সুন্দরবনে মা ও ছেলের জীবনের গল্প - অধ্যায় ৭
মা- তুই এসব জানিস তাহলে।
আমি- বললাম মা আমি একাধারে চাষির ছেলে আবার জেলে এসব আমার এমনিতেই জানা।
মা- তবে চলো তবে বেলা শেষ সারাদিন বাইরে গরু ছাগল কে খেতে দেওয়া হয়নি।
আমি- হ্যা বলে গিয়ে আবার জল সেচা শুরু করলাম। অল্প সময়ের মধ্যে সব জল বের করে ফেললাম। কিছু জায়গায় একটু নিচু সেখানে জল আছে তাকিয়ে বললাম মা কালকে সব করে দেবো আজকে সত্যি কষ্ট হয়ে গেছে।
মা- হ্যা তবে চলো গুছিয়ে বাড়ির দিকে যাই আর মাছ আছে নাকি দেখবেনা। গিয়ে রান্না করব তারপর খেতে হবে তাইনা। গিয়েই খাওয়া যাবেনা।
আমি- ও হ্যা আসো দেখি বলে নিচু জায়গায় গিয়ে হাত দিতেই একটা শোল মাছ পেলাম। সাথে বড় একটা বাগদা চিংড়ি মাছ।
মা দেখেই বলল এই বড় মাছটা তুমি খিচির মধ্যে রাখ আর দেখ পাওয়া যায় নাকি খাওয়ার ভালই মাছ হবে।
আমি হ্যা মা দাড়াও আমি দেখে আসছি বলে অন্য নিচু জায়গায় গেলাম আর গিয়ে পেলামো আরো দুটো বাগদা চিংড়ি। হাতে করে ধরে নিয়ে এলাম মায়ের কাছে। জব্বর মাছ দেখ মা।
মা- দেখ না আর ল্যঠা পাওয়া জায়নাকি এমন ল্যঠা ইচ্ছে করলেই পাওয়া যায়না। না তুল্ললে জল শুকিয়ে গেলে অন্য জমিতে চলে যাবে।
আমি- আচ্ছা দেখছি বলে একটু হেটে যেতেই দেখি দুই তিনটে আছে। মা এস পয়ায়া গেছে বলে নেমে পরে ধরলাম।
মা- কাছে দেখে বলল বাঃ বেশ বড় তো তাইনা। এক বিগদা হবে প্রায়। দাও আমাকে দাও বলে গামলা পাতল।
আমি- মা দেখ লাফ দিয়ে চলে না যায়।
মা- না না আঁচল দিয়ে ঢেকে রেখেছি দেখছ না যেতে পারবেনা। এই বলতেই একটা লাফ দিয়ে মায়ের দুই পায়ের মাঝখনে গিয়ে পড়ল। মা উরি বাবা কি লাগল আমার এমন লাফায় ল্যঠা মাছ। ধর তুমি যেতে দিও না।
আমি- আবার ধরে মায়ের আঁচলের ভেতরে গামলায় দিলাম।
মা- বলল হারিয়ানলে ভালো হত তবে আর লাফিয়ে বেড়িয়ে যেতে পাড়ত না।
আমি- হ্যা মা দুষ্টু মাছ তো বাড়ি গিয়ে কেটে ফেলতে হবে।
মা- না আর থাকা ঠিক হবেনা বাড়ি গিয়ে রান্না করতে করতে সন্ধ্যে ঘোর হয়ে যাবে কখন স্নান করব কি করব।
আমি- চলো আমি রান্না করবো তুমি চাপিয়ে দিলে ফাকে তুমি স্নান করে এস তারপর না হয় আমি স্নান করব।
মা- চলো বলে বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলাম দুজনে মা জোর পায়ে হাঁটছে আর আমি পেছন অনেক কিছু নিয়ে হাটছি সেই খিচি মাথায় নিয়ে।
