রুমেল ও রোমানার গল্প - অধ্যায় ১২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-43833-post-4100116.html#pid4100116

🕰️ Posted on December 12, 2021 by ✍️ sarker (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 845 words / 4 min read

Parent
৮ আজও রোমানার ভোরে উঠে নামাজ পড়া হলো না, তারপরও মেয়েদের আগেই উঠেছেন, ছেলের বিছানা থেকে উঠে সে ব্লাউজ আর ব্রাটা খুজেঁ নিয়ে কোনো মতে পরে, সরাসরি গোসলখানায় চলে গেলো, গোসল শেষ করে রুটিন মাফিক সবার জন্যে নাস্তা বানানোর জন্যে রান্না ঘরে গেলেন, আসমা ঘুম থেকে উঠেছে মাত্র ৷ সে মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো, তাকে ভীত মনে হলো, কি হয়েছেরে মা? সে কিছুই বললো না, মাকে জড়িয়ে কাঁদেই গেলো, রমিজের গলার শব্দে আসমা চুপ হয়ে গেলো, কই গেলা সবাই, রোমা কিছু দিয়ে যাও , রোমানা মজিদের জন্যে রুটি আর ভাজি নিয়ে তাকে টেবিলে বেড়ে দিলেন, আসমা কে আস্তে করে আদর করে দিয়ে বললো মুখ ধুয়ে গিয়ে নাস্তা করার জন্যে, ততক্ষণে সোমাও উঠলো, সোমা তার বোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে করতে শেষ, আসমা তাকে ঘুম থেকে জাগায় না নিজে  একাএকা আগে উঠে যায় ৷ বোনদের এসব খুনসুটির শব্দে রুমেলের ঘুমটা ভেঙ্গে যায়, রুমেল তাড়াতারি উঠে, বাহিরের কলে গামছা আর লুঙ্গি নিয়ে গোসল করতে চলেযায়, আজ তাকে কিছু জরুরী কাজ সারতে হবে ৷ রুমেল গোসল করতে বেশী সময় নিলো না, তারপর টিশার্ট আর জিন্স পেন্টটা পরে নিলো, এরপর টেবিলে গিয়ে, রমিজের পাশের চেয়ারেই সে বসলো, নিজেকে মনে হচ্ছে এ বাড়ির কর্তা ৷ আম্মা, কই আমার জন্যেও দিয়ে যান, রোমানা ছেলের জন্যেও বানিয়ে রেখেছিলো, সে নিয়ে দিয়ে আসলো, রোমান একটা থ্রী কোয়াটার হাতা থ্রীপিজ পরে ছিলো,  মাথায় তার লম্বা করে ঘোমটা দিয়ে উড়নাটা পেচিয়ে  ছিলো, খোপা করা চুল আর তার উচুঁ বুক দেখে মনে হচ্ছিলো,সে যেনো বাড়ির নতুন বৌ, রমিজের ব্যাপারটা একেবারেই ভালো লাগলো,এমন করে ঘোমটা দেওয়ার কি দরকার, এর থেকেহিজাব পরলেই তো হতো, বুকটা কেমন উচু হয়ে রয়েছে, ঘরে যে এতো বড় একটা ছেলে আছে তার এদিকে কোনো খেয়াল নেই! তারপরও ছেলের সামনে বৌ কে কিছুই বললো না, রমিজ রুমেলকে ধীরে ধীরে বললো, তোর সাথে কিছু কথা আছে ৷ রুমেল চুপচাপ খেতে থাকলো, তোর  মামা নিশ্চয় তোরে ব্যাপরটা বলছে, তাই আমি চাই তুই এ ব্যাপারে মানষিক ভাবে তৈরী থাক ৷ —আব্বা,আমি আপনি আর আম্মার অমতে কিছুই করবো না,আপনারা যা চান তাই হবে ৷ তবে, এতো তাড়াতাড়ি না আরো কয়েকটা বছর যাক আগে নিজের পায়ে দাড়াই, —তুই যে পথে হাটছিস নিজের পায়ে দাড়াবি কি করে ৷ এসব ছাড় খোদার রহমতে আমাদের কি কোনো কিছু কম আছে ৷ রুমেলের খাওয়া শেষ, সে পানি খেয়ে বললো আব্বা, এসব নিয়ে এতো তাড়াতাড়ি ব্যাস্ত হইয়েন না ৷ ব্যাস্ত হওযার জন্যে আরো বিষয় সামনে আছে বলে যে রমিজ কে কিছু একটা যেনো ইঙ্গিত করলো তারপর রুমেল বাইকের চাবি হাতেনিয়ে উঠে দাড়ালো, আম্মা গেলাম, রুমেল বাইক স্টার্ট দিলো, “ছেলেটা পুরোই লাগাম ছাড়া হয়ে গিয়েছে”,রমিজ মনেমনে ভাবতে লাগলো ৷ রমিজও উঠে বাজারের দিকে যেতে লাগলো, থানার ওসি সহ দারোগাদের  উপর চাপ যে মাওলানা সাহেবের নামে বেনামী কোনো মামলা হলেও যেনো ঠুকে দেয়৷ কিন্তু মাওলানা ইসহাক সাহেব সম্পূর্ণ ক্লিন লোক ৷ এর মধ্যেই মুস্তফা দারোগার ফোনে বেনামী একটা কল আসলো, কলকারী তাকে জানালো ইসহাক মাওলানা সাহেবের বাড়িতে বোম আছে, তিনি নাকি আড়ালে জঙ্গী সংগঠন চালান ! খবরটা যেনো তার হজম হলো না, সাথে সাথেই সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়ায় তিনি বোম স্কোয়াডের দুজনকে ট্রেকার সহ একগাড়ি ফোর্স নিয়ে মাওলানা সাহেবের বাড়িতে সার্চ করতে যান, মাওলানার বাড়িতে আসতেই, তারা খুবি আপ্পায়ন করে দারোগা সাহেবের ফোর্স কে ভেতরে ঢুকতে দিলেন, এটা দেখে দারোগা সাহেব একটু আহত হলেন, কেউ কি তার সাথে মজা করলো নাকি? তিনি সরাসরি মাওলানা সাহেবের নিকট গিয়ে সার্চের অনুমতি চাইলেন, যদিও হুজুরের লোকেরা দারোগার কথায় ভড়কে গেলো তারপর ইসহাক সাহেব নিজেই বললো, সার্চ করতে, মুস্তফা দারোগা তার লোকদের নিয়ে সার্চ কার্য চালাতে লাগলো, যখন ভেবেছিলো, সবি শেষ তখনই বাড়ির নিজের দিকের স্টোর রুম থেকে একটা খাজিতে ট্রেকারের মিটমিট বাতি আর পিটপিট আওয়াজ বেজে উঠলো, বোম স্কোয়াডের স্পেশাল সদস্যরা জানালেন  আসলেই বোমা পাওয়া গিয়েছে, ততক্ষণে কিছু উটকু সাংবাদিকও  এসে জুটেছে, খবরটা ভাইরাল হতে সময় নিলো না, “মাওলানা ইসহাক, জঙ্গীদের মুল হোতা গ্রেফতার” ৷ দীর্ঘদিন এচক্র দেশের ভেতরে থেকেই দেশকে ধংস করতে চাইছে ৷ মাওলানা সাহেবের গ্রেফতারী পরোয়ানা বের হতে বেশী সময় লাগলো না, দ্রুতই ওসি রহমান সাহেব সহ গিয়ে মাওলানা সাহেব কে হাজত বন্ধি করলেন, এলাকার অনেকেই বিস্মিত! অনেকই স্তম্ভিত! কাকে বিশ্বাস করবে, শেষ পর্যন্ত মাওলানা সাহেবও জঙ্গী কমান্ডার অনেকই আবার বিশ্বাস করে এটা বিরোধীদের চাল! রমিজ মির্জা দুপুরের খাবার খেয়ে তার বৌএরসাথে মাত্র বিছানায় শুয়ে ছিলেন, এমন সময়ই মাদ্রাসা থেকে কিছু ছাত্র বাড়িতে এসে তাদের হুজুর কে ডাকতে লাগলো, হুজুর বাড়ি আছেন নাকি? অনেকটা বিরক্তি নিয়েই উঠে আসলো, সন্ধ্যায় মাহফিল একটু যা ঘুমিয়ে নিবো ভেবেছিলাম ৷ —কি হলো রে, —হুজুর মাওলানা সাহেবকে তো পুলিশে ধরে নিয়ে গেলো, রমিজ আলনা থেকে পাঞ্জাবীটা পরে নিলো, রোমানা শুনছিলো হয়তো কোনো রাজনৈতিক ব্যাপার,এসব এমনিতেই রোমানার অপছন্দ ৷ রমিজ গেইটটা কোনমতে টেনে রেখে বাজারের অফিসের দিকে চলতে লাগলো, ছাত্ররা সহ ৷ অফিসে গিয়েই সে পুরো ঘটনাটা শুনলো, পাশের দোকানে টিভিতে লাইভ দেখাচ্ছে, রমিজের মতে যদিও টিভি দেখা হারাম তারপরেও সে মন দিয়ে টিভি চ্যানালের  কথাগুলো শুনছিলো, —দেকাযাক তদন্তের পর কি বের হয়ে আসে, মাওলানা সাহেব কি আসলেই জঙ্গী গোষ্ঠির হোতা নাকি তাকে ফাসানো হচ্ছে? জানতে চোখ রাখুন আমাদের চ্যানালে ৷ এসব নির্ঘাত ষড়যন্ত্র! রমিজ বলে উঠলো, এসব সম্পর্কে সন্ধ্যেবেলা মাহফিলে বলতে হবে, রমিজ চোখ বন্ধকরে ভাবতে লাগলো, নির্বাচন নিয়ে, এই ব্যাপারটা যদি এখনই সামলানো না যায় তাহলে মাঠে নামার আগেই তারা হেরে যাবে, চুড়ান্ত ভাবে এই আসনে তিন জনেই মনোনয়ন পেয়েছেন তার মধ্যে রেজাউল  চৌধুরী আর মাওলানা সাহেবের মাঝেই কনটেস্ট ছিলো, এখন যদি তিনই না থাকেন তাহলে নির্বাচন একচেটিয়া হয়ে যাবে,
Parent