তারপর - অধ্যায় ৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-67102-post-5866864.html#pid5866864

🕰️ Posted on January 29, 2025 by ✍️ সাদা শয়তান (Profile)

🏷️ Tags:
📖 566 words / 3 min read

Parent
তারেক আসলো সন্ধ্যায়৷ ততক্ষণে মা ছেলে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। আকাশ ঘুমিয়ে পড়েছে মড়ার মত। মহুয়ার সে সুযোগ নেই। তাকে গোসল করতে হয়েছে৷ অবশ্য তাতে বেশি খাটনি ছিলো না। তিনি বাথরুমেই ছিলেন৷ এবং নগ্নই ছিলেন। প্রথমে শাড়ি গুটিয়ে নিলেও পরে ধিরে দিরে সবই খুলতে হয়েছে তাকে। ভালো লাগে মহুয়ার। ছেলেটা আজ মা মা বলে গভির আবেগে চিৎকার করেছে অনেকবার। অন্য সময় হলে ভয় লাগতো, বাইরে শব্দ ছরিয়ে যাবার। কিন্তু বাথরুমে ট্যাপ আর ঝড়নার পানির আওয়াজে সে শব্দ শুধু দুজনার মধ্যেই থেকে গেছে। পচা কথা প্রতিবারই বলে আকাশ। কানে কানে। গাড় স্বরে৷ আজ বলেছে চিৎকার করে। এ এক অন্য অভিজ্ঞতা। বলেছে মহুয়াও৷ অনেক কিছু যা অন্য সময়ে বলতে বাধো বাধো ঠ্যাকে। তা আজ মহুয়াও বলেছে উচু গলায়। তার গলায় স্বরে, তার আস্কারায় আকাশও বাধন ছেড়া বনের পাখির মত উড়ে বেড়িয়েছে তার শরীরে। গোসল শেষ করার আগেই মহুয়া শুনতে পেয়েছেন কলিং বেল-এর শব্দ। দরজা খুলেছে আকাশ তাও বুঝতে পেরেছেন। তাই তারাহুরো করেন নি৷ বাপ-বেটার একটু ভাব হোক। বাপ-বেটা কথাটা ভেবেই একটু লজ্জা লাগলো মহুয়ার। কি কি যে সব হচ্ছে তার জীবনে। এতক্ষণ যা হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পরে আবার যা শুরু হবে। ভাবতেই যেন একটু কেপে উঠলেন মহুয়া। শখের পুরুষের সাথে অনাগত মুহুর্তের কথা ভাবতেই যেন একটু ভিজে গেলেন নিজে থেকেই৷ এই বজ্জাত গুলি তাকে একটু শান্তিতে থাকতে দিলো না। ভেজা চুলে তোয়ালে হাতে ড্রয়িং রুমে এসে দাড়ালেন মহুয়া। তারেক খুব হাত নেড়ে আকাশ কে কি যেন বুঝাচ্ছে। তাকে দেখেই ঠান্ডা মেরে গেল সে। হা করে তাকিয়ে রইলো তার দিকে। কোন লাজ লজ্জারও বালাই নেই তারেকের৷ ছেলের সামনে এভাবে কেউ তাকায় তার মায়ের দিকে। ছি:। লজ্জায় লাল হয় মহুয়া। তবে মুখে তার শয়তানি হাসি। চোখে ইশারায় ধমক দেয় তারেককে। আকাশ রয়েছে এখানে। তারেক থোরাই শোনে সে কথা৷ বরং আরও বড় বড় চোখে তাকিয়ে থাকে। রক্ষা করে আকাশ। সে উঠে যায়। দুজনকে একা থাকতে দিয়ে চলে যায় নিজের ঘরে। ছেলে বড় হয়েছে। বোঝে মায়ের প্রাইভেসি৷ বড় ভালো লাগে মহুয়ার৷ এসে বসে তারেকের কাছে। বলে, এত দেরি যে। তারেক হাসে। আলতো করে আঙুল ছোয়ায় মহুয়ার নাকের ডগায়। তারপর আবার হাসে৷ লাজুক ভাবে মাথা নিচু করে হাসে। নিজেকে খুব সুখি মনে হয় মহুয়ার। মনে হয় না, তার সামনের বছর ২৫ এর ছেলেটা তার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। মনে হয় এ তার জনম জনমের খেলার সাথি। তার সমবয়সী বন্ধু। প্রবল মাতৃভাব আর অন্যপাশে ছেলেমানুষির কারনে দুজনকে আলাদা বয়সী দেখায়। এভাবে পাশে বসে, একে অন্যের দিকে চেয়ে থেকে গোটা একটা জীবন পার করে দিতে পারে তারা। কথা বলে মহুয়া। পায়ের কাছে ব্যাগের দিকে তাকিয়ে বলে, এতগুলি কমলা এনেছো কি ভেবে? কে খাবে এগুলা। তারেক এবারও উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে হাসে। মহুয়া আবার বলে, অফিসের কি খবর? তারেক বলে, অফিসের চেয়ে খারাপ জায়গা এই দুনিয়ায় আর নাই। হাসে মহুয়া। বলে, তাহলে ভালো জায়গা কোনটা। মহুয়ার আশা ছিলো তারেক বলবে, তোমার কাছে। তবে তারেক তা বলে না। কিছুই বলে না। মিটিমিটি হাসে৷ এই ছেলের মুখে কথা ফুটতে সময় লাগবে, ভাবে মহুয়া। দুষ্টুমি খেলে যায় তার মাথায়। বলে, বাব্বাহ, এত লজ্জা৷ আসো, লজ্জা ভেঙে দেই। আকাশের কোন ইচ্ছা ছিলো না এসময়ে ড্রয়িং রুমে যাবার। তাই সে প্রথমে অল্প উকি দিলো। বোতলে খাবার পানি নিতে হবে। চট করে যাবে, চট করে চলে আসবে। তারেক ভাই আসার পর থেকে মায়ের চোখে মুখে যে আনন্দ, তা সে নষ্ট করতে চায় না। সে জানে, এই সময় তার উপস্থিতি মায়ের মনে অস্বস্তি তৈরি করবে। তা সে চায় না। ড্রয়িং রুমে উকি দিয়ে আকাশ নিশ্চিত অনুভব করলো। ড্রয়িং রুম খালি সেখানে কেউ নেই। সে তারাতাড়ি গিয়ে বোতলে পানি ভরে নিজের ঘরে ফিরে আসবে ভাবলো। কিন্তু ভাবলেই কি আর সব হয়৷ (সাদা শয়তান)
Parent