প্রত্যাবর্তন - অধ্যায় ৩৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-2501-post-382892.html#pid382892

🕰️ Posted on April 24, 2019 by ✍️ Waiting4doom (Profile)

🏷️ Tags:
📖 591 words / 3 min read

Parent
জন পেছন থেকে একটা ধাক্কা দিল‚ আর খেঁকিয়ে উঠল‚ "তাড়াতাড়ি পা চালা  বোকাচোদা‚ নাহলে দানা পুরে দেব" । আমি ধাক্কা খেয়ে একটু এগিয়ে গেলাম...আর তখনই একটা আওয়াজ পেলাম পিছনে...সাইরেনের আওয়াজ। আওয়াজটা জন আর ওর দলবল ও পেয়েছিল‚ তাই তারা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে গেল কিসের আওয়াজ। আমার মাথায় বিদ্যুৎ খেলে গেল‚ "এটাই সুযোগ... ওরা অন্যমনস্ক" । দু পা ছুটে গিয়ে সজরে এক লাথি মারলাম জনের কোমোর লক্ষ্য করে‚ জন আমার পায়ের শব্দে মাথা ঘোরাচ্ছিল‚ কিন্তু তার আগেই লাথি টা আমি চালিয়ে দিয়েছি‚ তাই ও আটকানোর কোনো সুযোগ পেলনা। লাথির ঘায়ে ও প্রায় তিন হাত দূরে ছিটকে পরল‚ আর ওর হাতের পিস্তল টাও ছিটকে গেল বেশ কিছুটা দূরে । আমি এবার ঘুরে ওর চ্যালা গুলোর সাথে লড়ার জন্য তৈরী হলাম‚ কিন্তু তখনই আমার কানে একটা জোরে ব্রেক কষার শব্দ এল আর তার সাথে কিছু ছুটে আসা পায়ের শব্দ । ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম ‚ একটা পুলিশের জীপ থেকে একদল পুলিশ নেমে আমাদের দিকে দৌড়ে আসছে।  ব্যাস! আর কি? দু মিনিটের মধ্যেই জন আর ওর দলবল পুলিশের জিম্মায় জমা হয়ে গেল। একজন ASI আমার আর মার হাত খুলে দিতে দিতে বললেন যে ‚ অনেক আগেই একজন বিখ্যাত transgender উকিল ওদের ফোন করে খবর দ্যান যে আমাদের বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে। তাই ওনারা তখনই আমদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দ্যান‚ কিন্তু বাড়ির সামনে গাড়িটা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওদের সন্দেহ হয় যে ব্যাপারটা অন্য । তারপর থেকে ওরা ওঁত পেতে বসে ছিলেন ‚ আর জন আমাদের নিয়ে বেরতেই ঝাঁপিয়ে পরেছেন। আমি এবার সব বুঝতে পারলাম..."আমার  মা...আমার রামাই আম্মা...ছেলের বিপদ বুঝে কোলকাতার নিজের কোনও বন্ধুকে দিয়ে পুলিশে খবর দিয়েছে"। আমার চোখে জল চলে এল..."এরকম মাতৃস্নেহ যার...তাকে কিনা এই সমাজ কটুক্তি করে!!!"। আমি কোনও ভাবে চোখের জল সামলে আগে মায়ের দিকে নজর দিলাম। মা ঘটনপ্রবাহের ধাক্কায় একটু হতভম্ব হয়ে গেছিল। আমি দু হাতে মাকে জড়িয়ে ধরে আস্তে আস্তে ঘরের ভেতরে এনে বসালাম‚ মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললাম‚ "সব ঠিক আছে ‚ সব ঠিক আছে... আমরা ঠিক আছি" । মা আস্তে আস্তে একটু স্থির হল। আমি এবার অফিসারের কাছে আমার মোবাইল টা চাইলাম‚ ওরা ওটা আগেই জনের এক শাগ্রেদের থেকে উদ্ধার করেছিলেন । ফোনটা নিয়ে সোজা কল করলাম রামাই আম্মা কে। একটা রিং হতে না হতেই কল টা রিসিভ হয়ে গেল আর ফোনের ওপারে রামাই আম্মার তীব্র উৎকন্ঠা ভরা স্বর ভেসে এল " সাগর.. সাগর..বেটা তুই ঠিক আছিস তো? তোর কিছু হয়নি তো??" আমার গলা আবার কান্নায় বুজে আসতে লাগল‚ কোনও মতে সামলে নিয়ে বললাম‚" আম্ম...আমি একদম ঠিক আছি...আমরা একদম ঠিক আছি"। তারপর একটু থেমে আবার বললাম‚ " আম্মা...তুমি থাকতে তোমার বেটার ক্ষতি করে এমন সাধ্য কার আছে? "। ওপাশ থেকে উত্তর এল‚ " থাম তুই...বাজে বকিস না..আমার সারা রাত টেনশনে ঘুম হয়নি...কত কষ্টে টিকিট যোগড় করে ট্রেন ধরেছি জানিস? আর আমার বন্ধুটাও এমন বজ্জাত...খালি বলছে...পুলিশ দেখছে...তুমি ফোন করবেনা!!!"  এবার আমার খেয়াল হল‚ " তাই তো!! ট্রেন এর শব্দ পাচ্ছি তো!! রামাই আম্মা থাকতে না পেরে সোজা চলেই আসছে আমার কাছে!!! " আবার আমার চোখ জলে ভরে উঠল। আমি অস্ফুটে বলে উঠলাম‚" ধন্য তোমার মাতৃত্ব আম্মা"। আম্মা ওপাশ থেকে জিজ্ঞেস করল‚ কি বলছিস বেটা?"। আমি জবাব টা এড়িয়ে গিয়ে তড়বড় করে ট্রেন থেকে নেমে কিভাবে বাড়ি আসবে সেটা আম্মাকে বুঝিয়ে দিলাম।  আম্মার সাথে কথা শেষ করে ফোন কাটতেই পুলিশ অফিসার বললেন ‚" আপনাদের উপর অনেক ধকল গেছে‚ এখন একটু বিশ্রাম নিন.... বিকেলের দিকে থানায় এসে statement দিয়ে যাবেন...ততক্ষণ আমরা হারামজাদা গুলো কে একটু রগড়ে দেখি কিছু extra information পাওয়া যায় কিনা"। অফিসারের কথায় আমার টনক নড়ল‚ আমি বললাম‚ " ওই জন কে রগড়ান ভালো করে‚ ওর সাথে কিডনি পাচার চক্রের যোগ আছে ‚ আমাদের ও সেই জন্যেই নিয়ে যাচ্ছিল"।  অফিসার শুনে শিষ্  দিয়ে উঠলেন..তারপর ঘাড় নেড়ে আমাদের থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। আমি ওনার পিছু পিছু গিয়ে দরজাটা বন্ধ করে এলাম।
Parent