অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩৬) - অধ্যায় ২১১
(বাকি অংশ আগের পৃষ্ঠায়)
এর মাঝে ওয়েটার খাবার নিয়ে এসেছে। টেবিলে সার্ভ করছে। তাই সাফিনা আপাতত কিছু বলে না। মাহফুজ বুঝে উত্তেজনার তোড়ে সে অনেক কথা বলেছে। তবে সাফিনার মুখ দেখে কিছু বুঝা যাচ্ছে না ওর কথা গুলো কেমন প্রভাব ফেলল। সিনথিয়ার উপদেশ মনে পড়ে। সিনথিয়া বলেছিল, আম্মু কখনো সহজে তার ভিতরের চিন্তাটা মুখে ফুটে উঠতে দেয় না। অনেক সময় অনেকে এই জন্য নার্ভাস হয়ে পড়ে আম্মুর সাথে কথা বলতে গিয়ে। আসলে এত বছর ছাত্র ছাত্রী পড়িয়ে অভ্যাস তো। তাই একটা পোকার ফেস করা আম্মু শিখে গিয়েছে। আগে পুরো কথা শুনে তারপর চিন্তাভাবনা করে একটা সিদ্ধান্ত দেয়। তার আগে তার মুখ দেখে তুমি সহজে কিছু বুঝতে পারবে না। আমরাও বুঝি না। খালি মাথায় রেখ আম্মু যদি ভাবে তুমি আসলেই তোমার কথায় সিনসিয়ার তাইলে তোমাকে সাপোর্ট করবে। আর যদি একবারো মনে হয় যে তুমি মিথ্যা বলছ বা যা বলছ তা নিজেই বিশ্বাস করো না তাইলে কিন্তু আম্মুর সাপোর্ট আমরা কখনো পাব না। মাহফুজ রাজনীতি করার সূত্রে জাতীয় পর্যায়ের অনেক বড় বড় নেতার সাথে চলাফেরার সুযোগ পেয়েছে। ব্যবসার সূত্রে বেশ ঝানুঝানু ব্যবসায়ীদের সাথে কাজ করেছে। তবে খুব অল্প লোক কে এত কথা শোনার পর অভিব্যক্তিহীন মুখ করে বসে থাকতে দেখেছে। শিক্ষকতা পেশার উপর একটা শ্রদ্ধা আসে মাহফুজের সাফিনা কে দেখে। ছাত্র চড়িয়ে চড়িয়ে সাফিনার যে মানুষের কথা যাচাই বাছাই করার একটা সহজাত ক্ষমতা তৈরি হয়েছে সেটা টের পায় মাহফুজ। তবে সিনথিয়ার কথা মাথায় রাখে। ঘাবড়ে যাওয়া যাবে না। কারণ এতক্ষণ পর্যন্ত সে যা বিশ্বাস করে তাই বলেছে। তাই এই নিয়ে আর কোন চিন্তা করে না। সাফিনা খাবার খেতে খেতে এইবার বলে, মাহফুজ তোমার কথা আমি শুনলাম। যদি আসলেই তোমার মত তরুণরা এইভাবে ভাবে তাহলে আমাদের দেশের জন্য খুব ভাল। তবে আমার আরেকটা কনসার্ন আছে। রাজনীতি খুব রিস্কি জিনিস। সরকারে আজকে তোমার দল থাকবে আগামীকাল থাকবে না। তখন হ্যরাসমেন্টের ভয় আছে। আবার রাজনীতিতে সংঘাত খুব নর্মাল। আমাদের দেশের প্রচুর খুনখারাবি হয় পলিটিক্স রিলেটেড। আমার মেয়ে কে ধর তুমি বিয়ে করলে কিন্তু ভবিষ্যতে পাচ দশ বছর পর যে এরকম একটা সংঘাতে পড়ে তুমি আহত বা আল্লাহ না করুক নিহত হবে না তার গ্যারান্টী কি? আমি তো চাইব না আমার মেয়ে এমন কার সাথে সংসার করুক যার জীবনে সব সময় একটা রিস্ক ফ্যাক্টর জড়িত আছে।
