শুধু তোর ই জন্যে - অধ্যায় ৪৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-2294-post-88356.html#pid88356

🕰️ Posted on January 13, 2019 by ✍️ Nilpori (Profile)

🏷️ Tags:
📖 436 words / 2 min read

Parent
হোটেলের বিল মিটিয়ে আমরা বেরিয়ে এলাম। যেখান থেকে আমরা নৌকোয় চড়ব, (তুই বললি জায়গাটাকে জেটি বলে) সেটা হোটেল থেকে বেশী দূর না, হোটেলের গাড়ীই আমাদের পৌঁছে দিল। গিয়ে দেখি সারি সারি নৌকো দাঁড়িয়ে, প্রত্যেকটা নৌকোই খুব সুন্দর, ছবির মত সাজানো। কিছু নৌকো খুব বড়, যাতে অনেকগুলো ঘর আছ, কিছু মাঝারি আর কয়েকটা ছোট। যে নৌকোটার সাথে কথা বলে রেখেছিস, আমরা সেটার সামনে পৌছতে, একজন বেশ লম্বা চওড়া, পেটানো চেহারার লোক বেরিয়ে এল। একটা ধুতি লুঙ্গির মত করে পরে, সেটাকে হাঁটু পর্যন্ত তুলে গিঁট দিয়ে রেখেছে, গায়ে একটা সুন্দর হাফ শার্ট। কুচকুচে কালো, কিন্তু দেখতে সুন্দর মানুষটা আমাদের দেখেই বলল, “আসুন, আসুন স্যার”। তুই আমাকে বললি, “আমাদের নৌকোর মাঝি”। সে আমাদের মালপত্র নিয়ে নৌকোয় তুলে দিল। একটা পাটাতন দিয়ে পাড় থেকে নৌকোয় যেতে হয়। তুই পাটাতনে এক পা দিয়ে একটা ছোট্ট লাফে নৌকোয় পৌঁছে গেলি, “মা এসো”। আমি পাটাতনে পা রাখতেই, সেটা দুলে উঠল আর আমি ভয় পেয়ে পিছিয়ে এলাম। মাঝি বলল, “যান না ম্যাডাম, কিছু হবে না”, তুই ও বললি, “চলে এসো মা”, কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি যদি জলে পড়ে যাই। “মাঝি ভাই ওকে একটু হেল্প কর না,” তুই বললি। মাঝি আমার একটা হাত ধরে আমাকে পাটাতনটা পার হয়ে নৌকোয় উঠতে সাহায্য করল।  মাঝারি সাইজের এই নৌকোটায় উঠে আমি তো অবাক, এত সুন্দর নৌকো হয়? সামনেটা সুন্দর করে সাজানো বসবার জায়গা, একটা সোফা, দুটো আরাম কেদারা, চার পাশে রেলিং দেওয়া, রেলিঙের ধারে বসবার জন্য বেঞ্চি। বসবার জায়গার পরে খাওয়ার জায়গা, একটা ছোট ডাইনিং টেবল, চারটে চেয়ার। “মা এই জায়গাটাকে ডেক বলে”, তোর একটা হাত আমার কোমর জরিয়ে ধরল, “এসো তোমাকে বাকি নৌকোটা দেখাই”। ডেকের পেছনে পর পর দুটো কেবিন। মাঝি আমাদের মালপত্র প্রথম কেবিনটায় রাখলো। কেবিনটা হোটেলের ঘরটা থেকেও সুন্দর, দু পাশে বড় জানলা, জানলায় পর্দা, কেবিনের মাঝখানে বিরাট বিছানা, সাদা ধবধবে চাদর পাতা, এক পাশে দুটো বেতের চেয়ার আর ছোট টেবল, ছোট একটা বাথরুম। “আমরা কি এখানে থাকব?” আমি জিগ্যেস করলাম। “হ্যাঁ মা,” তুই বললি, “পছন্দ হয়েছে?” “খুব পছন্দ হয়েছে”, বলে আমি তোকে একটা চুমু খেলাম। তারপরেই খেয়াল হল, মাঝি দাঁড়িয়ে আছে, সরে এলাম। “চলো মা, বাকীটা ঘুরে দেখি”, তুই আমাকে নিয়ে এগোলি। পাশে আর একটা কেবিন, “এখানে কারা থাকে?” আমি জিগ্যেস করলাম। তুই বললি, “আমাদের মত যারা বেড়াতে আসে, কিন্তু এখন কেউ নেই, তাইতো মাঝি ভাই?” মাঝি বলল, “হ্যাঁ আজকে বোটে শুধু আপনারাই, কালকে আর এক পার্টী আসার কথা আছে”। তারপরে একটা ছোট্ট সিড়ি, সেখান দিয়ে উপরে উঠে দেখি, আর একটা কেবিন আর আবার একটা ডেক। কেবিন আর ডেক দুটোই ছোট, কিন্ত পরিপাটি করে সাজানো। আমরা নীচে নেমে এলাম, সিড়ির ওপাশে পর পর আরও দুটো কেবিন, প্রথমটা মনে হল রান্নাঘর। ফিরে এলাম নৌকোর মুখে যেখানে মাঝির বসার জায়গা, যেমন গাড়ীর ড্রাইভারের সীট হয়। মাঝি নৌকো ছেড়ে দিল, তুই বললি, “চলো মা আমরা বসি গিয়ে”। 
Parent