সুন্দরবনে মা ও ছেলের জীবনের গল্প - অধ্যায় ১১
আমি- কেন মা আজকে তুমি যেভাবে কথা বলছ কেন অমন ভাবো আমি তোমার ছেলেনা। ছেলেক কেন জন্ম দিয়েছো, বিপদে ছেলে কাছে না থাকলে কে থাকবে একবার বল তুমি, তোমার কি আমার প্রতি এক্টূও বিশ্বাস নেই।
মা-আছে বাবা আছে আমার ছেলের প্রতি আজকে অনেক বেশী বিশ্বাস জমে গেছে, নে এবার ঘুমাবি নাকি কষ্ট হয়েছে অনেক সকালে উঠে দুজনে যাবো। কিছু খাবি বাবা কত কিছু তো এনেছিস। বাব্বা বিস্কুট চানাচুর, আবার নিমকি। নিমকির কথা তোকে কে বলল।
আমি- বললাম আমি বুঝি জানিনা আমার মা নিমকি ভালো খায় তাই আনলাম।
মা- এই পেয়াজ লঙ্কা দিয়ে নিমকি খাবি দারুন লাগে খেতে।
আমি- দাও দুজনে মিলে খাই।
এরপর মা পেয়াজ লঙ্কা দিয়ে নিমকি নিয়ে এলা দুজনে বসে খেলাম।
আমি- বললাম তুমি খালি গায়ে রান্না ঘরে গেছিলে ভালো লাগে সব সময় ব্লাউজ পরে থাকবে এভাবে খালি থাকবেনা।
মা- আচ্ছা বাবা বলে নে এবার শুয়ে পর আমিও শুয়ে পরি কেমন। আমি তোর বিছানা ঝেরে দিচ্ছি বলে আমার বিছানা ঝেরে দিয়ে মশারি খাটিয়ে দিয়ে মা চলে গেল ঘরে নিজে ঘুমাতে। ৯ টার মধ্যে আমারা গ্রামে ঘুমাতে যাই। মা চলে যেতে আমি ভেতরে ঢুকে পড়লাম।
আমি- বিছানায় গা দিয়ে সারাদিনের কথা ভাবতে লাগলাম, উঃ আজকের দিন কি হল, মায়ের কথা ভাবতে লাগলাম। মায়ের সত্যি কষ্ট হয় বাবা নেই। আবার ওই গল্পর কথা ভাবতে লাগলাম, আমার মোবাইল নেই তবে ভালো হত আছে একটা ছোট মোবাইল সেও মায়ের কাছে থেকে আমার নেই। কষ্ট হয়েছে তাই ঘুম এসে গেল খুব তাড়াতাড়ি আর আসবেনা কেন মাকে ভেবে যে আমি বিছানায় বসে খিঁচে ফেললাম। তারপর ঘুমিয়েও পড়লাম। তবে আজকে মায়ের কান্না শুনতে পাইনাই।
পরিশ্রমের ঘুম দেরী হয় নাই তবে খুব সকালে মা আমাকে ডেকে তুলল।
মা- আমাকে বলল আমি রান্না চাপিয়ে দিয়েছে দেখেছ আকাশ কেমন ভার হয়ে আছে সকাল সকাল গিয়ে জমি ঠিক করে নিতে হবে। তুমি বাবা একটু গরু ছাগলের দিক্তা দেখ।
আমি- হ্যা মা বলে আমি বেড়িয়ে গরু ছাগল বের করে ওদের ম্যাচলা ভরে খাবার দিলাম। তারপর নিম দাতন দিয়ে দাঁত মেজে পুকুর থেকে মুখ ধুয়ে বাড়ির ভেতরে এলাম। দেখি মা রান্না ঘরে রান্না করছে।
মা- আমাকে দেখে বলল বীজ দেখ গজিয়েছে নাকি তবে ভালো হবে।
আমি- গিয়ে দেখে বললাম মা অঙ্কুর বেরিয়েছে।
মা- তবে আর চিন্তা নেই চলো আজকে মা ছেলে মিলে জমির কাজ শেষ করেই আসবো। ভয় লাগে বৃষ্টি না আসে। জল তো আবার জমেছে গিয়ে বের করতে হবে। এই বাবা মাছ আর ভাত সাথে একটু দাল করলাম ফিরে এসে তরকারী করব।
আমি- আচ্ছা মা তাই হোক।
মা- বলল দেখ তো ব্লাউজ শুকিয়েছে নাকি নতুন পরে যাবো।
আমি- আচ্ছা বলে ঘরের বারান্দায় গিয়ে হাতে নিয়ে দেখে বললাম হ্যা মা শুকিয়েছে বলে হাতে করে নিয়ে এলাম। মায়ের ব্লাউজ ছায়া আর শাড়ি।