মাহফুজ মনে মনে খুশি হয়। প্রশ্ন কমন পরেছে। এই প্রশ্নটা আসবে সেটা জানত তাই আগে থেকে অনেক ভেবেছে কি বলবে। মাহফুজ এইবার দম নিয়ে বলা শুরু করে। আন্টি জীবনে উত্থান পতন থাকবে। যে কোন পেশাতেই এটা আছে। রাজনীতিতে আপনি আজকে সরকারি দলে থাকলে আগামী বছর বিরোধী দলে থাকবেন এটা অপ্রত্যাশিত না। সাফিনা হাত তুলে। বলে আমি জানি উত্থান পতন থাকবে তবে অন্য পেশায় উত্থান পতনের যে মূল্য চুকাতে হয় রাজনীতিতে চুকাতে হয় তার অনেক বেশি। মাহফুজ বলে আমি এইব্যাপারে আপনার সাথে একমত। রাজনীতি অন্যতম রিস্কি বিজনেস। তবে কথা হচ্ছে আপনি যদি ভাল করে খেয়াল করে দেখেন তাইলে দেখবেন রাজনীতেতে বিরোধীদলে যাবার পর মূলত জেলের ভাত বেশির ভাগ সময় খায় তারাই যারা সরকারি দলে থাকার সময় জুলুম করত। দুই একটা যে ব্যতিক্রম নেই তা না, তবে বেশির ভাগ লোক যারা বিরোধী দলে যাবার পর সরকারি দলের লোকদের হামলার শিকার হয় তারা আগের আমলে অন্যায় করা লোক। আর যারা অন্যায় করছে না কিন্তু সরকারি দলে ছিল তারা কিছুটা যে হ্যারাসমেন্টের শিকার হবে না তা না, তবে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে চললে সেইটুকু ট্যাকেল দেওয়া যায়। আর আমি নিজে কখনো কোন হামলা মামলার সাথে সরাসরি জড়াই না। আপনি একটু খোজ নিলেই দেখবেন। আমি আমাদের যুব দলের ঢাকা দক্ষিণ কমিটির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি হয়েছি ক্লিন ইমেজের জোরে। মাসল পাওয়ারের জোরে না। আমার হাতে বিরোধী দলের লোকেরাও উপকার পেয়েছে। ফলে আমি আশা করি যদি কোন দিন বিরোধীদলে যেতে হয় আশা করি সেরকম জেলে নেওয়ার মত কোন অন্যায় আমার নামে থাকবে না। আর দ্বিতীয় যা বললেন, সেই রিস্ক আসলে সব সময় আছে। আমার প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে দলীয় কোন্দলে বা দুই দলের মারামারিতে আহত নিহত হবার রিস্ক। তবে এটা তো সব খানেই আছে? সাফিনা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, সবখানে মানে? আমার পেশাতেও কি মারামারির ভয় আছে? মাহফুজ একটু হেসে বলে না আন্টি সেটা বুঝাই নি। ধরুন আজকে আপনি যে আমার সাথে দেখা করতে এখানে এলেন, আশার পথে একটা একসিডেন্ট হতে পারত। আপনার কিছু একটা হতে পারত। তাই বলে কি আপনি চলাচল বন্ধ করবেন? করবেন না। কারণ রিস্কের তুলনায় আপনার গেইন বেশি যদি আপনি স্বাধীনভাবে আপনার চলাচল বজায় রাখেন। ঠিক সেইভাবে পলিটিক্সে আহত নিহত হবার একটা সম্ভাবনা থেকে যায় তবে সেটা ঠিক ততটুকু যতটুকু আমাদের প্রত্যেকের রাস্তায় বের হলে এক্সসিডেন্ট হবার সম্ভাবনা। সাফিনা মাহফুজের যুক্তি বুঝে তবে মনের