক সালাম জেঠার আর পশ্চিমে হলো বেইমান  ফুফুর বাড়ি।  এরাই হলো প্রতিবেশী।  আর ও অনেকের  বাড়ি আছে তবে সে দিক আম্মুর আসা যাওয়া নেই.  মাঝে  মাঝে আম্মু হাঁটতে  বের হলে এই দুই বাড়ির মানুষদের সাথে দেখা করে  খানিক সময় কাটিয়ে চলে আসে।  এর থেকে বেশি  হলে আম্মুর প্রিয় বান্ধবী  মাহিনের আম্মুর সাথে  দেখা করতে যায় পাশের গ্রামে। এতটুকু পর্যন্তই আম্মুর হাঁটা  চলা। বান্ধবীর বাড়িতে গেলে ও বোরকার সাথে হিজাব করে যায়..... চলবে...
Parent