অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩৬) - অধ্যায় ১০৩
এরপর ফ্লোরা বলে আচ্ছা আপু আপনি আমার সাথে আসেন আমি হেল্প করছি শপিং এ। আর মাহফুজের দিকে তাকিয়ে বলে আপনি আমাদের একটা ওয়েটিং রুম আছে সেখানে কিছুক্ষণ বসতে পারেন। দোকানের আরেকজন সেলস গার্লের দিকে তাকিয়ে বলে এই এই ভাইয়া কে কফি দাও। ফ্লোরা সামনের দিকে হাটা দেয়। মাহফুজ নুসাইবার পাশে গিয়ে ফিস ফিস করে বলে এখানে কোন সিনক্রিয়েট করলে কিন্তু আরশাদ আংকেল জেনে যাবে। আর আগে যেটা কথা হয়েছে মনে রাখবেন আপনি এখানে নাজনীন। শপিং করতে এসেছেন। আর উনারা সব সময় কাপল দেখে অভ্যস্ত তাই সেরকম বিহেব করছে। আপনি আপনার অভিনয় ঠিক মত চালিয়ে যান। এই বলে মাহফুজ চুপচাপ ওয়েটিং রুমে গিয়ে পত্রিকা উল্টাতে থাকে। মাহফুজ চলে যেতেই নুসাইবা আর একা বোধ করে। ভার্নারেবল ফিল করে। কিভাবে মোকাবেলা করবে ও প্রতিদ্বন্দ্বী কে? ওর আর্চ এনিমি কে? কিভাবে মাহফুজের সামনে ওর বুকের সাইজ নিয়ে কথা বলছে। নুসাইবা কিছু বুঝার আগে নুসাইবার হাত ধরে ফ্লোরা সামনে নিয়ে যেতে থাকে। এই দোকানে তিনটা ট্রায়াল রুম আছে। অন্য দোকানের মত ছোট ঘিঞ্জি ট্রায়াল রুম না। বেশ বড় রুমের মত। ট্রায়াল রুমের ভিতরে ফুল লেংথ আয়না দিয়ে ঢাকা। ভিতরে সোফা সেট আছে। এটা পশ দোকান। লোকজন দশ পনের হাজার টাকা দিয়ে একসেট ব্রা প্যান্টি কিনবে তাই তাদের ভাল করে ট্রায়াল দেবার ব্যবস্থা রাখা আছে। কাপলরা সাধারনত এই রুমে এসে পার্টনারের সামনে ট্রায়াল দেয়। নুসাইবা কে এমন একটা ট্রায়াল রুমের সামনে নিয়ে গিয়ে বলল ফ্লোরা, আপনি আসলি কি উদ্দ্যেশে কাপড় কিনতে চান সেটা বলেন। নুসাইবা বলল মানে? ফ্লোরা আসলে নুসাইবার মুখ খোলাতে চাচ্ছিল। কারণ কাউন্সিলিং এর আসল ব্যাপার হল পেসেন্ট কে কথা বলতে শুরু করানো। একবার পেসেন্ট কথা বলা শুরু করলে এর ব্যাপারটা অনেক ইজি হয় কাউন্সিলর এর জন্য। তাই ফ্লোরা বলল আপু আসলে দেখুন আমার দোকান হাই এন্ডের আন্ডার গার্মেন্টস এর দোকান। এখানে যারা এত টাকা দিয়ে আন্ডার গার্মেন্টস কিনতে আসেন তাদের প্রত্যেকের উদ্দ্যেশে থাকে পার্টনার কে দেখানো। পার্টনার এর কাছে নিজের আবেদন বাড়ানো। কেউ কেউ আসেন যারা সুন্দর আন্ডার গার্মেন্টস পড়লে কনফিডেন্ট ফিল করেন। যদিও কাপড়ের তলে লোক তাদের আন্ডার গার্মেন্টস দেখছে না কিন্তু ফ্যাশনেবল কিছু পড়লে নিজের প্রতি তাদের কনফিডেন্স লেভেল বেড়ে যায়। ফ্লোরা মাহফুজের কাছে শুনেছে তার ওয়াইফ লাজুক। তাই নিজে থেকে বিভিন্ন রকম ইংগিত দিচ্ছে কথা শুরু করার জন্য। ফ্লোরা বলে অনেকে বেডরুমে শাই