ভিতর থেকে খুতখুত যায় না কারণ কাজলের সেই ঘটনা মনে যে দাগ ফেলেছে তা তো সহজে যাবার না। মাহফুজ সাফিনার ভ্রু কুচকানো দেখে বুঝে সাফিনা ওর জবাবে সন্তুষ্ট না এবং সেটা লুকানোর চেষ্টাও করছে না। আর কাজলের প্রসংগ মাহফুজ নিজেও জানে। ফলে এটা যে কতবড় রেড ফ্লাগ তা তার অজানা না। মাহফুজ যে কাজ কোনদিন করে নি আজকে তাই করল মরিয়া হয়ে। মাহফুজ বলল আন্টি আমি জানি আপনি আমার কথায় কনভিন্সড না। সিনথিয়া আপনার আদরের মেয়ে। তার ভালমন্দের জন্য সব সিদ্ধান্ত আপনি নিবেন। এই অধিকার আপনার আছে। তবে যে কোন সিদ্ধান্ত নেবার আগে আমার আর একটু কথা আছে।
আন্টি আপনি জানেন সিনথিয়া কে আমি পছন্দ করি, সিনথিয়াও আমাকে পছন্দ করে। আমাদের দেশের প্রথায় আমরা বড়দের সামনে সহজে আমাদের প্রেম ভালবাসার কথা স্বীকার করি না তবে আজকে আমি আপনার সামনে বলছি আমি সিনথিয়া কে ভালবাসি। সিনথিয়ার সাথে সম্পর্ক হবার আগে প্রেম জিনিসটার গভীরতা কতটুকু সেটা সম্পর্কে আমার আসলে ধারণা ছিল না। আমি অস্বীকার করব না। সিনথিয়ার আগে আমার প্রেম ছিল। এক না বরং একাধিক। সেই প্রেম গুলোতে সাময়িক সুখ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম বেশি। অনেক সময় প্রেম গুলো ছিল অনেকটা ফ্লেক্সের মত। যে সবাই প্রেম করছে তাই আমার প্রেম না থাকলে আমার স্ট্যাটাস থাকে না। আপনি নিশ্চয় ভাবছেন যে মেয়ে কে আমি ভালবাসি তার মায়ের কাছে কেন আমি অবলীলায় এইসব বলছি? কারণ আমি আমার সিনসিয়ারিটি বুঝাতে চাচ্ছি আন্টি। সাফিনা মাহফুজের কথায় ধারায় একটু অবাক হয়েছিল তবে মাহফুজের এই কথার পর বলল, ঠিক আছে বল। আমি যেহেতু আজকে শুনতে এসেছি। তাই তোমার কথা শুনতে তো দোষের কিছু নেই। মাহফুজ বলে সেই সব প্রেম থেকে সিনথিয়া আর আমার প্রেম কতটুকু আলাদা আমি বুঝতে পেরেছি ওর সাথে সম্পর্ক যত গভীর হয়েছে তত। আগের প্রেম গুলোতে ঘুরা, আমার প্রেম আছে এই নিয়ে ফেক্স করা এই ছিল আসল কারণ। এই প্রেমে এসে আমি বুঝলাম প্রেম মানে খালি ঘোরা, মজা করা বা বন্ধু মহলে নিজের দাম বাড়ানো না। সিনথিয়া আমাকে যেভাবে বুঝে আর কেউ সেভাবে বুঝে উঠতে পেরেছে বলে মনে হয় না। সিনথিয়ার সাথে প্রেমের আগে আমি যতটা অস্থির চঞ্চল ছিলাম, সিনথিয়া আমার সেই চঞ্চলতা শান্ত করেছে। সাফিনা করিম অবাক হন। সিনথিয়া নিজেই প্রচন্ড চঞ্চল, সিনথিয়ার চঞ্চলতা নিয়ে সব সময় চিন্তায় থাকেন। আর মাহফুজ বলছে সেই সিনথিয়া তার চঞ্চলতা শান্ত করেছেন। কতটুকু বিশ্বাস করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না সাফিনা। সাফিনা