তৃষিতা - অধ্যায় ১৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-4943-post-232483.html#pid232483

🕰️ Posted on March 7, 2019 by ✍️ Rajdip123 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 683 words / 3 min read

Parent
বাইকের পেছনে বসেই এক হাত দিয়ে ব্যাগের ভেতর থেকে ব্লু সানগ্লাসটা বের করে চোখে পড়ে নিল কাবেরি। রাস্তার ট্রাফিক কে পাশ কাটিয়ে, বড় রাস্তায় পড়তেই বাইকের গতি বাড়িয়ে দিলো রণ। পেছনে সুন্দরী কাবেরি প্রায় জড়িয়ে ধরে নিজের থুতনি টা রণের ডান কাঁধে রেখে বসেছে কাবেরি। রণ বাইকের গতি একটু কমিয়ে, পেছনে মুখ করে বলল, “একটু সরে বস বিউটিফুল, আমার জামায় তোমার লিপস্টিকের দাগ লেগে যেতে পারে”। লাগলে লাগুক, “যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, তাহলে বলে দিও, আমার গার্লফ্রেন্ডের লিপ্সের দাগ”। বলে রণের কোমরের কাছে আঙ্গুল দিয়ে খোঁচা মারল কাবেরি। মনে মনে প্রমাদ গুনতে শুরু করলো রণজয়। মা যদি জামায় লিপস্টিকের দাগ দেখে ফেলে তাহলে কেলেঙ্কারি কাণ্ড হবে। কিন্তু এই মেয়েকে কে বোঝাবে? কাবেরির নিজস্ব বয়ফ্রেন্ড আছে, টা সত্ত্বেও রণজয় ঘোষ কে দেখলে সব কিছু ভুলে যায় ও। ভীষণ গায়ে পড়া স্বভাব কাবেরির। রণজয় যদি একবার ওকে আস্কারা দেয়, তাহলেই হয়ত নিজের দু পা ফাঁক করে দেবে কাবেরি। সেটা খুব ভালো করেই বুঝতে পারে রণ। ইচ্ছে করে সে দিকে পা বাড়ায়নি রণ। খুব ভালো করে বোঝে, কাবেরি অফিসের কলিগ, যদি অফিসে জানাজানি হয় তাহলে তার প্রোমোশন আটকে যেতে পারে। অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে ক্যারিয়ারের। এদিকে রণের মানা উপেক্ষা করে, আরও রণের গা ঘেঁসে বসে কাবেরি, রণের বাইকের পেছনে। ভারী স্তন চেপে বসে যায় রণের পিঠে। রণের শিরা উপশিরায় রক্ত চলাচলের গতি বেড়ে যায়। ঘাড়ের ওপরে উষ্ণ নিঃশ্বাসের ঢেউ টের পায় রণ। কোনও রকমে নিজেকে শান্ত করার বৃথা চেষ্টা করতে করতে অফিসের গেটের কাছে এসে দাঁড়ায় রণজয়ের বাইক। বাইক দাঁড় কড়াতেই বাইক থেকে লাফিয়ে নেমে যায় কাবেরি। রণ অফিসে ঢুকেই দেখল নোটিস বোর্ডে একটা সার্কুলার ঝুলছে। বস, মিস্টার অরিজিত ব্যানারজি আর্জেন্ট মিটিং ডেকেছেন। কি জানি কি ব্যাপার, ভাবতে ভাবতে নিজের ক্যুবিক্যালের চেয়ারে এসে বসলো রণজয়। ডেক্সটপটা অন করে ইনবক্সের মেল গুলো চেক করতে শুরু করলো। একটু পড়েই মিটিংএ ঢুকতে হবে। কি জানি বস কি বলবেন। বিরাট চেহারার রাশভারী বিপত্নীক মানুষ অরিজিত ব্যানারজি। বয়স প্রায় পঞ্চাশের ওপরে। তবে শরীরে এখনো বয়সের ছাপ পড়তে দেননি। নিয়মিত শরীর চর্চা করাটা প্রায় ওনার দৈনন্দিন জীবন চর্চার মধ্যে পড়ে। অসম্ভব পরিশ্রম করে তবেই আজ এতো বড় কোম্পানিকে দাঁড় করিয়েছেন। মাস দুয়েক আগে দিল্লীতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটা