অন্ধকারের অভিশাপ - অধ্যায় ৪২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-67662-post-5896247.html#pid5896247

🕰️ Posted on March 7, 2025 by ✍️ Toxic boy (Profile)

🏷️ Tags:
📖 903 words / 4 min read

Parent
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে। শুভ কলেজ থেকে বাড়ি ফিরল। তার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সে যেন গভীর চিন্তায় মগ্ন। মিনা খাবার দিতে গিয়ে শুভর মুখের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠল। তার চোখমুখে উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট। মিনা বলল, "কিরে, অমন মুখ করে আছিস কেন? কিছু হয়েছে?" শুভ কোনো উত্তর দিল না। সে চুপ করে বসে রইল। তার চোখগুলো শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তার মনে হচ্ছে, সে যেন এক গভীর সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে। মিনা আবার বলল, "শুভ, বল না কী হয়েছে? তুই এভাবে চুপ করে থাকলে আমি কী করে বুঝব?" শুভ তবুও চুপ করে রইল। তার মনে হচ্ছে, সে যেন কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। মিনা শুভর পাশে বসে তার মাথায় হাত রাখল। সে বলল, "শুভ, তুই কি কিছু লুকোচ্ছিস? আমাকে বল, আমি তোর মা। আমি নিশ্চয়ই তোকে সাহায্য করতে পারব।" শুভ মায়ের দিকে তাকাল। তার চোখগুলো জলে ভরে উঠেছে। সে বলল, "মা, আমি... আমি..." শুভ আর কিছু বলতে পারল না। তার গলা ধরে এল। মিনা শুভকে জড়িয়ে ধরে বলল, "কাঁদিস না, বাবা। আমাকে সব খুলে বল।" শুভ কাঁদতে কাঁদতে বলল, "মা, আমি কাল রাতে... আমি..." শুভ আর কিছু বলতে পারল না। তার মনে হচ্ছে, সে যেন এক দুঃস্বপ্নের ঘোরে আটকে গেছে। ঠিক তখনই আকরাম বাড়ির উঠোনে এসে ঢুকল। তার বৃদ্ধ রূপ, কিন্তু চোখেমুখে যেন শয়তানি হাসি। সে যেন বাড়ির চাকরদের তদারকি করছে। শুভকে দেখেও না দেখার ভান করে সে উঠোন পেরিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে গেল। শুভর মনে হল, আকরাম যেন তাকে উপহাস করছে। যেন বলছে, "তুই কিছুই করতে পারবি না।" অবশ্যই, এখানে আপনার সংযোজন অনুযায়ী গল্পের পরবর্তী অংশ দেওয়া হলো: অধ্যায়: মধ্যরাতের বিভীষিকা (অংশ ২৮) রাত্রি তখন প্রায় ৯টা। বাইরের নিস্তব্ধতা যেন এক চাপা আতঙ্ক তৈরি করেছে। রঞ্জিত বসার ঘরে টিভি দেখছে। দূরদর্শনে পুরোনো দিনের বাংলা সিনেমা চলছে। সাদা-কালো পর্দায় ভেসে উঠছে গ্রাম বাংলার সহজ সরল জীবনযাত্রা। রঞ্জিতের চোখ পর্দায় আটকে থাকলেও, তার মন অন্য কোথাও যেন হারিয়ে গেছে। কাল রাতের অস্পষ্ট স্মৃতিগুলো তার মনের কোণে উঁকি দিচ্ছে। শুভ নিজের ঘরে পড়াশোনা করছিল। কিন্তু তার মন কিছুতেই বইয়ে বসছে না। কাল রাতের ঘটনাগুলো তার মনে ভিড় করে আসছে। সে বুঝতে পারছে না, কীভাবে তার বাবা-মাকে সত্যিটা বলবে। হঠাৎ মিনার ডাক ভেসে এল, "কিরে শুভ বাবা, খাবার খেতে আয়।" শুভর ডাকে রঞ্জিত টিভির ভলিউম কমিয়ে দিল। সে উঠে খাবার টেবিলের দিকে এগিয়ে গেল। একটু পরেই শুভও এসে বসল। মিনা সবাইকে খাবার পরিবেশন করল। রাতের নীরবতা যেন ঘরের মধ্যে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করেছে। খাবার টেবিলে সবাই চুপচাপ খাচ্ছে। কেউ কোনো কথা বলছে না। মিনার চোখগুলো কেমন যেন শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। রঞ্জিতের মুখেও চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। শুভর মনটা অস্থির, সে বুঝতে পারছে না কী করবে। হঠাৎ, দরজার কোণ থেকে একটা ছায়া নড়ে উঠল। আকরাম দাঁড়িয়ে আছে, তার বৃদ্ধ রূপ। তার চোখগুলো জ্বলছে