পায়ুকামী হয়ে ওঠার গল্প - অধ্যায় ১৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-28666-post-2312252.html#pid2312252

🕰️ Posted on August 17, 2020 by ✍️ ven0m (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 552 words / 3 min read

Parent
কাঁদতে কাঁদতে পাগলপ্রায় সুমনা। কোথায় যাবে সে? কার কাছেই বা যাবে? পরিচিত আর কেউ যে নেই। যাদের আপন ভেবেছিল তারাই আজ পর করে ছেড়ে দিল। নিজের উপর প্রচণ্ড ঘৃণা জন্মালো তার। না সে ছেলে হতে পারল, না মেয়ে। বাবার কথা গুলো তার কানে বাজছিল। তার মায়ের মৃত্যুর জন্যে সে নিজেই দায়ী। হ্যাঁ। একটা জায়গায় সে যেতে পারে। তা হলো তাদের পুরাতন সেই বাড়িতে। বাড়ির পাশের জঙ্গল যেখানে তার মাকে কবর দেওয়া হয়েছিল। সেখানে গিয়ে মায়ের কাছে ক্ষমা চাবে সুমনা। সেখানে মায়ের পাশেই সে চিরস্থায়ী শয্যা নেবে। বিকেলে সে পৌছে গেল তাদের পুরাতন সেই বাড়িতে। বাড়িতে এখন আর কেউ থাকে না। জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। সুমনা বাড়ির পাশের জঙ্গলে ঢুকল। একটু দূর যেতেই মায়ের কবর পেয়ে গেল সে। তার দু বুক ফেটে কান্না চলে আসল। কবরের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল। অনেকক্ষণ কান্না শেষ করে সে উঠল। সন্ধ্যে হয়ে আসছে। তার এখন একটাই উপায়। নিজের জীবনকে শেষ করে দেওয়া। পাশের কড়াই গাছের ডালে সে নিজের ওড়না ছুঁড়ে মারল। ডালে উঠে সে গিঁট তৈরি করল। পৃথিবী থেকে শেষ বিদায় নিয়ে বুক ভরা অভিমান নিয়ে গলায় ফাঁস পড়ল সে। এরপর ডাল থেকে এক লাফ দিয়ে ঝুলে পড়ল সে। আস্তে আস্তে দুনিয়ার সব কিছু অন্ধকার হয়ে উঠছে। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। এর মাঝেই সে দেখল, জটাধারী এক সাধু ফকিরের মতন বেশে কে একজন তাকে ধরে ফেলেছে। তার গলার ফাঁস খুলে ফেলার আগেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সুমনা। এই সেই সাধু বাবা যিনি চৌদ্দ বছর আগে সুমনার মা সুলতানাকে শুদ্ধি করেছিলেন। বিকেলে ধ্যানের অবকাশে যখন মুড়ি খাচ্ছিলেন তখন তিনি দেখেন একটি মেয়ে এসে সুলতানার কবরে কাঁদছে। দূর থেকে সব অবলোকন করেন তিনি। সাধু বাবা বুঝতে পারেন এটাই সুলতানার সেই সন্তান। পরে সুমনা ফাঁস দিতে গেলে তিনি দৌড়ে চলে আসেন এবং শেষ রক্ষা করেন। সুমনাকে শুইয়ে দিয়ে তিনি ওর চোখে মুখে পানির ছিটা দেন। পানির স্পর্শে চোখ খুলে সুমনা। গলার পাশটা তার খুব ব্যথা করছে। "কি রে মা? এখন কেমন লাগছে?" সাধুর কথায় ধ্যান ফিরে পায় সুমনা। ভাল করে চেয়ে সে দেখতে পায় তার সমানে একটি বুড়ো ফকির বসে আছে। মা ডাক শুনতে পেয়ে চোখে পানি চলে আসে সুমনার। তাকে কেউ এভাবে কখনও ডাকেনি। সুমনার কান্না দেখে সাধু ওর মাথাকে বুকে চেপে ধরে। সুমনা ডুকরে ডুকরে কেঁদে ওঠে। সে নির্ভার হয়। মনে হয় যেন অথৈ সমুদ্রে সে কোনো একটি ভেলার আশ্রয় পেয়েছে। অবশেষে সুমনা শান্ত হলে সাধু বলে, "আর কাঁদিস না। আমার সাথে চল। এখন থেকে তুই আমার সাথেই থাকবি। অন্ধকার হয়ে গেছে। আমার ডেরায় আয়।" সাধু উঠে দাঁড়ায়। এই প্রথম সাধুর দিকে পুরোপুরি তাকালো সুমনা। তাকিয়ে একটু ধাক্কা খেল। সাধুর শরীরে বিন্দুমাত্র কাপড় নেই। পুরোই দিগম্বর সে। অবশ্য চুল পশমে তার শরীর এতটাই ছেয়ে গেছে যে লজ্জাস্থান তেমন ভালমত দেখা যায় না। সংসারে সুমনার আর কোথাও যাবার জায়গা নেই। তাই সে সাধুর পেছন পেছন গেল। বনের গহীনে বিশাল এক বটগাছের নিচে সাধুর ডেরা। আগে লোকজন আসত এখানে। কিন্তু বেশ কয়েকবছর এই জায়গা থেকে লোকজন শহরমুখী হওয়ায় এদিকের জনসংখ্যা কমে গেছে। বন আরও গভীর হয়েছে। সাধুর ক্ষমতার কথাও সবাই ভুলে গেছে। বটগাছের পাশে ছোট্ট খরের ছাউনি। এর ভেতর একটি গাছের গুড়ি কাটা আছে। গুড়ির সামনে আগুন জ্বালানো আছে। সেই আগুনের আলোতে দেখা যাচ্ছে ঘরের আসবাবপত্র। একটি কাপড়ের টুকরোর মধ্যে সাধুর পরিধানের জন্য ছেড়া কাপড় রাখা আছে। বোঝা গেল, এগুলো পড়েই গ্রামে গিয়ে ভিক্ষে করেন তিনি। আর আছে কয়েকটি কাঁচের পাত্র, গ্লাস, থালা এসব। সাধু সুমনাকে ব্যাগটি রেখে আসতে বললো। সুমনা আসার পর সাধু সুমনার জন্ম ইতিহাস সব বর্ণনা করা শুরু করলেন। ঠিক চৌদ্দ বছর আগে কি ঘটেছিল। (চলবে)
Parent