বাঘমুড়োর আতঙ্ক - সমাপ্ত - অধ্যায় ১৯

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-47457-post-4885517.html#pid4885517

🕰️ Posted on July 21, 2022 by ✍️ nandanadasnandana (Profile)

🏷️ Tags:
📖 3613 words / 16 min read

Parent
আগের পর্বের কিছু অংশ...... -      দ্যাখ তো লালি কার খোঁজ করছে এই লোকটা। কি নাম বললে? অলকা না কি যেন একটা? কই গো বল?                                                                                                             পর্ব ষোল লোকটা চুপ ছিল একেবারে। হয়ত লালি কে দেখবে ভাবে নি। লালি লোক টা কে দেখল ভালো করে। কেমন মুখ টা যেন। অদ্ভুত সাদা। এমন নয় যে লোকটা খুব ফরসা। গায়ের রঙের সাথে অসামঞ্জস্য রেখে মুখের রঙ একেবারে ফ্যাকফ্যাকে সাদা। চোখের মণি স্থির। লোকটাও স্থির হয়ে দেখছে লালি কে। নজর টা সহ্য হলো না লালির। কেমন ছটফটিয়ে উঠলো লালি। বলতে গেল, -      কাউকে খুজছেন? কিন্তু বেরোল না কথা। খুব আলতো করে গলা দিয়ে একটা “ গররররররররর” আওয়াজ বের হল মাত্র। সর্বনাশ এটা কি হলো। রূপ ধারণ তো নিজের ইচ্ছানুসারে হয়। কিন্তু এটা কি হচ্ছে? একটা সালোয়ার পরেছিল লালি। উফ কি মারাত্মক টাইট লাগছে এবারে। দম বন্ধ হয়ে আসছে। চোখ এ কম দেখতে শুরু করল লালি। গন্ধ টা মারাত্মক বেড়ে গেল। আর নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে দেখল, সাদা লোম গুলো বের হতে শুরু করেছে এবারে। উফ হে কৃষ্ণ এই বিপদ থেকে বাঁচাও। কটি পিসি কথা বলছে লোক টার সাথে আর লালির মনে হচ্ছে, কানের সাথে মুখ ঠেকিয়ে কেউ চিৎকার করছে, - কি গো নাম কি বললে বল, এ লালি, সবাই কে চেনে গ্রামের বল বল? লালি বুঝতে পারছে, ওর অনিচ্ছাকৃত রূপান্তর হয়ে যাচ্ছে এবারে। কোন উপায় নেই আটকানোর? ঠিক তখন ই হীরা দের বাড়ি থেকে ভেসে এলো হীরার গলা, -      মা খেতে দাও, চান হয়ে গেছে। লালির মনে হলো সেটা ওষুধের মতন কাজ করল। চোখের দৃষ্টি স্বাভাবিক হলো। কানের ভিতরে দামামা কমে গেল। গন্ধ টা থাকলেও আগের মতন আর রইল না। খুব বেশী হলে সেকেন্ড পাঁচেক তাঁর মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে গেল লালি। খানিক ক্ষন চুপ থেকে জিজ্ঞাসা করল -      কাকে খুঁজছেন আপনি? একটা গম্ভীরের ও বেশী গম্ভীর গলায় উত্তর এল, -      অলকজিত নামের একজন কে খুঁজছি আমি। নাম টা শুনে লালি চমকে উঠল এক প্রকার। আগের দিনে সেই প্যারালাল ওয়ার্ল্ডের ব্রাহ্মন পরিবারের নাম গুল অনেক টা এই রকম ছিল বলেই মনে হচ্ছে না? অলায়ুধের বংশধর এরা সবাই। লালির মনে এক টা নয় একাধিক প্রশ্ন চলে এল। সাথে নিজের অনিচ্ছাকৃত রূপান্তরের কারণ ও বুঝল। ও বুঝতে পারল এ কোন সাধারণ লোক নয়। সামনের জন অশ্বথামা। দিনের বেলায় বাঘমুড়ো বের হবে না তাই অশ্বথামা নিজেই বের হয়েছে। থরথর করে কাঁপছিল লালি। লোকটি কিন্তু বলল আবার কথা, -      বা অলকৃত্য? লালি প্রশ্ন শুনে এবারে ঘাবড়াল না। বুঝে গেল, মণির খোঁজ ওদিক থেকেও চলছে মারাত্মক রকম ভাবে। ওর মধ্যেকার ক্ষমতা ওকে সেই পরিস্থিতি তে নিজেকে সামলে নেওয়াল। ও