অন্ধকারের অভিশাপ - অধ্যায় ১৮

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-67662-post-5894772.html#pid5894772

🕰️ Posted on March 5, 2025 by ✍️ Toxic boy (Profile)

🏷️ Tags:
📖 503 words / 2 min read

Parent
অধ্যায়: কালো মন্ত্র, নিশীথ রাতের বিভীষিকা নিশুতি রাতের অন্ধকার পার্টি শেষ হতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। অতিথিরা বিদায় নেওয়ার পর রঞ্জিত এবং মীনা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। “আজকের রাতটা সত্যিই ভালো কাটল,” রঞ্জিত বলল, হাই তুলতে তুলতে। মীনা হালকা হাসল, কিন্তু তার মনে একটা অস্বস্তি কাজ করছিল। আকরাম আজ সারা রাত ধরে তার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে ছিল, যেন সে মীনাকে গিলে খাবে। “এই বৃদ্ধের মধ্যে কী যেন একটা আছে… যা স্বাভাবিক নয়,” মীনা নিজেই বুঝতে পারছিল। রঞ্জিত তখনই বলে উঠল, “আমি ঘুমিয়ে পড়ছি, কাল অফিস আছে।” শুভও নিজের ঘরে চলে গেল। বাড়ি ধীরে ধীরে নীরব হয়ে এলো, শুধু নাইট ল্যাম্পের ম্লান আলো আর দূরের পেঁচার ডাক রাতকে আরও গা ছমছমে করে তুলছিল। কিন্তু শুভ জানত, এই রাতে কিছু একটা ঘটতে চলেছে! আকরামের অদ্ভুত আচরণ শুভের ঘুম আসছিল না। সে জানালার পাশের খাটে শুয়ে ছিল, কিন্তু কেমন যেন অস্থির লাগছিল। তখনই সে লক্ষ্য করল—আকরাম তার নিজের ঘরে নেই! শুভের কৌতূহল বাড়তে লাগল। সে ধীরে ধীরে বিছানা থেকে উঠে দরজার ফাঁক দিয়ে তাকাল। আকরামের ঘরের ভেতর হালকা কমলা আলো জ্বলছে। শুভ নিঃশব্দে দরজার কাছে গিয়ে উঁকি দিল। কালোজাদুর অভিশাপ শুভ যা দেখল, তাতে তার শিরদাঁড়া বেয়ে ঠান্ডা স্রোত নেমে গেল! আকরাম ঘরের মাঝখানে বসে আছে, তার সামনে একটা লাল রঙের কাপড় পাতা। সে নিজের হাতে কিছু একটা লিখছে—সাদা রঙের এক টুকরো কাগজে, কালো কালি দিয়ে। তার চারপাশে ধূপ জ্বলছে, আর সে ফিসফিস করে কিছু বলছে। শুভ মনোযোগ দিয়ে শুনতে চেষ্টা করল। “ওই নারী আমার হবে… সে আসবে… সে বাধ্য হবে…” শুভ শ্বাস বন্ধ করে শুনতে লাগল। “মীনা… মীনা… মীনা… আমার হয়ে যা… আমার হয়ে যা…” আকরাম এই কথা বলতে বলতে কাগজের চারপাশে কিছু লাল সুতো পেঁচিয়ে দিল। তারপর, সে কাগজটাকে একটা ছোট চামড়ার থলির মধ্যে ঢুকিয়ে দিল। তাবিজের শক্তি শুভ স্পষ্ট বুঝতে পারল—এটা কোনো সাধারণ কিছু নয়, এটা একটা কালোজাদুর তাবিজ! এই তাবিজ যার কাছে থাকবে, সে ধীরে ধীরে আকরামের বশে চলে যাবে! শুভের হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল। এই তাবিজ তার মায়ের জন্য! আকরাম মীনাকে নিজের করায়ত্ত করার জন্য কালোজাদুর মাধ্যমে তাকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছে! ভয়ংকর মুহূর্ত ঠিক তখনই আকরামের চোখ দরজার দিকে গেল! শুভ দ্রুত সরে গেল, কিন্তু একটা শব্দ হয়ে গেল—দরজার কাঠে হালকা আওয়াজ! আকরামের চোখ সরু হয়ে এল। সে বুঝতে পারল, কেউ একজন তাকে দেখেছে। সে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল, তার কঙ্কালের মতো হাত দিয়ে মোমবাতির আলো ঢেকে দিল। “কে আছে?” তার গলা গভীর এবং শীতল হয়ে উঠল। শুভ দ্রুত নিজের ঘরে ফিরে এসে দরজা আটকে দিল। তার হৃদস্পন্দন এত জোরে চলছিল যে মনে হচ্ছিল, সে যে লুকিয়ে আছে, সেটা বাইরে থেকে শুনতে পাওয়া যাবে! আকরামের ইঙ্গিত কিছুক্ষণ পর সব আবার নিরব হয়ে গেল। শুভ কিছুক্ষণ কিছুই শুনতে পেল না। কিন্তু তখনই, তার দরজার বাইরে পায়ের শব্দ শোনা গেল! কেউ ধীরে ধীরে এসে দাঁড়িয়েছে তার দরজার সামনে। হঠাৎই, একটা খুব হালকা কিন্তু ভয়ংকর গলা ফিসফিস করে বলল— “ঘুমিয়ে পড়ো, শুভ… বেশি কিছু জানার চেষ্টা করো না…” শুভের পুরো শরীর শক্ত হয়ে গেল! এই গলা আকরামের! আকরাম বুঝে গেছে যে শুভ তাকে দেখে ফেলেছে! এখন কী হবে? শুভ কি বাবাকে বলবে? কিন্তু রঞ্জিত তো এসব বিশ্বাস করবে না! আর মীনা? সে কি বুঝতে পারবে, যে একটা ভয়ংকর অশুভ শক্তি তাকে নিজের দিকে টেনে নিচ্ছে?
Parent