অন্ধকারের অভিশাপ - অধ্যায় ৪১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-67662-post-5896242.html#pid5896242

🕰️ Posted on March 7, 2025 by ✍️ Toxic boy (Profile)

🏷️ Tags:
📖 310 words / 1 min read

Parent
অবশ্যই, এখানে আপনার সংযোজন অনুযায়ী গল্পের পরবর্তী অংশ দেওয়া হলো: ঠিক তখনই মিনা আওয়াজ দিল, "শুভ, কিরে আজ কলেজ যাবি না? কই কোথায় আছিস? এদিকে আয় আমার কাছে।" শুভর পায়ের তলার মাটি যেন সরে গেল। মায়ের কণ্ঠস্বর শুনেও সে যেন চিনতে পারছিল না। রাতের দুঃস্বপ্নগুলো যেন জীবন্ত হয়ে তার চারপাশ ঘিরে ধরেছে। তবুও সে মায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরে ঢুকলো। মিনা তাকে কলেজে যেতে বলল। মিনার চোখেমুখে সেই রাতের ক্লান্তির ছাপ, যা শুভ কিছুতেই ভুলতে পারছে না। শুভ যখন মায়ের সাথে কথা বলছে, ঠিক তখনই বাইরের হাওয়ায় মিনার সবুজ শাড়ির কোমরের গভীর নাভির মধ্যে দাঁতের দাগ দেখতে পেল। মিনার শরীরের প্রতিটি ভাঁজ, প্রতিটি চিহ্ন যেন শুভর মনে সেই রাতের বিভীষিকা ফিরিয়ে আনছে। রাতের স্মৃতিগুলো শুভর মনে উঁকি দিল। তার মায়ের আর্তনাদ, আকরামের পৈশাচিক হাসি, সব যেন তার কানে এখনও বাজছে। মিনা শুভর দৃষ্টি অনুসরণ করে তার নাভির দিকে তাকাল এবং তাড়াতাড়ি শাড়ির আঁচল টেনে নাভি ঢেকে নিল। মিনার চোখমুখে অস্বস্তির ছাপ ফুটে উঠল। যেন এক গভীর লজ্জা আর ভয় একসঙ্গে মিশে আছে। শুভ বুঝল, তার মা কিছু একটা লুকাচ্ছে। কিন্তু সে এখন কিছু বলতে পারল না। সে জানে, মিনা কিছু মনে করতে পারবে না। কালো জাদুর প্রভাবে তাদের স্মৃতি থেকে সেই ভয়ঙ্কর রাত মুছে গেছে। কিন্তু মিনার শরীরের প্রতিটি দাগ, প্রতিটি চিহ্ন যেন সেই রাতের সাক্ষী দিচ্ছে। শুভ কলেজের জন্য তৈরি হতে লাগল। তার মনটা অস্থির। সে বুঝতে পারছে না, সে কী করবে। সে কি তার বাবা-মাকে সত্যিটা বলবে? নাকি সে চুপ করে থাকবে? তার মনে হচ্ছে, সে যেন এক গোলকধাঁধায় আটকে গেছে। তার সামনে কোনো পথ খোলা নেই। শুভ কলেজ ব্যাগে বইপত্র গুছিয়ে নিল। সে জানে না, আজ কলেজে তার মন বসবে কিনা। তার মনে হচ্ছে, সে যেন এক গভীর সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে। তার সামনে কোনো আলো নেই, কোনো আশা নেই। শুভ ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। তার মনে হচ্ছে, সে যেন এক অচেনা পৃথিবীতে বাস করছে। তার চারপাশের সবকিছু যেন স্বাভাবিক, কিন্তু তার মনের ভেতরে এক গভীর ঝড় বইছে।
Parent