ফিল করে। নিজেদের ফিগার নিয়ে, হাজবেন্ড কি ভাবছে সেটা নিয়ে। তখন এইসব দামী সফসটিকেটেড ফ্যাশনেবল আন্ডারগার্মেন্টস একটা আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। আমার এখানে অনেকে আসে যাদের বিয়ের কয়েক বছর হয়েছে বিয়ের পর প্রাথমিক এক্সাইটমেন্ট কেটে গিয়ে এক ধরনের পানসে হয়ে এসেছে সব। তাই তখন বেডরুম খানিকটা স্পাইসি করার জন্যও কেউ কেউ আসে। ফ্লোরার কথা শুনে নুসাইবা অবাক হয়ে যায়। ওর কাছে আন্ডারগার্মেন্টস সব পোষাকের একটা অংশ। যেহেতু এটা ভিতরে থাকে কেউ দেখে না তাই এটা নিয়ে কখনো খুব মাথা ঘামায় নি। কলেজ লাইফ থেকে গাউসিয়ার ভিতরে দোকান থেকে আন্ডারগার্মেন্টস কিনে এসেছে। এখনো সেখান থেকে কিনে। এত বছরে খালি ওর সাইজ চেঞ্জ হয়েছে তবে এখনো সেই একি জায়গা থেকে কিনে। নুসাইবা ভাবে কি বলবে। ফ্লোরা কে ওর জানা দরকার। কি জন্য আরশাদ ওর কাছে গেছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে ফিগার দারুণ স্লিম এই বয়সেও। চেহারা দেখে মনে হচ্ছে ৪৭/৪৮ এর মত বয়স হবে। বয়সে বড় একটা মেয়ের কাছে কেন গেল আরশাদ। অনেক কষ্টে নিজের ভিতরের রাগ, ক্ষোভ, দুঃখ সব আটকে রেখেছে। মাহফুজ কয়েক দিন আগে বলেছিল ফুফু শত্রু কে হারাতে গেলে আগে তাকে ভাল ভাবে জানতে হয় তাহলেই আপনি আপনার চাল দিতে পারবেন। তাই নুসাইবা মুখ খুলে। কথা চালিয়ে যেতে হবে ফ্লোরার সাথে জানতে হবে ওর সম্পর্কে।
নুসাইবা তাই ভাবে কি উত্তর দিবে। হ্যা ওর এখন কনফিডেন্সের দরকার। ওর স্বামী আরেক জনের সাথে গোপনে প্রেম করে বেড়াচ্ছে। একটা মেয়ের জন্য এর থেকে বড় কোন ধাক্কা হতে পারে না তার ইগোর জন্য। নুসাইবা তাই বলে আসলে আমি সেভাবে তেমন ফ্যাশনেবল কিছু পড়ি না আন্ডারগার্মেন্টস হিসেবে। সব সময় নরমাল দোকান থেকে কিনি। তবে আজকাল মনে হচ্ছে ফ্যাশনেবল কিছু পড়লে বুঝি আমার ইগো বুস্টাপ হবে। ফ্লোরা খুশি হয় এইতো একটু একটু করে মুখ খুলছে। গুড সাইন। ফ্লোরা বলে কি জন্য আপনার ইগো বুস্টাপ দরকার। নুসাইবা চুপ করে থাকে। ফ্লোরা বলে আমাকে বলতে পারেন। প্রত্যেকটা সেলস ম্যান হল একেক জন সাইকোলজিস্ট। কাস্টমারের সাইকোলজি বুঝে তারা ভাল জিনিস সাজেস্ট করতে পারে। আমাদের দোকান ট্রেডিশনাল কাপড়ের দোকান না। আমরা কাস্টমার কে ভ্যালু দেই। এত দাম দিয়ে আপনি আমাদের থেকে কিছু কিনবেন তাই আমরা আপনাকে যথাসাধ্য সাহায্য করবার চেষ্টা করব। তবে তার জন্য আসল নাজনীন কে আমাদের জানতে হবে। নুসাইবা কয়েক সেকেন্ড বুঝতে পারে না কে এই নাজনীন। তারপর মনে পড়ে ও এখন নাজনীনের রোলে অভিনয় করছে। নুসাইবার মনে পড়ে