তাই জিজ্ঞেস করেন তুমি কি আমার সিনথিয়ার কথা বলছ? আমি সারাজীবন দেখে এসেছি সিনথিয়ার চঞ্চলতা সামলাতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি আর তুমি বলছ তোমাকে আর ধীরস্থির করেছে সিনথিয়া, স্ট্রেঞ্জ। মাহফুজ বলে আমি আপনার কথা মানি। সিনথিয়া এখনো চঞ্চল কিন্তু আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেবার সময় ও খুব ধীরে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়। একটা উদাহারণ দেই, ওর সাথে আমার সম্পর্কের কিছুদিনের মাথায় ও আমাকে প্রশ্ন করেছিল আমি জীবনে কি করতে চাই? তখন পর্যন্ত আমি সেইভাবে ভাবি নি কিছু। তাই উত্তর দিয়েছিলাম পলিটিক্স করে একদিন মন্ত্রী এমপি হতে চাই। তখন সিনথিয়া আমাকে যা বলেছিল সেটা আমি কখনো ভুলি নি। বলা যায় সেটাই আমার ভাবনার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। সাফিনা অবিশ্বাস্যে সুরে জিজ্ঞেস করেন তাই নাকি? মাহফুজ বলে হ্যা। সিনথিয়া প্রথম আমাকে প্রশ্ন করেছে দেশে এমপি হয় মাত্র ৩০০ লোক, মন্ত্রী আর কম। এদের বেশির ভাগ আসে কোন না কোন পারিবারিক কানেকশনে বা প্রচুর টাকাওয়ালা ফ্যামিলি থেকে। আমি কি এই দুই গ্রুপের মাঝে আছি নাকি? যদি না থাকি তাহলে কেন ধরে নিচ্ছি ভবিষ্যতে এমপি মন্ত্রী হতে পারব। আর যদি হতে না পারি তাহলে আমার বিকল্প প্ল্যান কি? তারপর আমাকে প্রশ্ন করেছে আমি কি পলিটিক্স করে চাদাবাজি করতে চাই কিনা। যখন না বলেছি তখন জিজ্ঞেস করেছে তাহলে কিভাবে আমার জীবন চালাতে চাই। কারণ পলিটিক্সে বড় নেতা হতে গেলে টাকা প্রয়োজন। প্রচুর টাকা খরচ করতে হয়। একদল এই টাকা খরচ করে চাদাবাজি থেকে পাওয়া টাকায়। আরেকদল এই টাকা খরচ করে নিজেদের বাপের রেখে যাওয়া টাকা বা ব্যবসার টাকা থেকে। আমার কি এমন কিছু আছে? যখন না বলেছি তখন বলেছে তাইলে নিজে কেন সৎ ভাবে টাকা কামাই করার চেষ্টা করছি না। যাতে যদি পলিটিক্সে ব্যর্থ হই তাহলে একদম পথে না বসতে হয় অথবা যদি পলিটিক্সে বড় সুযোগ পাই তাহলে যেন নিজের সৎ ভাবে কামানো টাকা দিয়ে পলিটিক্স করতে পারি। সাফিনার অবিশ্বাস্য লাগে। তার ছোট মেয়েটা। যে এখনো বাসার কোন কাজ করতে চায় না, দ্বায়িত্ব নিতে চায় না। সে কিনা মাহফুজ কে পলিটিক্স, জীবন, অর্থনীতি নিয়ে বড় বড় উপদেশ দিয়ে দিচ্ছে।