ফিরে গেল নিজের চরিত্রে। ও বুঝেছিল, সামনের লোক টি সাধারণ কেউ নয়। সামান্য এদিক ওদিক কথাবার্তা বললেই বুঝে যাবে লালি কে আর কিছু ক্ষমতা ধরে। সাবধান হয়ে যেতে পারে। বেশ নিজের মেজাজেই পাশের বাড়ির সরল মেয়ের মতন হেসে উত্তর দিল, -      না তো, এমন অদ্ভুত নামে এই গ্রামে কেউ থাকে না। এতো মনে হচ্ছে কোন প্রাচীন নাম। এই কথাবার্তার মাঝে কটি পিসি পালালো। হয়ত দুর্গন্ধ টা সহ্য করতে পারছিল না। লালিও পারছে না কিন্তু ক্ষমতা আসার পর থেকে ওর সহ্য ক্ষমতা অনেক বেড়ে গেছে সে নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সামনের লোক টা কে বুঝতে দিলে চলবে না সেটা। নিজের ওড়না টা নাকে চাপা দিল কথা বলতে বলতে। কিন্তু অশ্বথামার এমন করে অলায়ুধের বংশধর দের নাম জিজ্ঞাসা করা ভাল লক্ষণ নয়। বস্তুত লালি জানেও না যে গতকালের সেই ব্রাহ্মণ জীবিত ছিলেন কিনা। কিন্তু অশ্বথামা এই নামে জিজ্ঞাসা করছে মানে সেই ব্রাহ্মণ জীবিত ছিল আর এই নামের বংশধর রা এখন জীবিত? লালির মাথা ঘুরে যাবে এবারে। সামনের লোক টি কিন্তু হতাশ হলো না। বরং কপাল টা কুঁচকে নিলো। বলল, -      ও… কেউ থাকে না এই নামে তাই না? হুম তাই হবে। আমার ই কোন ভুল হয়ত। লোকটির চোখ মুখ দেখে লালির মনে হল, হয়ত ভাবছে নিশ্চই পাওয়া যাবে। লালি আর কথা বাড়াল না। লোকটি কে না দেখেই ধীর পায়ে রাস্তায় পা রাখল। নগেন এর বাড়ির দিকে এগিয়ে যেতে থাকল। পিছন ফিরে লোক টি কে দেখার সাহস ও হলো না লালির পাছে লোক টা কোন সন্দেহ করে। নগেন এর বাড়ির গলি তে ঢুকতেই যেই লোক তার চোখের আড়াল হলো লালি, এক ছুটে সোজা নগেনের বাড়ী ঢুকে হাঁপাতে শুরু করল। নগেন তখন সবে খেয়ে দেয়ে উঠোনে দাঁড়িয়ে হাত মুছছিল। লালি কে ভয়ে হাঁপাতে দেখেই কাছে এসে বলল, -      কি রে কি হলো হাপাচ্ছিস কেন? কি হয়েছে? বল? লালি খানিক দম নিয়ে বলল, -      দাদু খবর ভাল না। -      কেন কি হলো? আগে আয় তুই বোস তো। তারপরে ছেলের বউ কে হাঁক দিয়ে বলল, -      এক গ্লাস জল দে তো লালি কে, রোদে এসে হাঁপাচ্ছে মেয়েটা। নগেন লালি কে বসালো বাড়ির দুয়ারে। লালি দুয়ারে পাতা একটা তক্তপোষ এ বসে জল খেয়ে খানিক ঠান্ডা হল। এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখল এবারে ও। ভয় হচ্ছে অশ্বথামা পিছনে পিছনে আসছে নাকি? বাতাসে জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে সেই দুর্গন্ধ টার দুরত্ব মাপার চেষ্টা করল। যা বুঝল সেই গন্ধ এখন জলার মাঠ এর কাছে। নাহ এদিকে নেই। নিশ্চিন্ত হলো একটু লালি। কিছু দূরেই নগেন এর বৃদ্ধা বৌদি বসে আছে ঠাণ্ডা মেঝেতে। নগেন দাদু একেবারে সামনে। নগেন ই প্রথম কথা বলল, -      কি রে কীসের ভয় পেয়েছিস? লালি এদিক ওদিক তাকিয়ে নিল একবার , তারপরে নিচু গলায় বলল, -      অশ্বথামা -      মানে? -      মানে, অশ্বথামা গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। -      কি বলছিস? -      হুম ঠিক। আমি হীরা দের বাড়ি থেকে বেরিয়েই দেখি একটা লোক কটি পিসির সাথে কথা বলছে। -      হুম তারপরে? -      কি বিশ্রী