ভার্সিটি লাইফে ওর এক বান্ধবী ছিল যে মঞ্চ নাটকে অভিনয় করত। অভিনয় নিয়ে একবার বলেছিল সেই বান্ধবী যে অভিনয় মঞ্চে অভনেতা অভিনেত্রীরা অসীম ক্ষমতাশীল। যে কোন চরিত্রে তারা তখন মিশে যেতে পারে। নুসাইবা নিজে কে নিজে বলে আমি এখন অভিনেত্রী। নুসাইবা নই বরং নাজনীন। এই মঞ্চে নাজনীনের কাজ ফ্লোরা সম্পর্কে জানা। কিভাবে ও আরশাদ কে বশ করল। ওর কি আছে যা আমার নেই।
নুসাইবা তাই ফ্লোরার সাথে গল্প শুরু করল। ওর মনে হয় এই গল্প করছে নাজনীন। মিথ্যা কে সব সময় সত্যের সাথে মিশিয়ে বলতে হয় নুসাইবা এইটা জানে। তাই নুসাইবা বলা শুরু করল, আসলে আমার বিয়ে হয়েছে পনের বছর। আমার আজকাল মনে হচ্ছে আমার হাজবেন্ড আমার উপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। ফ্লোরা শুনে মনে মনে ভাবে এই তো কাজ ইজি হয়ে আসছে। মুখ খুলছে পেসেন্ট। ফ্লোরা বলে আপনি জানলে অবাক হবেন আমরা প্রতিদিন এমন দুই একজন কাস্টমার পাই যারা এই কারণে এই দোকানে আসে। ফ্যান্সি আন্ডারগার্মেন্টস পড়ে স্বামীর মনযোগ আকর্ষণ করতে চায়। আপনি এর ব্যতিক্রম না। আর আসলে আমাদের দেশে মেয়েরা ঠিক মত এইসব ব্যাপারে কিছু শিখতে পারে না। এইসব ব্যপারে বান্ধবীদের কাছে হালকা পাতলা শুনে শুনে মেয়েরা যা শিখে। কনজারভেটিভ ফ্রেন্ড গ্রুপে থাকলে তাই অনেকেই অনেক কিছু শিখতে পারে না। এর প্রভাব পরে ম্যারিড লাইফে। সমস্যা নেই আপনি যখন এসে গেছেন আমি তখন হেল্প করব। তার আগে আমাকে বলেন, ভাইয়া কি এই ব্যাপারে আপনাকে কিছু বলেছে। মানে এই আন্ডারগার্মেন্টেসের ব্যাপারে। নুসাইবা ভাবে, আরশাদ মাঝে মাঝে তো বলে একটু ফ্যাশনেবল কিছু কিনি চল। দেশের বাইরে গেলে ফ্যান্সি দোকান গুলোতে নিতে চায়। নুসাইবা তাই বলে হ্যা আমার হাজবেন্ড আসলে চায় আমি ফ্যান্সি কিছু পড়ি। দেশের বাইরে গেলে চায় ফ্যান্সি দোকানে নিয়ে যেতে যাতে সেখান থেকে কিছু কেনা যায়। ফ্লোরা বলে তাহলে কিনেন না কেন? নুসাইবা সত্য উত্তর দেয়। বলে আমার মনে হয় অহেতুক কেন এইসব দোকান থেকে এত খরচ করে কিনব। ফ্লোরা দক্ষ সেলেসম্যান আর তার থেকে দক্ষ কাউন্সিলর। তাই বলে আপনি কেন এটাকে অহেতুক খরচ হিসেবে দেখছেন আপু। এটা হল বিনিয়োগ। আপনার হাজবেন্ডের উপর বিনিয়োগ। আপনাদের রিলেশনশিপের জন্য বিনিয়োগ। আমি জানি ছেলেরা এইসব জিনিসে খুব এট্রাকশন ফিল করে। আমরা মেয়েরা হয়ত বুঝব না কিন্ত ছেলেদের এইসব নিয়ে ভাল ফ্যাটিশ আছে। কত ছেলে তাদের বউ বা গার্ল ফ্রেন্ড কে নিয়ে আসে এই দোকানে আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না। সবাই ফ্যান্সি জিনিস চায়। তাই আন্ডার গার্মেন্টেসের পিছনে খরচ মানে বাজে খরচ না আপনার বিনিয়গ। আর এইটা কিন্তু আপনার সেফটি নেট। কারণ আপনি যত বেডরুম রিলেশনশিপ স্পাইসি রাখতে পারবেন তত আপনার হাজবেন্ড অন্যদিকে কম তাকাবে। নুসাইবা ভাবে এটাই কি কারণ যার জন্য আরশাদ ফ্লোরার দিকে ঝুকে পড়েছে।