মাহফুজ বলে আমার কথাটা শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্য। সিনথিয়ার কথার কারণে আমি আমার জীবন, ভবিষ্যত পরিকল্পনা সব নিয়ে ভিন্ন ভাবে ভেবেছি। এই ভাবার কারণেই আমার কনস্ট্রাকশন বিজনেস, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস সব শুরু করেছি। আমি যে পদে আছি এখন তাতে বেশ টাকা খরচ করতে হয় প্রতি মাসে জুনিয়র ছেলেদের পিছনে। সেই টাকাটা আমি খরচ করছি নিজের বিজনেস থেকে। আবার চাদাবাজির সাথে জড়িত না থাকার কারণে আমার নামে মামলা বা কোন স্ক্যান্ডাল নেই। এত কম বয়সে সরকারি দলের যুব সংগঠনের এত বড় পদ খালি এইজন্য পেয়েছি যে একদিকে যেমন চাদাবাজির রেকর্ড নেই আমার নামে আবার অন্যদিকে নেতা হবার জন্য যে টাকা খরচ করতে হয় সেটাও পেরেছি। এর একটা পয়সা ফ্যামিলি থেকে নেওয়া না। আর এইটা পেরেছি কারণ সিনথিয়া আমার ভিশন ঠিক করে দিয়েছিল। আমাকে বড় স্বপ্ন দেখাতে শিখিয়েছিল। আর এর সাথে সাথে আমি এখন জানি যদি রাজনীতিতে ভবিষ্যতে ব্যর্থ হই বা অন্য কিছু করতে চাই তাহলে কিভাবে আমি ব্যবসা করে সার্ভাইভ করতে পারব। এতটুকু বলে একটু বিরতি নেয় মাহফুজ। থাই সুপ্যের বাটি থেকে কয়েক চামচ সুপ মুখে দেয়। একটা অং থং এ কামড় দেয়। তারপর প্রশ্ন করে, আন্টি প্রকৃত ভালবাসা কি জানেন? বয়েসে অনেক ছোট একটা ছেলের মুখে এমন গম্ভীর প্রশ্ন শুনে মুখে কৌতুকের হাসি ফুটে উঠে সাফিনার। বলেন, ভালবাসার সংজ্ঞা তো একেক মানুষের কাছে একেক রকম। তোমার সংজ্ঞা টা শুনি। মাহফুজ বলে আমি যখন আর ছোট ছিলাম তখন ভালবাসা বলতে খালি আবেগটা কে বুঝতাম, আমার জন্য কে কত পাগলামি করতে পারে তার ভালবাসা তত প্রবল। তবে এখন বুঝি এটা ছেলেমানুষী সংজ্ঞা। ভালবাসা মানে আমার কাছে এখন একটা মানুষ কিভাবে আমাকে সব ঝড়ঝাপটার মাঝে আগলে রাখতে পারে, জড়িয়ে ধরে রাখতে পারে। আমার ভুল গুলো কে শুধরে দিতে পারে। প্রয়োজনে সঠিক পরামর্শ দিতে পারে। যে আমাকে আমার খুত গুলোর সাথে গ্রহণ করবে। যার সাথে সব কিছু শেয়ার করা যায়। সিনথিয়া ঠিক তেমন একটা মানুষ। আমার চরম বিপদের সময় ও দাঁড়িয়ে থাকবে আমার পাশে এই বিশ্বাস আছে আমার। এই যে আমার আর সিনথিয়ার সম্পর্কের ব্যাপারে আপনারা বিরোধীতা করছেন কিন্তু সিনথিয়া কিন্তু এক বিন্দু সরে নি আমার কাছ থেকে। অধিকাংশ মেয়েরা পরিবারের এত বিরোধীতা দেখলে সরে যেত সম্পর্ক থেকে। তার উপর আপনার হায়ার মিডল ক্লাস। আমার ফ্যামিলি প্রেস্টিজের দিক থেকে আপনাদের অনেক নিচে। আমি বহু দেখেছি অনেক মেয়ে প্রেম করার সময় লোয়ার মিডল ক্লাস ছেলের সাথে প্রেম করলেও বিয়ে করার সময় ঠিক বিয়ে করে নিজ ক্লাসের কাউকে। সেখানে সিনথিয়া সে কাজ করে নি। সিনথিয়ার এই আচরণ গুলো কে ভালবাসা না বললে আর কোন জিনিস কে ভালবাসা বলব সেটা আমার জানা নেই।