আমি- বার বার মাকে শুধু দেখে আসছি সত্যি আজকের ঘটনা কোনদিন ভোলার নয় বাবা চলে গেছে প্রায় ৬ মাস কিন্তু আজকের মতন মায়ের সাথে আর কোনদিন হয়নি অনেকবার একসাথে কাজ করেছি কিন্তু আজকে সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনা। এইসব ভাবতে ভাবতে বাড়ি দিকে হেটে চলছি আর মায়ের দেহ নিয়ে ভাবছি, ঐযে দিদিটা জার বিয়ে হয়নি তার থেকে দেখতে আমার মা ভালো, মানে গায়ে গতরে ভালো, ওর মতন রুপশ্রী না হলেও মা অনেক সেক্সি। ওর মতন মায়ের দুধ ঝোলা না দেখলাম তো। ও মেয়ে তো নাইটি পরে ভেতরে কিছু পড়েনা একদম ঝুলে থাকে বুকের উপরে কিন্তু মায়ের ব্লাউজে দারুন দেখেছি, ওকে বিয়ে করতে যাবো কেন এমন মা থাকতে। বাবা নেই মায়ের কষ্ট হয় সে কষ্ট যদি ছেলে হয়ে না পূরণ করতে পারি তবে অন্যকে বিয়ে করে কিহবে।
মা- পেছন ফিরে ডাক দিয়ে কি হল কাছে আসো বাড়ি পৌছাতে হবে তো নাকি কষ্ট হয়ে গেছে তাইনা বাবা।
আমি- না মা চলো আমি আসছি তো সারাদিনের কথা ভাবছিলাম হাটতে হাটতে।
মা- বলল ভাবার কি আছে যা হয়েছে ভালই হয়েছে অনেক কাজ করে ফেলেছি আমরা তাইনা, কতদুর এগিয়ে থাকলাম। এভাবে করলে আর অঙ্কে কাজ হবে তাইনা। একটু একটু করে কাজ এগুতে হবে একবারে হয় নাকি। আজকে হল আবার কালকে আরেকটু হবে এভাবেই না আমরা দুজনে বুঝবো, কি করে বাকি কাজ করা যায়। এস কাছে এস তুমি। এসে গেছি প্রায় এবার গিয়ে রান্না করে স্নান করে মা ছেলে মিলে পেট ভরে খাবো।
আমি- হ্যা মা অনেকটা রাস্তা তাইনা কম সময় লাগে যেতে আসতে কি বল তুমি।
মা- বলল বাবা সময় তো লাগবেই, সময় না দিলে কাজ হয় নাকি একবারে সব হয়না, সময়ের ব্যাপার আছে না। সময় দাও সব হবে তবে আজকে বেশ খানিকটা হয়েছে, কি বল তুমি আমি মিলে যা করলাম।
আমি- হ্যা মা এভাবে এর আগে তো হয়নি আজকে যেভাবে হল।
মা- হুম সোনা আজকে ভালো কাজ হয়েছে আশার আলো আমি দেখতে পাচ্ছি ভালো ফসল হবে আমাদের তুমি দেখে নিও। বীজ তুমি বুন্তে পারবে তো।
আমি- হ্যা মা আমি বুন্তে পারবো আর কাউকে লাগবেনা।
মা- হ্যা সোনা আমিও চাই তুমি নিজে বীজ বুনবে আর কাউকে আমার লাগবেনা। তোমার বাবার জমিতে তুমি নিজে বুনবে। এই বাবা এসে গেলাম চলো এবার বাড়ি এসে গেছি।
আমি- হ্যা মা বলে মাথা থেকে নামিয়ে রাখলাম মাকে বললাম যাও তুমি ঘরে যাও আমি এদিকে দেখছি।
মা- বলল বাবা গরু ছাগল কে একটু খেতে দে বাইরেও বাঁধা হয়নি আমি রান্না চাপিয়ে দিয়ে তারপর স্নান করতে যাবো।