দুর্গন্ধ চারিদিকে। আর তুমি তো জান, ক্ষমতা পাওয়ার পরেই এই গন্ধ ব্যাপার টা আমার খুব বেশী অনুভুত হয়। কিন্তু হীরাদের বাড়ি তে থাকার সময়ে গন্ধ টা পাই নি, বেরিয়েই পেলাম। দেখলাম কটি পিসির সাথে লোক টা দাঁড়িয়ে। -      বুঝলাম, কিন্তু বুঝলি কি করে ওটা অশ্বথামা। গন্ধে? -      হ্যাঁ সেটাও কারণ আর ও দুটো কারণ আছে। -      কি? -      লোক টার সামনে আসতেই আমার ভিতরের ক্ষমতার উপরে আমার কোন নিয়ন্ত্রণ ছিল না। -      মানে? -      মানে একটা উন্মুক্ত ক্রোধের সাথে লোকটার দিকে আক্রমণে যাচ্ছিলাম আমি। আমার গায়ে হাতে পায়ে লোম বের হতে শুরু করেছিল। স্বরে আমার গলা ছিল না, ছিল অপার আতঙ্কে ভরা মৃদু গর্জন। নগেন বেশ অবাক হয়ে গেল। বলল, -      বলিস কি? -      হ্যাঁ আর ও আছে। -      কি আছে? -      লোক টা কাউকে খুঁজছে। যাকে আমরা চিনি না। কিন্তু নামের সাথে মিল পেয়েছি আমি -      মানে? বুঝলাম না। ঠিক করে বল। -      তোমাকে কালকের ঘটনা বলেছিলাম আজকে দুপুরে তোমার মনে আছে , মন্ডপে বসে? অলায়ুধের বংশধর দের কথা? নগেন চুপ করে গেল এবারে। কোনরকমে বলল, -      হ্যাঁ বলেছিলি। -      কি বলেছিলাম তোমাকে, যে ব্রাহ্মণের সাথে আমাদের দেখা হয়েছিল, তার নাম হলো অলকবৃষ। মজার ব্যাপার অশ্বথামা রূপে এই লোক টা আমাকে এই নামের সাথে মিল আছে এমন আর ও দুটো নাম জিজ্ঞাসা করল, অলকজিত আর অলকৃত্য। অদ্ভুত না? দেখ দাদু তার মানে হলো, হীরা যে বলে এসেছিল সেই ব্রাহ্মণের কিছু হবে না আর তার ছেলেও জীবিত আছে, সেটা সত্যি। আর এরা যে সেই ব্রাহ্মণের বংশধর সে নিয়ে কোন সন্দেহই নেই। নগেন চুপ করে গেল এবারে। লালি দেখল চোখে মুখে একটা অস্বাভাবিক আতঙ্ক নগেনের। আর সেটাই স্বাভাবিক। যে মণির পিছনে এরা সবাই আছে, সেই মণি যদি এই পিশাচ দের হাতে পরে তবে তো সব ধ্বংস হয়ে যাবে। এই তিনজনে মিলে কতটুকু বাঁধ দিতে পারবে আর? দাদুর চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক। এদিকে লালি দেখল বেলা বাড়ছে। বাতাসে সেই দুর্গন্ধ টা আর নেই। এবারে বাড়ি যেতে হবে। না হলে বাবা বকবে ওর। ও নগেন কে বলল, -      দাদু এবারে যাই। আশে পাশে কেউ নেই আর। -      হুম। লালি দেখল নগেন চুপচাপ নিজের ঘরে চলে গেল। লালিও দেরী করল না। নগেনের খিড়কি দরজা দিয়ে বেড়িয়ে, পিছনের গলি পথে পুকুরের ধার দিয়ে নিজের বাড়ি চলে এল। স্নান সকালেই করে নেয় ও। এসে দেখল বাবা নেই। বড় ঠাম্মু শুয়ে পরেছে নিশ্চই। ও দুটি খেয়ে নিল। খেয়ে দেয়ে উঠে দুটো ডাঁশা পেয়ারা ছাড়িয়ে লঙ্কা আর নুন মাখিয়ে, খেতে খেতে বাড়ির পিছন দিকে এল। নিজেদের বাড়ির ঘাট থেকে দেখল হীরা নিজেদের বাড়ির গলির ঘাটে চুপ করে বসে আছে জলের দিকে তাকিয়ে। ভরা দুপুর। ছোঁড়া ঘুমোয় নি? হুম চিন্তায় আছে কাল থেকে। কে জানে কি চলছে ওর মনের ভিতরে। ভাবল চুপি চুপি পিছন থেকে গিয়ে ওকে ধরবে লালি। ছোট বেলায় কত ধরাধরি খেলত। কত্ত ছোট তখন হীরা। কেউ ধরতে পারত না ওকে।  কেউ না। বড় বয়সের ছেলেরাও চেষ্টা করত, কিন্তু পারত না ধরতে। এমন না যে খুব জোরে দৌড়তে পারে হীরা। কিন্তু ঠিক ফস্কে যেত হাত থেকে। সব থেকে বেশী নাকাল হত তাঁরা যারা চ্যালেঞ্জ নিয়ে ওকে ধরতে যেত।  