সুন্দরবনে মা ও ছেলের জীবনের গল্প - অধ্যায় ৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-69606-post-5994399.html#pid5994399

🕰️ Posted on July 24, 2025 by ✍️ familymember321 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 953 words / 4 min read

Parent
আমি- আরে না তুমিও তো আমার সাথে সমান কষ্ট করে যাচ্ছ তাইনা। একটু জিরিয়ে নেবে নাকি মা। মা- হ্যা হাত ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে না। বেলা তিনটে বেজে গেছে মনে হয় দেখেছিস কত হেলে গেছে সূর্য। শেষ তো করতে হবে না হলে কালকে বিজ ফেলা যাবেনা। আজকে শেষ করেই যেতে হবে কি বলিস। নে একটু দাড়িয়ে নে বসা তো যাবেনা, কাচাও ভেজা তাইনা। দড়ি ছেরে একটু দাড়িয়ে নে। এরপর একটানে সব শেষ করে দেবো। আমি- আচ্ছা বলে দাঁড়ালাম। আর বললাম আমি তো এইবার এছারা তুমি আর বাবা তো প্রতি বছর চাষ করতে তাইনা। মা- হ্যা তা ছাড়া উপায় আছে। এবার তোর সাথে এলাম। আমি- মা ভাবতে হবেনা মা বাবা নেই তো কি হয়েছে আমি তো আছি এখন থেকে আমি একাই করব। মা- একা কি করে করবি সাথে একজন লাগবে তো। তোর মা আছে বুঝলি, মা সব করে দেবে।   আমি- না মানে তুমি না আসলে কি আমি পারতাম না গামলা দিয়ে সিচে নিতাম। একটু কষ্ট বেশী হত। তোমাকে আর কষ্ট করতে হবেনা মা। মা- হ্যা আমি দিন দিন খেয়ে খেয়ে মোটা হই তাইনা আর পারার সবাই আমাকে কুরে বলুক। ফাঁকা বাড়িতে একা একা ভালো লাগে নাকি তোর বাবার সাথে আমি সব করতাম এখন তোর সাথে করব। দুজনে মিলে করলে ভালো হবে। আমি- তা ঠিক মা তুমি আমার সাথে করলে কোন সমস্যা হবেনা। সবাই বলবে কিন্তু কেউ কিছু করে দেবেনা। আমরা দুজনে মিলে সব করব কি বলো মা।   মা- তবে বুঝেছিস সমলচনা সবাই করে কিন্তু কেউ করে দেবেনা। না তোকে না আমাকে। আমাদের নিজেদের করতে হবে। এতদিনে কে এসেছে আমাদের দেখতে জামাই সে যে গেল আর এলনা। মেয়েটাও আর একবার এল না একটা ফোন করে সব শেষ বাবা। ৬ টা মাস চলে গেল কেউ খোঁজ নিয়েছে আমাদের এক কোনে বাড়ি আমাদের একবারের জন্য কেউ আসেনা পর্যন্ত, আমারা যে দুটো প্রানী বেঁচে আছি না মরে গেছি কে খোঁজ নেয় তুই বল। আমরা মা ছেলেই থাকবো, তুই আমি মিলেই করব সব যত কাজ। তোর বাবা নেই এখন তুই না করলে কে করবে। তুই আমার সব আশা ভরসা বাবা আমাদের বেঁচে থাকতে হবে এভাবেই নিজের কাজ নিজেরা করে নিয়ে। আমি- মা সেজন্যই আমি আর কলকাতা যাইনি মায়ের কাছে আছি ওখানে আমার থাকার জায়গা আছে ইচ্ছে করলে তোমাকে নিয়ে গিয়ে যদি বলি আমার মা, বললে আমাকে থাকতে দেবে। পাশে একজন লোক আছে খুব ভালো বাসত আমাকে তার অনেক ঘর বলেছে পারলে তুই এসে থাক আমাকে ভাড়া দিতে হবেনা, পড়াশুনা করবি আর আমার কারখানায় যা পারবি করবি তোর ভালো মতন চলে যাবে। বাবার কাছ থেক কিছু নিতে হবেনা। আমাকে এও বলেছিল দরকার হলে আমার ঘরে খাবি তুই। আসলে ওনার দুই মেয়ে বিয়ে হয়ে গেহে একা তাকে একজম মহিলা আছে রান্না করে দিয়ে যায়। কথা বলার ওনার লোক নেই আমরা গিয়ে থাকতে পারি ওখানে। তাছারাও উনেক ঘর ভাড়া পাওয়া যায় আমরা থাকতে পারবো তবে কামাই করতে হবে মা ওনার কারখানা আছে আমাকে বলেছে তুই কাজ কর যা পাবি ভালো মতন চলে যাবে তোর। দরকার হলে তোকে এখানে বিয়ে দিয়ে দেবো বউ নিয়ে থাকতে পারবি।    