অন্য গল্প - অধ্যায় ৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-24394-post-1801529.html#pid1801529

🕰️ Posted on April 5, 2020 by ✍️ Aragon (Profile)

🏷️ Tags:
📖 562 words / 3 min read

Parent
৩য় পর্ব: সেদিন ই সন্ধ্যার দিকে কাবেরীদি ওর মার কাছে আসে। সুদীপা সেই সময় রান্নাঘরে ব্যস্ত ছিলো। দিশানীও কাবেরীকে দেখে বাইরে আসে। সুদীপা কাবেরীকে দেখে জিজ্ঞেস করে 'কিরে কি খবর?' 'এই একটু নুন নিতে এলাম'- কাবেরী উত্তর দেয়। কাবেরীদি মাঝে মধ্যে এরকম টুকটাক জিনিস নিতে ওর মায়ের কাছে আসে। সুদীপা একটা কাপে কিছুটা নুন দিয়ে বলে 'আর তোর অফিস কেমন চলছে?'। 'এই চলছে কাজের চাপও আছে'- কাবেরী বলে। সুদীপা: এটাই তো নিজের পায়ে দাড়ানোর সময়। কাবেরী: আর কি, কাকু কবে আসবে? সুদীপা: তোর কাকুর কথা বাদ দে, এই তো গেলো কিছুদিন আগে, আবার আসতে দেরি আছে। কাবেরী: তুমি তো কাল দুপুরে থাকবে না? সুদীপা: হ্যাঁরে, কাল একটু বেরোবো ঠিক সেই সময়ই দেবোজিতের ফোন আসায় সুদীপা ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কাবেরী এবার দিশানীকে জিজ্ঞেস করে 'কিরে কলেজ কেমন চলছে?' দিশানী- এই তো চলছে কাবেরী- কাল কলেজ যাবি? দিশানী- হ্যাঁ যাবো 'আচ্ছা, আমি এখন আসি, পরে কথা হবে'- এই বলে কাবেরী নিজের ঘরে চলে যায় যায়। রাতে ডিনারের পর দিশানী চিন্তা করতে থাকে কাল কি করবে। সন্ধ্যায় কাবেরীদি এসছিলো কাল ওরা বাড়ি থাকবে কি না সেই বিষয়ে খবর নিতে, নুন নিতে আসাটা শুধু একটা বাহানা ছিলো। পরদিন সকালে উঠেই দিশানী ঠিক করে নেয় আজ আর কলেজ যাবে না। পল্লবীকে ফোন করে জানিয়ে দেয়। গিয়ে তাড়াতাড়ি চলে আসতে পারতো, তবে কোনো কারনে যদি দেরি হয়ে যায়, তাই রিক্স নেয়নি। তবে আজ যে কলেজ যাবে না সেটা আর ওর মাকে বলে নি, সুদীপা জানলেই কলেজে যাবার জন্য জোরাজুরি করবে। কাবেরী যথারীতি দশটার দিকে বেরিয়ে যায়। দিশানী অপেক্ষা করতে থাকে সুদীপার বেরোনোর জন্য। ১১টার দিকে সুদীপাও বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সুদীপা বেরিয়ে যেতেই দিশানী ওর মায়ের বেডরুমে ঢোকে। ও জানে কাবেরীর রুমের একস্ট্রা চাবি সুদীপাদের টেবিলের ড্রয়ারেই থাকে। ওখান থেকে চাবি নিয়ে কাবেরীর রুমের লকটা খোলে । কাবেরীর বেডরুমটা খুব একটা বড় না হলেও বেশ গোছানো। দিশানী কোলাপসেবেল জানালাটা অল্প খুলে দরজায় তালা দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর দিশানীর অপেক্ষা শুরু হয়। ঠিক একটার দশ মিনিট আগে কাবেরীর ঘরের জানালায় এসে উকি দেয় দিশানী। জানালাটা বাড়ির পেছন দিকে হওয়ায় সামনের দিক থেকে সহজে চোখে পড়ে না। ঠিক পনেরো মিনিট পর দিশানী দরজা খোলার আওয়াজ পেলো। * অনুষ্ঠান বাড়িতে আসার পর প্রায় দু ঘন্টা কেটে গেছে। জয়িতা হলো সুদীপার অনেকদিনের বান্ধবী। অনুষ্ঠান বলতে আজ জয়িতাদের বাড়ির গৃহপ্রবেশ। ফ্ল্যাট ছেড়ে নিজেদের বাড়িতে এসেছে ওরা। জয়িতা ওর মতই হাউস ওয়াইফ। অনুষ্ঠানে আসার পর অবশ্য জয়িতার সাথে তেমন একটা কথা হয়নি। অন্য গেস্ট দের নিয়েই ব্যস্ত ও। তবে জয়িতার বর রমেশ এসে কিছুক্ষণ গল্প করে গেছে ওর সাথে। রমেশের নিজস্ব ব্যবসা আছে, ওকেও দেবোজিতের মত বাইরে থাকতে না হলেও বেশ ব্যস্ত থাকতে হয়। ওদের মেয়ে রাতুলা এবার ইলেভেনে উঠলো, দিশানীর চেয়ে বছর দুয়েকের ছোটো। রাতুলা এসে ওকে খেতে নিয়ে যায়। জয়িতা বার বার এসে বলে যায় সুদীপা যেন খাওয়া দাওয়ার পরও থাকে। খাওয়া দাওয়ার প্রায় ঘন্টাখানেক পর জয়িতা আসে সুদীপার কাছে। 'কিরে বর মেয়েকে তো আনতে পারতি'- জয়িতা বলে। সুদীপা- মেয়ের তো কলেজ, আর দেবোজিতের কথা বলিস না, কাজের চাপে তেমন একটা আসতেও পারে না। জয়িতা- আমার টারও একই অবস্থা, আজো বলে কোথায় যেতে হতো, অনেক কষ্টে আজ আটকেছি। সুদীপা- তা শেষ অবধি নিজেদের বাড়িতে এলি জয়িতা- হ্যাঁ, ফ্ল্যাট টা ভালো ছিলো , তাও নিজেদের বাড়িটাই বেটার। সুদীপা- তা অবশ্য ঠিক জয়িতা- তবে কি জানিস তো, আরও একটা কারন আছে এখানে আসার। সুদীপা- কি ? জয়িতা- আজ বলবো না, তুই আরেকদিন আয়, সেদিন সেসব নিয়ে বেশ জমিয়ে গল্প করা যাবে। এরপর আরও কিছুক্ষণ গল্প চলে ওদের। বেরোনোর সময় বারবার সুদীপাকে আসতে বলে জয়িতা। সুদীপা জানায় আসার আগে ফোনে ওকে সব জানিয়ে দেবে।
Parent