কিন্তু লালি নিজেও জানে না , হীরা কে ধরে ফেলত কি করে লালি। হাঁপিয়ে গেলে বা খুঁজে না পেলে মনে মনে বলত “কোথায় গেলি হীরা?  আয় ধরা দে “! আর না জানি কি করে ঠিক তারপরেই কোন গলির মুখে একেবারে সামনা সামনি ধরা পড়ত দুষ্টু টা। একেবারে কোলে তুলে নিত লালি ওকে। কিন্তু পিছন থেকে কোন দিন ধরতে পারে নি ওকে। যতবার চেষ্টা করেছে ও বুঝে গেছে। ঠিক ফস্কে পালিয়েছে বা ঘুরে দাঁড়িয়ে পরেছে লালির সামনে। আর কি ধরা যায় তারপরে? কিন্তু আজকে একেবারে অন্যমনস্ক। লালি ধীর পায়ে পিছন দিক থেকে যাবার চেষ্টা করল। ঠিক হাত পাঁচেক দূরে তখন, এক মুখ হাসি নিয়ে পিছন ফিরে হীরা বলল, -      এস, তোমার জন্যেই অপেক্ষা করছিলাম। জানতাম তুমি আসবে। উফ এবারেও হলো না। লালি বলে উঠলো, -      কি করে বুঝে যাস রে তুই? -      উম্ম, তোমার ঘ্রাণ পাই আমি। একটা বুনো ফুলের মতন বন্য সুগন্ধ আসে তোমার থেকে। খুব প্রিয় আমার সেটা। লালি মরে গেল সুখে, আনন্দে ওই কথা শুনে। মুখ খানা বেঁকিয়ে বলল, -      খুব তুই একেবারে। কুকুর নাকি তুই, গায়ের গন্ধ পাস? -      হাহা। আমি না হলেও কুকুর এক খানা আছে বিশাল। সাদা কুকুর। পরেশ কাকা দেখেছিল না? লালি এই নিয়ে আর কথা বাড়াল না। মনে মনে ভাবল, পরেশ কাকা কিরে? শশুর হয় না তোর? কিন্তু ও চায় না ওর এই দিক টা হীরা জানুক। হয়ত আর ভালবাসবে না তারপরে। ও আর যাই হোক, কোন মূল্যেই হীরা কে হারাতে পারবে না। হারিয়ে ফেলার আগে ওকে বাঘমুড়ো শেষ করে দিক, সেও চলবে কিন্তু হীরার থেকে কোন ঘেন্না বা ভয় লালির উপরে, সেটা লালি সহ্য করতে পারবে না। ও কথা ঘোরালো। বলল, -      হীরা কিছু কথা বলার আছে তোকে আমার। -      হুম কি কথা বলো। হীরা ঘাটে বসে থাকলেই নানান আকারের মাছ ভিড় করে ঘাটে। কিন্তু লালি আসলেই তাঁরা চলে যায়। আজকে গেল না তারা কেউ ই। খেলতে লাগল ঘাটে। হীরার ঝোলানো পায়ে এসে মাথা লাগিয়ে ফিরে যাচ্ছিল গভীরে। আবার ফিরে আসছিল মাছ গুলো। মাঝে মাঝেই বেশ বড় বড় মাছ ও আসছে। এউ পুকুরে এতো মাছ আছে বলে লালির জানা ছিল না। এই পুকুর কারোর না। কেউ খেয়াল রাখে না যত্ন নেয় না এই পুকুরের। ভগবান জানে এই পুকুরে এতো মাছ কোথা থেকে এল। ছোট বড় কত মাছ এসে খেলছে, ঘুরছে, ল্যাজ ঝাপ্টাচ্ছে হীরার পায়ের কাছে। না জানি কোথা থেকে কিছু কিছু মুড়ি হীরা ফেলে দিচ্ছে জলে আর মাছ গুলো সেই গুলো খেয়ে নিচ্ছে। লালি ঠিক হীরার পাশেই বসল পা টা ঝুলিয়ে জলের মধ্যে। হীরার কাঁধে মাথা রাখল আলতো করে। কেউ দেখলে দেখুক। আজ বাদে কাল সবাই জানবে। জানুক। প্রেমিক প্রেমিকা দের মধ্যে নিজের ভালোবাসা সকল কে জানিয়ে দেবার একটা মারাত্মক প্রবণতা থাকে, লালিও ব্যতিক্রমী নয়। শুধু হীরাই উদাসীন থাকে সব ব্যাপারে। কাঁধে মাথা রাখলেও হীরার কোন ভয় নেই লালির মনে হলো। আর লালি হীরার কাঁধে মাথা না রাখলেও হীরা বলবে না রাখতে কোনদিন,  সেটাও লালি জানে। ও বলল মৃদু স্বরে, -      আচ্ছা হীরা, যদি কোনদিন শুনলি, আমার এই রূপের বাইরেও