অনঙ্গর অণু পানু (a collection of micro-stories) _ অনঙ্গদেব রসতীর্থ - অধ্যায় ৮৪

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-31814-post-3490266.html#pid3490266

🕰️ Posted on July 13, 2021 by ✍️ anangadevrasatirtha (Profile)

🏷️ Tags:
📖 428 words / 2 min read

Parent
উষ্ণায়ন ১. লাঞ্চ টাইম। দুপুরবেলা। সুমনা ফোন করে: "হ‍্যাঁ গো, টিফিন খেয়েছ?" মানিকবাবু কলেজ থেকে: "হ‍্যাঁ, এই তো খাচ্ছি। কিন্তু… তোমার গলাটা এমন কাঁপছে কেন?" সুমনা: "আমার খুব শীত করছে তো, তাই।" মানিকবাবু অবাক হয়ে: "কেন, হঠাৎ এতো শীত করছে কেন, তোমার? জ্বর-টর এল না তো আবার?" সুমনা মুখ-ঝামটা দিয়ে: "জানি না, যাও!" মানিকবাবু ব‍্যস্ত হয়ে: "আচ্ছা, দাঁড়াও-দাঁড়াও, আমি দেখছি, কী ব‍্যবস্থা করা যায়।" মানিকবাবু ফোনটা কেটে দিলেন। তারপর তাঁর দুই প্রিয় ছাত্র সৈকত ও সৌম‍্যকে ডেকে বললেন: "তোমাদের বউদির মনে হয় খুব শরীর খারাপ করেছে। চট্ করে গিয়ে একটু দেখো তো। যদি প্রয়োজন মনে করো তো, ডাক্তার ডেকে আনবে। আমি এদিকে লাঞ্চের পরের ক্লাসটা ছেড়ে তো যেতেও পারছি না। বিশ্ব উষ্ণায়নের উপর অনেক খেটেখুটে আজকের এই লেকচারটাকে তৈরি করেছি যে!"   ২. সৈকত: "বউদি, আপনার কী হয়েছে?" সুমনা: "আমার খুব শীত করছে।" সৌম‍্য: "সে কী, কেন?" সুমনা: "জানি না!" সৈকত: "এ কী, আপনি গায়ে কোনও জামাকাপড় দেননি কেন, বউদি?" সুমনা: "জামাকাপড় সব ভিজে। শোকায়নি। সারাদিন যা বৃষ্টি হচ্ছে!" সৌম্য: "তা ঠিক। তা হলে এখন কী হবে?" সুমনা: "যে করে পারো, আমাকে একটু গরম করে দাও!" সৈকত: "তা কী করে সম্ভব?" সুমনা: "তোমরা দু'জনে কাছে এসে, আমাকে জাপটে ধরো। তোমাদের ইয়াং গা থেকেই আমি উষ্ণতা শুষে নেব!" সৌম্য: "কিন্তু আমাদের জামাকাপড় যে পথে আসতে-আসতেই, বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপে হয়ে গেছে।" সুমনা: "তা হলে তোমরাও জামাকাপড় সব ছেড়ে ফেলো!" সৈকত ও সৌম‍্য সমস্বরে: "সেই ভালো।"   ৩. অধ্যাপক মানিকবাবু সন্ধেবেলা কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে এলেন। মানিকবাবু: "কী গো, তোমার শীত করা ভাবটা কমেছে?" সুমনা হেসে: "একদম।" মানিকবাবু স্বস্তির শ্বাস ফেলে: "যাক বাবা, ভালোই হল। তা সৈকত আর সৌম‍্য এসে তোমাকে কীভাবে হেল্প করল? ওরা কী ডাক্তার ডেকে এনেছিল নাকি?" সুমনা: "না-না, ওরা দু'জনে এমন চমৎকারভাবে ঘর-বাড়িটাকে গরম করে দিল যে, আমার শীতভাব, কাঁপুনি, সব পলকে কমে গেল।" মানিকবাবু মাথা নেড়ে: "ইন্টারেস্টিং! ভেরি ইন্টারেস্টিং! এ ব‍্যাপারটা তো মার্ক করতে হচ্ছে তা হলে।" সুমনা ভয় পেয়ে, আঁৎকে উঠে: "অ্যাঁ? কেন হঠাৎ?" মানিকবাবু দরাজ হেসে: "আরে আজকে কলেজে যে বিশ্ব উষ্ণায়নের উপর লেকচারটা দিলাম না, তাতে শুধু উষ্ণায়নের কু-প্রভাব নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের যে কিছু ভালো দিকও থাকতে পারে, সেটা আমার মাথায় আসেনি, আর কোনও বইতেও এ নিয়ে কিছু আলোকপাত করেনি। কালকে এই লেকচারের সেকেন্ড ফেজ় আছে। ভাবছি, কাল এই উষ্ণায়নের গুড এফেক্টের বিষয়টা নিয়েও একটু বিস্তারিত বলব। তার জন্য দরকার হলে সৌম্য, সৈকত, আর তোমাকেও উদাহরণ হিসেবে সেমিনার হলে উপস্থিত করব। কী বলো?" সুমনা স্বামীর কথা এই পর্যন্ত শুনেই, হঠাৎ আলো নিভিয়ে, পাশ ফিরে, চোখ বুজিয়ে শুয়ে পড়ল। মানিকবাবু অবাক হয়ে: "কী হল তোমার?" সুমনা: "আমার আবার খুব শরীর খারাপ করছে।" মানিকবাবু: "সেকি!" সুমনা: "হ‍্যাঁ। আর আমার এই শরীর খারাপটা, তোমার এই সব আজেবাজে লেকচার শেষ না হলে কমবে না!"   ০২.০৭.২০২১
Parent