অহনার জীবন ও যৌবন - অধ্যায় ৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-64753-post-5767513.html#pid5767513

🕰️ Posted on October 7, 2024 by ✍️ Ahana (Profile)

🏷️ Tags:
📖 787 words / 4 min read

Parent
ওই ঘটনার পর আর কোনো ছেলের সাথে ১ বছর সম্পর্কে জড়াইনি, পড়াশুনাতেই ডুবে ছিলাম। উচ্চ মাধ্যমিকে ৬৮% নিয়ে পাস করলাম।তারপর ম্যাথমেটিক্স নিয়ে কলকাতার একটা কলেজ ভর্তি হলাম।আমার বাড়ি কলকাতা থেকে দূরে তাই কলকাতাতেই একটা মেসে থাকতে হলো।মেসটাতে ৬ জন থাকতাম প্রতিটা ঘরে ২ জন করে।আমার ঘরে যে মেয়েটা ছিল সে নর্থবেঙ্গলএর মেয়ে পূজা ঘোষ নাম । সেকেন্ড ইয়ার এ পরে অন্য কলেজএ । ছোটোখাটো চেহারা হাইট ৪ ফুট ১০ ইঞ্চি।বুক দুটো ১৫-১৬ বছর বয়েসী কিশোরীর মতো ২৮ সাইজ হবে।আমার তখন ভরা যৌবনের ঢেউ এসে লেগেছে শরীরে।বুকের সাইজও তখন ৩২ হয়ে গেছে।পূজা প্রায় দুঃখ করতো ওর বুক ছোট বলে।আমি ওকে শান্তনা দিতাম এই বলে যে ও অনেক মিষ্টি দেখতে তাই এই নিয়ে দুঃখ না পেতে। মেসের বাকিদের নিয়ে আর কিছু বলছি না , কারণ তাদের বিশেষ কোনো ভূমিকা নেই আমার জীবনে। কলেজএ আমাদের ডিপার্টমেন্টে মোট ৪০ জন ছাত্র ছাত্রী ছিল তার মধ্যে মাত্র পাঁচজন মেয়ে।একটু অদ্ভুত লাগতো বেপারটা ।কিন্তু সাইন্স নিয়ে তখন খুব কম মেয়েই পড়তো।তো যাই হোক সেই পাঁচজনের মধ্যে মেঘলা বলে একটা মেয়ে আমার খুব কাছের বন্ধু ছিল।মেয়েটা খুব সুন্দরী ছিল , কিন্তু ছেলেদের কে পাত্তা দিতো না। কোনো ছেলে আমাদের সাথে কথা বলতে আসলে ও ইগনোর করতো।আমি হেসে হেসে কথা বলতাম কিন্তু ও চুপ করে থাকতো।কোনো ছেলে ফ্ল্যার্ট করলে আমিও ফ্ল্যার্ট করতাম আর ও সেটা শুনে খুব রেগে যেত আর চোখ গোল গোল করে আমার দিকে তাকাতো।আমি বুঝতে পারতাম না সমস্যাটা কি , সব সময় ও আমার সাথে ঘুরতো বডিগার্ডের মতো।১ মাসের মধ্যে এমন হয়ে গেছিলো যে ক্লাসের বাকিরা ওকে দেখলেই বলতো - "ওই যে এসে গেছে অহনার বডিগার্ড "।কথাটা শুনে আমার অস্বস্তি লাগতো তাই আমি মেঘলাকে এভোইড করার চেষ্টা করতাম ।কিন্তু ও আমার পেছন ছাড়তো না । কলেজে খোলার দেড় মাস পর নবীনবরণ অনুষ্ঠান ছিল , আমি শাড়ী পরে গেলাম ।এমনিতে আমি সরস্বতী পূজ্য বা দূর্গা পুজো ছাড়া শাড়ী পারি না ।কিন্তু সেদিন নবীনবরণ অনুষ্ঠান বলে পড়েছিলাম । শাড়ীটা ব্লু কালারের ছিল আর ব্লউসও ব্লু ছিল । ব্লউসের পিঠের দিকটা একটু ছোট হওয়ায় পিঠের অনেকটাই উন্মুক্ত ছিল।আর ব্লউসটা টাইট হওয়ায় বুকের সেপও ভালোই বোঝা যাচ্ছিল। কলেজের সব ছেলেরা আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়েছিলো।এমনকি কয়েকজন প্রফেসর ও আমার থেকে চোখ সারাতে পারছিলো না ।বুঝতেই পারছিলাম খুব সুন্দর লাগছে আমায় । হটাৎ করে পেছন থেকে আমার কোমরে কেউ চিমটি কাটে , আমি "আঃ" করে উঠি।