আদিপুরুষ - অধ্যায় ৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-68706-post-5951056.html#pid5951056

🕰️ Posted on May 20, 2025 by ✍️ Nomansland (Profile)

🏷️ Tags:
📖 504 words / 2 min read

Parent
অল্প কিছু  দিনে চম্পা আদিদের বাড়ির সব কাজ নিপুণতার সাথে সামলে নিয়েছে, সময় মতো রান্না ,দাদাবাবুকে টিফিন করে দেয়া । অসময়ে বৃদ্ধা মায়ের পা টিপে দেয়া ।  খিটখিটে বৃদ্ধা যে কবেই চম্পার প্রতি ভালোবাসায় পরেগেছে খেয়াল নেই । হে ড়ে চম্পা !তোর বিয়ে হয়ে গেলে আমাদের কি হবে রে ! দূরে কোথাও করিস না কিন্তু । আমার ছেলেটাকে দেখিস । ও জীবনে কোনো সুখ পেলোনা ওই হারামি বৌটাকে নিয়ে এসে ।  ববৌদির বাড়ি কোথায় মাসিমা ? বর্ধমান এ বাড়ি ,এখন কোথায় থাকে জানিনা , বুড়ো বয়সে নাতিটার ও মুখ দেখতে পাইনা ।  কত মিষ্টি ছিল ছেলেটা ! এখন কত বড় হয়েগেছে ! দাদাবাবুর ছেলেটাকে নিয়ে এসোনা কোনো দিন মাসি ! ও কি আর আসবে! জানিনা । আমি মরলেও আসে কিনা দেখ ! গল্প করতে করতে কখন সন্ধে নেমেছে খেয়াল নেই। আদি ফিরে এসে দেখে ২ জনে  সমানে বসো  গল্প করে যাচ্ছে ।  আদির ভালো লাগে মাকে এই ভাবে গল্প  করতে দেখে । চম্পা এক কাপ চা দিশত আমায় ! কবেই আদি চম্পা কে তুই বলতে শুরু করেছে খেয়াল করেনি । তুমি হাত পা ধুয়ে বসো আমি দিচ্ছি । দাদাবাবু আমি কাল আসবোনা । সে কিরে কেন কোথায় জাবি তুই ? কাল বাবাকে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যাবো । জ্বর কমছেনা । সে কি রে ! কবে থেকে জ্বর ? ৫ দিন হলো দাদাবাবু ।  এত দিন বসে আছিস ? যা কাল দেখিয়ে নিয়ে আয় ?  আমার কাল পরশু ছুটি আমি করে দেব । আদি এমনিতে দারুন রান্না করে ১ দিন চম্পা এঁচোড়ের কোপ্তা খেয়েছিলো এখনো মুখে লেগে আছে ।   যাওয়ার সময় চম্পার হাতে ১০ হাজার টাকা গুঁজে দেয় আদি ।   চম্পা টাকাটা হাতে নিয়ে বলে আমার টাকা তো দিয়েদিয়েছো এটা তাহলে অ্যাডভান্স দিলে । না রে পাগলী এটা তোর বাবার জন্য দিলাম ডাক্তার দেখা  হয়ে গেলে বেঁচে গেলে ফেরত দিস । চম্পার চোখ কৃতজ্ঞতটার জলে একটু ভিজে এলো । চম্পা চলে যেতেই আদি পরিকল্পনা করে নিলো পরের দিন কি কি রান্না  করবে ।  তবু মনটা একটু চঞ্চল হয়ে পড়লো কাল চম্পা আসবেনা বলে. এই কিছু  মাসে ও যেন পরিবারে অংশ হয়েগেছে । আদি আজকাল আর চম্পা কে নিয়ে মনে মনে অসভতা করেনা আর । মাঝে একদিন খেয়াল করেছিল , চম্পা আর বুকে ওড়না নিয়ে কাজ করেনা আজকাল , সেটা খুলে রেখে কাজে নাম। চম্পার বুক দেখে আদি কল্পনা করেছিল চম্পার স্তন গুলো বিশাল না হলেও পরিপুষ্ট  খুব ভোরে কলিংবেল বাজতেই আদি একটু অবাক হয়ে দরজা খুলতেই দেখে বৃভ্রান্ত চম্পা দাঁড়িয়ে আছে চোখে রাত না জাগা ক্লান্তি । কি ব্যাপার চম্পা সব ঠিক থাকে!  চলে এলি যে!  চোখে আতঙ্ক নিয়ে চম্পা বলতে লাগলো বাবা কেমন করছে দাদাবাবু একটু চলোনা দেখো না বাবাকে?  দাড়া !দাড়া , ঘাবড়াসনা আমি যাচ্ছি চল ।  আদি তাড়াহুড়ো করে রেডি হয়ে নিলো ততক্ষনে বৃদ্ধা মা চম্পাকে ঘরে টেনে এনে বসিয়ে কথা বলে যাচ্ছে । আদি চম্পা কে নিয়ে বেরিয়ে এলো নিজের গাড়ি নিয়ে । চম্পার বাড়ি পৌঁছে দেখে কিছু মহিলা  ফিস্ ফিস্ করে কি বলা বলি করছে । আদিকে দেখে বিড় বিড়ানিটা আরো বেড়ে গেলো । ভাঙাচোরা টালির এক খানা ঘর । বিছানায় এক বৃদ্ধ শুয়ে আছে কেমন নিস্তেজ ভাবে । আদি হাতের নারি খোঁজার চেষ্টা করলো । কিছু পেলোনা ।
Parent