এরপর মা আরা আমি সকালের খাবার খেয়ে সোজা চলে গেলাম জমিতে সাথে নিলাম কালকের মতন আজকে আবার আরো বেশী বীজ। মাথায় নিয়ে চললাম মা ছেলে মিলে। মা আগে আগে চলছে আমি পেছনে। যেতে যেতে মায়ের পাছার দুলনি আমার চোখ এরায়নি কি যে একটা নেশা হয়েছে আমার কি বলব। আর দুলছেও মায়ের পাছা থল থল করছে দুই দিকের কান্তা উপর নিচ করে চলছে, আর কোমর আর ব্লাউজের ফাঁকা অংশ যদিও রোদে পুড়ে একটু কালচে হয়ে গেছে তবে কালকে যা দেখলাম উফ কি ফর্সা মায়ের দুধ আর থাই ভাবাই যায়না। যাহোক এভাবে দেখতে দেখতে চলে গেলাম জমিতে। গিয়ে মাথার জিনিস নামিয়ে আমি আগে চলে গেলাম জমিতে। দেখে আবার মায়ের কাছে এসে বললাম হ্যা মা অনেক জল জমেছে ফেলতে হবে আগে।
মা- তবে চলো আকাশ ভার কিন্তু। কি করবে না কি বাদ দেবে আজকে।
আমি- না মা যা হবার হবে কাজ শেষ করে দেবো আজকে। তুমি চলো এগুলো এখানে থাক খিচি নিয়ে চলো বলে দুজনে জমিতে গেলাম।
মা- বলল কাঁচা একবার দেখে নেই কোথাও দিয়ে জল আসে কিনা। চলো দুজনে একসাথে আমি আগে যাই তুমি পেছনে আসো একজনের চোখে না পড়লে তোমার চোখে পড়বে। বলে মা দেখে আগে আগে হাটতে লাগল।
আমি- এক জায়গা দেখে বললাম মা দেখ চুইয়ে জল আসছে বলে দুজনে একসাথে ঠিক করলাম। মা ভেতরে আমি বাইরে এইত এবার মায়ের আবার দুধ দেখলাম উফ সত্যি বলছি মা নিচু হলে এত সুন্দর লাগে দেখতে।
মা- হঠাত এই এই একটা ল্যাঠা মাছ ধরেছি বলে তুলল। দেখ কতবড়।
আমি- হুম তাইতো যাও তুমি রেখে এস আর না হয় গামলা নিয়ে এস এদিকে।
মা- এতবড় আমি নিয়ে যেতে যেতে যদি পরে যায় তুই নিয়ে চল বলে আমার হাতে দিতে গেল।
আমি- একদম খপ করে ধরে নিলাম দুই হাত দিয়ে তারপর গেলাম মায়ের সাথে।
মা- গামলা নিয়ে বলল জমির ভেতরে রাখলে পড়লে পালাতে পারবেনা তাইনা বলে আবার দুজনে ফিরে এলাম।
আমি- না মা সময় নষ্ট করা যাবেনা দুজনে লেগে পরি বলে হেটে ঘুরে সব দিক দেখে নিয়ে তারপর ফিরে এসে মায়ে পুতে লেগে পড়লাম জল বের করতে। অনেক জল আবার জমেছে। খুচু নিয়ে খিঁচে খিঁচে জল বের করে ফেল্ললাম। এক ঘণ্টা লেগে গেল বের করতে।
মা- বলল এবার আঁচরা নিয়ে যাই দুজনে ভালো করে আঁচড়ে নিয়ে তারপর বীজ ফেলা যাবে।
আমি- হ্যা বলে দুজনে কাজ শুরু করলাম যেখানে উচু নিচু সেখানে কোদাল দিয়ে সব ঠিক করতে বেলা ১২ তা বেজে গেল।
মা- বলল না এবার বীজ ফেলা যাবে তুমি পারবে বুনতে।
আমি- পারবো কি ভাবো আমাকে কেন পারবোনা বীজ বুনতে। একবার দেখ তারপর বলবে।
মা- যাক ভালই হবে তোমার বাবা আগে বুনতো এখন তুমি বুনবে, তুমি ছাড়া কে আছে বীজ বোনার আমাদের তাইনা। এদিকে কেউ নেই যে আমাদের বুনে দেবে। আমি জানি তুমি পারবে বীজ বুনতে। এখন অনেক বড় হয়েছ তুমি।
আমি- হ্যা মা কাউকে দরকার নেই আমি একাই পারবো তুমি দেখ না ঠিক হয় কিনা। বাবার সাথে এসে আমি বীজ না বুনলেও শার ছিটিয়েছি কয়কবার।
মা- হ্যা হ্যা যা হয় তুমিই বুনবে আর কাউকে দরকার নেই আমাদের।