আশেপাশের ছেলেরা আমার দিকে তাকালো কি হয়েছে বোঝার জন্য।আমি পেছন ঘুরে দেখি মেঘলা।ও বাকি দিনের মতো সাধারণ সালোয়ার কামিজ পরেই এসেছিলো। আমি - কি হলো এতো জোরে চিমটি কাটলি কেন ? মেঘলা - তুই তো আমাকে বলিস নি যে আজ শাড়ী পরে আসবি! আমি - ইচ্ছা হলো তাই পরে আসলাম , আগে থেকে ভাবিনি।কেন বললে তুই ও পারতিস নাকি ? মেঘলা - না আমার শাড়ী পড়তে ভালো লাগে না।আর কি ধরণের ব্লাউস পড়েছিস , পুরো পিঠ কোমর দেখা যাচ্ছে। আমি - অরে এটাই ফ্যাশন আজকালকার , এই বয়েসে কি আমি বয়স্ক মহিলাদের মতো ব্লাউস পড়বো নাকি। মেঘলা - ফ্যাশন না ছাই আমি বুঝি না যেন,ছেলে পটানোর জন্য এসব পরে এসেছিস । এর চেয়ে বুক খোলা ব্লাউস পরতিস বলিউড নায়িকাদের মতো, সব ছেলে তোর পায়ে এসে পড়তো। আমি - হা হা হা , এটা ঠিক বলেছিস মেঘলা, ইস এটা আগে আমার মাথায় আসেনি কেন..হা হা হ। মেঘলা আমার কথা শুনে প্রচন্ড রেগে গেলো , থমথমে মুখ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো চুপচাপ। আমি ওর হাত ধরে বললাম - আমি - কি রে রাগ করলি নাকি, আমি তো মজা করছিলাম। মেঘলা আমার হাত ছারিয়ে চলে গেল। কোথায় যে গেলো বুঝলাম না ।সারাদিন ওর খোঁজ পেলাম না । বাকি ৩ বান্ধবীর সাথে কিছুক্ষন পর দেখা হলো ওদের মধ্যে একজন শাড়ী পড়েছিল বাকিরা নরমাল ড্রেস। আমরা একসাথে বসেই অনুষ্ঠান দেখছিলাম।আমাদের সিট থেকে দূরেই একটা ছেলে বসে ছিল আমাদের ক্লাসেরই ।ছেলেটা অনুষ্ঠানের সারাক্ষন আমার দিকে তাকিয়েছিলো , আর আমি তাকালেই চোখ ঘুরিয়ে নিচ্ছিলো । আমার পাসে পায়েল বসেছিল। পায়েল - দেখ অহনা সুরজিৎ বার বার তোর দিকে তাকাচ্ছে অনেক্ষন ধরে।মনে হচ্ছে বেচারা তোর প্রেমে পরে গেছে। আমি - ও আমাদের ডিপার্টমেন্টের না ? পায়েল - আমাদের ডিপার্টমেন্টেরই ।উচ্চ মাধ্যমিকে আমাদের ডিপার্টমেন্টের highest মার্কস ওরই। আমি - ও আচ্ছা । পায়েল - দেখ আবার আজ তোকে প্রপোস না করে দেয়। আমি - ধুস খালি আজে বাজে কথা। পায়েল - কোনো বাজে কথা বলছি না আমি , তোকে যা লাগছে না আজ এই শাড়িতে , দেখ কটা প্রেমের প্রস্তাব পাস ।আমি ছেলে হলে এখনই সবার সামনে তোকে প্রপোস করে তোকে কোলে করে আমার বেডরুমে নিয়ে যেতাম ।তারপর সেখানে তোকে ছিড়ে খেতাম। আমি - কি যাতা বলছিস মাথা গেছে তোর । পায়েল - যা বলছি ঠিক বলছি।তোকে যা জুসি লাগছে মেয়ে হয়ে আমারই ভিজে যাচ্ছে , তাহলে ছেলেদের কি অবস্থা ভাব ।সব কটা ছেলে আজ বাড়িতে গিয়ে তোকে ভেবে ,,,,, আমি - এবার তুই চুপ কর নইলে কিন্তু আমি এখন থেকে উঠে যাবো । পায়েল - আচ্ছা আমি চুপ করলাম। বিকেল ৪ টের সময় অনুষ্ঠান শেষ হলো। অনুষ্ঠান সেহের পর প্রত্যেক নতুন ছাত্র ছাত্রীদদের গোলাপ আর টিফিন দেওয়া হল। ক্রমশ
Parent