একটা কদর্য রূপ আছে, তখন কি করবি? আমাকে আর ভালোবাসবি? হীরা ভারী অবাক হলো, তারপরে মিষ্টি করে হেসে জবাব দিল, -      কদর্য? কি বলছ? মানে তুমি নিষ্ঠুর? এই রকম কিছু? -      উফ না!! মানে এই যে আমি দেখতে সুন্দর, সেটা আর রইল না, তখন? -      সে তুমি এমনিতেও জলার পেত্নীর মতন দেখতে। তুমি সুন্দর কে বলল? -      তবে রে!! কত যেন জলার পেত্নী দেখেছিস তুই? -      হুম দেখেছি। একদিন তোমাদের বাড়ি গেছিলাম পড়তে। সকালে মুখে দই মেখে একটা পেত্নী বেড়িয়ে এসেছিল ঘর থেকে। কিন্তু আমার না ওই পেত্নী কেই বেশ ভালো লাগে। -      ধ্যাত আবার বাজে কথা। বল না যা জিজ্ঞাসা করলাম। -      আচ্ছা শোন তোমাকে একটা গল্প বলি। এখন এই গল্প টা খুব ইম্পর্ট্যান্ট। লালি অবাক হলো। এতো কথা তো হীরা কোনদিন বলে না। গল্প বলবে তাও হীরা? আনন্দ পাবে না অবাক হবে সেটা লালি বুঝতে পারল না। কিন্তু কিছু বলল ও না। কাঁধে মাথা দিয়ে রইল হীরার। ভাবল হীরা হয়ত ভালোবাসার কথায় কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। মনে মনে কষ্ট পেলেও চুপ করে গেল লালি। শুধু বলল, -      বল কি গল্প বলবি। -      বহুকাল আগে, এক বিশাল জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। এক ঋষি। আজ কেও সেই ঋষির কূল বর্তমান। সেই ঋষির এক পুত্র ছিল। জন্মে ব্রাহ্মণ হলেও, কর্মে সে ক্ষত্রিয়। তার শিক্ষা গুরু ছোট খাটো কেউ ছিল না। ছিলেন মহান পরশুরামের সুযোগ্য বংশধর। ধনুক, গদা, কুঠার এবং তলোয়ার বিদ্যায় নিপুনের থেকেও নিপুন ছিলেন সেই পরশুরাম। কাজেই গুরুর থেকে শিক্ষা লাভ করে মহানতম বীর হয়ে উঠেছিল সেই পুত্র। এতো খানি পরাক্রম থাকা স্বত্বেও সেই পুত্রের জীবন যাপন ছিল খুব দারিদ্রতায় ভরা। সেই পুত্রের বিয়ে হলো। কৃপী নামে এক কন্যার সাথে। এতোদুর শুনে লালি প্রায় চেঁচিয়ে বলে উঠল, -      তুই কি দ্রোণাচার্য্যের কথা বলছিস? এ গল্প তো জানি আমি। এমন ভাবে বলছিস যেন সামনে থেকে দেখেছিস। -      উফ শোনই না। -      আচ্ছা আচ্ছা বল। -      জীবন সংগ্রামের মারাত্মক সময়ে, কৃপী কে নিয়ে ঘর বেঁধে, সেই পুত্র পড়ল একেবারে অগাধ সমুদ্রে। প্রতিদিনের দারিদ্রতা তো ছিলই তার সাথে ছিল আর্থিক আনুকূল্য না থাকার সামাজিক অপমান। সবাই তাকে বলত , পুজো আচ্চা করে সংসার চালাতে। কিন্তু সে তো পুজো আচ্চা শেখেই নি। সে জানে ধনুক। সে জানে গদা। সে জানে রথ, তলোয়ার এই সব। কাজেই সন্তান হলে কি ভাবে বড় হবে সেই নিয়ে তার ছিল চিন্তা। বড় শিব ভক্ত ছিল সে। লালি ফুট কাটল এই সময়ে, -      এটা জানতাম না তো যে দ্রোণাচার্য্য শিব ভক্ত ছিলেন। হীরা হাসল সুন্দর করে। বলল, -      এমন অনেক কিছুই আমরা জানিনা। বা জানলেও, জ্ঞানী হই না। যাই হোক শোন। দ্রোণের ভয় ছিল, সন্তান জন্মালে তার কি হবে। খিদে আর তৃষ্ণা তে সে অধীর হয়ে যাবে। জঙ্গলে পশু, সাপ খোপে তার ক্ষতি করে দেবে। জঙ্গলের রাক্ষস, অপদেবতা তার সন্তান কে হত্যা করতে পারে। তাই সে রোজ মহাশিবের কাছে প্রার্থনা করত সন্তান আর সন্তানের সুখের জন্য। অনেকে বলে অশ্বথামা মহাশিবের অবতার , কিন্তু