নতুন জীবন - অধ্যায় ৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-40501-post-3654968.html#pid3654968

🕰️ Posted on September 1, 2021 by ✍️ ambrox33 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 539 words / 2 min read

Parent
একটা বিরক্তিকর  পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছিল আম্মু লোকটার কান্ড দেখে। রাগে আম্মুর গা জ্বলছিল।  ইচ্ছে করছে লোকটার দু গালে দুটো  চড় মারার। এতে হিতেবিপরীত হবে।  লোকটা এতটা অস্বাভাবিক  হয়ে গিয়েছিল আম্মু মাছ না কিনে  চলে আসতে হয়েছে।  আমি এর কিছুই  জানতাম।  আম্মু একদিন তার বান্ধবী মাহিনের আম্মুর কাছে  বলার সময় শুনে ফেলছিলাম। শুনার পর ইচ্ছে করছিল লোকটা   খুঁজে  বের করে  চোখ দুটো  গলিয়ে ফেলি। এরপর থেকে আর কখনো  আম্মু কিছু কিনতে  যায়নি। যা কিছু  লাগে আমি কিনে নিয়ে আসি।    গায়ের পাতলা কাঁথাটা ফেলে শুয়া থেকে উঠে  বিছানায় বসে মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি আটটা পনের বাজে। ওমা!   সত্যি তো আটটা বাজে গেছে?  একটু জোরেই  কথাটা বললাম। মৃদ্যু  হেসে আম্মু আমার দিকে দুইটা পাচঁশত টাকার নোট  বাড়িয়ে  দিয়ে বলল, আম্মু কি কখনো  মিথ্যে বলি.   সত্যিই তো আম্মু কখনো  মিথ্যে বলে না। আমার সারাজীবনে একবারও দেখেনি  মিথ্যে  বলেছে।  মিথ্যাবাদীকে উপর ওয়ালা ঘৃনা করেন।  মিথ্যে বলা ভালো  নয় এই শিক্ষা  আম্মু  আমাকে ও দিয়েছে।  হাত বাড়িয়ে আম্মুর কাছ থেকে টাকা গুলো  নেওয়ার সময় হঠাৎ  আমার নজর পড়ল  মার ফর্সা হাতের দিকে। এতটাই ফর্সা  উজ্জ্বল  ছিলো  আম্মুর হাতের রং  দেখলে চোখ ফেরানো  যায় না।  হাতে লাল রংয়ের চুড়ি  অসহ্য সুন্দর  লাগছিল ।  গায়ের রং ফর্সা  হলেই বলে প্রকৃত  সুন্দর  বলা যায় না। কিন্তু আম্মু সত্যি প্রকৃত সুন্দর।  আম্মুর স্নিগ্ধ হাতের দিক তাকিয়ে আমার মনে গেল মাছ বিক্রিতার কথা।  এমন কোমল হাত পা যার  তাকে দেখলে তার দিকে না তাকিয়ে  থাকাটা অসম্ভব।  বেচারার কি দোষ।  সুন্দর  সবকিছু  যে আমাদের খুব তাড়াতাড়ি   আকৃষ্ট   করে।   ছেলে হয়ে  আমি নিজেই তো আম্মুর হাতের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছি।  এতটাই মুগ্ধ  হয়ে পড়ছিলাম মার হাতের   সৌন্দর্য দেখে ।  নিজের অজান্তে  চোখ দুটো পায়ের পাতার দিকে চলে গেল।    মুখের সৌন্দর্যের দিকে আমাদের যতটা নজর, পায়ের দিকে ততটা থাকে না।   অথচ  সুন্দর  একজোড়া  পায়ের পাতা আম্মুর সৌন্দর্য  আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।  এই অপরুপ  সুন্দর  পায়ের পাতা দুটোর উপর ভর দিয়ে আম্মু আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে.. অপলক  তাকিয়ে আছি দেখে  আম্মু আমার  চোখের সামনে হাত নেড়ে জিজ্ঞাস  করলো.   - কিরে এমন করে কি দেখছিস?   আম্মু যখনই জিজ্ঞেস  করল, এমন করে কি দেখছিস?  ঠিক তখন আমি কিছুটা লজ্জায় পড়ে গেলাম। মাথাটা নিচু করে আস্তে করে বললাম,   -কই কিছু নাতো।   বলেই  আম্মুর হাত থেকে টাকা নিয়ে  একটা গেঞ্জি গায়ে দিয়ে ব্রাশে  টুথপেষ্ট লাগিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসলাম।  হাঁটতে  হাঁটতে  ব্রাশ করছি আর ভাবছি, এভাবে তাকানো  মোটেই ঠিক হয়নি ।  আম্মু কি জানি ভাবে।  কথাটা মনে হতেই কেমন লজ্জা  লাগছে ।  নিজের জন্মদাত্রী  মায়ের দিকে কেউ এমন করে তাকায়।   কিন্তু আম্মুর হাত পায়ের  সৌন্দর্য দেখে তখন এতটাই বিমুগ্ধ  হয়ে পড়ছিলাম, সে খেয়াল ছিলো  না। ভবিষ্যতে আর এমন হবে না মনকে শান্তনা দিলাম।  হাঁটতে  হাঁটতে   বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায়  এসে পড়লাম ।  রাস্তার  পাশে একটা টিউবওয়েল  ছিলো  সেটায় মুখ ধোয়ে  মাছ ওয়ালা  জন্য দাঁড়িয়ে  আছি। মাছ বিক্রিতা  নাকি সামনের দিকে গিয়েছে সব্জি বিক্রিতা  জানাল।  সব্জি ওয়ালার কাছ থেকে কিছু সব্জি কিনে ,  দশ মিনিটের  মত দাঁড়িয়ে  থাকার পর।  লোকটা আসছে না  দেখে অধৈর্য্য  হয়ে পড়লাম ।   মনের ভিতর  কেমন একটা ছটফটানি  শুরু হয়ে গেছে। ধৈর্যের বাধ যেন ভেংগে  যাচ্ছে। লোকটার উপ খুব রাগ হচ্ছিল।  আশেপাশে ও আর কোন মাছ বিক্রিতা  দেখতে পাচ্ছিলাম না,  যে তার থেকে কিনে নিয়ে যাবো।   আমার ভিতর  এত তাড়াহুড়া  কিসের জন্য এর মানে খুজে পাচ্ছিলাম  না।  আগে তো ঘন্টাখানেক ও অপেক্ষা করে সদাই কিনতাম।   কিন্তু আজ এমন কেনো  হচ্ছে,  মন টানছে শুধু বাড়ির দিকে। মনে হচ্ছে বাড়ির ভিতরে  কি যেন ফেলে আসছি...... ...চলবে..........
Parent