শীতলপাটি - অধ্যায় ৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-69065-post-5972413.html#pid5972413

🕰️ Posted on June 26, 2025 by ✍️ Sabitri (Profile)

🏷️ Tags:
📖 636 words / 3 min read

Parent
সকালে উঠলে দেখি অনেক বেলা। রোদের আলোয় ঘুম ভাংল। উঠে বাহিরে বেরিয়ে দেখি কাজের কাকি আর আম্মা গল্প করছে আর ধান সিদ্ধ করছে। আমি গিয়ে তাদের সামনে দারালাম। কাকি বলল- আপনে উঠছেন? এত বেলা কইরা কেও ঘুমায়? আমি মুচকি হাসলাম। আম্মা- যাও মানিক হাত মুখ ধুইয়া আসো। খাইতে দেই। বলেই আম্মা আমায় অবাক করে দিয়ে কাকির সামনেই আমার হাত ধরে নিজের দিকে টেনে কপালে চুমু দিল আর মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। আমি অবাক আর সাথে লজ্জাও পেলাম কাকির সামনে বলে। আমি চলে যাই। হাতমুখ ধুয়ে এসে খাই। গ্রামে একটু ঘুড়ে বাড়ি এসে দেখি কাকি চলে গেছে। আম্মা বসে আছে মাদূর পেতে। আমি যেতেই আমায় এবার গালে চুমু দিয়ে পাশে বসাল। যেন আমার সাথে গল্প করবে। আমি-আম্মা, এমনে কইরা মাইনষের সামনে চুমা দেন কেন? আম্মা খিলখিল করে হেসে দিল আর বলল-ইশশ, শরম পায় আমার মানিক? কেন আম্মা চুমা দিলে খারাপ লাগে? আমি-খারাপ ক্যান লাগবো? কিন্তু মাইনষের সামনে এইসব ভাল লাগেনা। আপনে আর এমন করবেন না। আম্মা-আইচ্ছা ময়না আর করুম না। এহন কও কি খাইবা? আমি মনে মনে বলি তোমাকে খাবো। কিন্তু তাতো আর বলা যাবেনা। তাই বললাম- আপনি আমারে ভাত খাওয়ায় দিবেন আম্মা? আম্মা- দিমুনা ক্যান? আমি এখুনি আইতাছি। আম্মা ভিতরে গিয়ে খাবার নিয়ে এলো। বসার সময় বলল- এই গরমে এইসব বস্তুা পিন্দা আছো ক্যান? শার্ট খোলো। গরমে আর গায়ে কিছু দেওয়া লাগবো না। বেডা মানুষ খালি গায়ে থাকলে কিছু হয়না। আমি শার্ট খুলতে খুলতে একদম স্বাভাবিকতা নিয়ে প্রশ্ন করলাম যেন অবুঝ ছেলে। আমি- আচ্ছা আম্মা, আপনের গরম লাগেনা? আপনের গায়েতো আমার থেইকাও বেশি কাপড়? আম্মা মুচকি হেসে লোকমা গালে দিয়ে বলল- বেডি মাইনষের এমন পইড়া থাকন লাগে সোনা। আমি- ক্যান? বেডাগো শরীল আছে, বেডিগো নাই? এমন ক্যান? আম্মা প্রশ্ন শুনে মুখের ভাব ভিন্ন আর রহস্যময় করল কিন্তু উত্তর দিয়ে বলল- কিছু কারণ আছে সোনা, বেডি আর বেডাগো গতর এক না। তুমি খালি গায়ে থাকলে কোনো কিছুই হইবোনা। কিন্তু আমি খালি গায়ে হইলে সবাই ফ্যালফ্যাল কইরা চাইয়া থাকবো। আমি- ক্যান? চাইয়া থাকবো ক্যান? আম্মা এবার একটু নাছোড়বান্দা অবস্থায় পড়ে গেছে। কিন্তু সে কেন জানিনা আমায় থামিয়ে অন্য কথাও বলছেনা। আমার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। কেন করছে সেটা আমাস কাছে বিষয় না। আমার ভালো লাগছিল তাই আমিও বলেই চলেছি। আম্মা- আইচ্ছা তোমাগো কি বুক বড়? বেডিগো বড় বুক থাকে। তাই চাইয়া থাকে। আমি আবার অবুঝ হয়ে বলি- বুকতো আছে। বেডি মাইনষের বুক থাকে বাচ্চাগো দুধ খাওয়াইতে। এইডা ঢাইকা রাখন লাগবো ক্যান? আম্মা আমার কথায় এক সেকেন্ড চুপ করে বলল- হ দুধ খাওয়ানোর লাইগা। কিন্তু এইডা হইল সুন্দর একটা জিনিশ যা বেডাগো দেখান লাগেনা। আমি- আমিতো দেখছি কত। আমিতো আপনের দুধ খাইয়াই বড় হইছি। আম্মা প্রথমে অবাক হলেও আমার কথার মানে বুঝে বলল- তুমি আমার পোলা। ছোট থাকতে সব মাই সন্তানরে দুধ খাওয়ায়। তুমি দেখলে সমস্যা নাই। আমি এবার মাত্রা ছাড়িয়ে একটা প্রশ্ন করলাম- আইচ্ছা আম্মা, এহন আপনে আমারে দুধ খাওয়ান না ক্যান? আম্মা চোখ বড় করে বিষ্ময় প্রকাশ করল। কিন্তু রাগের না। অবাক হয়ে। ভেবেছে আম্মা আর উত্তর দিবেনা। তবে আম্মা আমার ধারনা ভুল প্রমাণ করে বলল- এহনতো আম্মার বুকে দুধ নাই সোনা। আমি আম্মার বুকের দিকে আঙুল ইশারা করে বলি- এই যে দুধ। নাই কন ক্যান? নাকি আমি বড় হইছি দেইখা আমারে আর ভালোবাসেন না? আম্মা আমার প্রশ্ন শুনে হেসে দিয়ে বলল- পাগল পোলা আমার। মাইয়াগো শইলে বাচ্চা হওয়ার কয় বছর পর দুধ শেষ হইয়া যায়। আমিতো সুযোগ পেয়ে ধরে বসি। আমি দেখতাছি আপনের বুকে এইযে দুধগুলা আর আপনে কন নাই। ততক্ষণে আমার খাওয়া শেষ। আম্মা হাত ধুয়ে ফেলেছে। আম্মা- আরে পাগল পোলা। এই বুকের ভিতরে দুধ নাই। নাইলে কি তোমারে না খাওয়ায় রাখতাম? আমি আম্মার কথা শুনে আকাশ থেকে পড়লাম। আম্মা এত সহজে কথাগুলো বলছে যেন আমার সাথে নিত্যদিনের আলাপ। তাই আমি বুঝলাম আম্মা আমার কথায় রাগ করছে না। আমি- এগুলা তাইলে এত বড় ক্যান যদি দুধ না থাকে? আম্মা এবার চোখ বড় করে ছদ্মবেশি হাসি চেপে বিস্ময় প্রকাশ করল। আর কোনো কথা বললো না। কিন্তু হঠাত উঠে পড়ল। আমি ভয় পেয়ে গেলাম আম্মা রাগ করেছে কিনা ভেবে। আম্মা আমার দিক হাত বাড়িয়ে বলল- আসো আমার সাথে।
Parent