সাধারণ পরিবার থেকে পতিতা পরিবার হয়ে ওঠার উপাখ্যান। - অধ্যায় ২
পার্ট ২
আমরা সবাই খুবই খুশি ছিলাম ভেবেছিলাম এবার হয়তো দুই বেলা ভালো করে খেয়ে পরে বাঁচতে পারবো, সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে সকাল সকাল তৈরি হয়ে নিলাম প্রত্যেকে, কিছু জামা কাপড় নিয়ে নিলাম, পাশের বাড়ির একজনকে বললাম তোমরা একটুখানি দেখে রেখো বাড়িটা আমরা মাঝে মাঝে আসবো, কিন্তু আমরা জানতাম না যে আমাদের আর গ্রামে ফেরা হবে না। সকালে আমরা তৈরি গেলেও মোড়ল মশাই এলেন না, বেশ বেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর আমরা সবাই মোড়ল মশাইয়ের বাড়িতে গেলাম, দেখলাম উনি তখনও তৈরি হননি, আমাদের দেখে বললেন তোমরা একটু অপেক্ষা করো, আমি তৈরি হয়ে নিচ্ছি আর বাড়ির চাকরকে বললেন ওনার তিন সাগরেদকে ডেকে নিয়ে আসতে, ওনার বাড়িতেই প্রায় দুপুর হয়ে গেলো, উনি আমাদের সকলকে দুপুরের খাবার খেতে বললেন, বহুদিন পর আমরা বেশ ভালো খাবার খেলাম, খাবার খাওয়ার পর উনি ওনার তিন সাগরেদ আমাদেরকে নিয়ে চললেন কাজের জায়গার উদ্দেশ্যে, আমি লক্ষ্য করেছিলাম মা ও কাকিমার দিকে মোড়ল মশাই আর চোখে দেখছেন আর ওনার তিন সাগরেদ দুই বৌদিকে।
ছোট ছিলাম তাই সে রকম বিশেষ কিছু না বুঝলেও বুঝছিলাম যে ওনারা দেখছেন। মা, কাকিমা গ্রাম্য মহিলা হলেও ওনারা দুজনেই ডাকসাইতে সুন্দরী তা বলাই যায়। দেখে এটা বোঝার উপায় নেই ওনার বয়স প্রায় ৩৪ ও ৩০ বছর দুধে আলতা গায়ের রং মাঝারি চেহারা না মোটা না খুব রুগ্ন। দেখে মনে হয় ওনাদের বয়স খুব বেশি হলে ২৬ কি ২৭ বছর, মা ও কাকিমা চেহারা হল ৩২-২৮-৩৪ এর আসে পাশে, ওজন কম বেশি ৫৫ থেকে ৫৭ কেজি, চোখের দেখায় কে বলবে মা তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছে, দুই বৌদি দুজনেই যমজ যার ফলে উনাদের চেহারার গঠনেরও সাদৃশ্য আছে মাথায় ঘন কালো চুল, মা কাকিমার মত মত ফর্সা না হলেও কোনমতেই কালো বলা যায় না, চেহারা ২৬-২৮-৩০ ওজন ৪৫ থেকে ৪৮ কেজির বেশি নয়। যাইহোক মূল গল্পে ফিরে আসি কিছুক্ষণ হেঁটে আমরা নদীর ধারে পৌঁছে গেলাম, আমরা অপেক্ষা করতে থাকলাম নৌকার জন্য তখন আমাদের গ্রামে হাতে টানা নৌকায় করে নদী পারাপার করতে হতো, কিছুক্ষণ পরে একজন মাঝি এলো তাকে জিজ্ঞাসা করল মোড়ল মশাই ওপারে যাবি সে বলল বাবু এখন তো প্রায় বিকেল হতে যাচ্ছে ওপারে গেলে ফিরে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে মোড়ল মশাই বললেন না খুব বেশি সন্ধ্যা হবে না তুই বল কত টাকা