মা- কই আমাকে তো বলিস নি এই কথা। তারমানে খুব ভালো লোক তাইনা।   আমি- তুমি কি করে ভাবলে তোমাকে একা ফেলে চলে যাবো, মাকে আমি কষ্ট দেব সে কোনদিন হবেনা মা। যা আমি করিনা কেন মাকে নিয়েই করব। মায়ের সাথে থেকেই করব। বাবা নেই মাকে ফেলে দিয়ে চলে যাবো এ কথা তুমি ভাবতে পারলে মা।   মা- বাবা আমার এখানে থাকতে ভালো লাগেনা চল না আমরা চলে যাই এই গ্রাম থেকে।সব কিছু বেঁচে দিয়ে চলে যাবো একবারে। আর কোনদিন ফিরে আসবোনা এ গ্রামে আর তুই আমি থাকবো তুই যেখানে রাখবি সেখানে।   আমি- না মা তা হয় না বাবার স্মৃতি রয়েছে না কি করে যাবো। এখানেই থাকবো আমরা তারপর যদি যেতে হয়ে পরে যাবো এসব বেঁচে দিয়ে তবে এখুনি না। আমি তো তোমার সাথে আছি নাকি আর এই ৬ মাসে আমাদের তো ভালই জমেছে তাইনা। খাওয়া ছাড়া তো কিছু খরচা করি না। সেদিন তোমার একাউন্টে টাকা জমা দিয়ে এসেছি। ওই যে গ্রামীন শাখায়। যদি যেতে হয় তবে গরি ছাগল বেঁচে দিয়ে বাড়ি ফাঁকা রেখে চলে যাবো মাঝে মধ্যে দুজনে এসে দেখে যাবো পিতৃ ভিটা বেচা ঠিক হবে নাকি। মা- যে ভিটেতে থাকবো তা রেখে কি লাভ হাতে টাকা থাকলে সব হবে আমাদের আবার। আমি- দেখি মা আর কিছুদিন যাক এই বর্ষা যাক তারপর না হয় ভাববো। এই সিজনে মাছ ধরে কামিয়ে আরো কিছু জমিয়ে তারপর না অয় একটা সিন্ধান নেওয়া যাবে। মা- ঠিক আছে বাবা আমার যে তুই ছাড়া কেউ নেই বাপের বাড়িতে যাওয়ার জায়গা নেই, তুই চলে গেলে আমি একা বাচতে পারবোনা। য়ামাকে হয় কুমিরে নিয়ে যাবে না হয় বাঘে নিয়ে যাবে বলে দিলাম। আমি- না সে আর হবেনা না আমার মাকে আমি আমার বুকে আগলে রাখবো। কেউ তোমাকে ছুতে পারবেনা। মা- নে বাবা চল কথা বাড়ি গিয়েও বলা যাবে এখন জল সব বের করে নেই আয় চল বাবা। আমি- হুম চলো বলে আবার দুজনে জল সিচে বের করতে লাগলাম। আমি বললাম মা তাকিয়ে দেখ প্রায় শেষ করে ফেলেছি মাঝে মাঝে মাটি বেরিয়েছে কত জল বের করলাম। আমরা দুজনে আজকে তাইনা। মা- হ্যা আর আধ ঘন্টা লাগবে বেশী হলে। হাতের পেশী ব্যাথা হয়ে গেছে তাইনা। আমি- না না ঠিক আছে তুমি ভেবনা তোমার ছেলের খুব কষ্ট হয়েছে এবার একটু দাড়িয়ে আবার একটানে শেষ করে দেবো। মা- হ্যা একটু দাড়িয়ে নেই আবার দেখ মাছ দেখা যাচ্ছে ধরবি নাকি খাওয়া তো যাবে। আমি- হ্যা জল বের করে শেষে ধরে নিয়ে চলে যাবো, বাড়ি গিয়ে আমার তো কোন কাজ নেই তোমার আবার রান্না করতে হবে। আমি তোমাকে সাহায্য করে দেবো মা মাছ না হয় আমি কেটে দেবো। মা- ওরে আমার বাবারে মায়ের জন্য এত ভাবে আমার বাবা আমার আর চিন্তা কিসের। আমি- হ্যা মা আমারা মা ছেলে মিলে সব করব তবে আর কষ্ট থাকবেনা তাইনা মা। মা – হ্যা দুজনে মিলে কিসের কষ্ট ভালই থাকবো আমরা, মায়ের কষ্ট যদি তুমি বোঝ তবে আমার কিসের চিন্তা, তোমার বাবা নেই এখন তুমি আমার সব। বাবার দায়িত্ব তুমি সব নিচ্ছ যখন আমার ভেবে লাভ আছে। মায়ের দ্বায়ীত্ব তুমি সম্পূর্ণ ভাবে নিলে আর কিসের চিন্তা আমার।
Parent