পায়ুকামী হয়ে ওঠার গল্প - অধ্যায় ৪

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-28666-post-2162311.html#pid2162311

🕰️ Posted on July 10, 2020 by ✍️ ven0m (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 561 words / 3 min read

Parent
সাব্বিরকে এসবকিছু বলেছিল সুমনা। সুমনার বর্ণনা গুলো এখনও ছবির মত গেঁথে আছে ওর মনে। ঐদিনের তার বাবা-মায়ের মিলনের সাড়ে আটমাস পর জন্ম নিল সুমনা। অনেক সাধনার পর সাধু বাবার কল্যাণে পুত্র সন্তান প্রসব করল সুলতানা বেগম। পাঠক নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন যে, পুত্র সন্তানের নাম সুমনা কেন? আসলে জমির উদ্দিন তার যক্ষের ধনের নাম রেখেছিলেন সুমন। সুমন কিভাবে সুমনা হল সেটি ধারাবাহিকভাবে সামনে আসবে। সুমনের জন্মের কিছুদিন পরে সুমনকে কোলে নিয়ে জঙ্গলে সাধুবাবার সাথে দেখা করতে যায় সুলতানা। "আপনের আশীর্বাদে আমাগো পোলা হইছে, বাবা। আমার পোলডারে একটা ফুঁ দিয়া দেন, যেন অনেকদিন বাঁচে।" বলে সুলতানা। সাধুবাবা সন্তানটিকে একনজর দেখে ভ্রূ কুঁচকে ফেলে। "কি হইল, বাবা?" জিজ্ঞেস করে সুলতানা। "তোর সোয়ামি পরিশুদ্ধ হয় নাই রে। তোকে যেভাবে বলেছিলাম সেভাবে করিস নি?" বকে উঠল সাধু। সুলতানা বলল, "আপনে যেমনে বলছেন সেমনেই তো করছি। খালি একটা জিনিস করি নাই। উনার একটি শুচবায়ু আছে। গু-মুত খুব ঘিন্নায়। তাই ঐডা করতে পারি নাই। তয় সমস্যা তো হয় নাই। পোলা তো আমার হইছেই।" শুনে সাধু বাবা ক্ষেপে উঠল, "মূর্খ। তোর সোয়ামির এই ঘেন্নার কারণে তোর ছেলে আর সত্যিকার ছেলে হবে না। তোদের মিলনে অর্ধেক ছিলি শুদ্ধ আর অর্ধেক অশুদ্ধ। তাই তোর ছেলের পুরুষাঙ্গ থাকলেও সে ভেতরে ভেতরে হবে একটা নারী। যে কাজটি তোর স্বামী ঘৃণা করছে, সেটিই তোর সন্তান আরও বেশী করবে। দূর হয়ে যা, সামনে থেকে।" সাধু বাবার কাছ থেকে এসব শোনার পরেই শরীর ভেঙ্গে যেতে লাগল সুলতানার। তাছাড়াও চার-চারটি সন্তান বিয়োবার ধকলও কম ছিল না। দুই মাস পরেই ইহলীলা সাঙ্গ হল সুলতানার। মা কে হারানোর পর বড় বোনদের সাথে লালিত পালিত হতে লাগল সুমন। কিন্তু ছেলে হওয়া সত্ত্বেও তার মধ্যে মেয়েলি ভাব প্রকাশ পেতে লাগল। জমির উদ্দিন ছেলের জন্য পিস্তল গাড়ি খেলনা এসব কিনে দিলেও সুমন বোনদের পুতুল নিয়ে ঘর-সংসার খেলত। জমির উদ্দিন ও তার মেয়েরা বিষয়টিকে শুরুতে তেমন পাত্তা দিত না। বরং সুমনের বোনরা ওর জন্য ফ্রক কিনে নিয়ে এসে ওকে মেয়ে বানিয়ে সাজিয়ে রাখত। এসময় ওকে দেখলে কেউ বলবে না যে ও একটা ছেলে। স্কুলে ভর্তি হল সুমন। কিন্তু বিপত্তির শুরু হল সেখান থেকেই। ছেলেদের একদম দেখতে পারত না সে। ক্লাসে সবসময় মেয়েদের সাথেই বসত। তাদের সাথেই ঘোরাফেরা করত। মেয়েদের মতই সাজেগুজে স্কুলে আসত। এসব দেখে ক্লাসের ছেলেরা টিটকারি করত, "কিরে তুই কি মেয়ে নাকি? তোর নুনু আছে তো?" এসব শুনে কান্না পেত সুমনের। টিফিন পিরিয়ডে তার প্যান্ট টেনে খুলে ফেলত ছেলেরা। আড়ালে তাকে "হিজরা" বলে ডাকত। তার মধ্যে যে একটা সমস্যা আছে সেটি ক্লাস শিক্ষকের দৃষ্টি গোচর হয়। তিনি জমির উদ্দিনকে ডেকে সুমনকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে বললেন। জমির উদ্দিনের মাথায় হাত। এলাকায় মুখ দেখানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তবুও আশায় বুক বেঁধে থাকে জমির উদ্দিন। একটু বড় হলেই ঠিক হয়ে যাবে। তাই আপাতত সারাদিন বাড়িতেই থাকে সুমন। বছর গড়িয়ে যেতে থাকে। বড় হতে থাকে সুমন। বয়ঃসন্ধিকাল এসে হানা দেয়। তবে সুমনের ক্ষেত্রে এটি ভিন্নরূপ নেয়। সাধু বাবার শাপের কারণে পুরুষের মত দাড়ি গোফ জন্মায় না সুমনের। বরং তার স্তন স্ফীত হতে থাকে। নিতম্ব ভারী হতে থাকে। ঐদিকে তার জননাঙ্গও বড় হওয়া শুরু করে এবং বিচিগুলো ঝুলে পড়তে থাকে। এর ফলে যেটি দাঁড়ায় বাহিরে থেকে দেখলে কেউ বলবে না সুমন একটি ছেলে এবং তার দুপায়ের মাঝে পুরুষাঙ্গ আছে। অর্থাৎ সুমন আধুনিক ভাষায় বললে একজন Shemale.  স্তন হয়ে গেলে তো আর পুরুষের মত থাকা যায় না। পুরুষাঙ্গ আর থলি না হয় পায়ের মাঝে লুকিয়ে রাখা যায়, কিন্তু সুগঠিত স্তন কি আর সহজে ঢেকে রাখা যায়? সেটা চোখে পড়বেই। তাই সুমন প্যান্ট-শার্ট পড়া ছেড়ে দিল। বোনের সালওয়ার-কামিজ, ব্রা ও প্যান্টি পড়া শুরু করল। চুল কাটা ছেড়ে দিল। নখে নেইলপলিশ, ঠোটে লিপস্টিক। সুমন হয়ে গেল সুমনা।
Parent