অতসীর বৌমা (আপডেট 16/01/2025) - অধ্যায় ২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-60482-post-5496677.html#pid5496677

🕰️ Posted on January 30, 2024 by ✍️ মাগিখোর (Profile)

🏷️ Tags:
📖 677 words / 3 min read

Parent
অতসীর বুকের উপরে পড়ে, কাঁদতে কাঁদতে, দীর্ঘ ছ'মাসের ইতিহাস বলে গেল রমা।  এই দীর্ঘ ছ'মাসে,  বার ছয়েক ব্যর্থ চেষ্টা করেছে অতসীর ছেলে। কিন্তু, শুধু  যে বিফল মনোরথ; তা নয়। যুবতী শরীর দর্শন অথবা স্পর্শের কোনো চেষ্টাই সুকান্ত করেনি।  ✪✪✪✪✪✪ বউকে সান্ত্বনা দিতে দিতে অতসী বললো,  - "কালকে তোকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেবো। দু-তিন দিন ওখানে থাক। আমি ফোন করবো তারপরে আসবি। এর মধ্যে আমি সুকুর সঙ্গে কথা বলে দেখি।"  সেদিন রাতে সুকান্ত শুতে যাওয়ার আগে মাকে বলতে এলো কাল সকালে বেরোবে। তার আগেই অতসী বললো,  - "কালকে সকালে, রমাকে বাপের বাড়ি দিয়ে আসবি। কারখানা ভিজিট কালকে বন্ধ রাখবি। দুপুরে বাড়ি থাকবি; কথা আছে।"  মায়ের গলার স্বরে কিছু একটা আছে, বুঝতে পেরে; সুকান্ত মাথা নিচু করে ঘরে চলে গেলো। অবশ্য, বউ যদি বাড়িতে না থাকে, কারখানা ভিজিটের নাম করে বাইরে থাকার দরকার কি?  আরেকটা কথা ভেবে ভয় ভয় শুতে গেল সুকান্ত। মা এতো গম্ভীর কেন? রমা কি মাকে কিছু বলেছে! মাথা ভর্তি চিন্তা নিয়ে বিছানায় গেল সুকু। আকাশ-পাতাল ভাবতে ভাবতে, একসময় ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুম ভেঙে, ঘরে কাউকে দেখতে পেল না সুকান্ত। বিছানার উপরে, বড় একটা ঢাউস সুটকেশ, চাবি বন্ধ। সেটা দেখে, আরো দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে গেল সুকান্ত।  রমা কি তাহলে, একেবারেই চলে যাচ্ছে। বাড়িতে গিয়ে কি ওর নামে ডিভোর্স ফাইল করবে। মাকে কি সব জানিয়ে দিয়েছে রমা! দুশ্চিন্তাগ্রস্ত সুকান্ত, টয়লেট থেকে ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং-এ এসে বসলো ব্রেকফাস্ট-এর জন্য। মা গম্ভীর মুখে ব্রেকফাস্ট এগিয়ে দিলেন। শান্ত কিন্তু তীক্ষ্ণ স্বরে বললেন,  - তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট করে নাও রমাকে ওদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে।  পুরোপুরি প্রস্তুত রমা, রান্নাঘরের দরজায় দাড়িয়ে; এক মনে নখ খুঁটে যাচ্ছে। ব্রেকফাস্ট শেষ করে রমাকে নিয়ে সুকান্ত বেরিয়ে পড়ল শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে।   আধঘন্টার মধ্যে, শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে গেল সুকান্ত। কিন্তু, শাশুড়ির নিরুত্তাপ অভ্যর্থনা চমকে দিল সুকান্তকে।  নতুন জামাই এসেছে বাড়িতে, সামান্য চা-বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়ন; সুকান্তর মাথার মধ্যের চিন্তাটাকে আরো বাড়িয়ে দিল। শশুর বাড়ির সকলে কি ব্যাপারটা জেনে গেছে?  