নিবি ওপারে পৌঁছে দেবার জন্য মাঝি বলল আপনাদের সকলের জন্য ১৫০ টাকা দেবেন মোড়ল মশাই বললেন বলিস কিরে ১৫০ টাকা মাঝি বলল বাবু আপনারা ৯ জন লোক তারপর সন্ধ্যা হয়ে যাবে আমার ফিরতে ফিরতে তাই ১৫০ টাকা দিতে হবে না হলে যাব না, মোড়ল মশাই দরদাম করতে থাকলেন ১২০ টাকায় রাজি হল মাঝি মোড়ল মশাই মাকে জিজ্ঞাসা করলেন তোমার কাছে তোমাদের ভাড়ার টাকা আছে তো মা বলল সব মিলিয়ে ৫০ টাকা মত আছে আমাদের কাছে মোড়ল মশাই বললেন ঠিক আছে তোমাদেরকে টাকা দিতে হবে না আমি দিয়ে দিচ্ছি তুমি কাজ করে মাইনে পেয়ে শোধ করে দিও। আমি লক্ষ্য করলাম মোড়ল মশাই ও তার সাগরেদদের চোখে মুখে দুষ্টু একটা হাসি যা মোটেই সাধারণ নয়। সব কথাবার্তা মিটিয়ে মাঝি আমাদের নৌকায় তুলে নিল এবং একঘন্টার মধ্যেই আমাদের নদীর অপর পাড়ে পৌঁছে দিলো।
নৌকায় উঠে কাকিমা মোড়ল মশাই কে জিজ্ঞাসা করল মশাই ওখানে কত করে মাইনে দেবে আমাদেরকে কাজের জন্য মোড়ল মশাই বললেন তোমাদের চারজনকে থাকা খাওয়া বাদে প্রতি মাসে ৪০০ টাকা করে দেবে কিন্তু তিন বছর কাজ করতে হবে মা জিজ্ঞাসা করল কেন মোড়ল মশাই তিন বছর কাজ করতে হবে কেন মোড়ল মশাই বললেন ওখানে বাড়িতে তোমরা কাজ করবে তিন বছর পরে তোমাদের টাকার পরিমান বাড়াবে এটাই বললাম।
পড়াশোনা না জানার ফলে আমাদের পক্ষে সেই মুহূর্তে বোঝা অসম্ভব ছিল উনি কি বলতে চাইছে যাই হোক ঘন্টাখানেকের মধ্যে নদীর ওপারে পৌঁছে গেলাম। মাঝি নৌকা নিয়ে ফিরে এলো আমরা হাঁটতে থাকলাম মূল রাস্তার উদ্দেশ্যে, এখান থেকে প্রায় ঘণ্টা খানেক হাঁটার পরে মূল রাস্তা অর্থাৎ শহরে যাবার রাস্তা, কিছুক্ষণের মধ্যে হটাৎ ঝড় বৃষ্টি শুরু হলো প্রত্যেকেই কোন রকমে একটা গাছের তলায় দাঁড়ালাম রাস্তাটা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গেছে তাই এখানে কোন জনবসতি নেই হঠাৎ বৃষ্টির প্রত্যেকেই কাক ভেজা হয়ে গেছি এবং মা কাকিমা বৌদিদের মাই পাছা সবই প্রায় বোঝা যাচ্ছে আমাদের গ্রামে তখনও ব্রা প্যান্টি পড়ার প্রচলন ছিল না অর্থাৎ আমাদের গ্রামে পাওয়া যেত না আমি লক্ষ্য করলাম মোড়ল মশাই ও তার তিন সাগরেদ মা কাকিমা ও বৌদিদেরকে গিলে খাচ্ছে তাদের চোখের দৃষ্টি দিয়ে যদিও তখন কিছুই বুঝিনি মোড়ল মশাই এর বয়স প্রায় ৫৫ ৫৬ আর ওনার সাগরেদ তিনজনের কম বেশি ৩০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে প্রত্যেকেরই বলিষ্ঠ চেহারা আমরা কোনক্রমে একটা গাছের তলায় দাঁড়িয়ে মাথাটাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলাম কিন্তু অনেকক্ষণ পরেও বৃষ্টি থামার কোন লক্ষণ দেখা গেল না এরই মধ্যে মোড়ল মশায়ের এক সাগরেদ বলল মোড়ল মশাইকে মোড়ল মশাই এখান থেকে আর কিছুটা গেলে আমার পরিচিত একজনের বাড়ি আছে সেখানে আমরা কিছুক্ষণ বা আজকের রাতটা থাকতে পারবো সেখানে আমাদের কোন অসুবিধা হবে না মোড়ল মশাই বললেন কি আর করা যাবে জল সেখানেই এইভাবে বৃষ্টিতে ভিজলে সর্দি লেগে যাবে সবাই রাজি হল বৃষ্টির মধ্যেই কোনক্রমে হাঁটতে লাগলাম মিনিট দশ হাঁটার পরে আমরা একটা কাঁচা বাড়ি দেখতে পেলাম মোড়ল মশায়ের সেই সাগরেদ বললেন মোড়ল মশাই আমরা চলে এসেছি বাড়ির কাছে গিয়ে সেই লোকটি হাঁক দিলেন মনি বাড়িতে আছিস নাকি, ৩-৪ বার ডাকার পর ভেতর থেকে একজন লোক বেরিয়ে এলো মোড়ল মশায়ের সাগরেদ নজু কাকাকে দেখে বলল আরে নজু তুই এই বৃষ্টির মধ্যে নাজু কাকা বলল বন্ধু বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়ে গেছি আমরা আজকের রাতটা তোমার বাড়িতে থাকতে চাই একটু ব্যবস্থা করে দিতে হবে মনি কাকা বলল নিশ্চয়ই তুই বলেছিস আর সাহায্য করবো না এটা হতে পারে তাছাড়া মোড়ল মশাই ও মহিলারা সঙ্গে রয়েছে মনি কাকা যথারীতি আমাদের প্রত্যেককে বাড়ির ভেতরে নিয়ে গেল ও হাঁক দিল সাথী দেখো নজু এসেছে আরো কয়েকজন আছে একটু বাইরে এসো যথারীতি একজন মহিলা বেরিয়ে এলো প্রায় কাকিমার বয়সী তিনি আমাদেরকে একটা ঘরে নিয়ে গেলেন এবং বললেন পোশাক বদলে নিতে কিন্তু আমাদের প্রত্যেকটা জামাকাপড় বৃষ্টিতে ভিজে গেছিল অন্যদিকে মনি কাকা মোড়ল মশাই ও তার তিন সাগরেদকে নিয়ে অন্য একটা ঘরে চলে গেল। কাকিমা বলল আমাদের জামাকাপড় সবই বৃষ্টিতে ভিজে গেছে তাই তিনি যদি শুকনো একটা গামছা বা কাপড়ের ব্যবস্থা করতে পারেন তিনি বললেন চিন্তা করো না আমার কাপড় আছে আর তোমার ছেলের জন্য লুঙ্গি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি আপাতত যতক্ষণ না তোমাদের জামাকাপড় শুকাচ্ছে ততক্ষণ ওগুলো পরে নাও।
আমাদেরকে শুকনো কাপড় ও লুঙ্গি দিয়ে সাথী বৌদি চলে গেল আমরা তখনো জানিনা আমাদের সঙ্গে কি কি ঘটতে চলেছে।
চলবে?
খুবই নোংরা কমেন্ট চাই বাজে কথা সহ ।
পরের পর্ব কিরকম হলে ভালো হয় তা জানাতে পারেন।
প্রত্যেক পাঠক পাঠিকার মন্তব্য চাই।
বিশেষ দ্রষ্টব্য সব চরিত্র কাল্পনিক, গল্পের সাথে বাস্তবের সঙ্গে কোন মিল নেই, যদি কোন মিল পাওয়া যায় তাহলে তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত ও শুধুমাত্র গল্প লেখার বা গল্পের প্লট তৈরির জন্য ব্যাবহার করা হয়েছে।