বাংলা গল্প- লালপট্টি - অধ্যায় ৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-70110-post-6018617.html#pid6018617

🕰️ Posted on August 27, 2025 by ✍️ rajusen25 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 342 words / 2 min read

Parent
চরিত্র পরিচয় _________ টুকুন, সেন পরিবারের একমাত্র সন্তান, একুশ বছর বয়সী এই তরুণটি কলকাতার একটি নামকরা কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। তার ব্যক্তিত্বে শিক্ষা, ভদ্রতা, মেধা এবং উদারতার এক অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়। দেখতে একদম যেন বাংলার কোনো রাজপুত্র—ছয় ফুট লম্বা ঝকঝকে ফর্সা শরীর, প্রশস্ত বুক আর অ্যাথলেটিক গড়ন যেন গ্রিক ভাস্কর্যের মূর্তির মতো নিখুঁত। তার চোখ দুটো গাঢ় বাদামি, তীক্ষ্ণ তবে কোমল দৃষ্টি, আর ঠোঁটে প্রায় সবসময়ই এক আত্মবিশ্বাসী হাসি লেগে থাকে। এই রাজকীয় সব গুণ আর রূপ সে পেয়েছে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকেই। বাবা ডাক্তার সুনির্মল সেন, বয়স পঞ্চান্ন—বিশ্বজোড়া খ্যাতির একজন হৃদয় বিশেষজ্ঞ। উচ্চতায় ছয় ফুট, কাঁধ দুটো যেন পাহাড়ের মতো চওড়া, আর মাথার চুল রুপোলি সাদায় ভরা—তাকে দেখলেই মনে হয় যেন কোনো দেবতা বা মহীরুহ দাঁড়িয়ে আছে। আর মা, মুনমুন সেন, সাতচল্লিশ বছর বয়সী—একজন বিদুষী ও রুচিশীল ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপিকা। উচ্চতায় পাঁচ ফুট এগারো ইঞ্চি, গড়নটি ঠিক যেন মাটির কলসির মতো মসৃণ ও বাঁকা; তার গায়ের রং যেন একদম টাটকা মাখনের মতো কোমল ও উজ্জ্বল। মিসেস সেন তাঁর কলেজে দুই রকমের খ্যাতির অধিকারী—একদিকে তিনি পরম শ্রদ্ধেয় অধ্যাপিকা এবং চরিত্রে একজন পরিণত-রুচিসম্পন্ন, অন্যদিকে পুরো ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যের প্রতীক। ছাত্ররা তাঁকে “প্রফেসর ম্যাডাম” নামেই ডাকে। তাঁর ক্লাসে ভিড় থাকে তিল ধারণের জায়গাও থাকে না—কারণ ছাত্ররা কেবল তাঁর পড়ানো শোনার জন্যই নয়, তাঁকে দেখতেও আসে। কিছু স্পষ্টভাষী ছাত্র মুখ ফুটে বলে—তিনি তাদের চোখের স্বপ্নের রানী, তাঁর রূপের তুলনা তারা এক বিদেশি পর্নস্টার Alison Tyler - এর সঙ্গে করে—বিশেষ করে তাঁর উচ্চতা, নিখুঁত গড়ন আর দুধে-আলতা মাখা ত্বকের জন্য। তাদের বাড়ির জীবনযাপনও যেন এক সুন্দরের অনুষ্ঠান—হাওয়ায় ভাসে রবীন্দ্রসংগীতের সুর, দেয়ালে ঝোলানো দুষ্প্রাপ্য সব ছবি, আর বইয়ের আলমারি থেকে মিশে আসে পুরনো কাগজের মিষ্টি গন্ধ। রোজ সন্ধ্যায় জমে বুদ্ধিদীপ্ত আড্ডা—চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে কথায় কথায় জড়িয়ে পড়ে দর্শন, শিল্প আর সমাজ। তাদের কথা বলার ভঙ্গি, হাসি, এমনকি হাত নাড়ার ভাবও এতটা মার্জিত যে, মনে হয়—এই পরিবারটাই যেন কোনো সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু। আর টুকুন? সে এই মহান ঐতিহ্যেরই উত্তরাধিকার। তাই তার চালচলনে আত্মবিশ্বাসের ছাপ, মানুষের সঙ্গে মিশতে পারার দক্ষতা যেন তার রক্তে মিশে আছে। কলেজে তার জনপ্রিয়তা এতটাই যে, তা অস্বীকার করার জো নেই—কিন্তু তবুও সে সবসময় এক ধরনের মর্যাদা বজায় রাখে, যে মর্যাদা তার লালন-পালনকেই প্রতিফলিত করে।
Parent