সেটা ঠিক নয়, তবে মহাশিবের কৃপা তো ছিলোই অশ্বথামার মধ্যে। মহাশিবের রুদ্রাবতার বড় সাধারণ নয়। নারায়ণের দশ অবতারের সাথে তূলনীয়। পার্থক্য হলো, মহাশিবের রুদ্রাবতার ক্ষনিকের ইমোশন এ হয়েছে আর নারায়ণের অবতার অনেক প্ল্যানিং এর পরে। যাই হোক অনেক কিন্তু আছে এ ক্ষেত্রে। অতো বুঝবে না তুমি। অশ্বথামার উপরে মহাদেবের যে কৃপা, তা পুরোটাই ছিল সেই মণির মধ্যে। মণি অশ্বথামা নিয়ে জন্মেছিল। শরীরের সাথে অচ্ছেদ্য ছিল সেই মণি। -      তারপর? মুগ্ধ হয়ে শুনছিল হীরার কথা লালি। হীরার বাচনে মনে হচ্ছিল চোখের সামনে ঘটছে ঘটনা গুলো। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নেমে আসছে চারিদিকে। আর লালি হারিয়ে যাচ্ছে হীরার বাক্যজালে। -      দ্রোণ যে যে বিষয় এ ভয় পেত নিজের সন্তান কে নিয়ে, সেই সেই গুণাবলী ওই মণি তে আছে। ওই মণি ক্ষুধা, তৃষ্ণা থেকে অশ্বথামা কে দূরে রাখত সর্বদা। ওই মণির প্রভাবে অশ্বথামা জন্ম থেকেই মহাবীর ছিল। ভুত প্রেত পিশাচ মহাদেবের যাবতীয় অনুচর অশ্বথামার আজ্ঞাবহ ছিল। সেই সময়ের মহানতম বীর দের একজন ছিল অশ্বথামা। কাজেই ওই মণির গুণ অনেক। ক্রোধ সরিয়ে, মায়া মমতা ভালোবাসা সব কিছুই অশ্বথামা পেয়েছিল সেই মণির কৃপা তে। তবে সমস্যা হলো এই মণি কোন একার আজ্ঞাবহ নয়। এই শিরোরত্ন বড়ই অদ্ভুত। যার কাছেই থাকবে, সেই মানুষ কে মারাত্মক প্রভাবিত করতে পারত এই মণি। আর কারোর কাছে না থাকলে চারিপাশের প্রকৃতি কে প্রভাবিত করতে পারে এই মণি। ঠিক এই সময়ে যেমন এই জায়গা কে প্রভাবিত করছে। নিজেকে লুকিয়ে রাখতে এই জুড়ি নেই। চারিপাশের সাথে গিরগিটির মতন নিজেকে লুকিয়ে রেখে দেয় এই বিরাট শক্তিশালী মণি। মহাশিব অনেক ভেবেই এই মণি কে সমর্পণ করেছিলেন অশ্বথামার কাছে। হয়ত বুঝেছিলেন অশ্বথামা দিকভ্রষ্ট হলে এই মণি আর ওর কাছে থাকবে না। অবাক হয়ে গেল লালি। এই জায়গায় মণি আছে? ছেলেটা মণি তে পাগল হয়ে গেছে। কাল রাত থেকে মণির পিছনে লেগে আছে। হেই মা, পাগল হয়ে গেল নাকি? তাকে কি সারা জীবন পাগল কে নিয়ে ঘর করতে হবে? চারিদিকে তাকাল লালি। কই কোথাও তো কিছু নেই। পুকুরের তিন দিকে বাড়ির জঙ্গল। আর ঠিক উল্টো দিকে মানে পশ্চিম দিকে বাঁশের বিশাল ঝাড়। পশ্চিম আকাশে এক ফালি চাঁদ। ঠিক তার পাশেই সখীর মতন ছোট্ট সাঁঝ তারা। চারিদিক কেমন স্তব্ধ। বাঁশগাছের পাতার একে অপরের সাথে স্পর্শ হয়ে রিনিঝিনি হালকা আওয়াজ কানে আসছে লালির। মৃদুমন্দ হাওয়া এসে মুখে চোখে লেগে প্রাণ টা জুড়িয়ে দিচ্ছে একেবারে। সেই হাওয়ায় পুকুরের জল ও তির তির করে কাঁপছে। কি সুন্দর পরিবেশ। পুকুরের জলে চাঁদের প্রতিবিম্ব যেন আরো মোহময় করে তুলেছে জায়গা টা কে। মনে হচ্ছে জলের ভিতরে আর একটা চাঁদ উঠেছে আর তাতে জলের উপরিতল একেবারে সাদা হয়ে আছে। জলের ঢেউ এ সেই চাঁদের আলো হাওয়ায় ভর করে তির তির করে সাদা জল কেটে সামনের দিকে এগিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে পাড়ে। লালি ও হারিয়ে গেল হীরার কাছে। যখন প্রকৃতিও নিজের মায়াজাল নিয়ে প্রেমের ওম দিতে আসে তখন মনে