আমার নানা রঙের দিনগুলি - অধ্যায় ১৪

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-19275-post-1717606.html#pid1717606

🕰️ Posted on March 14, 2020 by ✍️ Jaybengsl (Profile)

🏷️ Tags:
📖 448 words / 2 min read

Parent
পুজোর ছুটিতে এলো বাপি দা।বয়েসে আমার চেয়ে অনেক বড় হলেও দুদিনেই বন্ধুত্ব হয়ে গেল।বাপিদাকে খুব সমীহর চোখে দেখতাম।ইঞ্জিনিয়ার হবে,কত্তো বড়ো পোস্টে চাকরি কোরবে,কত্তো মাইনে পাবে!! বাপি দা আমাকে ভালবাসতো ঠিকই।তবুও বাপিদা আসার পর উপরে কম যেতাম।মা বেশি যেতে বারণ করেছিলো।ওদের তখন রোজ ভালো ভালো রান্না হতো ।মাঝে মাঝে আমদেরও পাঠাতো যদিও। বাপিদার কতো বন্ধুবান্ধব আসতো।বাপিদাও ওদের বাড়ি যেত । কখনো জেঠিমার সাথে আত্মীয় স্বজনের বাড়ি যেত । পুজোর মধ্যে একদিন আমরা ঠাকুর দেখতে গেলাম সবাই মিলে।তখন কথায় কথায় গাড়ি ভাড়া করে ঠাকুর দেখতে যাবার চল ছিলো না।যেমন অলিতে গলিতে বিরিয়ানির দোকানও ছিলো না।লঞ্চে গঙ্গা পার হয়ে কলকাতায় সারারাত হেঁটে ঠাকুর দেখেছিলাম আর নিউ মার্কেটে "আমিনিয়া"য় বিরিয়ানি খেয়েছিলাম।মনে আছে মস্ত বড় মাংস দেখে মা খুঁত খুঁত করেছিলো,গরুর মাংস দিয়েছেকিনা । বপিদার ছুটি শেষে যাবার সময় হয়ে গেল।সেদিন উপরে গেছি।দুদিন বাদে বাপিদা বেরোবে।নিজের আলমারি খুলে নতুন জামাকাপড় গোছাচ্ছে।একটা মোটা বই আলমারি থেকে বের করলো। "ইলিয়ড ওডিসি"। " তুই তো গল্পের বায় পড়তে ভালবাসিস।এটা পড়িস,মহাভারতের মতো মহাকাব্য।" বপিদার বিছানার উপর উপর একটা বাইনাকুলার।হাতে নিয়ে নাড়িয়ে চাড়িয়ে দেখছিলাম। বাপিদা দেখে বললো, "এটা পছন্দ তোর? নিবি?" আমি মৌনং সম্মতিতে বপিদার দিকে তাকালাম। "এটা দিয়ে কি করে জানিস?" "হুম জানি,দুরের জিনিষ কাছে দেখা যায় ।" "যা,এটা তোকে আমি গিফ্ট করলাম।যত্ন করে রাখবি।" আমি তো খুব খুশী। "এটা দিয়ে আমি কি করতাম জানিস?" "দুরের জিনিস দেখতে।" "না" দাদা আমাকে কাছে টেনে আমার কানে মুখ দিয়ে ফিসফিস করে বললো, "ছাদ থেকে গঙ্গার ঘাটে মেয়েদের কাপড় ছাড়া দেখতাম। তখন আমি তোর মতই ছিলাম।" হি হি করে হেসে উঠলো বাপিদা। কি বলবো আমি । দাদা আবার বললো,"এটা আবার বাড়িতে কাউকে বলে দিয়ো না যেন গান্ডু। তাহলে মার খাবে।" সেই প্রথম বাপি দা আমায় গালাগাল দিয়ে কথা বলেছিলো। বপিদা চলে যাবার পর ছুটির দিন দুপুর বেলা ছাদে উঠেছিলাম কয়েকবার ।সত্যি,দুপুরে নানা বয়েসের মেয়ে বৌরা স্নান করতে আসত গঙ্গায়।বাইনাকুলারে চোখ লাগিয়ে তাদের অস্বচ্ছ ন্যাংটো শরীর দেখতে দেখতে পাজমার ভিতর আমার হাত চলে যেত । একদিন জেঠিমার কাছে ধরা পরে গিয়েছিলাম প্রায়।তারপর থেকে ছাদে উঠে ন্যাংটো গোপীনীদের দেখার ইচ্ছে থাকলেও সাহসে কুলোয় নি আমার । হারানো দিনের কথা অনেক পাঠকের হয়তো ভালো লাগছে না,কারো কারো আমার কিছু স্মৃতি অপ্রাসঙ্গিক লাগছে হয়তো ,জানি। তবু ফেলে আসা সোনালী মুহুর্তগুলো যে এক সুতোয় গাঁথা মালা ।কাকে ছেড়ে কার কথা বলি।পিঠোপিঠি এসে যায় । করোনা ভাইরাসের কারনে আউটডোরে আমার সাইকিয়াট্রি ডিপার্টমেন্টে পেশেন্ট কম ।চেম্বারেও চাপ কম,তাই একটু সময় পেয়ে যতটা পারছি,লিখে যাচ্ছি।মাঝে মাঝে ছেদ পরলে পাঠক মার্জনা করবেন। অ্যানুয়াল পরীক্ষার রেজাল্ট বেরলো।পরিশ্রমের ফল পেয়েছি।ভালো ভাবে পাশ করেছি।বাদল এবারও ফেল করেছে।তেমন আফসোস নেই ওর।বললো, "আমার হয়তো আর পড়াশোনা হবে না রে।কখন পড়বো বল।বাড়ি গেলেই তো আর দুটো কর্মচারীকে নিয়ে খাটালের কাজ দেখতে হয়।বাবাও বোধহয় সেটাই চায়।বাবাতো কোনোদিন আমায় আজ পর্যন্ত পড়াশোনার কথা কখনো জিজ্ঞেসও করেনি রে।" সেদিনের পর আর কোনোদিন দেখা হয়নি বাদলের সাথে। বাদল- আমার বয়সন্ধির পথপ্রদর্শক। আমার কৈশোরের গুরুদেব। (গল্পের স্থান,কাল,পাত্র,ঘটনা প্রবাহ সবই কাল্পনিক)
Parent