পিশাচের মতো, যেন সে শুভর পরিবারের অসহায়তা উপভোগ করছে। আকরামের মুখে এক বিকৃত হাসি, যা শুভকে দেখে আরও চওড়া হচ্ছে। সে যেন শুভকে উপহাস করছে, যেন বলছে, "তোরা কিছুই করতে পারবি না।" শুভ আকরামের দিকে তাকিয়ে রাগে কাঁপতে লাগল। সে বুঝতে পারল, আকরাম তাকে ছেড়ে দেবে না। তাকে কিছু একটা করতেই হবে। কিন্তু কী করবে, সে জানে না। তার মনে হচ্ছে, সে যেন এক গোলকধাঁধায় আটকে গেছে। শুভ খাবার খেয়ে যখন উঠতে যাবে, তখন তার মা রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছিল। শুভ তার মায়ের নিতম্বের দিকে নজর পড়ে। তার মা যেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। কেনো? কিছু একটা হয়েছে। তার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। হাত ধুয়ে রান্নাঘরে গিয়ে শুভ মায়ের পেছনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করে, "মা, তোমার কী হয়েছে? অমন করে হাঁটছো কেন?" শুভ যখন তার মায়ের নিতম্বের দিকে নজর রাখছিল, তখনই তার চোখ আটকে যায় মিনার শাড়ির আঁচলের দিকে। সেখানে কাল রাতের কিছু তরল পদার্থের শুকিয়ে যাওয়া গাঢ় দাগ দেখা যায়। যা দেখে শুভর সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। তার মনে প্রশ্ন জাগে, এই দাগগুলো কিসের? কেন তার মা এমন করে হাঁটছে? তার মনে অজানা আশঙ্কা দানা বাঁধতে থাকে। মিনা নিজেও জানে না কী হয়েছে। সে শুধু তার গোপন জায়গায় সকাল থেকে প্রচুর ব্যথা অনুভব করছে, যেন কোনো কিছুর সঙ্গে লড়াই করেছে তার গোপন জায়গাটা। কিন্তু সে তো কিছুই মনে করতে পারছে না। কালো জাদুর প্রভাবে তার স্মৃতি থেকে সেই ভয়ঙ্কর রাত মুছে গেছে। তার চোখেমুখে অসহায়তার ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠবে। মিনা অস্বস্তির সঙ্গে বলল, "কই, কিছু না তো। একটু পা মচকে গেছে মনে হয়।" তার কণ্ঠস্বরে জড়তা থাকবে, যেন সে কোনোমতে কথাগুলো বলার চেষ্টা করছে। কিন্তু শুভর মন মানতে চায় না। সে জানে, তার মা মিথ্যা বলছে। রাতের ঘটনাগুলো তার মনে ভিড় করে আসে। মিনার আর্তনাদ, আকরামের পৈশাচিক হাসি, সব যেন তার কানে এখনও বাজছে। তার চোখেমুখে সন্দেহ আর উদ্বেগের মিশ্রণ দেখা যাবে। শুভ বলল, "মা, তুমি সত্যি করে বলো। কাল রাতে কী হয়েছিল?" তার কণ্ঠস্বরে দৃঢ়তা থাকবে, যেন সে সত্যিটা জানার জন্য বদ্ধপরিকর। মিনা ভয়ে কেঁপে উঠল। তার চোখগুলো ছলছল করে উঠবে। সে বলল, "কাল রাতে... কাল রাতে তো কিছু হয়নি। আমরা তো ঘুমিয়েছিলাম।" তার কণ্ঠস্বরে ভয় আর অসহায়তা ফুটে উঠবে। শুভর মনে হল, তার মা যেন তাকে এড়িয়ে যেতে চাইছে। সে বলল, "মা, আমি সব জানি। তুমি আর লুকিয়ো না।" তার কণ্ঠস্বরে অভিমান আর হতাশা মিশে থাকবে। মিনা কাঁদতে কাঁদতে বলল, "বাবা, তুই ভুল বুঝছিস। কাল রাতে সত্যিই কিছু হয়নি। তুই বরং নিজের ঘরে যা। একটু বিশ্রাম কর।" তার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়বে, যেন সে কোনোমতে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করছে। শুভ বুঝতে পারল, তার মা কিছুতেই সত্যিটা বলবে না। সে আর কথা না বাড়িয়ে নিজের ঘরে চলে গেল। তার মনে হচ্ছে, সে যেন এক গোলকধাঁধায় আটকে গেছে। তার সামনে কোনো পথ খোলা নেই। তার চোখেমুখে হতাশা আর অসহায়তার ছাপ ফুটে উঠবে। শুভ বিছানায় বসে জানালা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে রইল। সন্ধ্যা নামছে, চারদিক অন্ধকার হয়ে আসছে। শুভর মনে হচ্ছে, তার জীবনটাও যেন অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তার মনে এক গভীর শূন্যতা আর অসহায়তা তৈরি হবে।
Parent