হয় প্রেম সার্থক। মণি থাকুক বা না থাকুক লালির কাছে এই পাওনা কোটি কোটি মণির থেকেও মূল্যবান। কিন্তু কি বলছে হীরা এখানে মণি উপস্থিত ? ও ফিরে এল প্রেমের জগত থেকে। বলল, -      এখানে মণি? দেখলি তো সকালেই, নেই কোন মণি। ওই ব্রাহ্মণ আমাদের ভুল সুত্র দিয়েছিল হীরা। তোকে অনেক কথাই আমি বলিনি। আজকে তোর বাড়ি থেকে বেড়িয়েও অনেক কিছু ঘটেছে। হীরা কোন উৎসাহ দেখালো না লালির কথায়। কি ঘটেছে না ঘটেছে ওতে যেন কোন উৎসাহ ই নেই হীরার। শুধু বলল, -      তুমি সত্যি করেই মণি দেখতে পাচ্ছ না? লালি চারিদিকে তাকাল। কিন্তু মণির কোন লক্ষণ বুঝতে পারল না। বলল, -      না আমি দেখতে পাচ্ছি না। তুই দেখা! -      আচ্ছা তাই হোক। ওই দেখ!! লালি দেখল, পুকুরের যেখানে চাঁদের প্রতিবিম্ব পড়েছে হীরা সেই দিকে আঙ্গুল তুলে আছে। লালি হেসে ফেলল। বেশ করে গাল দুটো কে টিপে একেবারে অস্থির করে তুলল হীরা কে। আর প্রায় হেসে গড়িয়ে পরে বলল, -      এটা কে নিয়ে আমি কি করি! হ্যাঁ রে!  তুই বিয়ের পরে আলু আনতে বললে অন্য কিছু নিয়ে আসবি না তো? কি করব আমি তখন তোকে নিয়ে হীরা?? তারপরে প্রায় অট্টহাসি তে ফেটে পরল লালি নিজের ভবিষ্যতের কথা ভেবে। আর হীরার গলা জড়িয়ে ধরে বলল, -       ওরে ওটা চাঁদের রিফ্লেকশন মশাই। মণি না। নাহ সত্যি তোর মাথা টা গেছে। এই চল তো তুই বাড়ি। আর এই বাড়াবাড়ি আমার সহ্য হচ্ছে না। হীরা তোকে না আমি আর কার ও কাছে রাখতে ভরসা পাচ্ছি না। প্লিস তুই ওঠ এখন।   -      আচ্ছা? বেশ উপরে চাঁদ কে দেখ। কেমন দেখছ? -      কেমন আবার আধখানা ফালি। -      এবারে জলে রিফ্লেকশন যাকে বলছ সেটা দেখ। -      হ্যাঁ দেখছি তো। কি আলাদা!! এই টুকু বলেই খুব ভালো করে তাকালো জলের দিকে। অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকার পরে বুঝতে পারল জলের ভিতরের চাঁদ টা আর আকাশের চাঁদ টা প্রায় একরকম হলেও এক নয়। নীচের চাঁদ টা প্রায় গোল। বেশ ছোট। ঢেউ এর সাথে কাঁপছে এমন করে যে আসল আকার টা ধরতে পারা যাচ্ছে না।  কিন্তু মেটামর্ফ এর মতন চাঁদের সাথে আর সব থেকে বড় কথা চাঁদের আলোর সাথে একাত্ম হয়ে আছে। পুকুরের জল টা এমন ভাবে আলোকিত করে রেখেছে মণি টা মনে হচ্ছে আকাশের চাঁদের আলো এসে পুকুরের জলে পরেছে। অথচ আকাশের চাঁদের যা জ্যোতি তাতে পুকুরের জল এই ভাবে আলোকিত হতে পারে না। লালির কাছে মাঝে মাঝেই ধাঁধার উত্তরের মতন হারিয়ে যাচ্ছিল মণি টা, সব কিছু জানার পরেও। লালির মুখ টা হাঁ হয়ে গেল। বুকে যেন কেউ দামামা বাজাচ্ছে ভীষণ জোরে। মণির এতো গুণ লালি কল্পনাও করতে পারে নি। লালি কোন কথা বলতে পারল না। হাঁ করে চেয়ে রইল হীরার দিকে। আর হীরা মিটি মিটি হাসছিল লালি কে দেখে। লালি একবার হীরা আর একবার জলের দিকে তাকাচ্ছিল। উফ কি মারাত্মক খেলা এই মণির। কে বুঝবে ওটা জলে চাঁদের আলোর প্রতিবিম্ব নয়? কিন্তু হীরা কি করে বুঝল? এ জিনিস জানার পরেও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।