রমা কি সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে? মাথার মধ্যে যত কিছুই চিন্তা হোক না কেন; রমাকে বাপের বাড়ি পৌঁছে দিয়ে, একটু আড্ডা মেরে বাড়ি ঢুকলো সুকান্ত। তখন বেলা বারোটা। স্নান খাওয়া শেষ করে, ডাইনিং টেবিল থেকে উঠতে যাবে; মা বলল,  - ঘরে গিয়ে বস। একটু দরকার আছে, ঘুমোবি না।  আধ ঘন্টার মধ্যেই রান্নাঘরে কাজ শেষ করে, শাড়ির আঁচলে হাত মুছতে মুছতে; সুকান্তের ঘরে ঢুকলো অতসী। বিছানায় বসে সুকান্ত। পাশে বসে অতসী জিজ্ঞেস করলো,  - তোদের এই ব্যাপারটা কি বলতো? তুই যে বিয়ে করবি না, বিয়ে করবি না, বলতিস; ওটার কারণ তো আমাদের আগেই জানাতে পারতিস? ডাক্তার দেখিয়েছিস? ডাক্তার কি বলেছে? — নিশ্চুপ সুকান্ত মুখ নিচু করে বসে রইলো বিছানায়।  - দেখ সুকু চুপ করে থাকবি না কিন্তু। সমস্যা একটা তৈরি যখন করেছিস; সমাধান তোকেই খুঁজে বার করতে হবে। আমাকে খুলে বললে, সাহায্য করতে পারব। আমি আছি, তোর বাবাও আছে; কিছু একটা ব্যবস্থা হবেই।  - কি ব্যবস্থা করবে? আট বছর ধরে ডাক্তার দেখিয়েছি, ডাক্তার বলেছে কিছু হবার নয়।  - তাহলে বিয়ে করতে গেলি কেন?  - আমি তো, সেই জন্যই করতে চাইনি।। তোমরাও চাপাচাপি করলে; আর আমার এক বন্ধু বলল, হয়তো বিয়ে করে বউয়ের পাশে শুলে, সমস্যা মিটে যেতে পারে!  আমিও বাড় খেয়ে ঝুলে পড়লাম। এখন তো এই অবস্থা। ছমাস ধরে, রমার কাছে মুখ দেখাতে পারছিনা। পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।  - পালিয়ে বেড়ালে কি সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যাবে? কিছু একটা ব্যবস্থা তো করতেই হবে। পালিয়ে কত দিন কাটাবি? আর না হলে, বউ যদি ডিভোর্স করে চলে যায়; পরিবারের সন্মানের কথাও তো তোকে ভাবতে হবে!  - কি করবো? আমার মাথা ঠিক নেই! আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না; কি করে, কি হবে? ডাক্তার তো একদম না-ই বলে দিয়েছে!!  - ঠিক আছে। তুইও ভাবতে থাক। আর, আমিও ভাবি, কি করা যায়। কিছু একটা ব্যবস্থা তো করতেই হবে। — অতসী বিছানা থেকে উঠে, নিজের ঘরে যেতে যেতে বলল।  নিজের ঘরে গিয়ে, মাথার নিচে দু হাত দিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে রইলো অতসী। আকাশ পাতাল ভেবেও, কোন কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছে না। ছেলেটার এই অবস্থা, সেটা একটা চিন্তা। ওদিকে বৌমার কথা ভাবতে হচ্ছে।  কাঁচা বয়স মেয়েটার, শরীরের জ্বালায় যদি কিছু ভুল করে ফেলে? পরিবারের সম্মানহানি হবে। মেয়েটাও বিপদে পড়তে পারে। 'কি করা যায়! ঠাকুর আমাকে রাস্তা দেখাও। আমি আর কিছুই বুঝতে পারছি না।' সুকুর বাবাকে রাতে বলবো! কিন্তু, ওই বা কি করবে?  এই সমস্যার সমাধান হবে কি করে? চিন্তা করতে করতে এক সময় ঘুমিয়ে পড়ল অতসী। ✪✪✪✪✪✪ Click for next: Time stamp 18:25//30/01/2024 527
Parent