নুসাইবা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। ফ্লোরার অভিজ্ঞ চোখে এটা এড়ায় না। জিজ্ঞেস করে আর কিছু বলবেন আপু। নুসাইবা বলে না। ফ্লোরা বলে বললে বলতে পারেন। অনেক সময় কথা শেয়ার করলে কষ্ট কমে। নুসাইবা ভেবে পায় না কতটুকু শেয়ার করবে। ফ্লোরার উপর প্রচন্ড রাগ নিয়ে এসেছে এখানে। কিন্তু ফ্লোরার কথায় একটা সহানুভূতি আছে। সুন্দরী, কথাবার্তায় স্মার্ট চটপটে। ঠিক সেই রাগটা দেখাতে পারছে না ফ্লোরার উপর। ফ্লোরাও যেন আরেকটা রক্ত মাংসের মানুষ। ফ্লোরা হয়ত ওর কথা জানেই না। পরিচিতদের সাথে যে কথা শেয়ার করা যায় না অনেক সময় অপরিচতদের কে অনায়েসে তা বলা যায়। নুসাইবা তাই ফিস ফিস করে বলে আমার হাজবেন্ড আরেক জন কে পছন্দ করে। হাজবেন্ড জানে না আমি জানি। ঐ ভদ্রমহিলার বয়স আমার থেকে বেশি। আমি জানি না উনার মাঝে কি দেখেছে। ফ্লোরা বলে আপনি তো দারুণ সুন্দরী। আপনাকে ফেলে বেশি বয়সের একজনের সাথে প্রেম করছে। পাগল নাকি আপনার হাজবেন্ড। উনি তো এমনিতে দেখতে বেশ হ্যান্ডসাম। নুসাইবা বুঝে ফ্লোরা মাহফুজের কথা বলছে তবে নুসাইবার মনে তখন আরশাদ। চোখের কোনায় পানি চলে আসে নুসাইবার। এই কয়দিন কার সাথে কথা শেয়ার করতে পারে নি মাহফুজ ছাড়া। মাহফুজ বয়সে ছোট সিনথিয়ার প্রেমিক তাই আবগে টা সব সময় দেখাতে পারে নি। এখন ফ্লোরা অপরিচিত মানুষ। ওর সামনে আবেগ যেন একটু একটু করে বের হয়ে আসে। যদিও ফ্লোরা কে হিংস করে এখানে আসা তবে এই মূহুর্তে নুসাইবার মনে হয় একমাত্র ফ্লোরাই ওর সাথে সহানূভূতি দিয়ে কথা বলছে। ফ্লোরাই বুঝি ওকে বুঝছে। বিচিত্র এই পৃথিবী। অনেক সময় শত্রুকেও মিত্র ভেবে নিতে হয়।
ফ্লোরা বলে দাড়ান আপনাকে আমি সাহায্য করব। আপনার হাজবেন্ড চোখ ফেরাতে পারবে না এরপর থেকে। আরেকটা কথা বলা হয় নি আপনাকে। আমি একজন সাইকোলজিস্ট। কাপল কাউন্সিলিং করি। এই ব্যবসার সাথে সাথে কাউন্সিলিলং করা আমার আরেকটা পেশা আর নেশা বলতে পারেন। ইচ্ছা করেই ইন্টেমেসি কোচিং কথাটা এড়িয়ে যায় ফ্লোরা। বলে আমি ঢাকা ভার্সিটি থেকে ক্লিনিকাল সাইকোলজিতে মাস্টার্স করা। নুসাইবা অবাক হয়। ফ্লোরা ওকে ক্রমশ অবাক করছে। কিন্তু কিভাবে আরশাদ কে নিয়ে কাপল কাউন্সিলিং এ আসবে নুসাইবা ফ্লোরার কাছে। ফ্লোরাই তো ওদের সমস্যার মূল। নুসাইবা