চোখ আর মস্তিস্ক কে একেবারে অবশ করে ফেলছে এই মণি। চোখ সরিয়ে নেবার পরে আবার তাকালে, আলাদা করা যাচ্ছে না মণি আর চাঁদের আলো কে। তবে হীরা কি করে বুঝল? লালি দেখেছে আগেই, দরকারে হীরা সবার আগে মন পড়তে পারে। এবারেও মনে হয় পারল সেটা। বলল, -      আমি সকালেই আন্দাজ করেছিলাম। যখন দেখলাম পায়ের মাপের হিসাব পুকুরের দিকে যাচ্ছে তখন ই বুঝেছিলাম মণি এখানেই আছে। কিন্তু কোন কিছুর আভাস পাই নি। লালি তখনো বুঝতে পারছে না কি জবাব দেবে। ও এক মনে মণি টা দেখছিল। কেমন একটা বুকচাপ অনুভব হতে লাগল লালির। জিজ্ঞাসা করল, -      কি ভাবে বুঝলি তবে? -      বুঝলাম দুপুরে তোমাকে দেখে। -      আমাকে দেখে? -      হুম। -      কি ভাবে? -      যেমন তুমি আমার হাত ধরে ছিলে বাড়িতে ঢোকার আগে। যেই মা কে দেখলে সাথে সাথে মায়ের চেনা লালি হয়ে গেলে। নাটক করলে মায়ের সামনে। তখন মা কে বুঝতেই দিলে না যে তুমি আমাকে কি চোখে ভালোবাস আর তোমার মনের ইচ্ছা কি। তুমি মানসিক ভাবে নিজেকে মর্ফ করলে। আর আমার সরল মা সেটা বুঝতে পারল না। লালি লজ্জা পেল হীরার কথায়। জিজ্ঞাসা করল তাও, -      তাতে কি হয়। এর থেকে তুই ধরে ফেললি যে মণি মর্ফ করতে পারে? -      হুম কারণ তুমি হয়ত মনে রাখনি কিন্তু আমি ব্রাহ্মণের কথা গুলো মনে রেখেছি। ওই ব্রাহ্মণ মণির কাছে যেতে পারত না। গেলেই শারীরিক সমস্যা দেখা দিত। মানে মণি নিজেকে সুরক্ষা দিতে পারে। ওর মধ্যে যা ক্ষমতা আছে সেই দিয়েই ও নিজেকে সুরক্ষিত রাখে। হয়ত সেই ব্রাহ্মনের পূর্ব পুরুষ তাকে একটা ঘরে রেখে দিয়েছিল। কালের গর্ভে সেই ঘর এই পুকুরের জলে নিমজ্জিত হয়ে গেছে আর মণি রয়ে গেছে এই খানেই। বা আর ও একটা উপায়ে হতে পারে। সেটা পরে বলছি ।  এর মানে একটাই সেই ব্রাহ্মনের পরিবার জানে মণির এই গুণের কথা আর সেই মণি গত তিন হাজার বছর ধরে এখানেই রয়েছে। এই গ্রামেই রয়েছে। আর সেই পরিবার কে সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। লালি এবারে মুখ খুলল। বলল, -      ধরেও নিলাম তোর থিয়োরী ঠিক। আর ঠিক হলে এই পুকুরের চারিদিকে যাদের বাড়ি আছে তাদের মধ্যেই কাউকে অলায়ুধের বংশধর হতে হয়। -      একদম তাই। কিন্তু দেখতে গেলে চারটে পরিবার এই পুকুরের ধারে বাস করে। আমরা, তোমরা , নগেদ দাদু আর অভির কাকা আর কাকার ছেলে। আমরা নই। কারণ যতদূর জানি আমার বাবা এখানকার ই নয়। একেবারে কিছুই ছিল না , সেই কোন ছোট বেলায় আমার বাবা এই গ্রামে এসেছিল। তোমরা ও নও। -      কেন আমরা নই কেন? -      না নও। কারণ সেই ব্রাহ্মণ বলেছিল, যে ছোট থেকেই মণির ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের সন্তান দের। আর সেই মণির কৃপা তে তারা শিক্ষা দীক্ষায় উজ্জ্বল হয় বেশ। তুমি এর আগে মণির ব্যাপারে শোননি এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। আর শুনলে তুমি ভ্যাবাচ্যাকা খাবার মতন যে মুখ টা করে আছ সেটা কে এক্টিং করে বের করতে হবে। তুমি এক্টিং জান না সেটা আমি জানি। আর তোমরা ব্রাহ্মণ ও নউ। তোমরা ঘোষ। লালি প্রতিবাদ করল এবারে। বলল, -      তবে তো এই পুকুরের চারিদিকে যারা আছে তারা কেউ ই ব্রাহ্মণ নয়। -      হ্যাঁ ঠিক তবে একজন ছাড়া।
Parent