বড় টেন্ডারের ব্যাপারে খুব পরিশ্রম করেছিল রণজয়। এই কাজ টার জন্য তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অফিসের তরফ থেকে। তার জন্য বারকয়েক তাকে দিল্লীও যেতে হয়েছিল। রণজয় ও নিজেকে প্রমান করার প্রথম সুযোগ পেয়ে দিন রাত এক করে পরিশ্রম করেছিল। দিল্লীতে গিয়ে মন্ত্রি আম্লাদের ধরে অনেক ইনফরমেশন যোগাড় করে, সেটার ভিত্তিতেই টেন্ডার কোট করে, টেন্ডার জমা করেছিল তার কোম্পানি। তারপর অনেক খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছে সে, টেন্ডারের ফলাফল কি হল সেটা জানার জন্য। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তখন পালা বদল চলার ফলে, টেন্ডারটার কোনও খোঁজখবর পাওয়া যায় নি। ব্যাপারটা নিয়ে রণজয়ও একটু মনমরা হয়ে গেছিলো। ইনবক্সের মেল চেক করতে করতে, ভাবছিল রণজয়। হটাতই হুড়মুড় করে কাবেরি এসে বলল, “চলো চলো ডার্লিং, মিটিং শুরু হয়ে গেছে, বস ডাকছেন, আর এখনো এখানে বসে কি আমার কথা ভাবছ”? দুজনেই একসাথে কনফারেন্স হলে ঢুকল। প্রায় জনা তিরিশেক এক্সিক্যুটীভ বসে আছে। রণ আর কাবেরিও পাশাপাশি দুটো চেয়ারে বসে পড়ল। মিস্টার অরিজিত ব্যানারজি, মনোযোগ সহকারে কি একটা ফাইলের পাতা ওলটাচ্ছেন। দুজনে ঢুকতেই, ফাইলের থেকে মাথা উঠিয়ে ওদের দেখলেন। রাশভারী আওয়াজ ভেসে আসলো, “সবাই এসে গেছে? তাহলে শুরু করা যাক আজকের মিটিং”। বলে ফাইলটা বন্দ করলেন মিস্টার ব্যানারজি। মিটিং শুরু হল, দু চার জায়গায় কাজ চলছে কোম্পানির, সেখানকার শ্রমিক রিলেটেড কিছু সমস্যা নিয়ে কিছুক্ষণ কথা বললেন, মিস্টার ব্যানারজি। তারপর উঠে দাঁড়ালেন, সবাই যখন ভাবছে, এরপর কি? রণজয় ও তার ব্যাতিক্রম না। তখনি মিস্টার অরিজিত ব্যানারজির ভারী কণ্ঠস্বর ভেসে আসলো, “মিস্টার রণজয় ঘোষ, প্লিস স্ট্যান্ড আপ”। সবার দৃষ্টি গিয়ে পড়ল রণের ওপর। রণ, নিজেও ভাবছে কি এমন ব্যাপার হতে পারে, যার জন্য তাকে উঠে দাঁড়াতে বলা হচ্ছে। কাবেরি কিছু লাগায়নিতো বস কে। পাশে বসা কাবেরির দিকে একবার সন্দেহ চোখে দেখল, না মাল টাও তাঁর মতনই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে এর ওর দিকে তাকাচ্ছে। কোনোরকমে নিজেকে দাঁড় করাল রণ। আবার সেই গুরুগম্ভীর আওয়াজ মিস্টার ব্যানারজির। “আজকে একটা বিশেষ দিন আমাদের কোম্পানির জন্য”। সবাই জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকি্যে আছে মিস্টার ব্যানারজির দিকে, বলে চলেছেন মিস্টার ব্যানারজি, “মাস দুয়েক আগে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে একটা বিরাট বড় প্রোজেক্ট এর জন্য টেন্ডার কল করা হয়েছিল, আমাদের কম্পানিও ওই প্রোজেক্ট এর জন্য টেন্ডার জমা করেছিল। যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আমাদের কম্পানিতে নতুন জয়েন করা রণজয় ঘোষকে। গতকাল তাঁর পরিণাম ঘোষণা করা হয়েছে”।
Parent