আমতা আমতা করতে থাকে। ফ্লোরা বলে কাউন্সিলিং নিয়ে পরে ভাবা যাবে আগে আসুন আমি দেখি আপনার কাপড়ের কি মেকওভার করা যায়। আপনি এই চেঞ্জিং রুমের ভিতরে গিয়ে বসুন আমি আসছি। নুসাইবা ভিতরে ঢুকে। বেশ বড় একটা রুম। দুই সাইডে দুইটা টু সিটার সোফা রাখা। দেয়ালে ফুল লেংথ আয়না। মাথার উপরে ফ্যান ঘুরছে। পুরাতন বাড়ির একটা রুম কে চেঞ্জিং রুম করা হয়েছে। ফ্লোরা তার পছন্দমত কিছু ব্রা আর প্যান্টি নিয়ে আসে। যেগুলো নুসাইবার স্কিল কালারের সাথে সুট করবে। নুসাইবা উজ্জ্বল শ্যামলা। তাই হালকা মিষ্টী কিছু কালার আনে। এগুলো সুট করবে। সাথে কয়েক রকম ডিজাইনের। ভিতরে ঢুকে তিন সেট ব্রা প্যান্টি রাখে নুসাইবার সামনে। একটা হালকা সবুজ রঙের। একটা মেরুন রঙের আরেক সেট নীল। প্রত্যেকটা ব্রা বেশ ফ্যান্সি। নরমাল ব্রা সেটের মত না। অনেক রকম কারুকাজ করা। ফ্লোরা বলল ট্রায়াল দিয়ে দেখুন। এই বলে একটা সোফায় বসে পড়ে। নুসাইবা বলে আপনি এখানে বসে থাকবেন। ফ্লোরা দেখায় ট্রায়ল রুমের ভিতর আরেকটা অংশ আছে। একটা বেতের পার্টিশনের মত। আপনি ঐখানে চেঞ্জ করে নিন। সাথে একটা আলমিরার মত আছে। সেখান থেকে খুলে একটা ফ্রেশ ড্রেসিং গাউন বের করে। বলে আপনি এটা পড়তে পারেন দরকার হলে। আমরা একবার ইউজ করলে কোন ড্রেসিং গাউন তারপর ধোয়ার আগে এখানে রাখি না। আপনি বের হয়ে গেলে আমাদের কর্মচারী এসে রুম ক্লিন করে সব নিয়ে নতুন সেট দিয়ে যাবে। তাই আপনি ট্রাই করুন। নুসাইবা পার্টিশনের আড়ালে এসে দাঁড়ায়। একে একে শাড়ি খুলে, ব্লাউজ পেটিকোট খুলে। নিজের দিকে তাকায়। একটা সাদা ব্রা প্যান্টির সেট। খুব নরমাল। ওর হাতে নীল রঙ্গের ব্রা প্যান্টি। প্রথমে এটাই পড়ল। অনেক কমফোর্টেবল। বুঝাই যায় না শরীরে কিছু আছে। বকের কাপের কাছে নানা রকম কারুকাজ করা। আর ফ্রন্ট হুক। প্যান্টটা এত নরম মনে হয় যেন গায়ের সাথে লেগে আছে। নুসাইবা পার্টিশনের আড়াল থেকে বলে সাইজ ঠিক আছে। ফ্লোরা বলে দাড়ান আমি দেখছি। এই বলে নুসাইবা কিছু বলার আগে পার্টিশনের সামনে এসে হাজির হয়। নুসাইবা দেখে ফ্লোরা মুগ্ধ দৃষ্টিতে ওকে দেখছে আর বলল ওয়াও, জাস্ট ওয়াও। ভাইয়া এমন একজন সুন্দরী কে ফেলে কোন বুড়ির পিছনে ঘুরছে। নুসাইবা কি বলবে বুঝে না। ফ্লোরার ইংগিত করা মহিলা যে ফ্লোরা নিজেই সেটা কি ফ্লোরা কে বলবে। ফ্লোরা সামনে এগিয়ে আসে। নুসাইবার হাত ধরে পার্টিশন থেকে মেইন রুমের আলোতে আনে। সাদা আলোতে নুসাইবা চমকে যায়। বুকের উপর হাত রেখে যেন আড়াল করতে চায় নিজেকে। ফ্লোরা বলে কি করছেন আপু। এমন ফিগার থাকলে আড়াল করার দরকার নেই আপনার।